অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ৯ অধ্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর ভারতীয় সংবিধান: গণতন্ত্র কাঠামো ও জনগণের অধিকার
অষ্টম শ্রেণীর
ইতিহাস
নয় অধ্যায়
অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
ভারতীয় সংবিধান: গণতন্ত্র কাঠামো ও জনগণের অধিকার
৭ অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর দেখুন
৮ অধ্যায় প্রশ্নের উত্তর দেখুন
ভেবে দেখো
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১. বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো :
(ক) ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম, ধনতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক।
উঃ। ধনতান্ত্রিক।
খ) রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল।
উঃ। রাজ্যপাল।
(গ) পৌরসভা, লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভা।
উঃ। পৌরসভা।
(ঘ) ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ, ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্বাণ, জওহরলাল নেহরু, বি. আর. আম্বেদকর।
উঃ। বি. আর. আম্বেদকর।
(ঙ) ১৫ আগস্ট, ২৬ জানুয়ারি, ২০মার্চ (স্বাধীন ভারতের নিরিখে)
উঃ। ২০ মার্চ।
২. নীচের বিবৃতিগুলির কোন্টি ঠিক কোন্টি ভুল বেছে নাও :
(ক) সংবিধান হলো বিচার বিভাগের আইন সংকলন। উঃ। ঠিক।
(খ) ভারতীয় সংবিধানের প্রধান রূপকার বি. আর. আম্বেদকর।
উঃ। ঠিক।
(গ) ভারতে রাষ্ট্রপতিই প্রকৃত শাসক।
উঃ। ভুল।
(ঘ) রাজ্যসভায় সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উঃ। ভুল।
(ঙ) পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আছে।
উঃ। ঠিক।
৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০টি শব্দ) ঃ
(ক) স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় ভারতের সংবিধান রচনার তাগিদ দেখা দিয়েছিল কেন?
উঃ। সংবিধানের অর্থ কতকগুলি আইনের সমষ্টি। আইন দ্বারাই কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। সেজন্য ভারতের স্বাধীনতাকালে রাষ্ট্র পরিচালনার তাগিদেই ভারতের সংবিধান রচনার তাগিদ দেখা দেয়। সংবিধান দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক।
(খ) ভারতের সংবিধানে গণতান্ত্রিক শব্দটির তাৎপর্য কী?
উঃ। গণতন্ত্র বলতে বোঝায় সামাজিক, আর্থিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠার কথা বোঝায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে ‘গণতান্ত্রিক’ শব্দটিতে সার্বিক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোটদান মারফত কেন্দ্র ও প্রাদেশিক আইনসভায় এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।
(গ) ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলা হয়েছে কেন?
উঃ। ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলতে বোঝায় ভারত রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো ধর্ম নেই। বিশেষ কোনো ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলা বা বিরোধিতা করা কোনোটিই ভারত রাষ্ট্র করবে না। ভারত রাষ্ট্রের মধ্যে প্রতিটি নাগরিক অন্যের ধর্মবিশ্বাসকে আঘাত না করে তাঁর নিজের বিশ্বাসমতো ধর্মাচরণ করতে পারবেন।
(ঘ) মহাত্মা গান্ধি দলিতদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কী কী উদ্যোগ নিয়েছিলেন?
উঃ। মহাত্মা গান্ধি ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে অসহযোগ প্রস্তাবে অস্পৃশ্যতা দূরীকরণকে স্বরাজ অর্জনের জরুরি শর্ত বলে মনে করেন। অসহযোগ আন্দোলন বন্ধ হবার পর গান্ধিজির এই আন্দোলনের প্রতি কারোরই বিশেষ আগ্রহ ছিল না। গান্ধিজি প্রধানত হিন্দু মন্দিরে হরিজনদের প্রবেশ করতে পারার অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেন। ফলে ধর্মীয় অধিকার পেলেও
আর্থিক, রাজনৈতিক অধিকার থেকে হরিজনরা বঞ্চিত ছিলেন।
ঙ) ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের কী কী মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে?
