মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা/maku story all question answer - Online story

Friday 7 July 2023

মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর সপ্তম শ্রেণি বাংলা/maku story all question answer

 




                    মাকু 

গল্পের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর


প্রশ্ন:- কোন্ জায়গা থেকে কেউ আস্ত ফেরে না?

উঃ। কালিয়ার বন থেকে কেউ আস্ত ফেরে না।



প্রশ্ন:-কালিয়ার বনে কে গোরু খুঁজতে গিয়েছিল?

উঃ। আম্মার মামাতো পিসেমশাই কালিয়ার বনে গোরু খুঁজতে গিয়েছিল।



প্রশ্ন:- সোনাদের বাড়িতে কারা আসবে?

উঃ। সোনাদের বাড়িতে সোনার পিসি, পিসেমশাই ও পিসির খোকা আসবে।



প্রশ্ন:-ঘড়িওয়ালা কী বানিয়েছে এবং তার নাম কী দিয়েছে?

ঊঃ। ঘড়িওয়ালা ঘড়ির যন্ত্র দিয়ে একপ্রকার রোবোট বানিয়েছে। তার নাম দিয়েছে মাকু।



প্রশ্ন:- মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি কেমন?

উঃ। মাকুর চাবি দেবার জায়গাটি ছোটো, মাকুর পিঠের মধ্যিখানে বসানো। কান খুসকি দিয়ে ঘোরাতে হয়।


প্রশ্ন:-মোড়ল কী বলেছিল?

উঃ। মোড়ল বলেছিল পিসেমশাইয়ের বাঁচার কথাই ছিল না নেহাত কানের কাছ দিয়ে ঘেঁসে কোনোমতে বেরিয়ে গেছে।



প্রশ্ন:- পানুয়া কে?

 উঃ। তোতাদের আয়ার ছোটো ভাইয়ের নাম পানুয়া।



প্রশ্ন:-. সার্কাসের জাদুকর কী দেখাল?

ঊঃ। সার্কাসের জাদুকর বাঁশি বাজিয়ে জাদুর রাজকন্যে দেখাল।



প্রশ্ন:-আম্মা নিজের চোখে কালিয়ার বনে কী দেখেছিলেন?

ঊঃ। কালিয়ার বনের ভয়ংকরের গা থেকে গুলি ঠিকরে পড়া আম্মার নিজের চোখে দেখা।


★প্রশ্ন:- আম্মা কে?

উঃ। আম্মা সোনাটিয়ার বাপির ধাইমা। বাপি তাঁকে আইমা বলে ডাকেন।



প্রশ্ন:-আম্মার উঠতে-বসতে কষ্ট হয় কেন?

উ। আম্মার পায়ে গুপো, তাই উঠতে-বসতে কষ্ট হয়।


প্রশ্ন:-কারা কেন বলেছিল পিসেমশাইকে চুলবুলিতে ধরেছে?

উঃ। গোরু খুঁজতে গিয়ে পিসেমশাই-এর সাতদিন সারা গা চুলকে দাগড়া দাগড়া ঢাকায় ভরে গিয়েছিল, পাড়াশুদ্ধ লোক বলেছিল তাঁকে চুলবুলিতে ধরেছে।


প্রশ্ন:- কালিয়ার বন সম্পর্কে কী কথা প্রচলিত আছে?

উঃ। কালিয়ার বন সোনা-টিয়াদের গ্রামের এক প্রান্তে অবস্থিত। প্রচলিত আছে। সেখানে গেলে কেউ ফেরে না। যারা ফেরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।


প্রশ্ন:-সোনাদের বাড়ি থেকে কালিয়ার বন অবধি যাবার পথের বিবরণ দাও।

উঃ। সোনাদের বাড়ির গলি পেরিয়ে বড়ো রাস্তা, তারপর গির্জা, তারপর গোরস্থান। এই গোরস্থানেরশুনশুনির মাঠ। সেই শুনশুনির মাঠ পেরোলে তবেই কালিয়ার বন।



প্রশ্ন:-ঘড়িওয়ালার তৈরি করা যন্ত্র “মাকু” কী কী করতে পারে?

উঃ। ঘড়িওয়ালার তৈরি করা ‘মাকু’  কথা বলে, গান গায়, নাচে, হাতুড়ি পেটে, দড়ির জট খোলে, পেরেক ঠোকে, ইস্ত্রি চালায়, রান্না করে কাচে, সেলাই করে এবং মানুষের মতোই সমস্ত কাজ করতে পারে ।



প্রশ্ন:-কালিয়ার বনে কী কী আছে বলে সোনা-টিয়া বলেছিল?

উঃ। সোনা ও টিয়া বলেছিল কালিয়ার বনে বড়ো বড়ো লাল-নীল-বেগুনি প্রজাপতি ও কাঠঠোকরা পাখি আছে।


প্রশ্ন:-মাকু ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে কেন?

উঃ। মাকু সব করতে পারে। শুধু হাসতে আর কাঁদতে পারে না। তাই সে ঘড়িওয়ালাকে খুঁজছে হাসার অর কাঁদার কল বসিয়ে নেওয়ার জন্য।

                

                দুই অধ‍্যায়


 প্রশ্ন:-মাকুকে দেখতে কেমন?

উঃ। মাকুর মাথায় সুন্দর লালচে চুল। ছাই রঙের চকচকে চোখ আর নাকের উপর বড়ো তিল।



 প্রশ্ন:-সোনা ও টিয়ার বয়স কত?

উঃ। সোনার বয়স ছয় আর টিয়ার বয়স পাঁচ বছর।



প্রশ্ন:-মাকুর হাতের-পায়ের নখের তলায় কী লাগানো আছে?

উঃ। মাকুর হাতের-পায়ের নখের তলায়  রাডার যন্ত্র লাগানো আছে।



প্রশ্ন:-রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু কী করে?

উঃ। রাডার যন্ত্র দিয়ে মাকু ধাতু খুঁজে বের করে।



প্রশ্ন:-ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা কী রঙের ছিল?

উঃ। ঘড়িওয়ালার দেওয়া হ্যান্ডবিলটা গোলাপি রঙের ছিল।


প্রশ্ন:-সোনা ও টিয়াকে কে কোলে করে নিয়ে গেল?

উঃ। সোনা ও টিয়াকে মাকু কোলে করে নিয়ে গেল।



প্রশ্ন:- ঘড়িওয়ালা এখন কী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে?

উঃ। ঘড়িওয়ালা এখন কতগুলো কাপড়, কাগজ আর কাঠ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।



প্রশ্ন:-অধিকারী মশাই কী না দিয়ে পালিয়ে গেছেন?

উঃ। অধিকারী মশাই মাঠের ভাড়া তাঁবু আর গ্যাসবাতির দাম না দিয়েই পালিয়ে গেছেন।



প্রশ্ন:- সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং কী ছিল?

উঃ। সার্কাসের সং-এর পোশাকের রং ছিল আধখানা নীল ও আধখানা লাল।


প্রশ্ন:-ঘড়িওয়ালার মা কোন্ খাবার ভালো বানাতে?

