অষ্টম শ্রেণির বাংলা নাটোরের কথা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
অষ্টম শ্রেণির বাংলা
নাটোরের কথা
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১.অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ-অবনীন্দ্রনাথঠাকুরের লেখা দুটি বই হলো 'নালক’ ও ‘রাজকাহিনী'।
১.২ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে কোন সম্পর্কে সম্পর্কিত?
উঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাকা। রবীন্দ্রনাথের ভ্রাতা গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র ছিলেন অবনীন্দ্রনাথ।
২. নীচেরগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
২১ আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প – লেখকের অনুসরণে সেই ‘গল্প’টি নিজের ভাষায় বিবৃত করো।
উ। লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বদেশিযুগে কীভাবে বিভিন্ন মিটিং-এ বাংলাভাষার প্রচলন করলেন সেই গল্পটিই বলেছেন। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং আরও কয়েকজন তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে নাটোরের মহারাজা লকিনারে নিমন্ত্রণ প্রভিনসিয়াল ক্যারেন্সে যোগ দিতে পূর্ববঙ্গের নাটোরে যান। নাটোরে তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের বড়ো বড়ো নেতারাও গিয়েছিলেন। নাটোরের মহারাজ তাঁদের থাকা খাওয়ার যথেষ্ট বন্দোবস্ত করেন। সেখানে তাঁদের প্রত্যেকের জন্য বিশেষ বিশেষ বন্দোবস্ত ছিল। নাটোরের রাজা প্রত্যেকের সুখসুবিধার দিকে এতোটাই নজর রাখতেন যে কেউ অদ্ভুত আবদার করলেও তা পূরণ করতেন। যেমন লেখক একবার গরম সন্দেশের বায়না করলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি খাওয়ার ঘরের সামনে হালুইকর বসিয়ে গরম সন্দেশ তৈরি করে তা খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করলেন। যেদিন প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সের সত্য বলে সবাই গোল হয়ে টেবিল ঘিরে বসলেন আগে থেকেই ঠিক ছিল বাংলাভাষায় সভা করা হবে। রবীন্দ্রনাথ এই প্রস্তাব
করলে ছোকরার দল তাঁকে সমর্থন করল। কংগ্রেসের নেতারা তাঁদের কথা মানলেন না। শেষপর্যন্ত দুটো দল হয়ে গেল। একদল বাংলার বলবে অন্যাল ইংরেজিতে বলবে। এরপর রবীন্দ্রনাথের 'সোনার বাংলা' গানটি গাওয়া হলো। কিন্তু যখন প্রেসিডেন্ট ইংরেজিতে স্পিচ দিতে আরম্ভ করলেন কমবয়সীদের দল বাংলা’ ‘বাংলা' বলে চেঁচাতে লাগল। শেষপর্যন্ত কেতাদুরস্ত ইংরেজি জানা লালমোহন ঘোষ বাংলার বক্তৃতা দিলেন। কলারেন্সে বাংলা ভাষার প্রচলন হলো। পাবলিকলি এইভাবে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা বাংলাভাবার জন্য লড়াই করলেন।
২.২ লেখকের বর্ণনা অনুযায়ী, তখনকার নাটোরের মহারাজার নাম কী ছিল?
উঃ। নাটোরের মহারাজার নাম ছিল জগদিন্দ্রনাথ রায়। লেখক তাঁকে শুধু 'নাটোর’ বলে সম্ভাষণ করতেন।
২০ তিনি কোন্ রিসেপশন কমিটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন?
উঃ-নাটোরের মহারাজা ছিলেন প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সের রিসেপশন কমিটির প্রেসিডেন্ট।
২.৪ নাটোর নেমন্তন্ন করলেন –সেই নেমন্তন্ত্রের তালিকায় কাদের নাম ছিল বলে লেখক স্মরণ করতে পেরেছেন?
উঃ। প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে নিমন্ত্রিত ছিলেন লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কাকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং ঠাকুরবাড়ির অন্যান্য ছেলের দল। আছাড়া ন্যাশনাল কংগ্রেসের চাঁই অবনীন্দ্রনাথের ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল, ডব্ল সি ব্যানার্জি
সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অবনীন্দ্রনাথের মেজোজ্যাঠামশাই, লালমোহন ঘোষ প্রমুখরা তালিকায় নিমন্ত্রিত অতিথির তালিকায়ছিলেন।
২.৫ 'রওনা হলুম সবাই মিলে হৈ হৈ করতে করতে।'—কোথায় রওনা হলেন? নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে কীভাবেই বা রওনা হলেন?
