অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাত অধ‍্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Thursday 3 August 2023

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাত অধ‍্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 


৯ অধ‍্যায় প্রশ্নের উত্তর দেখুন

৮ অধ‍্যায় প্রশ্নের উত্তর দেখুন



অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাত অধ‍্যায় 

অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর


ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আর্দশ ও বিবর্তন

ভেবে দেখো - খুঁজে দেখো


১. নীচের বিবৃতিগুলির সঙ্গে তার নীচের কোন ব্যাখ্যাটি সবচেয়ে মানানসই খুঁজে নাও ঃ

(ক) বিবৃতি ঃ গান্ধি পাশ্চাত্য আদর্শের বিরোধী ছিলেন।

ব্যাখ্যা ১ ঃ গান্ধি রক্ষণশীল মানুষ ছিলেন।

ব্যাখ্যা ২ : গান্ধি মনে করতেন পাশ্চাত্য আদর্শ ভারতের প্রকৃত স্বরাজ অর্জনের পথে বাধা।

ব্যাখ্যা ৩ : গান্ধি চাইতেন সমস্ত ভারতের মানুষ সরল জীবনযাপন করুক।


উঃ। গান্ধি মনে করতেন পাশ্চাত্য আদর্শ ভারতের প্রকৃত স্বরাজ অর্জনের পথে বাধা।




(খ) বিবৃতি ঃ ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে রাওলাট আইন তৈরি করা হয়েছিল।

ব্যাখ্যা ১ঃ ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধির প্রভাব কমানোর জন্য।

ব্যাখ্যা ২ : ব্রিটিশ-বিরোধী ক্ষোভ ও বিপ্লবী আন্দোলনগুলি দমন করার জন্য।

ব্যাখ্যা ৩ : ভারতীয়দের সাংবিধানিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য।


উঃ। ব্রিটিশ বিরোধীক্ষোভ ও বিপ্লবী আন্দোলনগুলি দমন করার জন্য।





(গ) বিবৃতি ঃ গান্ধিজি খিলাফৎ আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন।

ব্যাখ্যা ১ ঃ ভারতের জাতীয় আন্দোলনে মুসলমানদের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায় করার জন্য।

ব্যাখ্যা ২ : তুরস্কের সুলতানের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর জন্য।

ব্যাখ্যা ৩ : মুসলমান সমাজের উন্নতির দাবি জোরালো করে তোলার জন্য।


উঃ। ভারতের জাতীয় আন্দোলনে মুসলমানদের সমর্থন ও সহযোগিতা আদায়ের জন্য।



(ঘ) বিবৃতি ঃ ভারতীয়রা সাইমন কমিশন বর্জন করেছিল।

ব্যাখ্যা ১ : ভারতীয়রা স্যর জন সাইমনকে পছন্দ করত না।

ব্যাখ্যা ২: স্যর জন সাইমন ছিলেন ভারতীয়দের বিরোধী।

ব্যাখ্যা ৩ঃ সাইমন কমিশনে কোনো ভারতীয় প্রতিনিধি ছিলেন না।

ব্যাখ্যা ৩ঃ সাইমন কমিশনে কোনো ভারতীয় প্রতিনিধি ছিলেন না।





(ঙ) বিবৃতি ঃ সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্বভার নেন।

ব্যাখ্যা ১ ঃ রাসবিহারী বসুর অনুরোধ রক্ষা করার জন্য।

ব্যাখ্যা ২ : আজাদ হিন্দ বাহিনীর সাহায্যে ব্রিটিশ অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য।

ব্যাখ্যা ৩: জাপান সরকারকে সাহায্য করার জন্য।


ব্যাখ্যা ১ ঃ রাসবিহারী বসুর অনুরোধ রক্ষা করার জন্য।



. ক স্তম্ভের সাথে খ স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :

উত্তর

বিহারের চম্পারন  -     কৃষক আন্দোলন

স্বরাজ্য দল           -     চিত্তরঞ্জন দাশ

বিনয়-বাদল-দীনেশ -     অলিন্দ যুদ্ধ

ভগৎ সিং -      -      -     লাহোর ষড়যন্ত্র    

                                       মামলা

পট্টভি সীতারামাইয়া -     হরিপুরা কংগ্রেস








৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০ শব্দ):

(ক) দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দোলন মহাত্মা গান্ধির রাজনৈতিক জীবনে কী প্রভাব ফেলেছিল?