উঃ। ঘড়িওয়ালার মা খুব ভালো সরুচাকলি বানান। তা একবার খেলে আর ভোলা যায় না।



প্রশ্ন:-সোনা ও টিয়া একটু চলেই কোথায় পৌঁছে গেল?

উঃ। সোনা ও টিয়া একটু চলেই বটতলার সরাইখানায় পৌঁছে গেল।


প্রশ্ন:-কালিয়ার বন কেমন? সংক্ষেপে বনটির বর্ণনা দাও।

উঃ। কালিয়ার বনের গাছগুলি খুব বড়ো বড়ো। মাথার উপর তারা যেন শামিয়ানা খাটিয়ে রেখেছে। পাতার ফাঁক দিয়ে এখানে-ওখানে রোদ এসে পড়ছে। শুকনো পাতা পড়ে পায়ের নীচে গালচে হয়ে গেছে। ছোটো ছোটো ঝোপঝাড়ে নানা রকমের ফুল ফুটেছে। চারিদিকে একটা সবুজ আলো ছড়িয়ে আছে।'



প্রশ্ন:-সার্কাসের দলটিতে কারা ছিল? তারা কে কীভাবে এল?

উঃ। সার্কাসের দলটিতে প্রথমে ছিল দুটি ঘোড়া। তাদের তাড়িয়ে আনল টুপি পরা দুটি বাঁদর, তাদের পিছনে এর গলায় ঘন্টা বাঁধা একটি ছাগল, তাদের পিছনে মোটা মোটা দুটো ভালুক, ছটি কোঁকড়ালোম ছোটো কুকুর ও সবার শেষে ছিল আধখানা লাল নীল পোশাক পরা একটি সং।



প্রশ্ন . মাকু কী বলে সরাইখানায় যেতে চাইল?

উঃ। মাকু বললো পয়সাও করতে পারি, গোলমাল করতে পারি, হইচইও করতে পারি। এই বলে সে সরাইখানায় খানিকটা হইচই করতে যেতে লাগল।


প্রশ্ন:-হোটেলে সোনা ও টিয়া কী কী খেয়েছিল?

উঃ। হোটেলে সোনা ও টিয়া রুটি আর সুরুয়া খেয়েছিল।


        তিন অধ‍্যায়


প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালার চেহারা কেমন?

উঃ। হোটেলওয়ালার মুখভরা ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ছাই রং-এর দাড়িতে ঢাকা।দেখে মনে হয় যেন ধোপার বাড়ি থেকে ফিরেছে।


প্রশ্ন:- শোনা ও টিয়ার সাথে যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা কোথাকার লোক?

উঃ। যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা সার্কাসের লোক।



প্রশ্ন:- রাতে সোনারা কোথায় ঘুমিয়েছিল?

উঃ। রাতে সোনারা গাছের কোঠরে ঘুমিয়েছিল।


প্রশ্ন:- টিয়া আর সোনার কথা কান্না শুনে কারা এসেছিল?

উঃ। কান্না শুনে গাছ বেয়ে মাকু, হোটেলওয়ালা, সং আর সাতজন দড়াবাজির ওস্তাদ এসেছিল।



প্রশ্ন:- সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কী কী রান্না করেছিল?

উঃ। সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কাদা দিয়ে ভাত বানায় আর গাঁদা ফুলের পাতা দিয়ে মাছ রান্না করে।



প্রশ্ন:-মাকু যাতে রাতে পালাতে না পারে তার জন্য সোনা কী করেছিল? 

উঃ। সোনা পুঁটলির মুখের বড়ো সেফটিপিন দিয়ে নিজের ফ্রকের সঙ্গে মাকুর জামার কোণটা এঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। যাতে মাকু রাতে পালাতে না পারে।


প্রশ্ন:-কে কোথায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল?

উঃ। হোটেলওয়ালা বনের মধ্যে বাঁশতলায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল।



প্রশ্ন:-খরগোশ দিয়ে কী হবে? উঃ। খরগোশ দিয়ে কালিয়া হবে।



প্রশ্ন:-জাদুকরের পোশাক কেমন ছিল? 

উঃ। জাদুকরের মাথায় লম্বা চোঙার মতো টুপি আর গায়ে ছিল চকরা বরা মাটি অবধি ঢোলা জামা, তার হাতা ঢলঢলে।



 প্রশ্ন:-বটতলার হোটেলটি কেমন ছিল?

উঃ। হোটেলটা ছিল একটি গাছ। গাছের ডাল থেকে কয়েকটা লণ্ঠন ঝুলছে। বটগাছের নীচু নীচু ডালে লোকে পা ঝুলিয়ে বসে আছে। গাছ থেকে রাশি রাশি ঝুরি নেমেছে। গাছের গোড়ায় পাথরের উনুনে গনগনে আগুনের উপর পিতলের হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে। গাছের গুঁড়ির উপর কাঠের তক্তা ফেলে খাওয়াদাওয়া চলছে।



প্রশ্ন:- সার্কাসের লোকেদের জঙ্গলে থাকতে হয়েছিল কেন?

উঃ। সার্কাসের অধিকারীমশাই সার্কাসের জন্য ঝাড়বাতি কিনে, সকলের জন্য নতুন পোশাক বানিয়ে, চারিদিকে নতুন খেলার বিজ্ঞাপন দিয়ে, খেলা শুরু হবার আগেই কোনো জিনিসের দাম না-দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। অধিকারীমশাই নিখোঁজ, তাই ওদের নামেই পরোয়ানা বেরিয়েছে। তাই সার্কাসের লোকেরা জঙ্গলে থাকে।



প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে কী কাজ করতে এবং কীভাবে করতে বলেছিল?

উঃ। হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে খাবার জায়গা করা, বাটি ধুয়ে দেওয়া আর ঝাটপাট দেওয়ার কাজ করতে বলেছিল। আর গাছের ঘরে থাকতে এবং গাছের ধারে ছোটো ঝরনায় চান, কাপড় কাচা ও বাসন ধুতে বলেছিল।এর জন্য কোনো পয়সাকড়ি যে লাগবে না সেটাও সে বলেছিল।


              

প্রশ্ন:-গাছের উপর ঘরটি কেমন ছিল?

উঃ। গাছের গায়ে সিঁড়ির মতো খাঁজ কাটা, আট-দশটি ধাপ উঠতেই ডালপালার মধ্যে কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি একটি সুন্দর ঘর। বাতাস বইলে সেটি দোলনার মতো দোলে। সেখানে শুকনো পাতার উপর নীল 


             চার অধ‍্যায়


প্রশ্ন:-পরিদের রানির পরনে কী রঙের পোশাক ছিল?

উঃ। পরিদের রানির পরনে গোলাপি রঙের পোশাক ছিল।


প্রশ্ন:- সং সপ্তাহে কতবার পোস্ট অফিসে যায় এবং কেন যায়?

উঃ। সং সপ্তাহে দু-তিনবার পোস্ট অফিসে যায়। সে খোঁজ নেয় তার কাটা লটারির টিকিটের কোনো খবর এল কিনা।



প্রশ্ন:- হোটেলওয়ালা কী দিয়ে সুরুয়া রান্না করে?