উঃ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর তরুণ সঙ্গীর দল এবং কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে যোগ দিতে নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। নাটোরের মহারাজা তাদের জন্য বিশেষ ট্রেনের এবং পরে স্টিমারের বন্দোবস্ত করেছিলেন। চোগাচাপকান এবং ধুতি পাঞ্জাবি বাক্সে গুছিয়ে নিয়ে খুশিমনে মহারাজার ব্যবস্থা করা বিশেষ ট্রেনে চেপে তাঁরারওনা হলেন।
২.৬ সরাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা কোন্ নদীতে স্টিমার চড়েছিলেন?
উঃ। সরাঘাট থেকে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা পদ্মানদীতে স্টিমারে চড়েছিলেন।
২.৭ স্টিমারে খাওয়া-দাওয়ার প্রসঙ্গ আলোচনায় লেখকের সরস মনের পরিচয় কীভাবে দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছে তা বুঝিয়ে দাও।
উঃ। লেখক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্টিমারে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে চমৎকার বর্ণনা দিয়েছেন। নাটোরের রাজার তত্ত্বাবধানে তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার এলাহি বন্দোবস্ত ছিল। তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী খাবার টেবিলের একদিকে বড়ো ও বিখ্যাতরা, লেখক।যাঁদের চাই বলেছেন আর অন্যদিকে ছোটোরা। তিনি ও তাঁর অপর সঙ্গী দীপুদা দুজনেই খাদ্যরসিক ছিলেন। ফলে তাঁরা লোভনীয় খাবারের আশায় উদ্গ্রীব হয়ে আছেন। কিন্তু একজন হোমরাচোমরা নেতা এমন ছিলেন যে তাঁর কাছে 'বয়'রা খাবার নিয়ে গেলেই তিনি বেশি বেশি খাবার পাতে তুলে নিচ্ছেন। এভাবে কাটলেট আনায় একসঙ্গে অনেকগুলো তুলে নিলেন।
ফলে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা কম পেলেন। এরপর পুডিং আসাতে তাঁরা বেশ খানিকটা খাবার আশা করলেন কিন্তু সেই হোমরাচোমরা নেতা অর্ধেকের বেশি নিজের পাতে তুলে নিলেন। লেখক মজা করে এই খাওয়াটিকে বলেছেন 'জাইগ্যানটিক' খাওয়া। শেষপর্যন্ত লেখক ও তাঁর বন্ধুদের জন্য আলাদা জায়গায় ও সেই হোমরাচোমরা ব্যক্তির জন্য আলাদা জায়গায় খাবার এল। এইভাবে লেখক অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে খাবার সম্বন্ধে বর্ণনাটি যে সরসতার সঙ্গে করেছেন তা পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়।
২.৮ ‘যেন ইন্দ্রপুরী।'—কীসের সঙ্গে ইন্দ্রপুরী'র তুলনা করা হয়েছে? কেনই বা লেখক এমন তুলনা করেছেন?
