"পটল বাব ফিল্মস্টার" সপ্তম শ্রেণীর বাংলাঅনুশীলনীর - Online story

Tuesday 18 July 2023

"পটল বাব ফিল্মস্টার" সপ্তম শ্রেণীর বাংলাঅনুশীলনীর

 





সপ্তম শ্রেণীর বাংলা 

"পটল বাব ফিল্মস্টার

সত‍্যজিৎ রায়


হাতে-কলমে

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর



১. বন্ধনীতে দেওয়া একাধিক উত্তরের মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে নীচের বাক্যগুলি আবার লেখো :



১.১ পটলবাবুঅভিনয়ের সময়ে সংলাপ হিসেবে বলেছিলেন(ওঃ উঃ/আঃ)শব্দটি।

উঃ। অভিনয়ের সময়ে সংলাপ হিসেবে বলেছিলেন আঃ শব্দটি।


১-২ অভিনয়ের সময় পটলবাবুর হাতে ছিল (আনন্দবাজার পত্রিকা/যুগান্তর/ স্টেটসম্যান)।

উঃ-যুগান্তর।





১.৩ অভিনয়ের সময়ে পটলবাবুর নাকের নীচে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল (কুঁপৌ/চাড়া-দেওয়া/বাটারফ্লাই) গোঁফ।

উঃ-অভিনয়ের সময় পটলবাবুর নাকের নীচে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল বাটারফ্লাই গোঁফ।





১.৪ (বরেন দত্ত/বরেন মল্লিক/বরেন চৌধুরী)-র পরিচালিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন পটলবাবু।

উঃ। বরেন মল্লিক পরিচালিত চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়েছিলেন পটলবাবু।


১.৫ করালীবাবুর বাড়িতে (কীর্তন/শ্যামাসংগীত/কথকতা) হয় (শনিবার বিকেলে/রবিবার সকালে/রবিবার বিকেলে)।

উঃ। করালীবাবুর বাড়িতে শ্যামাসংগীত হয় রবিবার সকালে।



১৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও :

১৩.১ পটলবাবুর কাছে যে-দিন ফিল্মে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, সেদিন ছুটির দিন ছিল কেন?

উঃ। সে-দিন ছিল ট্যাগোরস্ বার্থডে। অর্থাৎ সে দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন ছিল।



১৩.২ বাজারে গিয়ে কেন গৃহিণীর ফরমাশ গুলিয়ে গেল পটলবাবুর?

উঃ। পটলবাবুর কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব আসার ফলে বাজারে গিয়ে গৃহিণীর ফরমাস গুলিয়ে গেল।



১৩.৩ থিয়েটারে পটলবাবুর প্রথম পার্ট কী ছিল?  

উঃ। মৃত সৈনিকের পার্ট।




১৩.৪ উনিশশো চৌত্রিশ সালে পটলবাবু কলকাতায় বসবাস করতে এলেন কেন?

উঃ। হাসন অ্যান্ড কিম্বার্লি কোম্পানিতে আর-একটু বেশি মাইনের চাকরি আর একটা নেপাল ভটচাজিে একটা বাড়ি পেয়ে পটলবাবু কলকাতায় বসবাস করতে এলেন।



১৩.৫ পাড়ায় থিয়েটারের দল গড়া আর হলো না কেন পটলবাবুর ?

উঃ। যুদ্ধের ফলে আপিসে ছাঁটাই হলো। আর তাতেই পটলবাবু ন-বছরের চাকরি চলে যাওয়ায় পটলবাবুর থিয়েটারের দল গড়া হল না।


১৩.৬ পটলবাবু তাঁর সময়নিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য কোন্ উদাহরণ দিতে ভালোবাসতেন?

উঃ। তিনি যে ন-বছর হাডসন অ্যান্ড কিম্বার্লিতে চাকরি করতেন সেই উদাহরণ পটলবাবু দিতে ভালোবাসতেন‌।


৩.৭ 'পটলবাবুর লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল' — পটলবাবু এমন লজ্জা পেলেন কেন?

-

উঃ -। পটলবাবুকে অভিনয় করার কথা বলা হয়েছে তাই তিনি লজ্জা পেলেন।


৩.৮ ‘গগন পাকড়াশি আজ তাঁকে দেখলে সত্যিই খুশি হতেন'

–তিনি খুশি হতেন কেন?


উঃ- এতদিন অকেজো থেকেও তাঁর শিল্পীমন ভোঁতা হয়ে যায়নি, এ দেখেই পটলবাবুর নাট্যগুরু গগন পাকড়াশি




৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও :

৯.১ ‘আমার টক করে তোমার কথা মনে পড়ে গেল’ —কার মনে পড়ে গেল পটলবাবুর কথা? পটলবাবুর কথাই  তাঁর মনে পড়ল কেন?

