অষ্টম শ্রেণীর বাংলা 'স্বাধীনতা" ল‍্যাংস্টন হিউজ হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্নের ও উত্তর - Online story

Saturday 29 July 2023

অষ্টম শ্রেণীর বাংলা 'স্বাধীনতা" ল‍্যাংস্টন হিউজ হাতে-কলমে অনুশীলনীর প্রশ্নের ও উত্তর

 



অষ্টম শ্রেণীর বাংলা

স্বাধীনতা

ল‍্যাংস্টন হিউজ



হাতে-কলমে

অনুশীলনীর প্রশ্নের ও উত্তর

১.১ ল্যাংস্টন হিউজের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?

উঃ। ল্যাংস্টন হিউজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ "The Weavy Blues



১.২ তিনি কোন্ দেশের রেনেসাঁসের অন্যতম নেতা হিসাবে পরিচিত?

উঃ। বিংশ শতকের কুড়ির দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্লেম রেনেসাঁসের অন্যতম নেতা হিসাবে তিনি পরিচিত ছিলেন।




২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :

।। ২.১ স্বাধীনতা বলতে কী বোঝো? কী কী বিষয়ে মানুষের স্বাধীনতা প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো

উঃ। কবি স্বাধীনতা বলতে বুঝিয়েছেন নিজের ক্ষমতায় নিজের পায়ে দাঁড়ানো, নিজের ইচ্ছেমতো জীবনকে পরিচালনা।।স্বাধীনতা সব বিষয়েই প্রয়োজন, নিজের পায়ে দাঁড়াতে,।নিজের সম্পদ অর্জন করতে, খাদ্য সংগ্রহ করতে, বাঁচার

জন্যও স্বাধীনতার প্রয়োজন। পাশাপাশি অন্যের অধীনে।পরিচালিত না হয়ে নিজের ওপর পূর্ণ অধিকার ফিরিয়ে আনতে মানুষের স্বাধীনতা প্রয়োজন।





২.২ মানুষ পরাধীন হয় কখন?

উঃ। মানুষ যখন তার ইচ্ছামতো জীবনযাত্রা উপভোগ

করতে পারে না। চলার পথে প্রতিমুহূর্ত বাধা পায় তখন আসে পরাধীনতা। এককথায় সবধরনের অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষ পরাধীন হয়। অনেক সময় দেখা যায় বলপ্রয়োগ করে মানুষ মানুষের স্বাধীন সত্ত্বাকে হরণ করে। তখনই মানুষ হয়ে যায় পরের অধীন। তাঁর নিজের ওপর তার কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না।




২.৩ পরাধীন মানুষের স্বাধীনতা পাওয়ার পথগুলি কী কী?

উঃ। পরাধীন মানুষের স্বাধীনতা পাওয়ার প্রথম পথ হলো ভয় না পাওয়া, দ্বিতীয় পথ হলো অন্যায়ের সাথে, ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপোস বা সমঝোতা না করা। বেঁচে থাকার অধিকার, সবকিছু পাওয়ার অধিকার সবার আছে। পরাধীন মানুষ চিরকাল পরের অধীন হয়ে থাকবে না। এর জন্য অপরের মানসিক ও চিন্তাশক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষের একত্র

সংগ্রামই পরাধীনতা মোচনের একমাত্র পথ। তীব্র আন্দোলন ও গণচেতনা দ্বারা পরাধীন মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে। স্বাধীনতা অযাচিতভাবে আসে না, কেউ তা হাতে করে তুলেও দেয় না। তা অর্জন করতে হয় প্রতিবাদ করে,

ছিনিয়ে নিয়ে। তবে শুধু প্রতিবাদ নয়, পাশাপাশি পরাধীন মানুষকে আত্মগঠন করার মধ্য দিয়ে নিজেকে যোগ্য করে তোলারও প্রয়োজন।




২.৪ ‘স্বাধীনতা' কবিতাটির মধ্যে দুটি ‘পক্ষ’ আছে।—আমি-পক্ষ' আর তুমি-পক্ষ'। এই ‘আমি পক্ষ আর

‘তুমি-পক্ষ'—এর স্বরূপ বিশ্লেষণ করো। এই ক্ষেত্রে 'সে পক্ষ' নেই কেন?

উঃ। ল্যাংস্টন হিউজ রচিত ‘স্বাধীনতা’ কবিতায় স্পষ্টভাবে দুটি পক্ষের উল্লেখ রয়েছে। এখানে আমি-পক্ষী হলো।পরাধীন মানুষ যারা প্রতিদিন শোষিত ও অত্যাচারিত হয়ে চলেছে, লেখক নিজেও তাই। অন্যদিকে ‘তুমি-পক্ষ' হলো শাসক শ্রণি যারা মানুষকে পরাধীন করে রেখেছে। ‘সে পক্ষ’ এখানে না থাকার কারণ, সমাজে দুটি প্রধান শ্রেণি শাসক ও শাসিত শ্রেণি। এছাড়া অন্য কোনো শ্রেণি অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। তাই এখানে ‘সে পক্ষ' নেই।



২.৫ 'সময়ে/সবই হবে, কাল একটা নূতন দিন'—কবিতার মধ্যে উদ্ধৃতিচিহ্নের ভিতরে থাকা কাটি কর/পদের কথা বলে তোমার মনে হয়? তারা এ ধরনের কথা বলেন কেন?