উঃ। নাটোরের মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের বাড়ি অর্থাৎ নাটোরের রাজপ্রাসাদটিকে ইন্দ্রপুরীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। লেখক নাটোর প্রাসাদে যখন পৌঁছোলেন তখন দেখলেন সেখানে রাজপ্রাসাদের বিশালতা তার বৈঠকখানা, ঝাড়লণ্ঠন,।তাকিয়া, সুন্দর ও দামি ফুলদানি, কার্পেট ইত্যাদি বহুমূল্য ও সুন্দর জিনিসে বাড়ি ও বৈঠকখানাটি সাজানো। সে সবের তুলনা কেবল ইন্দ্রপুরী অর্থাৎ দেবতাদের রাজ্য ইন্দ্রের প্রাসাদের সঙ্গেই তুলনীয়। তাই লেখক নাটোরের রাজবাড়িটিকে সঙ্গে তুলনা করেছেন।
২.৯ ‘একেই বলে রাজ সমাদর।'—উদ্ধৃতিটির আলোকে নাটোরের মহারাজার অতিথি-বাৎসলোয়
উঃ। লেখক আলোচ্য উক্তির মাধ্যমে নাটোরের মহারাজার অসাধারণ আতিখেয়তার কথা উল্লেখ করেছে। তাঁর সঙ্গীরা এবং কংগ্রেসের হোমরাচোমরা নেতারা নাটোরে প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে যোগ দিতে যা মহারাজা তাদের জন্য আলাদা ট্রেনের বন্দোবস্ত করে দেন এবং তাঁদের দেখাশোনা ও জিনিসপত্র বহন করার জন্য লোকের ব্যবস্থাও করেন। তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার এক অভাবনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপর স্টিমারে করে পদ্মা পার হবার সমুদ্র ফিমারেও নানা সুখাদ্য পরিবেশনের ব্যবস্থা ছিল। এরপর তারা যখন নাটোরের প্রাসাদে এলেন তখন সেখানে তাঁদের থাকা ও খাওয়া-দাওয়ার এলাহি ব্যবস্থা ছিল। স্বয়ং মহারানি অতিথিদের জন্য পিঠে পায়েস করে দিয়েছিলেন। হালুইকর নিয়ে তাদের পছন্দমতো খাবার, মিষ্টি ও নানা সুখাদ্যের সমারোহ ছিল। চাকর এসে ভোরবেলাতে বিছানার মধ্যেই হাতে গড়গড়ার নল গুঁজে দিত। এমনকি কার কী অভ্যাস তা জেনে সেইমতো বন্দোবস্ত করা হয়। রাজা ও রানির আন্তরিক ব্যবহার, আদর যত্ন, প্রাচুষ সব মিলিয়ে আতিঘেষতা ছিল তুলনাহীন। তাই লেখক একে রাজসমাদর বলেছেন।
২২০ নাটোরের খুব আগ্রহ কোন
২১১ আগে থেকেই ঠিক ছিল—আগে থেকে কী ঠিক থাকার কথা বলা হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে কোন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কথা পাঠ্যাংশে রয়েছে, তা
তোষক ও তাঁর সহযোগীরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলেন যে প্রভিনশিয়াল কনফারেন্স
বাংলা ভাষায় হবে এবং। তাঁরা বাংলা ভাষায় বক্তৃতা করবেন। কিন্তু লেখকের কাকা রবীন্দ্রনাথ
এই প্রস্তাব তুলতেই প্রস্তাবটি প্রথমে খারিজ হয় ও পরে স্থির হয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যান্য
কনফারেন্সের মতোই ইংরেজিতে বক্তৃতা হবে। এই নিয়ে দু-পক্ষ বাদানুবাদ করতে থাকেন।
অনেক তর্কবিতর্কের পর শেষে দুদলে তারা ভাগ হয়ে যায়। বড়োরা চাইলেন কনফারেন্স ইংরাজিতে হোক আর ছোটোদের ইচ্ছা ছিল বাংলা ভাষায় হোক। রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বড়োরা ইংরাজিতে বক্তৃতা শুরু করতেই
ছোটোরা বাংলা বাংলা' বলে চিৎকার করতে থাকে। নেতাদের মধ্যে লালমোহন ঘোষ ছিলেন সুবক্তা। তিনি ইংরেজি ও বাংলা দুটি ভাষাতেই আশ্চর্য দক্ষ ছিলেন। সেই লালমোহন ঘোষ শেষ অবধি মঙে উঠে বাংলায় সুন্দর বক্তৃতা দিলেন। তখন তোষকদের উল্লাস ও জয়জয়কার ছিল দেখার মতো। এই প্রথম বাংলা ভাষার জন্য লড়াই করে তাঁরা জয় লাভ করেছিলেন।
শেষে সকলেই এই প্রস্তাব মেনে নেয় এবং কনফারেন্সে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়।
২১২ নাটোরে প্রতিনসিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন্ গানটি পরিবেশন করেছিলেন?
উ২। নাটোরের প্রভিনশিয়াল কনফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার সোনার বাংলা’ গানটি পরিবেশন করেছিলেন।
২.১০ আমাদের তো জয়জয়কার। — কী কারণে লেখক ও তাঁর সঙ্গীদের জয়জয়কার' হলো?
