রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - Online story

Monday 5 June 2023

রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 
               রচনা
         রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভূমিকা : শুধু ভারতের নয়, বিশ্বের অন্যতম সেরা কবি রবীন্দ্রনাথ। তিনি ‘কবিগুরু’, ‘বিশ্বকবি'। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী।



জন্ম ও বংশ-পরিচয় : কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে
রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয় ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখ। তাঁর বাবার নাম দেবেন্দ্রনাথ
ঠাকুর। মায়ের নাম সারদা দেবী।



শিক্ষা : রবীন্দ্রনাথ প্রথমে ওরিয়েন্টাল সেমিনারী স্কুলে, তারপর নর্মাল স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু স্কুলের গণ্ডীবদ্ধ জীবন তাঁর ভালো লাগেনি। তাই বাড়িতে গৃহশিক্ষকের অধীনে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন। সতোরো বছর বয়সে বিলাত যান। সেখানে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন।



সাহিত্য রচনা : রবীন্দ্রনাথ সাত-আট বছর বয়স থেকেই কবিতা লিখতে শুরু করেন। তিনি অজস্র কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাটক, ভ্রমণ

কাহিনি ইত্যাদি লিখেছেন। তাঁর কয়েকটি প্রধান কাব্য — সোনার তরী, বলাকা,
পুরবী, চিত্রা, গীতাঞ্জলি; নাটক—
ডাকঘর, বিসর্জন, রক্তকবরী;
উপন্যাস – চোখের বালি, গোরা, ঘরে
বাইরে ইত্যাদি। তাঁর লেখা গানগুলি।
'রবীন্দ্র সঙ্গীত' নামে পরিচিত। অজস্র
ছোটোগল্পও তিনি লিখেছেন। এছাড়া
পত্রসাহিত্যও প্রবন্ধ-সাহিত্য,
উল্লেখযোগ্য। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটির
জন্য তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ
করেন। কর্মজীবন ও কৃতিত্ব : রবীন্দ্রনাথ শুধু কবি বা সাহিত্যিক ছিলেন না, তিনি
ছিলেন স্বদেশপ্রেমিক। জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। তিনি ছিলেন মানবপ্রেমিক। তাঁর অসাধারণ সংগঠন শক্তির পরিচয় পাওয়া যায় বোলপুরে ‘শান্তিনিকেতন’ ও ‘শ্রীনিকেতন' প্রতিষ্ঠায়। তিনি নিজে ভালো গান গাইতে, অভিনয় করতে এবং ছবি আঁকতে পারতেন। তাঁর লেখা গান দুটি স্বাধীন দেশ ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত।
উপসংহার : এই কর্মময় পুরুষের জীবনের অবসান হয় ১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ। এই দিনটি একটি জাতীয় শোক দিবস।





রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে