রচনা বাংলার ফুল-ফল
রচনা
বাংলার ফুল-ফল
ভূমিকা : আমাদের বাংলা গাছপালায় ভর্তি। পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টির পূর্বে উদ্ভিদের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই উদ্ভিদ থেকেই পাওয়া যায় ফুল ও ফল। বাংলায় ফুল-ফলে যত বৈচিত্র্য দেখা যায়, অন্য কোথাও তেমন দেখা যায় না। ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফুল এবং ফলের পার্থক্য দেখা যায়।
ঋতুভেদে ফুল ও ফল : বাংলায় ছটি ঋতু দেখা যায়। প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। এই ঋতুতে বেল, জুঁই, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ প্রভৃতি ফুল ফোটে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস এবং আরও কিছু কিছু ফল এই ঋতুতে পাওয়া যায়।
বর্ষাকালে যুঁই, কামিনী, হাসনাহানা, কদম্ব প্রভৃতি ফুল এবং ফলের মধ্যে আনারস, পেয়ারা প্রভৃতি পাওয়া যায়। শরৎকালে কাশ, শেফালি, মল্লিকা, শিউলি প্রভৃতি
ফুল ফোটে কিন্তু ফল বিশেষ কিছু ফলে না। হেমন্তকালে বিশেষ কোনো ফুল বা ফল পাওয়া যায় না। শীতকালে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, গোলাপ প্রভৃতি বিভিন্ন রকম ফুল পাওয়া যায়। আর ফলের মধ্যে বেদানা, কমলালেবু, আঙুর প্রভৃতি
পাওয়া যায়। বসন্তকালে অশোক, পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া প্রভৃতি ফুল ফোটে। এই ঋতুতে আপেল, ফুটি, তরমুজ প্রভৃতি ফল পাওয়া যায়। কলা, পেঁপে,
পেয়ারা প্রভৃতি প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়।
ফুল-ফলের প্রয়োজনীয়তা : ফুল মানুষের মনে আনন্দ যোগায়। দেবতার পূজা, ঘর সাজানো এবং অন্যান্য কাজে লাগে। ফল আমরা খাই। কল দেহের পুষ্টি যোগায়। এক-এক ফলের উপকারিতা এক এক রকম। স্বাদও প্রত্যেকের আলাদা। গোলাপ ফুলের রানী। আম ফলের রাজা।
উপসংহার : বাংলায় বিভিন্ন ঋতুর আবির্ভাব ঘটে। বিভিন্ন ঋতুতে ফুল-ফলের বৈচিত্র্য দেখা যায়। বাংলায় বর্ষা হয় খুব বেশি। তাই ফুল-ফলও জন্মায় বেশি।