উঃ। ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের ছয়টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এইসব অধিকারগুলি হলোঃ সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, শিক্ষা ও সংস্কৃতির অধিকার, সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কোনো আইন ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি ক্ষুণ্ণ করতে পারে না।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০-১৬০টি শব্দ) ঃ
(ক) ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনাটি ব্যাখ্যা করো। প্রস্তাবনায় বর্ণিত সাধারণতন্ত্র শব্দটি কীভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে তোমার মনে হয়?
উঃ। ভারতীয় সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা আছে। এই প্রস্তাবনায় সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রস্তাবনাকে ‘সংবিধানের বিবেক’ বা সংবিধানের আত্মা বলা হয়। সংবিধানের মূল প্রস্তাবনায় ভারতকে একটি সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র’ বলা হয়েছে। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে সংবিধানের ৪২তম সংশোধনী অনুযায়ী ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি যোগ করে ভারতকে ‘সার্বভৌম সমাজতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সাধারণতন্ত্র’ বলে উল্লেখ হয়েছে। এই শব্দগুলির প্রত্যেকটির গভীর তাৎপর্য আছে। ‘সার্বভৌম’ বলতে বোঝায় ভারতবর্ষ অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে চরম ও চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। ‘সমাজতন্ত্র’ বলতে উৎপাদনের উপকরণগুলির ওপর রাষ্ট্র তথা সমাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠা এবং উৎপাদিত সম্পদের সমান ভাগ বোঝায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটিতে মিশ্র অর্থনীতি অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ব্যক্তি মালিকানা নির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
‘ধর্মনিরপেক্ষ' বলতে রাষ্ট্র কোনো বিশেষ ধর্মের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলবে না। প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাসঅনুসারে ধর্মাচরণ করতে পারবে।
ব্যাপক অর্থে ‘গণতন্ত্র’ বলতে সামাজিক-অর্থনৈতিক রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা বোঝায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে গণতন্ত্র বলতে মূলত প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকার বোঝানো হয়েছে। যেখানে ভোটের দ্বারা কেন্দ্র ও প্রদেশগুলির আইনসভায় প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।
‘সাধারণতন্ত্র’ বলতে বোঝায় বংশানুক্রমিকভাবে কোনো রাজা বা রানি নয়। রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানে থাকা রাষ্ট্রপতি জনগণের দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। ভারতীয় শাসনতন্ত্রের উৎস ও রক্ষক হলেন স্বয়ং ভারতীয় জনগণ। তাই ভারতবর্ষের।ক্ষেত্রে 'সাধারণতন্ত্র' শব্দটি উপযুক্তভাবে এবং সর্বত্রভাবে ব্যবহার হয়েছে।
(খ) ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্ম বিষয়ে আলোচনা করো। যথাক্রমে রাষ্ট্র ও রাজ্যের পরিচালনায় এঁদের ভূমিকা কী?
উঃ। প্রধানমন্ত্রী কাজ : ভারতীয় সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী হলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনিই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক প্রধান ঠিকই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীই প্রকৃত পরিচালক। লোকসভায় নির্বাচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বা নেত্রী প্রধানমন্ত্রীরুপে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্বাচিত হন। কোনো দল কিংবা জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে রাষ্ট্রপতি বিবেচনার দ্বারা লোকসভার সদস্যদের মধ্যে কাউকে প্রধানমন্ত্রীরূপে নিয়োগ করতে পারেন। তবে কিছুদিনের মধ্যেই তাকে লোকসভার অধিকাংশ সদস্যের সমর্থন অর্জন করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর হাতে একাধিক দপ্তর থাকতে পারে। রাষ্ট্রপতি তাঁর পরামর্শেই অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন। প্রধানমন্ত্রী হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম। মুখ্যমন্ত্রীর কাজ : ভারতে কেন্দ্রের ন্যায় রাজ্যেও সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চালু আছে। সেই সরকারের প্রধান হলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালকে সাহায্য ও পরামর্শ দেবার জন্য রাজ্যে একটি মন্ত্রীসভা থাকবে। মন্ত্রীসভার প্রধান হলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বা জোটের নেতা বা নেত্রীকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীরূপে নিযুক্ত করেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শমতো রাজ্যপাল অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীসভা তাঁদের কাজের জন্য বিধানসভার নিকট দায়বদ্ধ থাকেন।
(গ) পশ্চিমবঙ্গে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে কীভাবে গণতন্ত্রের ধারণা বিস্তৃত হয় ? তোমার স্থানীয় অভিজ্ঞতার নিরিখে আলোচনা করো।
উঃ। আমি হুগলি জেলার বাসিন্দা। আমার জেলায় স্বায়ত্তশাসন বন্দোবস্ত খুব চমৎকারভাবে কার্যকর হয়েছে। একে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থা বলে। এই স্বায়ত্তশাসব্যবস্থার তিনটি স্তর আছে। সবচেয়ে নীচে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার ওপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং এর ওপর জেলা পরিষদ।
গ্রাম পঞ্চায়েত ঃ এটি পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর। এই স্তরে পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী কতকগুলি গ্রাম বা গ্রামের সমষ্টি নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকা গঠিত হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে নিজ পঞ্চায়েত অধীনস্থ ভোটার হতে হবে। কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারী কর্মী হওয়া ব্যক্তি প্রার্থী হবার যোগ্য নন। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত
হন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেদের মধ্যে থেকে একজনকে প্রধান অন্যজনকে উপপ্রধান নির্বাচিত করেন। বর্তমানে পদটির ১/৩ মহিলা সদস্য ও জনসংখ্যার অনুপাতে তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য সংরক্ষিত।
পঞ্চায়েত সমিতি ঃ পঞ্চায়েত ব্যবস্থার দ্বিতীয় স্তর পঞ্চায়েত সমিতি। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একটি ব্লক তৈরি হয়। ব্লকের নাম অনুযায়ী পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ হয়। ব্লক উন্নয়নের দায়িত্ব পঞ্চায়েত সমিতির হাতে থাকে। ব্লক উন্নয়নের
দায়িত্ব পঞ্চায়েতের মতোই প্রার্থীর যোগ্যতা হবে। এর কার্যকাল ৫ বছর। এই সমিতির সদস্যগণ নিজেদের মধ্যে থেকে সভাপতি ও একজন সহসভাপতি নির্বাচিত করেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের মতোই ১/৩ মহিলা ও জনসংখ্যার অনুপাতে তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য সংরক্ষিত।
জেলা পরিষদ : ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের জেলা সংখ্যা ১৯ এবং তা ও দারি
৫ বছর। পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদের ক্ষেত্রেও তিনমাসে অন্তত একবার অধিবেশন ভাষা বাদে সকল জেলারই জেলাপরিষদ আছে। প্রার্থীর যোগ্যতামান গ্রাম PIR ও Tয়ত সমিতির ন্যায়। ও বাধ্যতামূলক। জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যগণ তাঁদের মধ্যে থেকে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতি নির্বাচিত করেন। উভয়েই পূর্ণসময়ের জন্য নির্বাচিত হন এবং কোনোরকম ব্যবসা, পেশায় বা লাভদায়ক সংস্থায় তিনি যুক্ত থাকতে পারেন না।
(ঘ) ভারতের সংবিধান নারীদের অধিকার কীভাবে সুরক্ষিত করেছে। নারীদের সামাজিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কতোটা জরুরী বলে তোমার মনে হয়। মুক্তি দিয়ে দেখো।
