সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস পাঁচ অধ্যায় মুঘল সাম্রাজ্য অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর হাতে কলমে - Online story

Sunday 23 July 2023

সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস পাঁচ অধ্যায় মুঘল সাম্রাজ্য অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর হাতে কলমে

 


 

 সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ৫ অধ‍্যায়



ভেবে দেখো.   খুঁজে দেখো

অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর

১। শূন্যস্থান পূরণ করো :

(ক) ঘর্ঘরার যুদ্ধে বাবরের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন

– (রানা সঙ্গ/ ইব্রাহিম লোদি/নসরৎ খান)।

উঃ। নসরৎ খান।




(খ) বিলগ্রামের যুখ হয়েছিল ––

(১৫৩৯/ ১৫৪০/১৫৪১) খ্রিস্টাব্দে।

 উঃ। ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে।



(গ) জাহাঙ্গিরের আমলে শিখগুরু

---কে (জয়সিংহ/অর্জুন/হিমু) প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। উঃ। অর্জুন।


(ঘ) রাজপুত নেতাদের মধ্যে মুঘল সম্রাটদের সঙ্গে জোট বাঁধে নি রানা-----~(প্রতাপ সিংহ/মানসিংহ/যশোবন্ত সিংহ)।

উঃ। প্রতাপ সিংহ।





(ঙ) আহমেদনগরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন--(টোডরমল/মালিক অম্বর/বৈরাম খান)।

উঃ। মালিক অম্বর।



২। নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন্ ব্যাখ্যাটি তোমার সবচেয়ে মানানসই বলে মনে হয়?

(ক) বিবৃতি : মুঘলরা তৈমুরের বংশধর হিসাবে গর্ব করত।


ব্যাখ্যা-১ : তৈমুর ভারতে মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ব্যাখ্যা-২ : তৈমুর একসময় উত্তর ভারত আক্রমণ করে দিল্লি দখল করেছিলেন।




-

ব্যাখ্যা-৩ : তৈমুর ছিলেন একজন সাফারি শাসক।


উঃ। ব্যাখ্যা-২: তৈমুর একসময় উত্তর ভারত আক্রমণ করে দিল্লি দখল করেছিলেন।



(খ) বিবৃতি : হুমায়ুনকে একসময় ভারত ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল।


ব্যাখ্যা-১ : তিনি নিজের ভাইদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা-২ : তিনি শের খানের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা-৩ : তিনি রানা সঙ্গের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।


উঃ ব্যাখ্যা-২: তিনি শের খানের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন।



(গ) বিবৃতি : মহেশ দাসের নাম হয়েছিল বীরবল।

ব্যাখ্যা-১ : তাঁর গায়ে খুব জোর ছিল।

ব্যাখ্যা-২: তিনি খুব বুদ্ধিমান ছিলেন।

ব্যাখ্যা-৩: তিনি মুঘল দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেখিয়েছিলেন।


উঃ -ব্যাখ্যা-২: তিনি খুব বুদ্ধিমান ছিলেন।




(গ) বিবৃতি : রাজেনের আমলে বাংলায় সামুদ্রিক বাণিজ্যের উন্নতি হয়।


ব্যাখ্যা-১ : তিনি পোর্তুগিজ জলদস্যুদের হারিয়েছিলেন।

ব্যাখ্যা-২ : তিনি শিবাজিকে পরাজিত করেছিলেন।

ব্যাখ্যা ৩ : তিনি বাংলায় বাণিজ্যের উপর কর ছাড় দিয়েছিলেন।


উঃ। ব্যাখ্যা ১: তিনি পোর্তুগিজ জলদস্যুদের হারিয়েছিলেন।


(ঙ) বিবৃতি ঃ আকবরের আমলে জমি জরিপের পদ্ধতিকে বলা হত জাবতি।


ব্যাখ্যা -১: জানত মানে বাজারে শস্যের দাম ঠিক করা।

ব্যাখ্যা-২ : জাবত মানে একমাত্র বাদশাহ কর আদায় করতে পারেন।

ব্যাখ্যা ৩ : জাবত মানে জমির রাজস্ব নির্ধারণ করা।


উঃ। ব্যাখ্যা-৩ : জাবত মানে জমির রাজস্ব নির্ধারণ করা।




৩। সংক্ষেপে (৩০–৫০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) মুঘলরা কেন নিজেদের বাদশাহ বলত?