উঃ। সেখক ও তাঁর সঙ্গীরা প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে স্থির করেন বাংলায় বক্তৃতা করবেন। কিন্তু বড়োরা স্থির করেন যে, ইংরেজিতেই বক্তৃতা করবেন উভয় দলের মধ্যে দারুণ তর্কবিতর্ক হলো। দু-দলে তাঁরা ভাগ হয়ে গেলেন। যখন প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করতে উঠলেন তখন ছোকরারা "বাংলা" বাংলা' বলে চিৎকার করে থামিয়ে দিলেন। শেষ পর্যন্ত
ইংরেজিতে অসাধারণ বক্তৃতা দিতে পারতেন যিনি সেই লালমোহন ঘোষ বাংলায় বক্তৃতা দিলেন। তরুণদের জয়জয়কার হলো এবং কনফারেন্সে বাংলা ভাষা প্রচলিত হলো।
২১৪ সেই প্রথম আমরা পাবলিকলি বাংলা ভাষার জন্য লড়লুম।'—লেখকের অনুসরণে সেই লড়াই’-এর বিশদ বিবরণ যাও।
উঃ। ঘোষক ও তাঁর করুণ সঙ্গীরা রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে নাটোরে গিয়েছিলেন প্রভিনসিয়াল কনফারেন্সে যোগ দিতে। সেখানে রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে তরুণের দল বাংলাভাষায় বক্তৃতার প্রস্তাব করেন। কিন্তু প্রবীণের দল যথারীতি ইংরেজিতে
বক্তৃতার কথা বললেন। এরফলে দুই পক্ষে তুমুল তর্কাতর্কি হয়। একটা সময় বাংলার পক্ষে ও বিপক্ষে দুই দলে তাঁরা ভাগ হয়ে যান। শেষাবধি তরুণ দলের জয় হলো এবং বাংলা ভাষাতেই বক্তৃতা হলো। রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার বাংলা' গানটি গাওয়া হলো। অবশেষে সবাই হার মেনে বাংলা ভাষায় সম্মেলন হওয়ার প্রস্তাবটি মেনে নিলেন এবং সভার কাজও
বাংলাতেই সম্পন্ন হলো। এইভাবে লেখক ও তাঁর সঙ্গীরা বাংলা ভাষার জন্য প্রথম পাবলিকলি লড়াই করেছিলেন।
৩. নির্দেশ অনুযায়ী বাক্য পরিবর্তন করো ?
৩.১ আজ সকালে মনে পড়ল একটি গল্প—সেই প্রথম স্বদেশি যুগের সময়কার, কী করে আমরা বাংলা ভাষার প্রচলন করলুম। (জটিল বাক্যে)
উঃ। আজ যখন সকাল হলো তখন মনে পড়ল একটি গল্প—যা স্বাদশিযুগের সময়কার, কী করে আমরা বাংলাভাষার প্রচলন শুরু কর
৩.২ ভূমিকম্পের বছর সেটা। প্রভিনসিয়াল কনফারেন্স হবে নাটোরে। (বাক্যদুটিকে জুড়ে লেখো)
উঃ। ভূমিকম্পের বছরে প্রভিনসিয়াল কনফারেন্স হবে নাটোরে।
৩.৩ নাটোর নেমস্তা করলেন আমাদের বাড়ির সবাইকে। (যৌগিক বাক্যে)
উঃ। নাটোর নেমন্তন্ন করলেন এবং আমরা সবাই নিমন্ত্রিত হলুম।
৩.৪°আরো অনেকে ছিলেন—সবার নাম কি মনে আসছে এখন। (না-সূচক বাক্যে)
উঃ। আরো অনেকে থাকলেও সবার নাম এখন মনে আসছে না।
৩.৫ নাটোর বললেন যে, কিছু ভাবার দরকার নেই সব ঠিক আছে। (পরোক্ষ উক্তিতে)
উঃ। নাটোর জানালেন, সব ঠিক থাকার কথা, ভাবনা নিষ্প্রয়োজন।
৩.৬ অমন 'জাইগ্যানটিক' খাওয়া আমরা কেউ কখনো দেখিনি। (নিম্নরেখ শব্দটির পরিবর্তে বাংলা শব্দ ব্যবহার