উঃ। ভারতীয় সংবিধানে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। তবু নারী ও পুরুষদের সমান চোখে দেখা হয় না। মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রেই অবহেলার শিকার হন। নারীদের শিক্ষার অধিকারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার ক্ষেত্রেও নারীদের সামাজিক ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। ২০০৫ সালে সংবিধানগতভাবে জমি ও সম্পত্তি রক্ষার ক্ষেত্রেও সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সমাজে ও পরিবারে মেয়েদের যেসব হিংসা, কঙ্কনা ও অত্যাচারের শিকার হতে হয়। তার প্রতিকার বিধানের জন্য পারিবারিক হিংসারোধ আইন ২০০৫ আনা হয়েছে। পরিবারের কোনো মহিলা যদি নির্যাতনের শিকার হন তবে এই আইনে তিনি সুরক্ষা পেতে পারেন। বিচার বিভাগীয় বিচারকের কাছে অত্যাচারিত মেয়েটি আবেদন করতে পারে। প্রতিটি জেলায় এখন সুরক্ষা আধিকারিক আছে, যার কাছে আবেদন করা যায়। অর্থনৈতিক পীড়ন ও মানসিক পী-এর অন্তর্ভূক্ত। মেয়েদের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আহ্নিক স্বাধীনতা অত্যন্ত জরুরি। শিক্ষার দ্বারা যেমন মানি বিকাশ হয় তেমনি আর্থিক স্বাধীনতা না থাকলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে বহু বাধা সৃষ্টি হয়। আর্থিক স্বাধীনতা যতছিল না পাওয়া সম্ভব হয় ততদিন নারীদের বহু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এই কারণে পারিবারিক হিসারোর আইনের আওতায় অর্থনৈতিক পীড়নকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। তাই নারীদের সমাজে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থনৈজিত অধিকার ফলপ্রসু হওয়া প্রয়োজন।
(ঙ) তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য নাগরিকদের উন্নয়নে নিভাবে ভূমিকা পালন করেছে।
উঃ। ভারতের জনসমাজের একটা বড় অংশ পশ্চাদপদ শ্রেণি' নামে পরিচিত ছিলেন। মূলত অস্পৃশ্য' নামে পরিচিত ব্যক্তিরা এই নামে পরিচিত হতেন। ভারতের সংবিধানে তফশিলি জাতি ও উপজাতির কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজ্যের ে আলোচনা করে তফশিলি জাতি ও উপজাতির একটি তালিকা তৈরি করতে পারেন। এই তালিকা কেন্দ্রীয় আই সংশোধিত হতে পারে। এইভাবে রাষ্ট্রপতির তরফে রাজ্যের তথ্যশিলি জাতি ও উপজাতির একটি তালিকা তৈরি করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেই মর্মে আইনও বলবৎ হয়েছে। যদিও তথযশীনি কারা সেই বিষয়ে সংবিধানে কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। পরবর্তীকালে অনগ্রসর শ্রেণির কয়েকটি মাপকাঠি সাদওয়া হয়। যেমন-
(১) হিন্দু মতে যারা সমাজের নীচুক্তরে অবস্থান করে। (২) শিক্ষার প্রচলন যাদের মধ্যে । (৩)
যারা চাকরি পেয়েছে। (৪) শিল্প বাণিজ্যের প্রসারও কম। এঁদেরকেই অন্য জাতি ও উপজাতি হলে। ভারতে এই জাতির সার্বিক উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সমস্ত মানুষের বাসস্থান-এর নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা এবং সকলের সমান মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব ভারতের সংবিধানের। পাশাপাশি জীবন-জীবিক ও শিক্ষার অধিকার স্বীকার করে নিয়ে সংবিধান মানবিক দায়বদ্ধতার দিকে নজর রেখেছে।
৫. কল্পনা করে লেখো (২০০টি শব্দের মধ্যে) :
(ক) তোমার স্থানীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা তোমায় গ্রাম পঞ্চায়েত বা পৌরসভায় নির্বাচন এলাকার উন্নতির জন্য তুমি কী কী ব্যবস্থা নেবে?
অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন:-গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি কে ছিলেন?
উঃ। গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি ছিলেন ড. রাজেন্দ্রপ্রসাদ।
প্রশ্ন:- সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যসংখ্যা কত জন ছিল?
উঃ। সংবিধানের খসড়া কমিটির সদস্যসংখ্যা ছিল ৭জন।
প্রশ্ন:-স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
উঃ। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।প্রশ্ন:-স্বাধীন ভারতের জন্ম কবে হয়?
উঃ। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন ভারতের জন্ম হয়।
প্রশ্ন:-কেন্দ্ৰীয় আইনসভা কী নিয়ে গঠিত?