উঃ। বাদশাহ বা পাদশাহ বা পাদিশাহ শব্দগুলি ফারসি। ‘পাদ’ অর্থাৎ প্রভু এবং 'শাহ' মানে শাসক বা রাজা। মুঘলরা সার্বভৌম শাসকের ক্ষেত্রে 'পাদশাহ' অথবা 'বাদশাহ' শব্দটি ব্যবহার করত। আমরা জেনেছি আগে দিল্লির শাসকেরা নিজেদের 'সুলতান' বলতেন। মুঘলরা কিন্তু 'সুলতান' শব্দটি যুবরাজদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। 'বাদশাহ' উপাধি

ব্যবহার করে মুঘলরা বোঝাতে চাইতেন যে তাদের শাসন করার ক্ষমতা অন্য কারোর অনুমোদনের উপর নির্ভরশীল




(খ) হুমায়ূন আফগানদের কাছে কেন হেরে গিয়েছিলেন?

উঃ। বাবরের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র হুমায়ুন দিল্লির বাদশাহ হন। বাবরের সঙ্গে তাঁর সামরিক

অভিজাতদের পারিবারিক এবং বংশগত যোগ ছিল। শাসক শ্রেণির সঙ্গে অভিজাতদের এই যোগ

মুঘল শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। বাবরের পুত্র হুমায়ুনের আমলে কিন্তু এই যোগ অনেকটাই আলগা

হয়ে পড়ে। তাঁর দুঃসময়ে ভাইরাও তাঁকে সাহায্য করেনি। তৈমুরীয় নীতি মোতাবেক উত্তরসূরিদের

মধ্যে যে অঞ্চল ভাগ করার প্রথা ছিল হুমায়ুন কিন্তু তা মানেননি। তিনি সাম্রাজ্যের শাসনভার

নিজের হাতেই রেখেছিলেন। ভাইদের কেবল কিছু অঞ্চলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সরাসরি শাসনের

দায়িত্ব না পাওয়ায় তারাও সাম্রাজ্য রক্ষা করার তাগিদ অনুভব করেননি। তাই শেষ অবধি একজোট

হয়েও আফগানদের বিরুদ্ধে মুঘল বাহিনী জয়ী হতে পারেনি।



(গ) ঔরপাজেবের রাজত্বে কেন মুঘল অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি বেড়েছিল?

উঃ। ঔরঙ্গজেবের আমলে মুঘল অভিজাতদের মধ্যে রেষারেষি বাড়তে থাকে। ১৬৫৮ থেকে ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঔরাজেবের শাসনকালে দক্ষিণাত্যের বিজাপুর ও গোলকোল্ডা অনেক চেষ্টায় মুঘলদের দখলে আসে। ফলে মারাঠা ও দক্ষিণী মুসলিম অভিজ্ঞাতরা মুঘল শাসনে যোগ দেয়। এর ফলে যদিও মনসবদারি ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য বেড়েছিল কিন্তু তার সঙ্গে মনসব পাওয়া নিয়েও অভিজাতদের মধ্যে রেষারেযি তৈরি হয়েছিল। মথুরায় জাঠ কৃষকরা এবং হরিয়ানার

সৎনামি কৃষকরা বিদ্রোহ করে। শিখ ও মারাঠারা মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। রাজপুতদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ে এবং দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধের ফলে সাম্রাজ্যের আয়তন বাড়ে এবং সমস্যাও বাড়ে। মুঘলদের সঙ্গে বিভিন্ন অভিজাত গোষ্ঠীর যে যোগসূত্র তৈরি হয়েছিল তা অনেকটাই নষ্ট হয়। তারা নিজেরা মুঘল সাম্রাজ্যকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার

করার চেষ্টা করে।


(ঘ) সুলহ-ই-কুল কী?

উঃ। মুঘল সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক আদর্শ ছিল মূলত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সাম্রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে একটি যথার্থই ভারতীয় সাম্রাজ্য গড়ে তোলা। তাই আকবরের প্রশাসনিক আদর্শকে তৈমুরীয়, পারসিক এবং ভারতীয় রাজতন্ত্রের সংমিশ্রণ বলা চলে। এই আদর্শে বাদশাহ ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী শাসন করবেন এবং প্রজাদের প্রতি তাঁর পিতৃসুলভ

ভালোবাসা থাকবে। অর্থাৎ তাঁর শাসন করার অধিকার অন্য কোনো শাসকের থেকে পাওয়া নয়, এই ক্ষমতা তাঁর নিজের। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি তাঁর পক্ষপাত থাকবে না। সকলের প্রতি সহনশীলতা এবং সকলের জন্য শাস্তির

এই পথকেই বলা হয় 'সুলহ-ই-কুল'।



(ঙ) মুঘল শাসন ব্যবস্থায় সুবা প্রশাসনের ভূমিকা কী ছিল?

