ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস ৭ অধ্যায় অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর ভেবে দেখো খুঁজে দেখো - Online story

Sunday 20 August 2023

ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস ৭ অধ্যায় অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর ভেবে দেখো খুঁজে দেখো

 



ইতিহাস ৮ অধ‍্যায় দেখুন
ষষ্ঠ শ্রেণি ইতিহাস ৭ অধ্যায় অনুশীলনী প্রশ্নের উত্তর ভেবে দেখো খুঁজে দেখো

৬ অধ‍্যায় দেখুন

১ নীচের বিবৃতিগুলির সঙ্গে কোন ব্যাখ্যাটি সব থেকে বেশি মানানসই বেছে বের করো।
( ১.১ ) :  মৌর্য পরবর্তী যুগে অনেকগুলি গিল্ড গড়ে উঠেছিল।
ব‍্যাখ‍্যা ১) ব্যবসাবাড়ির জন্য বিড় তুলেছিলেন।

২.কারিগর ও ব্যবসায়ীরা গিল্ড গড়ে তুলেছিলেন।

৩.সাধারণ মানুষ টাকা লেনদেন ও গচ্ছিত রাখার জন্য গিল্ড গড়ে তুলেছিলেন।

উত্তর: (২) কারিগর ও ব্যবসায়ীরা গিল্ড গড়ে তুলেছিলেন।


২.২ বিবৃতি -দ‍্যাখিণাত‍্যে ভালো তুলোর চাষ হত‌

ব‍্যাখ‍্যা ১). দ‍্যাখিণাত‍্যে কালো মাটি তুলো চালের পক্ষে ভালো ছিল।
২) দ‍্যাখিণাত‍্যে  সমস্ত কৃষক শুধু তুলোর চাষ করছেন।
৩).দ‍্যাখিণাত‍্যে মাটিতে অন্য কোনো ফল হত না।

উ। ব্যাখ্যা : (১)দ‍্যাখিণাত‍্যে কালো মাটি তুলো চাষের পক্ষে ভালো ছিল।


২.সঠিক শব্দটি নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো
২.১ জনপদ হল ----(কৃষিভিত্তিক/শিল্পভিত্তিক/ শ্রমিকভিত্তিক) গ্রামীণ এলাকা।
উত্তর-কৃষিভিত্তিক

২.২ )  মৌর্য আমলে অর্থনৈতি মূলত--(শিল্পের/কৃষির/ব্যাবসা বাণিজ্যের) উপর নির্ভর করত
উত্তর-কৃষির

(2.3)  গুপ্ত ও গুপ্ত পরবর্তী আমলে ধর্মীয় উদ্দেশ্যে জমিদানকে বলা হয় ---(সামন্ত /বেগার/অগ্ৰাহার)
উত্তর-অগ্ৰাহার

৩। নিজের ভাষায় তেনে লেখো (তিন/চার), লাইসে
৩.প্রথম (হরপ্পা) ও দ্বিতীয় নগরায়ণ (মহাজনপদ)-এর মধ্যে কোন ধরনের পার্থক্য তোমার নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিল
চোখে পড়ে।

উত্তর। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস থেকে জানা যায় যে,
প্রথম ও দ্বিতীয় নগরায়ণের মধ্যে যে পার্থক্যগুলো লক্ষ করা যায় তা হল-
(১) পশ্চিম ভারতে বিশেষত সিন্ধুনদের উপত্যকায় প্রথম নগরায়ণ হয়েছিল। অপরদিকে উত্তর ভারতে বিশেষত
গঙ্গা নদীর উপত্যকায় দ্বিতীয় নগরায়ণ হয়েছিল।
(i) প্রথম নগরায়ণ হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ১৬০০ অব্দে। অন্যদিকে দ্বিতীয় নগরায়ণ হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে।
(1) প্রথম নগরায়ণের নগরগুলি পোড়া ও রোদে শুকোনো ইট দিয়ে তৈরি হয়েছিল। অপরদিকে দ্বিতীয় নগরায়ণে ব্যবহার করা হয়েছিল পাথর, মাটি ও ইট।


(৩.২) প্রাচীন ভারতে জলসেচ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল কেন? সে যুগের জলসেচ ব্যবস্থার মধ্যে আজকের দিনের জলসেচ ব্যবস্থার কোনো পার্থক্য তোমার চোখে পড়ে কি?
উত্তর। প্রাচীন ভারতে মানুষের সমাজ ও অর্থনৈতিক জীবন নির্ভর করত কৃষির উপর। ভালো কৃষির জন্য দরকার হত উপযুক্ত পরিমাণে জল। কৃষিকাজে অনিয়মিত বৃষ্টির উপর নির্ভর করা যেত না তাই প্রাচীন ভারতে জলসেচ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।
প্রাচীন জলসেচ ব্যবস্থার সঙ্গে আজকের দিনের জলসেচ ব্যবস্থার যে যে পার্থক্যগুলো চোখে পড়ে, তা।নিম্নরূপ-
(i) প্রাচীন ভারতে দৈহিক শক্তি বা পশুচালিত যন্ত্রের সাহায্যে জলচে করা হত। আজকের দিনে বিদ্যুৎত্তালিত।পাম্পের সাহায্যে জলসেচ করা হয়।
(ii) প্রাচীন ভারতের জলসেচ প্রকল্পগুলিকে বলা হত সেতু। কৃত্রিম উপায়ে অন্য এলাকা থেকে জল আনিয়েও আজকের দিনে বড়ো বড়ো নদীগুলিকে একসাথে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে আর তার থেকে ছোটো নদী বানানো হচ্ছে এবং জমির আশপাশ দিয়ে খাল কেটে জলসেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সেখানে পাম্পের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যেখানে এরূপ ব্যবস্থা নাই সেখানে ডিপ, মিনি ডিপ টিউবওয়েল বসিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
(iii) প্রাচীনকালে অল্প পরিমাণ জমিতে জলসেচের ব্যবস্থা ছিল। আজকের দিনে অনেক বেশি চাষজমি জলসেচের আওতায় এসেছে।




(৩.৩) খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে কৃষির পদ্ধতি ও উৎপাদিত ফসলের মধ্যে কী কী তফাত দেখা যায়?
উত্তর। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর ও দক্ষিণ আগে কৃষির পদ্ধতিগত্ তফাত: ভারতের উত্তর অংশে কৃষিকাজের জন্য দা, কুড়ুল, কুঠার ও অন্যান্য জিনিসপত্রের সাথে লোহার লাঙলের ফলার ব্যবহার হত কিন্তু দক্ষিণ ভারতে লোহার জিনিসপত্র কৃষিকাজে ব্যবহার করা হত ঠিকই, কৃষিকাজে লোহার তৈরি লাঙলের ফলার ব্যবহার হত না। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে উৎপাদিত ফসলের তফাত- ভারতের উত্তর অংশের প্রধান ফসল ছিল ধান, গম, যব, আখ ইত্যাদি। ভারতের দক্ষিণ আশে প্রধান ফসল ছিল কার্পাস, শন, সুপারি, নারকেল, নানারকমের মশলা ইত্যাদি। উত্তর ভারতের উর্বর জমিতে যে ধান চাষ হত তার মধ্যে সেরা ধান হল শালিধান আর দক্ষিণ ভারতে সেরা ফসল হল তাপসি তুলো, গোলমরিচ।