উঃ। রাষ্ট্রপতি ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনসভা গঠিত
প্রশ্ন:-রাষ্ট্রের প্রকৃত পরিচালক কে?
উঃ। প্রধানমন্ত্রী হলেন রাষ্ট্রের প্রকৃত পরিচালক।
প্রশ্ন:-লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন কে?
উঃ। লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন স্পিকার।
প্রশ্ন:- সংবিধানটি কবে কার্যকর হয়?
উঃ। সংবিধানটি ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে কার্যকর হয়।
প্রশ্ন:- ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসন কত বছর ছিল?
উঃ। ভারতবর্ষে ১৯০ বছর ঔপনিবেশিক শাসন ছিল।
প্রশ্ন:-সংবিধানটি কোথায় গৃহীত হয়?
উঃ। সংবিধানটি গণপরিষদে গৃহীত হয়।
প্রশ্ন:-. গণপরিষদ কবে গঠিত হয়?
উঃ। গণপরিষদ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়।
প্রশ্ন:-প্রস্তাবনা কী?
উঃ। সংবিধানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য যেখানে বলা হয়েছে সেইটিই প্রস্তাবনা।
প্রশ্ন:-সাধারণতন্ত্র দিবস কবে পালিত হয়?
উঃ। ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ খ্রিঃ সাধারণতন্ত্র দিবস পালন হয়।
.প্রশ্ন:- বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সংবিধান কোনটি?
উঃ। ভারতের সংবিধানই বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো সংবিধান।
প্রশ্ন:-যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কোথায় আছে?
উঃ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা আছে।
প্রশ্ন:-মন্ত্রীসভাপরিচালিত শাসনব্যবস্থা কোথায় আছে?
উঃ। ইংল্যান্ডে মন্ত্রীসভা পরিচালিত শাসনব্যবস্থা আছে।
প্রশ্ন:-ভারতবর্ষ ছাড়াও আর কোথায় নির্দেশমূলক নীতি দেখা যায়?
উঃ। আয়ারল্যান্ডের সংবিধানে।
প্রশ্ন:-‘ধর্মনিরপেক্ষ' কথাটি সংবিধানে কবে যুক্ত হয়?
উঃ। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ৪২তম সংবিধান সংশোধনীতে ধর্মনিরপেক্ষ কথাটি সংবিধানে যুক্ত হয়।
প্রশ্ন:-সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটি কবে যুক্ত হয়?
উঃ। ১৯৭৬ খ্রিঃ ৪২তম সংবিধান সংশোধনীতে সমাজতান্ত্রিক শব্দটি যুক্ত হয়।
প্রশ্ন:-রাষ্ট্রপতি কত বছরের জন্য নির্বাচিত হন?
উঃ। রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হন।
প্রশ্ন:-উপরাষ্ট্রপতির কার্যকাল কত দিনের?
উঃ। উপরাষ্ট্রপতির কার্যকাল ৫ বছরের।
প্রশ্ন:-কেন্দ্রীয় আইনসভার কটি কক্ষ?
উঃ। কেন্দ্রীয় আইনসভার দুটি কক্ষ।
.প্রশ্ন:- কতজন সদস্য নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত?
উঃ। ২৫০ জন সদস্য নিয়ে রাজ্য সভা গঠিত।
প্রশ্ন:-রাজ্যের আইনসভার উচ্চকক্ষের কী নাম?
উঃ। রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষ হলো বিধান পরিষদ
প্রশ্ন:-রাজ্যসভায় কতজন ভারতীয় নাগরিককে রাষ্ট্রপতি নির্ধারিত করেন?
উঃ। ১২জন ভারতীয় নাগরিককে।
প্রশ্ন:-রাজ্যসভায় নির্বাচিত সদস্যের বয়সসীমা কত?
উঃ। অন্তত ৩০ বছর বয়স্ক ব্যক্তিই এই পদের যোগ্য।
প্রশ্ন:-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর বয়সসীমা কত?
উঃ। পদপ্রার্থীকে অন্তত ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে।
প্রশ্ন:-উপরাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থীর বয়সসীমা কত?