উঃ। মুঘল শাসনের সাথে আফগান শাসক শেরশাহের প্রশাসনিক পরিকাঠামো সুপরিকল্পিত ছিল যা পরবর্তীকালে আকবর অনেকাংশে অনুসরণ করেছিলেন। আকবর তাঁর সাম্রাজ্যকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করেছিলেন, এই প্রদেশগুলিকে

বলা হত ‘সুবা’। সুবাগুলি আবার ভাগ করা হত কয়েকটি সরকারে এবং সরকারগুলি ভাগ করা হত পরগনাতে। সুবার দায়িত্বে যিনি থাকতেন তাঁকে বলা হত সুবাদার। এ ছাড়াও প্রতিটি সুবাতে নানা ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীরা থাকতেন।



৪। বিশদে (১০০–১২০টি শব্দের মধ্যে) উত্তর দাও :

(ক) পানিপতের প্রথম যুদ্ধ, খানুয়ার যুদ্ধ ও ঘর্ঘরার যুদ্ধের মধ্যে তুলনা করো। পানিপতের প্রথম যুদ্ধে যদি মুঘলরা জয়ী না-হত তাহলে উত্তর ভারতে কারা শাসন করত?

উঃ। পানিপতের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে বাবর ও ইব্রাহিম লোদীর মধ্যে। বাবরের কাছে এই যুদ্ধ ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই যুদ্ধ ছিল বাবরের কাছে আত্মপ্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জিতে বাবর দিল্লির মসনদে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন এবং ভারতবর্ষে শুরু হয় প্রায় তিনশো বছর ব্যাপী মুঘল সাম্রাজ্যের শাসন। ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে খানুয়ার যুদ্ধ হয়েছিল বাবর এবং রাজপুত শক্তির মধ্যে, যাঁর প্রধান ছিলেন মেবারের রানা সংগ্রাম সিংহ। আফগান শক্তিকে পানিপতের যুদ্ধে পরাজিত করার পর দিল্লির সিংহাসন নিষ্কণ্টক করার জন্যে এই যুদ্ধ বাবরের

কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল কারণ ভারতবর্ষে রাজপুত শক্তি তখন ছিল খুবই শক্তিশালী। তাই এই যুদ্ধে জয়লাভ করাটা ছিল বাবরের কাছে খুবই প্রয়োজনীয় এবং তিনি জয়লাভ ও করেছিলেন। ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে ঘর্ঘরার যুদ্ধ হয়েছিল মিলিত আফগান শক্তির সাথে বাবরের এবং এই যুদ্ধে আফগানদের সঙ্গে যোগ

দিয়েছিলেন বাংলার শাসক নসরৎ শাহ। এই যুদ্ধে বাবর জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু পাকাপাকিভাবে বিহারে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, যা ছিল আফগানদের এক শক্ত ঘাঁটি।

পানিপতের প্রথম যুদ্ধে যদি মুঘলরা জয়ী না-হত তাহলে উত্তর ভারতে লোদিরা বা রাজপুত শক্তি শাসন করত, কারণ লোদি বংশের সুলতানি শাসন দিল্লিতে বজায় থাকত অপর দিকে রাজপুতরা দিল্লি দখলে সক্রিয় ছিল। পানিপতের যুদ্ধে মুঘলরা জয়ী না হলে দিল্লি দখল করে রাজপুতরাও সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে পারত।




(খ) শেরশাহের শাসনব্যবস্থায় কী কী মানবিক চিন্তার পরিচয় তুমি পাও তা লেখো।

উঃ। শেরশাহের প্রশাসনিক ব্যবস্থা, রাজস্ব ব্যবস্থা ও জনহিতকর কাজের সঙ্গে সুলতান আলাউদ্দিন খলজি ও সম্রাট আকবরের শাসনব্যবস্থার অনেকটা মিল ছিল। শাসন পরিচালনা ও রাজস্ব ব্যবস্থায় শেরশাহ কিছু সংস্কার করেছিলেন। এই সংস্কারগুলি হল: (১) শেরশাহ কৃষককে ‘পাট্টা’ দিতেন। এই পাট্টায়

কৃষকের নাম, জমিতে কৃষকের অধিকার, কত রাজস্ব দিতে হবে প্রভৃতি লেখা থাকত। তার বদলে

কৃষকেরা রাজস্ব দেওয়ার কথা কবুল করে ‘কবুলিয়ত’ নামে অন্য একটি দলিল রাষ্ট্রকে দিত। (২)

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে শেরশাহ সড়কপথের উন্নতি করেন। তিনি বাংলার সোনার গাঁ

থেকে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পেশোয়ার পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ করেন। রাস্তাটির নাম ছিল