করে বাক্যটি আবার লেখো) উঃ। অমন রাক্ষুসে খাওয়া আমরা কেউ কখনো দেখিনি।
৩.৭ ছোকরার দলের কথায় আমলই দেন না। (হাঁ-সূচকবাক্যে) উঃ। ছোকরার দলের কথায় কি আমল দেওয়া যায়?।
৩.৮ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল রিপোর্ট লিখছেন আর কলম ঝাড়ছেন। (বাক্যটিকে দুটি বাক্যে ভেঙে লোে
উঃ। ন-পিসেমশাই জানকীনাথ ঘোষাল রিপোর্ট লিখছেন। রিপোর্ট লেখার সময় তিনি কলম ঝাড়ছেন।
৩.৯ গরম গরম সন্দেশ আজ চায়ের সঙ্গে খাবার কথা আছে যে অবনদা। (নিম্নরেখ শব্দের প্রকার নির্দেশ করো
এবং অর্থ এক রেখে অন্য শব্দ ব্যবহার করে বাক্যটি আবার লেখো)
উঃ। নিম্নরেখ শব্দটি বিশেষণ এবং শব্দদ্বৈত। টাটকা টাটকা। সন্দেশ আজ চায়ের সঙ্গে খাবার কথা আছে যে অবনা।
৩.১০ হাতের কাছে খাবার এলেই তলিয়ে দিতেম (জটিল বাক্যে)
উঃ। হাতের কাছে যে খাবার আসত তখনই তলিয়ে দিতেন।
৪. নীচের বাক্যগুলি থেকে সন্ধিবন্ধ শব্দগুলি খুঁজে নিয়ে সন্ধি বিচ্ছেদ করোঃ
৪.১ স্টিমারে নির্ভাবনায় উঠে গেলুম। উঃ। নির্ভাবনায় নিঃ+ ভাবনায়।
৪.২ তিনি অর্ধেকের বেশি নিজের প্লেটে তুলে নিলেন। উঃ। অর্ধেকের = অর্থ + একের।
৫. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করো
হাজ্জাম, আপসোস, চান, তাহকি, জিজ্ঞেস।
| আপসোস আফশোস > আপসোস; (ব্যধ্বনধ্বনি পরিবর্তন)
| তক্কাতত্তি = তর্কাতর্কি > তক্কাতরি; (পরাগত সীমাভবন)
উঃ। হাজ্জাম = হাঙ্গামা > হাঙ্গাম; (ধ্বনিলোপ)
চান = স্নান > চান; (বর্ণবিকার)
| জিজ্ঞেস = জিজ্ঞাসা > জিজ্ঞেস; (স্বরসঙ্গতি)
৬. নীচের শব্দগুলির প্রকৃতি-প্রত্যয় নির্দেশ করো ঃ
উঃ। স্বদেশি = স্বদেশ + ই (ই-প্রত্যয় যোগ)
স্বদেশি, জিজ্ঞাসা, ঢাকাই।
স + স (+) ( প্রত্যয় যোগ)
ঢাকাই = ঢাকা + আই (আই-প্রত্যয় যোগ)
৭. ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখো : চোগাচাপকান, বিছানাবাক্স, ইদ্রপুরী, রাজসমাদর, গল্প-গুজব, অন্দরমহল।
উঃ চোখাচাপকান যা চোগা তাই চাপকান; (কর্মধারয় সমাস) বিছানাবাক্স বিছানা ও বাম: (দ্বন্দ্ব সমাস)
রাজসমাদর রাজার সমাদর; (উপনীত কর্মধারয় সমাস)
অন্দরমহল অন্দরের ন্যায় মহল, (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)
ইন্দ্রপুরী—ইন্দ্রের পুরী, (সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস)
গল্প-গুজব---- গল্প ও গুঞ্জব; (সমার্থক দ্বন্দ্ব সমাস)
৮. কোন্টি কী ধরনের সর্বনাম তা লেখো
আমরা, সেটা, তাঁকে, সবাই, তিনি, আমি, এটা
উঃ। আমরা—ব্যক্তিবাচক। সেটা—নির্দেশক। তাকে ব্যক্তিবাচক। সবাই—সমন্টিবাচক। তিনি ব্যক্তিবাচক।
আমি—ব্যক্তিবাচক। এটা—নির্দেশক।