উঃ। হোটেলওয়ালা তার দাড়ি-গোঁফ দিয়ে সুরুয়া রান্না করে।



প্রশ্ন:- ক-টি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল?

উঃ। চারটি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল।


প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালা কীভাবে দাঁড়িগোঁফ শুকিয়েছিল?

উঃ।হোটেলওয়ালা কাঠের হাতা দিয়ে সুরুয়া থেকে দাড়িগোঁফ তুলে বালতির জলে ধুয়ে, গাছের ডালে শুকোতে দিল।



প্রশ্ন:-সং কোন অবস্থায় এসে হাজির হয়েছিল?

উঃ। সং-এর চুল খাড়া, ঠিকরে বেরোনো চোখ, জামাকাপড়ে ধুলোবালি ও শুকনো পাতা লাগা এই অবস্থায় সং এসে হাজির হলো।



প্রশ্ন:-জঙ্গলে ওরা সে-দিন ক-জন লোককে দেখেছিল?

উঃ। জঙ্গলে ওরা সে-দিন দুজন নতুন লোককে দেখেছিল।



প্রশ্ন:- পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা কোথায় লুকিয়েছিল?

উঃ। পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা গাছ-ঘরে লুকিয়েছিল।



প্রশ্ন:-.মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা কী কাণ্ড দেখল?

উঃ। মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা দেখলো খাকি কোট-পেন্টেলুন পরা একটা লোক কাঁধে থলে ও কোমরে লণ্ঠন বাঁধা, হাতে একটা লম্বা খাম নিয়ে ঝোপেঝাড়ে কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে।


প্রশ্ন:-পরির রানিকে দেখতে কেমন ও তার পরনে কী পোশাক ছিল?

উঃ। পরির রানির গোলাপি মুখে সুন্দর কালো কালো চোখ। মাথায় সোনালি চুল। আর তার গায়ে রুপোলি রঙের পোশাক।



প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালা কীভারে সুরুয়া রান্না করে?

উঃ। হোটেলওয়ালা রান্না করার সময় সুরুয়ার মধ্যে তার মুখের দাড়ি-গোঁফ খুলে ফেলে দেয়। সেই সুরুয়াই লোকে স্বর্গের সুরুয়া বলে খায়।



প্রশ্ন:- হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য কে কী নিয়ে এসেছে?

উঃ। হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য গোয়ালা এক মণ দুধ দিয়ে গেছে, সং পাঁচ সের বাতাসা কিনে এনেছে।

রাতে ভুনিখিচুড়ির জন্য সুগন্ধি চাল, পেস্তা, বাদাম, কিশমিশ এনেছে। আর শিকারীরা হরিণের মাংস দিয়ে যাবে বলে গেছে।



প্রশ্ন:- বটতলার পিছনে ছোটো নদীটির ধারে কী কী শাকসবজি হয়?

উঃ। সেখানে ছোটো বুনো মটরশুঁটি, গাছতলায় মিষ্টি শাকালু, পালংশাক, টম্যাটো, ডুমুর গাছে ডুমুর, সজনে গাছে সজনে হয় ।



প্রশ্ন:- হোটেলওয়ালা কী কারণে সুরুয়াতে দাঁড়ি গোঁফ ফেলে দিয়ে রান্না করে।

উঃ। আগে হোটেলওয়ালার রান্না সুরুয়া মুখে দিলেই লোকে ওয়াক-থু বলে ফেলে দিত আর পয়সা ফেরত চাইত।

তারপর আচমকা একদিন তার দাড়িগোঁফ খুলে সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে রান্না হয়ে গেল। আর সেদিন সবাই সুরুয়া খেয়ে সুখ্যাতি করতে লাগল। সেই থেকে হোটেলওয়ালা রান্নার সময় দাড়িগোঁফ সুরুয়াতে ফেলে দিয়ে রাঁধে।

            

                  পঞ্চম অধ‍্যায়




প্রশ্ন:-ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার কে হয়?

উ। ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার ভাই হয়।



 প্রশ্ন:-হোটেলওয়ালা কী হারিয়ে ফেলেছে।

উঃ। হোটেলওয়ালা সং-এর টিকিটের আধখানা হারিয়ে ফেলেছে।



প্রশ্ন:- মাকুকে বানাতে ঘড়িওয়ালার কতদিন সময় লেগেছিল?

উঃ। ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে মাকুকে বানিয়েছিল।



প্রশ্ন:-পেয়াদা কাদেরকে খুঁজছিল?

উঃ। জঙ্গলে যারা থাকে তাদের পেয়াদা খুঁজছিল।



প্রশ্ন:- পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে কোথায় পড়ে গেল?

উঃ। পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে ফাঁদপাতা গর্তে পড়ে গেল।



প্রশ্ন:-গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে সোনা টিয়া কাকে দেখেছিল?

উঃ। সোনা টিয়া দেখেছিল গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে একপাশে কালো চাদর মুড়ি দিয়ে কে যেন শুয়ে আছে।


প্রশ্ন:-ঘড়িওয়ালার কী ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই সে কী করতে পারবে না?

উঃ। ঘড়িওয়ালার পয়সাকড়ি ও বিদ্যাবুদ্ধি ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই মাকুর জন্য কান্নার কল সে তৈরি করতে পারবে না।



প্রশ্ন:-মাকু এখন কীভাবে ইচ্ছামতো চলে?

উঃ। ঘড়িওয়ালা যেভাবে মাকুকে বানিয়েছিল সে সেভাবে নেই। তার কলের মধ্যে কী যেন এক অন্য শরি

গজিয়েছে। তার ফলে মাকু নিজের ইচ্ছেমতো চলে।



প্রশ্ন:-পেয়াদাকে দেখে সোনা ও টিয়া দৌড় দিল কেন?

উঃ। পেয়াদা ঘড়িওলা, মাকু ও সার্কাসের লোকজনদের ধরতে এসেছে ভেবে সোনা-টিয়া দৌড় দিয়েছিল।



প্রশ্ন:- সোনা কাকে কোথায় ফেলে দেবে বলেছিল? 

উঃ। সোনা মাকুকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে দেবে বলেছিল।



প্রশ্ন:- ঘড়িওয়ালার মাকুকে বানাবার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।

উঃ। ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাকুকে বানিয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে সে ঘড়ি কারখানায় পড়ে থাকত। ম্যানেজার তাকে তাদের নীচে শুতে দিত, আর ছাইপাঁশ খেতে দিত। সে রাত জেগে জেগে গুদাম থেকে সব বিলিতি ঘড়ির কলকবজা খুলে নিয়ে মাকুকে বানিয়েছে।



প্রশ্ন:- জঙ্গলের পাতা ফাঁদগুলি কেমন তার বিবরণ দাও।

উঃ। জঙ্গলে ফাঁদ পাতার কয়েকটি পুরোনো গর্ত আছে। সেইগুলি বাঘ ধরার ফাঁদ না শুয়োর ধরার তা বলা যায় না। ফাঁদগুলি বহুদিনের পুরোনো। মাটিতে দু-মানুষ গভীর গর্ত, তার উপরটা লতাপাতাতে ঢেকে গিয়ে বুজে গেছে। কিন্তু তার উপর একবার পা পড়লে লোকজন বা জন্তুজানোয়ার তার ভেতরে গিয়ে পড়বে। তাই সেখানে ফাঁদ পাতা আছে। হোটেলওয়ালা সেখানে একটা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রেখেছে যাতে লোকজন দেখতে পেয়ে সাবধান হয়।



প্রশ্ন:- সোনা কেন বাঁশের খুঁটি উপড়ে দিয়েছিল?