‘সড়ক-ই-আজম’। এটি পরবর্তীকালে গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড নামে খ্যাত হয়। এ ছাড়াও শেরশাহ আরও

কিছু রাজপথ নির্মাণ করেন। (৩) পথিক ও বণিকদের সুবিধার জন্য রাস্তার ধারে ধারে অনেক সরাইখানা তৈরি করা হয়েছিল।(৪) ঘোড়ার মাধ্যমে ডাক যোগাযোগ ব্যবধার উন্নতি করেছিলেন। (৫) দাগ ও হুলিয়া ব‍্যবস্থা চালু করেন।




(1) অর্মিল ছিল তা বিশ্লেষণ করো।



উঃ। মুগল আমলে ভারতের অন্যতম প্রধান শক্তি ছিল রাজপুতরা।  মুগল শাসকদের রাজপুত নীতিতে অনেক নিল ও অনিল লক্ষ করা রাজপুত রাজাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো তৎকালীন ভারতবর্গের এক শক্তিশালী গোষ্ঠী। এই ধারণা থেকে আকবর মৈত্রী ও যুদ্ধনীতির সাহায্যে রাজপুতদের মনসবদারি ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসেন। মুগল বাদশাহ ও শাহজাদাদের সঙ্গে কোনো কোনো রাজপুত পরিবারের মেয়েদের বিবাহ হয়। আকবর নিজের হীদের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকারও বজায় রেখেছিলেন।

আকবরের এই নীতির ফলে মুঘলরা বীর রাজপুত সোবাদের পাশে পেয়েছিলেন। রাজপুতরাও নিজের এলাকার বাইরে মুখল সাহাজ্যের সর্বর সুনামের সঙ্গে কাজ করার ও বীরত্ব দেখানোর সুযোগ পান। মুঘল বাদশাহের সার্বভৌম ক্ষমতা স্বীকার করে নিলে রাজপুতরা নিজ ওয়ানের বা এলাকার ওপর অধিকার বজায় রাখতে পারত। সপ্তদশ শতকে জাহাঙ্গির ও শাহজালনও আকবরের রাজপুত নীতি অনুসরণ করেছিলেন। জাহাঙ্গিরের আমলে নেবারে মুঘলদের। রানা প্রতাপের ছেলে অমর সিহে উঁচু মনসব পেয়েছিলেন। শাহজাহানের আমলে রাজপুত

সর্দাররা দূর মধ্য এশিয়াতেও লড়াই করতে গিয়েছিল। এই আমলে রাজপুতদের উঁচু পদ দেওয়া হত। ঔরঙ্গজেবের সমবেশি সংখ্যায় রাজপুতরা মুঘল মনসবদারি ব্যবস্থার আওতায় এসেছিল। কিন্তু ঔরঙ্গজেব রাঠোর যুদ্ধ করে লাভবান হননি। উপরন্তু আকবরের একশো বছর পরে ঔরঙ্গজেব আবার জিজিয়া কর

চাপিয়েছিলেন। এর থেকে বোঝা যায় আকবর থেকে ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মুঘলদের রাজপুত নীতিতে

অনেক মিল যেমন ছিল কিছু কিছু অমিলও ছিল।





(খ) দাক্ষিণাত্য অভিযানের ক্ষত মুঘল শাসনের উপর কী প্রভাব ফেলেছিল?

সপ্তদশ শতকে ঔরগজেবের সময়ে মারাঠাদের শক্তি অনেক বেড়ে গিয়েছিল। ঔরঙ্গজেব ছিলেন যে দক্ষিণী রাজ্যগুলিকে জয় করতে পারলে সেখান থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আদায়

করা যাবে। তার সঙ্গে মারাঠাদের দমন করাও সহজ হবে। ঔরঙ্গজেবের আমলে মুঘলরা বিজাপুর

ওগোলকোভা দখল করেছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের আয়তন এত বড়ো এর আগে কখনও হয়নি। কিন্তু

ঔরঙ্গজেব জে যা ভেবেছিলেন তা হয়নি। তার বদলে বহু বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মুঘলদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়।।দাক্ষিণাত্য যুধের এই ক্ষত আর সারেনি। মারাঠা নেতা শিবাজিকেও স্বাধীন রাজ্য হিসাবে মেনে নিতে হয়। ঔরঙ্গজেব দীর্ঘ ২৫ বছর রাজধানী থেকে দূরে থাকায় মুঘল কেন্দ্রীয় শাসন কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে মুঘল রাজকোশ প্রায় শূন্য হয়ে যায়। পঁচিশ বছর ধরে যুদ্ধ করে ঔরঙ্গজেবের কোনো লাভ হয়নি। ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে

-দাক্ষিণাতেই তিনি মারা গিয়েছিলেন।