রচন-শিক্ষক দিবস/সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন
রচনা
শিক্ষক দিবস/সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন
ভূমিকা : শিক্ষকগণ দেশ ও জাতিকে গড়ে তোলেন। শিক্ষকদের সেই অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমাদের দেশে প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক।দিবস পালন করা হয়। ওই দিন সর্বপল্লী রাধাকয়নের জন্মদিন।
জন্ম, বংশ-পরিচয় ও শিক্ষা : জন্ম মাদ্রাজে, ১৮৮৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ সেপ্টেম্বর। তাঁর বাবার নাম সর্বপল্লী বীরস্বামী, মায়ের নাম সীতাম্মা। তাঁর শিক্ষা শুরু কে. ভি. হাইস্কুলে। শিক্ষাজীবনে তিনি স্কলারশিপ পেয়েছেন। তিনি ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজ প্রেসিডন্সি কলেজে, তারপর মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে
দর্শনের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। ১৯২৬-এ তিনি হার্ভার্ডে ম্যাস্টোর কলেজে হার্ভার্ড বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। তিনি অন্ধ্র
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। দর্শন ও ধর্মের উপর তাঁর বহু
লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নানা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৩১-এ নাইটহুড, ১৯৫৪-তে ভারতরত্ন, ১৯৬৩-তে ব্রিটিশ রয়্যাল
অর্ডার অফ মেরিট-এ সাম্মানিক সদস্যপদ লাভ করেছেন। এছাড়া আরও বহু পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। তিনি ছিলেন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি হন । ১৯৬২ থেকে ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্ পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।
শিক্ষক দিবস : -যখন রাধাকৃয়ান ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখন তাঁর কিছু ছাত্র ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন পালন করার অনুমতি চাইলে তিনি ওই দিন তাঁর জন্মদিন পালনের পরিবর্তে শিক্ষক দিবস পালনের কথা বলেন। সেই থেকে তাঁর জন্মদিন আমাদের দেশে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা
হয়ে আসছে। প্রতি বছর ওই দিনটি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়। শিক্ষক দিবস পালনের মাধ্যমে দেশের শিক্ষকসমাজকে সম্মান জানানো হয়। ওই দিন কিছু নির্বাচিত শিক্ষককে পুরস্কৃত করা হয়।
উপসংহার : আদর্শ শিক্ষক সর্বপল্লী রাধাকৃয়নের জন্মদিনকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। এর মাধ্যমে একদিকে রাধাকৃষনকে স্মরণ করা হয়, অপরদিকে শিক্ষকসমাজকে সম্মান জানানো হয়। তাই এটি জাতির জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।