উঃ। সোনা এদিক ওদিক দেখে বড়ো ফাঁদের কিনারা থেকে বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলেছিল। কারণ সে

ফাঁদের মধ্যে মাকুকে ফেলে দিতে, যাতে কেউ সোনা টিয়া দেখিয়ে না দিলে মাকুকে কেউ খুঁজে না পায়।


প্রশ্ন:-.ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল কেন? এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে কী বলেছিল?

উঃ। মাকুর শরীরে যে সব বিলিতি কলকব্জা লাগানো তার দাম পাঁচ হাজার টাকা। সেই টাকার জন্য ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল। 

এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে ভাবনা করতে বারণ করে বলেছিল দু'মাস মাকুর খেলা দেখালে এরকম অনেক পাঁচ হাজার টাকা উঠে আসবে।


                ছয় অধ‍্যায়


প্রশ্ন:-.কোন্ বিষাক্ত সাপের কথা সোনা বলেছিল? 

উঃ। তক্ষক সাপের কথা সোনা বলেছিল।



প্রশ্ন:-. কে কাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল?

উঃ। একটা ছুঁচো একটা ব্যাঙের ঠ্যাং ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল।



প্রশ্ন:-.কে কাকে পোকা খাওয়াচ্ছিল?

উঃ। ওপরের ডালে বসে মা দাঁড়কাক নীচের ডালে বসা ছানা দাঁড়কাককে পোকা খাওয়াচ্ছিল।



প্রশ্ন:-.খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের কী খাওয়াতে হয়?

উঃ। খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হয়।



প্রশ্ন:-.কে সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল?

উঃ। মাকু সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল।



প্রশ্ন : মেম সোনাদের কী উপহার দিয়েছিল?

 উঃ। মেম সোনাদের একটা করে রেশমি ফিতে উপহার দিয়েছিল।



প্রশ্ন:-.সার্কাসের দড়িতে কে কী নিয়ে নাচে? 

উঃ। সার্কাসের দড়িতে কালো মেম ছাতা নিয়ে নাচে।


প্রশ্ন:-.কে সোনা-টিয়ার জুতোয় পালিশ করে দিয়েছিল?

উঃ যে লোকটা ঘোড়ার খুরে পালিশ লাগাচ্ছিল সে সোনা-টিয়ার জুতো পালিশ করে চকচকে করে দিল।



প্রশ্ন:-. কার পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল? 

উঃ। রানির পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল।






প্রশ্ন:-.জানোয়ারদের ভিটামিনের গুলি খাওয়াতে হয় কেন?

উঃ। ভিটামিনের গুলি না-খাওয়ালে জানোয়ারেরা রাতে খেলা দেখাতে পারবে না।



প্রশ্ন:-. মেম পার্টিতে কী ড্রেস পড়ে যাবে বলেছিল?

 উঃ। মেম পার্টিতে সোনালি ঘুণ্টি দেওয়া লাল গাউন পড়ে যাবে বলেছিল।



প্রশ্ন:-.সং সোনা-টিয়ার জন্য যে জামা কিনে এনেছিল, তা কেমন ছিল?

উঃ। সঙের কেনা জামাটির রং ছিল একটা গোলাপি আর একটা ফিকে বেগুনি। জামাটির তলায় কুচি দেওয়া আর  গলায় ছোটো একটা করে রূপালি ফুলের মতো বোতাম দেওয়া।


প্রশ্ন:-. ছুঁচো আর ব্যাঙের ঘটনাটি কী ঘটেছিল?

উঃ। সোনা-টিয়া দেখল ছুঁচোর মতো দেখতে একটা প্রাণী একটা ব্যাঙের পা ধরে হিচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। একটা চিঁচিঁ শব্দ হচ্ছে। টিয়া ছুঁচোটাকে তাড়িয়ে ব্যাংটাকে বাঁচায়।


প্রশ্ন:-.কে ওষুধের কৌটো খুঁজছিল? কীভাবে তা পাওয়া গেল এবং কাদের তা খাওয়ানো হল?

উঃ। সং ওষুধের শিশি খুঁজছিল। রুমাল বের করার জন্য সং যেই পকেটে হাত দিয়েছে তখনি পকেট থেকে সে সবুজ রংয়ের কৌটো খুঁজে পেল। ওষুধটি আর কিছুই নয়, সেটি ভিটামিন বড়ি। একটুকরো গুড়ের সঙ্গে একটি করে বড়ি জানোয়ারদের মুখে ফেলে দেওয়া হল। তাই খেয়ে তারা মাথা নাড়িয়ে লেজ দুলিয়ে আহ্লাদ করতে লাগল।



প্রশ্ন:-.সে-দিন সার্কাসের জন্তুদের সাজের বিবরণ দাও।

উঃ। জানোয়ারদের পায়ে পালিশ লাগানো হচ্ছে। প্রত্যেকে চান করেছে, গায়ে মাথায় বুরুশ করেছে। তাদের গলার ঘণ্টি আর কলার আজ সব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দেওয়া হয়েছে।



প্রশ্ন:-.পরিদের রানির কী কী সাজ দেখা গিয়েছিল তার বিবরণ দাও।

উঃ।তারা দেখল পরিদের রানির পোশাক ঘাসের উপর শুকোতে দেওয়া আছে। সেই পোশাকের সর্বাঙ্গে ছোটো ছোটো রুপালি বুটি। পাশে রুপালি ডানা জোড়াও রয়েছে। তার পাশে কাগজের বাক্সে রানির মাথার তারা দেওয়া মুকুট, হাতের চাঁদ-বসানো রাজদণ্ড, গলার সীতাহার, হাতের তাগা, কানের ঝুমকো রাখা আছে। গয়নার সঙ্গে বসেছে রূপালি পাড় দেওয়া সাদা রেশমি রুমাল।


প্রশ্ন:-. বিকেলে সার্কাসে কী কী খেলা হবে? কোন্ খেলা কেন জমাতে হবে?

উঃ। সার্কাসে প্রথমে হবে দড়াবাজির খেলা। তারপর কুকুরদের খেলা শেষে জাদুর খেলা হবে। জাদুকর পরিদের রানিকে নামাবে।

দড়াবাজির খেলা প্রথমেই জমাতে হবে। কারণ দড়াবাজির মতো খেলা হয় না, সে খেলা গোড়াতে না জমলে লোকে শেষ অবধি বসে থাকবে না।



                    সাত অধ‍্যায়


প্রশ্ন:-.প্রজাপতির পা কীসে জড়িয়ে যায়?