উঃ। পদপ্রার্থীকে অন্তত ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে।
প্রশ্ন:-ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ কোন্টি?
উঃ। ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ হলো লোকসভা।
প্রশ্ন:-বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা কত?
উঃ। বর্তমানে লোকসভার সদস্যসংখ্যা ৫৫২জন।
।
প্রশ্ন:-রাজ্য আইনসভার নিম্নকক্ষের কী নাম?
উঃ। রাজ্য আইনসভার নিম্নকক্ষকে বিধানসভা বলা হয়।
প্রশ্ন:-জেলা পরিষদের সভা কতদিন অন্তর ডাকতে হয়?
উঃ। জেলা পরিষদের সভা তিনমাস অন্তর ডাকতে হয়।
প্রশ্ন:-ভারতে প্রথম কবে ও কার সময়ে পৌরশাসন ব্যবস্থা চালু হয়?
উঃ। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে লর্ড রিপনের সময় ভারতে পৌরশাসন ব্যবস্থা চালু হয়।
প্রশ্ন:-রাজ্যপাল কার দ্বারা নিযুক্ত হন?
উঃ। রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিযুক্ত হন।
প্রশ্ন:- রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান কে?
উঃ। রাজ্যের নিয়মতান্ত্রিক প্রধান হলেন রাজ্যপাল।
প্রশ্ন:-পশ্চিমবঙ্গের বিধানপরিষদ কবে বিলুপ্ত হয়?
উঃ। পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে বিলুপ্ত হয়।
প্রশ্ন:-পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
উঃ। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শ্রী প্রফুল্ল ঘোষ।
প্রশ্ন:-পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসনের কটি বিভাগ?
উঃ। পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় স্বায়ত্ত্বশাসনের দুটি বিভাগ, গ্রামীন ও পৌর।
প্রশ্ন:-গ্রামীণ স্বায়ত্বশাসন ব্যবস্থার কী নাম?
উঃ। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নামে এটি পরিচিত।
প্রশ্ন:-পঞ্চায়েত ব্যবস্থার স্তর কটি?
উঃ। পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তিনটি স্তর।
প্রশ্ন:-পঞ্চায়েত ব্যবস্থার স্তরগুলি ক্রমান্বয়ে লেখো।
উঃ। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ।
প্রশ্ন:-গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের কী যোগ্যতা থাকবে?
উঃ। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে পঞ্চায়েত অধীনস্থ ভোটার হতে হবে।
প্রশ্ন:-গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় কে সভাপতিত্ব করেন?
উঃ। গ্রাম পঞ্চায়েতের সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রাম প্রধান
প্রশ্ন:-পঞ্চায়েত সমিতি কীভাবে গঠন হয়?
উঃ। কয়েকটি গ্রাম নিয়ে যে ব্লক তৈরি হয়, ব্লকের নামে পঞ্চায়েত সমিতির নামকরণ হয়।
প্রশ্ন:-পশ্চিমবঙ্গের কটি জেলায় জেলা পরিষদ আছে?
উঃ। ১৭টি জেলায় জেলা পরিষদ আছে।
প্রশ্ন:-পশ্চিমবঙ্গে কবে পৌরবিল তৈরি হয়?
উঃ। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে পৌরবিল তৈরি হয়।
প্রশ্ন:- পশ্চিমবঙ্গে কবে পৌরআইন তৈরি হয়?
উঃ। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে পৌরআইন তৈরি হয়।
প্রশ্ন:-. পারিবারিক হিংসাবোধ আইন কবে চালু হয়?
উঃ। ২০০৫ সাল থেকে।
প্রশ্ন:-পুনা চুক্তি’ কবে ও কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
উঃ। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি ও আম্বেদকারের মধ্যে 'পুনা চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়?
প্রশ্ন:-ভারতের নাগরিকদের কটি মৌলিক কর্তব্য?
উঃ। ১০টি মৌলিক কর্তব্য আছে।
প্রশ্ন:- কার নেতৃত্বে ভারতের সংবিধান রচিত হয়?
উঃ। ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের নেতৃত্বে ভারতের সংবিধান রচিত হয়।
প্রশ্ন:- সাধারণতন্ত্র দিবস কবে পালিত হয়?