উঃ। দক্ষিণ আফ্রিকায় গান্ধিজির রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়েছিল। ভারতবর্ষে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার আগে গান্ধিজি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য বিরোধী একটি আন্দোলন চালিয়েছিলেন। সেখানে বিভিন্ন ধর্ম-ভাষা-অঞ্চলের মানুষকে

সঙ্গে নিয়ে তিনি লড়াই চালান। সেই আন্দোলন থেকেই ধীরে ধীরে গান্ধিবাদী ‘সত্যাগ্রহ’-র ধারণা তৈরি হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার আন্দোলনের সুবাদে গোড়া থেকেই গান্ধির একটা সর্বভারতীয় ভাবমূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছিল।





(খ) গান্ধির সত্যাগ্রহ আদর্শের মূল ভাবনা কী ছিল?

উঃ। গান্ধি মনে করতেন সত্যের খোঁজ করাই মানবজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য, ফলে সত্যের প্রতি আগ্রহ বা সত্যের প্রতি নিষ্ঠা রাজনৈতিক আন্দোলনের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। তাঁর মতে সত্য পালনের পথ হলো শান্তিপূর্ণ ও অহিংস হিংস্রপথে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের পন্থাকে গান্ধিজি মানতেন না। তিনি মনে করতেন অহিংস ও সত্যাগ্রহের আদর্শ জনগণকে কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।




(ঙ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনে মাতঙ্গিনী হাজরার ভূমিকা কী ছিল?

উঃ। ৭০ বছরের মাতঙ্গিনী হাজরা ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নেন। তাঁর নেতৃত্বে আন্দোলন জোরদার হয়ে ওঠে। মেদিনীপুর জেলার তমলুকের বৃদ্ধা বিদ্রোহিনীর নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সমর্থনে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষের মহামিছিল তমলুক থানা ও আদালত ভবন দখল করার জন্য অগ্রসর হয়। এই সময় পুলিশের গুলিতে মাতঙ্গিনী হাজরা মারা যান। তাঁর এই আত্মত্যাগ পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণা জোগায়।




(গ) স্বরাজ্যপন্থীদের মূল দাবিগুলি কী ছিল?

উঃ স্বরাজপন্থীদের দাবি ছিল সরকারি আইন পরিষদকে বয়কট না করে তাতে অংশ নেওয়া উচিত। এইভাবে সরকারি নীতি ও কাজে বাধা দেওয়া যাবে। অর্থবিল বা বাজেট প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা। জাতীয় স্বার্থের পরিপুরক বিল ও প্রস্তাব উত্থাপন করে সরকারকে বিব্রত করা। সরকারি অর্থনৈতিক শোষণ বন্ধ করা।


(ঘ) কাকে কেন সীমান্ত গান্ধি বলা হত?

উঃ। খান আবদুল গফফর খানকে সীমান্ত গান্ধি বলা হয়। গান্ধির অনুগামী হওয়ায় তাঁকে সীমান্ত গান্ধি বলা হয়।



৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০-১৬০টি শব্দ ) :

(ক) গান্ধির অহিংস সত্যাগ্রহের আদর্শটি ব্যাখ্যা করো। ঐ আদর্শের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রথমদিকে নরমপন্থীদের আদর্শের একটি তুলনামূলক আলোচনা করো।