উঃ। কথাটি অবশ্যই কবি ল্যাংস্টন হিউজের।

কবিতায় কথাটি প্রাচীনপন্থী মানুষদের বলে মনে হয়। এরা সাময়িক নিরাপত্তার কথা ভেবে শাসকের অত্যাচারের, প্রতিবাদ করেন না অথচ আশা নিয়ে বাঁচেন। এদের দিন চলে গেলেই হয়। সামরিক সুখকেই এরা বড়ো মনে করেন। তাঁরা অসম সংগ্রামে যেতে চান না। ক্ষমতা ধরে আঁকড়ে বাঁচতে চান তাই। এই ধরনের কথা তারা বলে থাকেন। অবস্থার

পরিবর্তন ঘটিয়ে, দৃঢ়ভাবে নতুন সমাজ তৈরি করতে তারা ভয় পান। অথচ বিশ্বাস করেন দিন একদিন বদলাবে।





২.৬ ‘আগামীকালের রুটি/দিয়ে কি আজ বাঁচা যায়।'—এখানে ‘আগামীকাল' আর 'আজ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উঃ। এখানে “আগামীকাল” বলতে ভবিষ্যত জীবনের কথা বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে কি পাবো তাই নিয়ে বর্তমানকে চালানো যায় না। ‘আজ’ বলতে বর্তমানকে বোঝানো হয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ ভবিষ্যত আশা বহন করে আনতেও পারে না আর আজ হলো এখনই যখন আমি আমার স্বার্থ প্রয়োজন বুঝে নিতে পারি। তাই আগামীকাল খাবার পাওয়া যাবে ভেবে আজ

মানুষ উপোস করে বাঁচতে পারে না। এই সত্যই এখানে বোঝানো হয়েছে।



৩. নীচের পত্তিগুলির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো

৩.১ মৃত্যুর পরে তো আমার প্রয়োজন হবে না।

উঃ। উপরের উক্তিটি ল্যাংস্টন হিউজ রচিত ‘স্বাধীনতা’ কবিতার অংশ। মানুষ যতদিন জীবিত থাকে ততদিন তার নিজের অধিকার ও স্বাধীনতা নিয়ে বাঁচার প্রয়োজন হয়। মৃত মানুষের যেহেতু

জীবনের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না তাই তার স্বাধীনতার প্রয়োজন হয় না। তাই আমাদের যা চাই তা পেতে হবে বেঁচে থাকতে। বাঁচতে গেলে স্বাধীনতা অবশ্যই চাই। পরাধীনতার মাঝে বেঁচে থাকার কোনো অর্থ হয় না। স্বাধীনতা ভোগ করে। জীবন কাটানোই হলো সঠিকভাবে বেঁচে থাকা।



৩.২ স্বাধীনতা একটা শক্তিশালী বীজপ্রবাহ।

উঃ। আলোচ্য অংশটি ল্যাংস্টন হিউজ রচিত 'স্বাধীনতা’ কবিতা থেকে গৃহীত। 

স্বাধীনতা মানুষের বাঁচার মূলমন্ত্র। এটি একটা শক্তিশালী বীজপ্রবাহ। জন্মগ্রহণ করে মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করে। কোনো কারণে সে যদি পরাধীনও হয় তবুও তার অন্তরে স্বাধীনতার বীজ লালিত হতে থাকে। বীজ যেমন সঠিক পরিবেশে অঙ্কুরিত হয় তেমনই স্বাধীনতা পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে উন্মাদনার মতো বেরিয়ে আসে। এই শক্তি মানুষকে অতীত থেকে বর্তমান হয়ে ভবিষ্যতের পথে বয়ে নিয়ে চলে।


অন্য গুলি দেখুন

বোঝাপড়া

অদ্ভুত আতিথেয়তা

চন্দ্রগুপ্ত

বনভোজনের ব‍্যাপার

সবুজ জামা

চিঠি

আলাপ

পরবাসী

পথচলতি

একটি চড়ুই পাখি

দাঁড়াও

অন্য টা দেখুন দাঁড়াও

পল্লীসমাজ

ছন্নছাড়া

গাছের কথা

হাওয়ায় গান

কি করে বুঝবো

পাড়াগাঁর দু-পহর ভালোবাসি

নাটোরের কথা

অন‍্যটা দেখুন নাটোরের কথা

গড়াই নদীর তীরে

জেলখানায় চিঠি

স্বাধীনতা

আদাব

অন্যটা দেখুন আদাব

শিকল পরার গান

হরিচরণ বন্দোপাধ্যায়

ঘুরে দাঁড়াও

সুভা

পরাজয়

মাসিপিসি

টিকিটের অ্যালবাম

লোকটা জানলই না



পথের পাঁচালী (১)

পথের পাঁচালী(২)

পথের পাঁচালী(৩)

পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর

ভাষাচর্চা (১)

ভাষা চর্চা (২)