উঃ। করমচা ডালের মধ্যে ঝোলানো বড়ো মাকড়সার মোটা জালে প্রজাপতির পা জড়িয়ে যায়।



প্রশ্ন:-. সং জানোয়ারদের কী খাইয়ে দিয়েছিল?

উঃ। সং জানোয়ারদের ভিটামিনের বদলে ভুল করে কড়া জোলাপ খাইয়ে দিয়েছিল।


প্রশ্ন:-.মাকু কোন বাজনা বাজাতে পারে? 

উঃ। মাকু কলের মানুষ হলেও ক্ল্যারিনেট বাজাতে পারে।



প্রশ্ন:-মাকু কাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল?

 উঃ মাকু পরিসের রানিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।


প্রশ্ন:-. কে মাকুকে কাঁদার কম দেবে বলল?

 উঃ। সোনা মাকুকে কাঁদার কল দেবে বলল।




প্রশ্ন::কী খাওয়ার জন্য ঘড়িওয়ালা কেঁদে উঠেছিল।  

উ। মায়ের হাতের মোচার ঘন্ট খাওয়ার জন্য পড়িওয়ালা কেঁদে উঠছিল।



প্রশ্ন:-.কত লোক আগাম টিকিট কেটে রেখেছে। 

উঃ। তিন গাঁয়ের লোক খেলা দেখার জন্য আগাম টিকিট কেটে রেখেছে।



প্রশ্ন:-.সোনা বুক ফুলিয়ে কী কী জানার কথা বলেছিল।

উঃ সোনা বুক ফুলিয়ে বলেছিল সে যোগ-বিয়োগ, ছোটো নদী, দিনরাত এইসব আনে।



প্রশ্ন:-.পেয়াদা আসতে পারবে না কেন? 

উঃ। পেয়াদা এখন বাঘের গর্ভের ফাঁদে পড়ে চেঁচাচ্ছে, তাই সে আসতে পারবে না।



প্রশ্ন:-.. বাঘের ফাঁদের গত থেকে কীসের আওয়াজ আসছিল।

উঃ। বাঘের যাঁদের গর্ত থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ আসছিল।



প্রশ্ন:-.দুটো করমচা গাছের মাঝখানে কী ছিল? 

উঃ। দুটো করমচা গাছের মাঝখানে মাকড়সার জাল ছিল।



প্রশ্ন:-.কতক্ষণ বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখাবার কথা ? 

উঃ। পাঁচ ঘণ্টা বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখানোর কথা।



প্রশ্ন:-.সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে, হোটেলওয়ালা কী খোঁজে?

উঃ। সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে হোটেলওয়ালা টিকিটের আধখানা খুঁজতে থাকে।




প্রশ্ন:-.সোনা-টিয়ার দেখা প্রজাপতিটি কেমন ছিল?

উঃ। সোনা-টিয়ার নাকের সামনে দিয়ে প্রকান্ড বড়ো একটি প্রজাপতি উড়ে যায়। প্রজাপতিটি আকারে সোনার/দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি জুড়লে যত বড়ো হয় তার চেয়েও বড়ো। তার গায়ে নীল, সবুজ, সাদা-কালো বর্ডার দেওয়া রঙের বাহার। আর লাল সুতো আঁকা রামধনু রঙের চোখ বসানো।



প্রশ্ন:-.প্রজাপতির পিছনে সোনা-টিয়ার দৌড়োনোর ঘটনাটি বলো।

উঃ। সোনা-টিয়া একটা প্রজাপতি দেখতে পায়। সেটি এত বড়ো যে সোনার দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি ছুঁয়েও অত বড়ো হবে না। তার গায়ে নানা রং। প্রজাপতি একবার গাছের গোড়ায় ভুইটাপা ফুলে বসে মধু খায় আবার উড়ে পালায়। আবার উঁচুতে বসে নীচে ওড়ে, রোদে বসে ডানা কাঁপায় আর তাদের সাড়া পেলেই উড়ে যায়। তারপর একসময় মাকড়সার জালে পা ঝড়িয়ে যায়। সোনা জাল ছিঁড়ে দিয়ে প্রজাপতিকে উড়িয়ে দেয়।



প্রশ্ন:-. আম্মা প্রজাপতিদের সম্বন্ধে কী বলেছেন?

উঃ। আম্মা বলেছেন প্রজাপতিদের ডানার রঙের গুঁড়ো হাতে লেগে গেলে প্রজাপতিরা আর উড়তে পারে না, মাটিতে পড়ে যায়। তারপর কাকেরা ওদের ঠোকরায়। মাকড়সারা চুষে খেয়ে ফেলে। এতে প্রজাপতিরা মরে যায়।



 প্রশ্ন:-.হোটেলের মালিক জাদুকরকে নষ্টের গোড়া বলেছিল কেন?

উঃ। জাদুকরের দেখানো পরির রানির খেলা দেখেই মাকু পরিদের রানিকে বিয়ে করতে চায়। তখন সবাই তাকে বলে যে সে কলের পুতুল হাসতে কাঁদতেপারে না, তার আবার বিয়ে হবে কীভাবে? তখন মাকু ঘড়িওয়ালার কাছে কাঁদার কল চায়। এদিকে ঘড়িওয়ালার বিদ্যে ফুরিয়ে যাওয়ায় সে পালায়। তাই মাকু তাকে খুঁজতে গেছে। তাই মাকুর পালানোর জন্য জাদুকরই দায়ী।



প্রশ্ন:-.মাকুর পালানোর কারণ জেনে জাদুকর কী বলেছিল?

উঃ। জাদুকর মাকুর পালানোর এই কারণ শুনে বললো যে এই সামান্য কারণে সে পালালো কেন? আগে জানলে মাকুর সঙ্গে রোজ পরিদের রানির বিয়ে দেওয়া হতো। কলের মানুষের সঙ্গে পরির রানির বিয়ে দেখতে রোজ প্রচুর লোক আসত, প্রচুর টাকা হতো। এর শুধু ঘড়িওয়ালা নয়, সার্কাস পার্টিরও ধার শোধ হয়ে যেতো।



                আট অধ‍্যায়


প্রশ্ন:-.নেনো কার নাম ছিল? 

উঃ। সোনাদের পোষা কুকুরের নাম ছিল নেনো।



প্রশ্ন:-.ঝোপের মধ্যে মোট ক-টা খরগোশ ছিল? 

 উঃ। ঝোপের মধ্যে মোট তিনটে খরগোশ ছিল।



প্রশ্ন:-.কে খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে?

উঃ। আম্মার এক ছেলে রঙা, খরগোশ বিক্রি করে অনেক পয়সা রোজগার করে।


প্রশ্ন:-.সোনা কাকে নাচতে বারণ করল এবং কেন? 

 উঃ। সোনা বনময়ূরকে নাচতে বারণ করল, পাছে বৃষ্টি নেমে যায়।



 প্রশ্ন:-.সং সোনাকে জাদুকর কী দেবে বলেছিল?