উঃ। ২৬ জানুয়ারি ভারতে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন:- গণতন্ত্র কী? ভারতীয় সংবিধানে ‘গণতন্ত্র' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উঃ। গণতন্ত্র বলতে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা বোঝায়। ভারতীয় সংবিধানে।‘গণতন্ত্র’ বলতে মূলত প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের কথা বোঝানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোট দিয়ে কেন্দ্র ও প্রদেশগুলিরআ ইনসভার এবং বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিধি নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন:- ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক' শব্দটি কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
উঃ। সমাজতন্ত্র বলতে সাধারণত উৎপাদনের উপকরণগুলির ওপর রাষ্ট্র তথা সমাজের মালিকানা ও উৎপাদিত সম্পদের সমান ভাগকে বোঝায়। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় সমাজতান্ত্রিক শব্দটিকে অন্য অর্থে বোঝানো হয়েছে। যেখানে মিশ্র অর্থনীতির মাধ্যমে অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানা নির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন:-. গ্রাম পঞ্চায়েত ব্যবস্থার বিবরণ দাও।
উঃ। পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বনিম্ন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্তর হলো গ্রাম পঞ্চায়েত। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীকে অবশ্যই পঞ্চায়েত অধীনস্থ ভোটার হতে হয়। পঞ্চায়েত সদস্যরা সার্বিক প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে প্রধান ও উপপ্রধান পদটি ১/৩ মহিলা সদস্য ও জনসংখ্যার অনুপাতে তফশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে।
প্রশ্ন:-ভারতের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উঃ। ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি জাতির প্রতিনিধিত্ব করেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি এক বিশেষ পদ্ধতিতে
‘পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। একই ব্যক্তি একাধিকবার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে পারেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে।কমপক্ষে ৩৫ বছর বয়স্ক হতে হবে। ভারতীয় নাগরিকত্ব, রাজ্যসভার সদস্য হবার যোগ্যতা তাঁর থাকা দরকার। সরকারি কোনো লাভজনক পদে তিনি থাকতে পারবেন না।
প্রশ্ন:-কেন্দ্রীয় আইনসভার গঠন ও কাজের বিবরণ দাও।
উঃ। রাষ্ট্রপতি ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি আইনসভা নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা বা সংসদ গঠিত। কেন্দ্ৰীয়।আইনসভার উচ্চকক্ষকে বলা হয় রাজ্যসভা। ভারতীয় সংবিধান অনুসারে অনধিক ২৫০ জন সদস্য নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত হয়। ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষের নাম লোকসভা। সার্বিক প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে জনগণের
দ্বারা লোকসভার সদস্যরা নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় আইনসভা আইন রচনা, সংবিধান সংশোধন, করের হার নির্দিষ্ট করা।প্রভৃতি নানা কাজ করে থাকেন।
প্রশ্ন:-. ভারতবর্ষে সংবিধান রচনার দাবি ওঠে কেন?
উঃ। ভারতবর্ষ যখন ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল তখন ব্রিটিশ সরকারের আইন অনুযায়ী ভারত শাসন করা হতো। সেখানে ভারতীয়দের চাওয়া পাওয়ার কোনো প্রতিফলন ঘটত না। এই কারণে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর থেকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ ভারতীয়দের জন্য একটি সংবিধান রচনার দাবি তুলতে থাকেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে ভারতবাসীর কিছু কিছু দাবি মেনে নিলেও প্রশাসনের মূল নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখেন। তবে আন্দোলনের চাপে ভারতবাসীর জন্য স্বাধীনতা ও সংবিধানের দাবিকে মেনে নিয়ে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে একটি সংবিধান সভা গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করেন, যে সভার কাজ হবে ভারতের জন্য একটি সংবিধান রচনা করা। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে গঠিত গণপরিষদের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত হন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। বি. আর আম্বেদকারের নেতৃত্বে গঠিত সাতজনের একটি খসড়া কমিটি সংবিধান রচনার কাজটি করে।