উঃ-নিশিকান্ত ঘোষ মশাইয়ের মনে পড়ে গেল পটলবাবুর কথা।

পটলবাবু এককালে অভিনয় করতেন। তাঁর রীতিমতো অভিনয়ের শখ ছিল। যাত্রায়, শখের থিয়েটারে,পাড়ার ক্লাবের অনুষ্ঠানে তাঁর বাঁধা কাজ ছিল অভিনয় করা।




৪.২ ‘গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল!সাধে কি তোমার কোনোদিন কিচ্ছু হয় না?’—পটলবাবুর গৃহিণীর এই মন্তব্যের

উঃ-। অভিনয় করার সুযোগ পেয়ে পটলবাবু বাহান্ন বছর বয়সে তিড়িং করে একটা লাফ দিয়ে উঠলেন। নাট্যকার  ভাদুড়ির সাথে তুলনা করে তিনি গিন্নিকে বলতে লাগলেন শিশির ভাদুড়ি সত্তর বছর বয়সে চাণক্যের পার্টে এভাবে লাফখানা দিতেন। আজ তিনি পুনর্যৌবন লাভ করেছেন। তাঁর মান, যশ, প্রতিপত্তি সব হবে। এইসব শুনে বাবুর গৃহিণী এই মন্তব্যটি করেছিলেন।



 ৪.৩ কার উপদেশের স্মৃতি পটলবাবুর অভিনেতা সত্তাকে জাগিয়ে তুলল? কোন্ অমূল্য উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন বাবুকে?

উঃ। গগন পাকড়াশির উপদেশের স্মৃতি। পটলবাবুর অভিনেতা সত্তাকে জাগিয়ে তুলুন। তিনি পটলবাবুর নাট্যগুরুছিলেন। তিনি বলেছিলেন ‘একটা কথা মনে রেখো পটল। যতো ছোটো পার্টই তোমাকে দেওয়া হোক, তুমি জেনে রেখো কোনো অপমান নেই। শিল্পী হিসেবে তোমার কৃতিত্ব হবে সেই ছোটো পার্টটি থেকেও শেষ রসটুকু নিংড়ে  তাকে সার্থক করে তোলা। থিয়েটারের কাজ হলো পাঁচজন মিলেমিশে কাজ। এই অমূল্য উপদেশই পাকড়াশি মশাই পটলবাবুকে দিয়েছিলেন।



১৪.৪ ‘ধন্যি মশাই আপনার টাইমিং। বাপের নাম ভুলিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়—ওঃ!’ –বক্তা কে? কোন্ ঘটনার ফলে এমন মন্তব্য?

উঃ। বক্তা অভিনেতা ও নায়ক চঞলকুমার।

অভিনয় করার জন্য পটলবাবুকে যখন অ্যাকশন বলা হল, পটলবাবু হঠাৎ চোখে অন্ধকার দেখলেন। নায়ক নন্দকুমারের সঙ্গে তাঁর কপালের ঠোকাঠুকি লেগে গেল। কিন্তু পরমুহূর্তেই এক প্রচণ্ড শক্তি প্রয়োগ করে আশ্চর্যভাবে নিজেকে সামলে নিয়ে বিরক্তি, বিস্ময় ও যন্ত্রণা মিশিয়ে ‘আঃ’ শব্দটা তিনি উচ্চারণ করলেন। তার অভিনয় ঠিক ঠিক হলো এবং তিনি যথার্থ সময়ে ‘আঃ’ শব্দটি বলায় বক্তা চঞ্চলকুমার এমন মন্তব্য করেছিলেন।

১৪.৫ ‘এতদিন অকেজো থেকেও তাঁর শিল্পীমন ভোঁতা হয়ে যায়নি’—এই অনুভব কীভাবে জাগল পটলবাবুর মনে?

অভিনয়ের রীতিমতো শখ ছিল। শখ কেন অভিনয় তার নেশাই ছিল। বরেন মল্লিকের সিনেমায়

একটু অভিনয় করার সুযোগ পেলেন তখন তাঁর যেন জীবনটাই ধন্য হয়ে গেল। অভিনয়ের জন্য একটা ‘আঃ’ শব্দ যেটা উচ্চারণ করতে গিয়ে তিনি নানারকম ভাবনাচিন্তা করতে লাগলেন। নানান কথা তাঁর মনে পড়তে লাগল। অনেক উত্তেজনা, রোমাঞ্চ ও বিস্ময় নিয়ে যখন তিনি ‘আঃ’ শব্দটা উচ্চারণ করলেন এবং পরিচালক মশাই ঠিক বললেন, তখন পটলবাবুর মন এক গভীর আনন্দ ও আত্মতৃপ্তিতে ভরে গেল। তিনি অনুভব করলেন।