 উঃ। সোনাকে জাদুকর বড়ো প্যাপ্যা পুতুল দেবে বলে সং বলেছিল।



প্রশ্ন:-.বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া কী করতে লাগল?

উঃ। বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পরে নাচতে গাইতে লাগল।



প্রশ্ন:-.সাপেরা কীভাবে ছুটতে পারে না?  

উঃ। সাপেরা পাশের দিকে ছুটতে পারে না।



প্রশ্ন:-.ঝোপের মধ্যে থেকে কে বেরিয়ে এসে কী করতে লাগল?

উঃ। ঝোপের মধ্যে থেকে একটি বড়ো ডোরাকাটা সাপ বেরিয়ে এসে কুণ্ডুলি পাকিয়ে ফণা তুলে দুলতে আরম্ভ করল।


প্রশ্ন:-.মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে কী হবে?

উঃ। মাকুর চাবি ফুরিয়ে গেলে মাকু এলিয়ে পড়বে, তখন তাকে ঘড়িওলার কাছে দিতে হবে।



প্রশ্ন:-.কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার বুকটা ধড়াস করে উঠেছিল কেন?

উঃ। গতকাল রাতে সোনা টিয়া বাড়ি যায়নি নিজেদের খাবার খায়নি, শোয়নি, জামাকাপড়।ছাড়েনি। তবুও কেউ তাদের খুঁজতে না আসায় সোনার ভয়ে বুক ধড়াস করে উঠেছিল।



প্রশ্ন:-. মাকুকে না পেয়ে টিয়া সোনাকে কী প্রশ্ন করেছিল? উত্তরে সোনা কী বলেছিল?

উঃ। বনের ঝোপে ঝাড়ে মাকুকে খুঁজে না পেয়ে টিয়া সোনাকে প্রশ্ন করেছিল যে ষষ্ঠীঠাকরুণ মাকুকে খেয়ে ফেলেছে কিনা।

সোনা চটে গিয়ে উত্তরে বলেছিল যে মাকু ক্ষীর দিয়ে তৈরি নয় ও টিন, রবার, স্প্রিং আর প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি ওকে ষষ্ঠীঠাকরুণ তো নয়ই বাঘেও খাবে না।



 প্রশ্ন:-.বনের মধ্যে ঠেলেঠুলে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে কী দেখল?

উঃ। বনের মধ্যে ঢুকে সোনা-টিয়া অবাক হয়ে দেখল যে মাঝখানটা একেবারে ফাঁকা, কচি নরম দুর্বোঘাসে ঢাকা।তারই মধ্যে একটি লাল চোখ সাদা ধবধবে মা খরগোশ, দুটো তুলোর মতো বাচ্চা নিয়ে ওদের দিকে চেয়ে থর থর করে কাঁপছে।


প্রশ্ন:-. সোনা ও টিয়া বনের মধ্যে নাচার সময় কী হয়েছিল?

উঃ। বনের মধ্যে গাছের নীচে সোনা ও টিয়া দুজনে ময়লা জামা পরে নাচতে গাইতে লাগল। তখন গাছ থেকে সাদা ফুল পড়তে লাগল, তখন সোনা-টিয়া সেগুলিকে কানের পেছনে গুঁজে রাখল। একজোড়া সবুজ পায়রা উড়ে গাছের ডালে বসলো এবং পাতার আড়াল থেকে কাঠঠোকরারা ঠুনঠুন করে তাল দিতে লাগল। বনময়ুর ঝোপের পাশথেকে বেরিয়ে এসে পেখম ধরে নাচ করতে লাগল।



প্রশ্ন:-. বটতলায় সোনা কী করলো?

উঃ। সাপ দেখে দৌড়ে সোনা ও টিয়া বটতলায় পৌছে দেখলো উনুনের আঁচ পড়ে এসেছে। উনুনে চাপানো কড়ায় দুধ ফুটে ঘন হয়ে এসেছে। সোনা তাতে মিছরির ঠোঙা, বিসমিশের কৌটে খালি করে ঢেলে দিল। তারপর কড়াইটাতে ঢাকা দিয়ে দুজনে দুমুঠো খেজুর ও জল খেয়ে নদীতে হাত পা মুখ ধুয়ে গাছ ঘরে উঠে খুব ঘুম দিল।



            নয় অধ‍্যায়

প্রশ্ন:-. গাছতলায় কী কী পড়ে রইলো?

উঃ। গাছতলায় গামলা ভরা ভাজা মাছ, বালতি ভরা মশলামাখা মাংস, থলি ভরা বাসমতি চাল পড়ে রইল। উনুন জ্বলে জ্বলে নিভে গেল, কেউ দেখবার রইল না।


প্রশ্ন:-. মাকু কোথায় আটকা পড়েছিল?  

উঃ। মাকু খরগোশ ধরার ফাঁদে আটকা পড়েছিল।



প্রশ্ন:-.মাকু নড়ছিল না কেন? 

উঃ। মাকুর চাবি ফুরিয়ে গিয়েছিল বলে সে আর নড়ছিল না।



প্রশ্ন:-. জাদুকর সোনাদের কী দিয়েছিল?  

উঃ। জাদুকর সোনাদের দুটি খরগোশ-ছানা দিয়েছিল।



প্রশ্ন:-. সং সোনাদের কী দিয়েছিল? উঃ। সং সোনাদের পুঁতি দিয়ে গাঁথা মালা দিয়েছিল।



 প্রশ্ন:-.ঘাস জমিতে কে সোনাদের সাজিয়ে দেবে?

  উঃ। ঘাস জমিতে মেম সোনাদের সাজিয়ে দেবে।



প্রশ্ন:-.দুপুরে বেশি ঘুমুলে সোনার কী হয়?  

উঃ। দুপুরে বেশি ঘুমালে সোনার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।


প্রশ্ন:-.সঙেদের থলিতে কত পয়সা জমা হয়েছে?  

উঃ। সঙেদের থলিতে দেড় হাজারের বেশি দশ পয়সা জমা হয়েছে।


প্রশ্ন:-.মাকুকে কোথায় পাওয়া গেলো? তাকে কোথায় রাখা হলো?

উঃ। মাকুকে বাঁশবনেতে পাওয়া গেল সেখানে খরগোশ ধরার ফাঁদে সে আটকে ছিল। এখন তাকে কুকুরদের ঘরে রাখা হয়েছে।



প্রশ্ন:-.মাকুসার্কাস পার্টিকে কী করে দিতে পারে? উঃ। মাকু একটি সোনার খনি। সে সার্কাস পার্টিকে বড়োলোক করে দিতে পারে।



প্রশ্ন:-.কোন কাজকে জাদুকর অসভ্যতা বললো? উঃ। সোনা ও টিয়ার কানে কানে কথা বলাকে জাদুকর অসভ্যতা বললো।



প্রশ্ন:-. জাদুকর সোনা-টিয়াকে কী ধরে দিল?

উঃ। জাদুকর শূন্য থেকে খপখপ করে গোলগাল দুটি সাদা ঘরগোশের বাচ্চা ধরে দিল। তাদের লাল টুকটুকে চোখ,

গলায় লাল ফিতেয় ছোটো দুটি ঘন্টি বাঁধা। নড়লে চড়লে সেগুলি টুংটাং করে বাজে।।



প্রশ্ন:-.জাদুকরের টাকার ভাবনা ছিল না কেন?

উঃ। সাড়ে তিন গাঁ থেকে লোক হোটেল মালিকের জন্মদিনে খেলা দেখবে বলে টিকিট

কেটেছে। সঙেদের থলিতে দেড় হাজারের বেশি দশ পয়সা জমা হয়েছে। তাই জাদুকরের

টাকার ভাবনা নেই।



প্রশ্ন:-.হলুদ ও সবুজ প্যাকেটগুলিতে কী ছিল ও কী লেখা ছিল?

উঃ। হলুদ কাগজে মোড়া দুটি ছোটো প্যাকেটে পেনসিল দিয়ে লেখা ছিল—ইতি স্নেহের

সং। প্যাকেট দুটিতে ছিল ছোটো ছোটো পুঁতিমুক্তো দিয়ে গাঁথা সুন্দর দুটি সাদা মালা। হলুদ

প্যাকেটের নীচে রাখা দুটি সবুজ প্যাকেটে লেখা ছিল জন্মদিনের উপহার ইতি—হোটেলওলা।

তার ভিতরে ছিল সরু লেসের পাড় দেওয়া ছোটো দুটি সাদা রেশমি রুমাল।



প্রশ্ন:-.মাকুকে কোথায় কীভাবে পাওয়া গেল?

তাকে কেমন সাজানো হয়েছিল?

উঃ। বাঁশবনেতে খরগোশ ধরবার ফাঁদে আটকে মাকু চাবি ফুরিয়ে ফেলেছিল। কল ছাড়িয়ে তাকে কুকুরদের ঘরে

রাখা হলো। সঙেরা রং মাখিয়ে মাকুর চেহারা ফিরিয়ে দিল। মেম তাকে নতুন কাপড় চোপড় পরিয়ে দিয়েছে।

 

প্রশ্ন:-.কে মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল? উঃ। টিয়া মাকুর জন্য চাবি বানিয়েছিল।



প্রশ্ন:-.মাকুকে টিয়া যে চাবি দিয়েছিল তার রং কী? উঃ। তার রং ছিল গোলাপি।



প্রশ্ন:-.কে সোনা টিয়াদের সাজিয়ে দিল? উঃ। মেমসাহেব সোনা-টিয়াদের।



 প্রশ্ন:-.কার সাথে মাকুর বিয়ে হল? উঃ। পরিদের রানির সাথে মাকুর বিয়ে হলো।



প্রশ্ন:-. সার্কাসে কে রিং মাস্টার সাজল? উঃ। হোটেলের মালিক সার্কাসে রিং মাস্টার সাজল।




প্রশ্ন:-.কে মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল? উঃ। ঘড়িওয়ালা মাকুকে দিয়ে খেলা দেখাল।



প্রশ্ন:-.মাকুর শরীরে কোথায় কল আছে? উঃ। মাকুর নাকের কালো তিলের নীচে টেপা কল আছে।



প্রশ্ন:-. টিয়া মাকুর চাবি কোথায় রেখেছিল? উঃ। টিয়া মাকুকে চালু করার চাবি ঝোলার ভিতরে রেখেছিল।



প্রশ্ন:-.মাকু কীভাবে গান গেয়ে উঠলো? উঃ। মাকু এক হাত কোমরে দিয়ে এক হাত আকাশে উড়িয়ে বিলি

কায়দায় গান গেয়ে উঠলো।



প্রশ্ন:-.মাকু কোন্ গান গাইল? উঃ। মাকু “ইয়াঙ্কি ডুডডল ওয়েন্ট টু টাউন রাইডিং অন্-এ পোনি!” গানটা গায়।


প্রশ্ন:-.সার্কাসে সবার শেষে কী হল? উঃ। সার্কাসে সবার শেষে মাকুর সাথে পরিদের রানির বিয়ে হল।



প্রশ্ন:-.শেষ পর্যন্ত বুদ্ধি করে জাদুকর কী করলো? উঃ। শেষ পর্যন্ত জাদুকর বুদ্ধি করে বড়ো আলো নিভিয়ে ি


প্রশ্ন:-. সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে কী গান গাইলো?

উঃ। সোনা ও টিয়া দর্শকের মাঝে বড়ো আলোর নীচে দাঁড়িয়ে একটা নমস্কার করে হাত মেলে “ফুল কলি

অলি গুণগুণ গুঞ্জনে” গান গাইলো ও নাচতে লাগলো।



প্রশ্ন:-. দুরের ছাউনিতে কীসের শব্দ শোনা যাচ্ছে? উঃ। দূরের ছাউনিতে জানোয়াররা সুস্থ হয়ে ওঠায় সেখান থেকে

কুকুরের ডাক আর মাঝে মাঝে ঘোড়াদের পা ঠোকার শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

প্রশ্ন:-.ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে কী বললো?


উঃ। ঘড়িওলা মুখে চোঙা লাগিয়ে সবাইকে বললো আজ আমাদের প্রিয় অধিকারীর জন্মদিন উপলক্ষে খেলা শেষ

। সবাই সাধু সাধু বলুন।



প্রশ্ন:-. সং খেলায় কী কী কাণ্ড করলো?

উঃ। সং একগালে চুন আর একগালে কালি মেখে গাধার টুপি পরে একটার পর একটা ডিগবাজি খেলো। দড়াবাজির

ছেলেরা যখন দোলনা থেকে লাফিয়ে নীচে নামছিল সে তখন লাফিয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা

করছিল। তারপর গান শেষ হলে সং পরপর পাঁচটা ডিগবাজি খেয়ে নীচ থেকে এক লাফে

বেলনায় উঠে বড়ো করতাল দিয়ে হাততালি দিতে লাগল।

প্রশ্ন:-. মাকু কী কী করল?

উঃ। ঘড়িওলা মাকুকে যা বললো সে তাই করতে লাগলো। মাকু নাচল গাইল, কাঠের বাক্সে

পেরেক ঠুকলো, মোড়লের সাইকেল চালাল, ভাঙা টাইপরাইটার দিয়ে ইংরাজিতে চিঠি লিখল

ঘড়িওলার সঙ্গে কুস্তি করলো।


প্রশ্ন:-.মাকুর সঙ্গে পরির রানির বিয়ের ঘটনা লেখো।

উঃ। পরিদের রানির খেলা শেষ হতে তাকে পিঠে নিয়ে দুই বড়ো বড়ো ঘোড়া আলোর নীচে এসে হাঁটু গেড়ে

বসলো। অধিকারি পরিদের রানির হাত ধরে নামাল আর ঘড়িওলা মাকুকে রানির সামনে দাঁড় করাল। সং বেতের

বুড়িতে দু গাছি মোটা গোড়েমালা আর বরের টোপর এনে রাখল। জোরে জোরে বাজনা বাজতে লাগলো, ফুল পড়তে

লাগলো। এইভাবে মহা ধূমধামের সঙ্গে মাকু আর পরিদের রানির বিয়ে হয়ে গেল।


প্রশ্ন:-.হোটেল মালিকের আসল পরিচয় কী?