ঐ শিল্পী মন শেষ হয়ে যায়নি, ভোঁতা হয়ে যায়নি।

১৪.৬ পটলবাবুর ফিল্মে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে প্রোডাকশন ম্যানেজার নরেশ দত্তের অনেকগুলি ব্যস্ত মুহূর্ত।

করো মুহূর্তগুলি জোড়া দিয়ে নরেশ দত্ত নামে মানুষটির সম্পূর্ণ ছবি নিজের ভাষায় তৈরি করো।



১৫.২ 'সে কী, টাকা না-নিয়েই চলে গেল নাকি লোকটা! আচ্ছা ভোলা মনতো!'— তোমার কী মনে হয় সফলভাবে

কাজ করার পরেও কেন টাকা না-নিয়েই চলে গিয়েছিলেন পটলবাবু? পটলবাবুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তটি যথার্থ বলে

মনে হয় তোমার। নিজের যুক্তি দিয়ে লেখো।

উঃ। পটলবাবু চলে গিয়ে ঠিক কাজ করেছেন। মান, যশ, প্রতিপত্তি, খ্যাতি এর চাইতেও বড়ো হল একজন শিল্পীর কাছে তাঁর শিল্পের সার্থকতা। পটলবাবু একজন ভালো অভিনেতা। অভিনয় তাঁর শুধু শখ নয়, নেশাও বটে। তিনি অভিনয় করতে খুব ভালোবাসেন। কিন্তু তেমন করে কোনোদিন সুযোগ পাননি। থিয়েটারে অভিনয় করেছেন, কিন্তু সিনেমায় এই প্রথম। সেইজন্য যথার্থভাবে নিজের অভিনয়টুকু তিনি নিংড়ে বার করে দিতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে তার মনে ছিল চাপা উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ। পঁচিশ বছর আগে স্টেজে অভিনয় করার সময় একটা বড়ো দৃশ্যে নামবার আগে মনের মধ্যে যে ভাবটা তিনি অনুভব করতেন সেই ভাব। তারপর যখন সত্যি সত্যিই অভিনয় যথার্থ হল তখন এক গভীর আনন্দ ও আত্মতৃপ্তি পটলবাবুর মনকে ধীরে ধীরে আচ্ছন্ন করে ফেলল। তাঁর মনে হল এতদিন অকেজো থেকেও তাঁর শিল্পীমন ভোঁতা হয়ে যায়নি। এই সামান্য কাজটিকে নিখুঁতভাবে করার জন্য তাঁর যে আগ্রহ আর পরিশ্রম তার কদর কেউ করতে পারবে না। সার্থক অভিনয় করতে পেরে শিল্পীর যে আনন্দ হয় তার কাছে টাকার কোনো মূল্য নেই। তাই পটলবাবুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত একদম সঠিক।


১৫.৩ কেমন করে শুটিং চলে, তার জীবন্ত কিছু টুকরো টুকরো ছবি উঠে এসেছে এই গল্পের আনাচে কানাচে। সেইস-

করো জুড়ে জুড়ে নিজের ভাষায় শুটিং-এর মুহূর্তগুলির একটি সম্পূর্ণ ছবি তৈরি করো।

উঃ। শুটিং স্পটে ক্যামেরাম্যান, মেকআপম্যান, ডিরেক্টার বা পরিচালক ছাড়াও আরও নানা ধরনের লোকজনকে। ক্যামেরা, লাইট, সাউন্ড থাকে। অভিনেতা, অভিনেত্রী ও অন্যান্য শিল্পীরা থাকেন। পরিচালকের নির্দেশমতো কাজ করেন।


অন্য গুলি দেখন

(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)

ছন্দে শুধু কান রাখো (২)

(২) কার দৌড় কদ্দুর

(৩) বঙ্গভূমির প্রতি

বঙ্গভূমির প্রতি (২)

(৪) পাগলা গণেশ

(৫) আত্মকথা

(৬) চিরদিনের কবিতা

(৭) ভানু সিংহের পত্রাবলী

(৮) নোট বই 

(৯) স্মৃতি চিহ্ন

(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়

(১১) আঁকা- লেখা

(১২) খোকনের প্রথম ছবি

(১৩) ভারত তীর্থ

(১৪) স্বাধীনতা সংগ্ৰামে নারী

(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা

(১৬) দিন ফুরালো

(১৭) গাধার কান

(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার

(১৯) মেঘ-চোর

 (২০) কুতুব মিনারের কথা

(২১) চিন্তা শীল

(২২) একুশের কবিতা


প্রথম পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন

আর ও প্রশ্ন প্রথম পরীক্ষা

ভাষাচর্চা অনুশীলন

মাকু প্রশ্ন (১)

মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

মাকু প্রথম পরীক্ষা

মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর

মাকু বইয়ের প্রশ্নের উত্তর

মাকু ছোট প্রশ্ন বড়ো পাতা ধরে