 উঃ। হোটেল মালিকই হলো সার্কাসের নোটো অধিকারী।


প্রশ্ন:-.সং কত টাকা পুরস্কার পেয়েছিল? উঃ। সং পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছিল।


প্রশ্ন:-.পিয়নের নাম কী ছিল? উঃ। পিয়নের নাম ছিল ফেলারাম।



প্রশ্ন:-.মাকুর আসল পরিচয় কী? উঃ। মাকুর আসল পরিচয় হল তিনি সোন

সেমশাই।



প্রশ্ন:-.সোনার পিসেমশাই জঙ্গলে কেন এসেছিলেন?

উঃ। সোনার পিসেমশাই নোটো অধিকারী আর ঘড়িওয়ালাকে ধরতে জঙ্গলে এসেছিলেন।



প্রশ্ন:-. ঘড়িওলা মাকুর কান ধরে প্যাঁচাতে কী হলো?

উঃ। মাকুর সুন্দর লালচে কোকড়া চুলসুদ্ধ মাথার খুলি কট করে বাক্সের ঢাকনির মতো খুলে গেল।



প্রশ্ন:-.সোনা পুঁটলি খুলে কী কী বের করলো?

উঃ। সোনাাা পুঁটলি খুলে ফুটো জ্যামের টিন, কেরোসিন তেল ঢালবার ফোঁদল আর

বাপির কাজের ঘর থেকে আনা রবারের নল বের করলো।



প্রশ্ন:-. ঘড়িওলারা দুই ভাই মায়ের কাছে গিয়ে কী কী পেট ভরে খেতে চেয়েছিলো?

উঃ। চাপড় ঘণ্ট, মোচা চিংড়ি আর দুধপুলি।



প্রশ্ন:-. পোস্টমাস্টার কী বলেছিলেন?

উঃ। পোস্টমাস্টার বলেছিলেন সংবাবু লটারির টিকিট জিতেছেন। আপিসে টিকিট জমা

দিলে সং পাঁচ হাজার টাকা পাবেন।



প্রশ্ন:-.গোলাপি মোড়ক থেকে কী বের হলো?

উঃ। গোলাপি মোড়ক থেকে সোনার মামনির সিঁদুর পরবার রূপোর কাঠি বের হলো।



প্রশ্ন:-. বটতলায় গাছের ডালে কে বসে তাকে নামাতে বলে চেঁচাচ্ছিলেন? উঃ। সোনা টিয়ার ঠামু চেঁচাচ্ছিলেন।



প্রশ্ন:-.বটতলায় পুলিশ পেয়াদারা কী কাজে সাহায্য করছিলো?

উঃ। তারা ভজহরি আর বেহারিকে রান্নাবান্না ও খাবার জায়গা করতে সাহায্য করছিলো।


প্রশ্ন:-.সোনা কীভাবে মাকুকে কাঁদাল?

উঃ। সোনা মাকুর কলকব্জার ফাঁকে সবচেয়ে উপরে জ্যামের টিন বসিয়ে তার তলায় ফেঁাদল দিয়ে মুখে রবারের নল

লাগিয়ে নলের অন্য দিকটাকে মাকুর মুন্ডুর ভিতরে দুই চোখের মাঝখানে গুঁজে দিল। তারপর গেলাসের জলটুকু টিনে

ঢেলে, পট করে খুলির ঢাকনি বন্ধ করেই মাকুর নাকের টিপকল টিপে দিল। সঙ্গে সঙ্গে ঘুম ভেঙে উঠে মাকু কেঁদে

ভাসিয়ে দিল।


প্রশ্ন:-. হোটেল মালিক হাসতে হাসতে ও কাঁদতে কাঁদতে কী বলেছিল?

উঃ। সে বলেছিল পুলিসের ভয়ে ছদ্মবেশ ধরে ততদিন হোটেল চালিয়ে যে টাকা জমেছে আর আজ যে পেয়েছে

সেই দিয়ে সব ধার শোধ করে জিনিস ছাড়িয়ে নতুন তাঁবুর তলায় নতুন করে সার্কাস খুলবে।.



প্রশ্ন:-.সোনা টিয়ার পিশেমশাই বনে এসেছিলেন কেন?

উঃ। সোনা টিয়ার পিসেমশাই পুলিশের বড়োসাহেব। তিনি নোটোমাস্টার আর ঘড়িওলাকে ধরতে বনে এসেছিলেন।

তারা যে এখানে আছে তিনি এখবর জানতেন। সোনা-টিয়ার বাড়ি গিয়ে তিনি শোনেন যে তারা বনে পালিয়েছে। তখন

পিসেমশাই আর সোনা-টিয়ার বাবা বনে গিয়ে দেখেন যে তারা নদীর ধারে ঘুমাচ্ছে। তখন বাপিকে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে

পিসেমশাই সোনা টিয়ার কাছে রইলেন।



প্রশ্ন:-.পোস্টঅফিসের পিয়ন কীভাবে গর্ত থেকে উঠে এসেছিল?

নিে

উঃ। সোনা ও টিয়া পোস্টাপিসের পিওনকে বাঘের গর্তে ফেলেছিল। কারণ তারা তাকে পেয়াদা ভেবেছিল। পিয়ন

ধপাস করে গর্তের ভিতরে পড়ে থাকা তিনটে সত্যিকারের পেয়াদার উপর পড়েছিল। অনেক জেরা করবার পর

পেয়াদারা ঠেলেঠুলে পিয়নকে গর্তের ওপরে তুলে দিয়েছিল।



অন্য গুলি দেখন

(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)

ছন্দে শুধু কান রাখো (২)

(২) কার দৌড় কদ্দুর

(৩) বঙ্গভূমির প্রতি

বঙ্গভূমির প্রতি (২)

(৪) পাগলা গণেশ

(৫) আত্মকথা

(৬) চিরদিনের কবিতা

(৭) ভানু সিংহের পত্রাবলী

(৮) নোট বই 

(৯) স্মৃতি চিহ্ন

(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়

(১১) আঁকা- লেখা

(১২) খোকনের প্রথম ছবি

(১৩) ভারত তীর্থ

(১৪) স্বাধীনতা সংগ্ৰামে নারী

(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা

(১৬) দিন ফুরালো

(১৭) গাধার কান

(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার

(১৯) মেঘ-চোর

 (২০) কুতুব মিনারের কথা

(২১) চিন্তা শীল

(২২) একুশের কবিতা


প্রথম পরীক্ষার নমুনা প্রশ্ন

আর ও প্রশ্ন প্রথম পরীক্ষা

ভাষাচর্চা অনুশীলন

মাকু প্রশ্ন (১)

মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর

মাকু প্রথম পরীক্ষা

মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর

মাকু বইয়ের প্রশ্নের উত্তর

মাকু ছোট প্রশ্ন বড়ো পাতা ধরে