উঃ। গান্ধির সত্যাগ্রহ ও অহিংসার আদর্শটি পরস্পর সম্পর্কিত। এই দুটিকে একসঙ্গে “অহিংসা সত্যাগ্রহ” ও বলা হয়। গান্ধি মনে করতেন সত্যের খোঁজ করাই মানবজীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য। ফলে সত্যের প্রতি আগ্রহ বা সত্যের প্রতি নিষ্ঠা রাজনৈতিক আন্দোলনেরও চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। রাজনৈতিক প্রতিবাদ-প্রতিরোধের পথকেও গান্ধি সমালোচনা করেন। গান্ধিজির আদর্শের সঙ্গে প্রথমদিকের নরমপন্থী নেতাদের কিছু অমিল দেখা যায়। গান্ধিজি গণ আন্দোলনের উপর জোর দিতেন, তাঁর ডাকে কৃষক, শ্রমিক, কারিগর, নারী-পুরুষ সবই এক পতাকাতলে এসে দাঁড়িয়েছিল। তিনি চেয়েছিলেন হরতাল বিক্ষোভের পাশাপাশি নানা জায়গায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছিল। বিভিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অচল করে দেওয়া হয়। এমনকি কয়েকটি অঞ্চলে আন্দোলনকারীরা ‘জাতীয় সরকার’ তৈরি করেছিলেন। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত নৌ বিদ্রোহ অবশ্যই ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের অংশ। ভারত ছাড়ো আন্দোলন, আজাদ।হিন্দ ফৌজের কার্যাবলী, সেনানায়কদের দিল্লিতে বিচারের নামে প্রহসন এই সবকিছুই ভারতীয় নৌসেনা, স্থলসেনা সবাইকেই কম বেশি প্রভাবিত করেছিল। তাই স্থলবাহিনী নিরস্ত্র সত্যাগ্রহীদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকার করে। নৌসেনারা ইংরেজদের অত্যাচার, বৈষম্য মেনে নিতে অস্বীকার করে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহে অংশ নেয়। ভারতের সাধারণ মানুষ বিদ্রোহীদের পাশে এসে দাঁড়ায়। সেনা ও সাধারণ মানুষ একযোগে ইংরেজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। এই অভূতপূর্বদৃশ্য অন্য কোনো দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে দেখা যায়নি। এককথায় এই আন্দোলন ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করেছিল। বস্তুত নৌ-বিদ্রোহই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অবসানের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়।




● অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

প্রশ্ন :;-গান্ধিজির পুরো নাম কী? 

উঃ। গান্ধিজির পুরো নাম মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধি।



প্রশ্ন :;-জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডটি কত খ্রিস্টাব্দে ঘটেছিল? 


উঃ। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল।



প্রশ্ন :;-কবে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটেছিল?

 উঃ। বিংশ শতকের প্রথমভাগে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটেছিল।


প্রশ্ন :;- ভারতবর্ষে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার আগে গান্ধিজি কোথায় কোন্ আন্দোলন চালিয়েছিলেন?

উঃ। ভারতবর্ষে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার আগে গান্ধিজি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য বিরোধী একটি আন্দোলন।চালিয়েছিলেন।



প্রশ্ন :;-গুজরাটের কোথায় গান্ধিপন্থী আন্দোলন শুরু হয়? 

উঃ। গুজরাটের খেড়া জেলায় গান্ধিপন্থী সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু হয়।



প্রশ্ন :;-কোন্ বিষয়কে কেন্দ্র করে গান্ধি সর্বভারতীয় স্তরে আন্দোলনের পরিকল্পনা করেন?

উঃ। রাওলাট আইন চালু করাকে কেন্দ্র করে গান্ধি সর্বভারতীয় স্তরে আন্দোলনের পরিকল্পনা করেন।



 প্রশ্ন :;-কংগ্রেসের মধ্যে কোন্ নতুন গোষ্ঠী তৈরি হয়ে হয়েছিল?

উঃ। কংগ্রেসের মধ্যে স্বরাজ্যপন্থী নামে একটি নতুন গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল।


প্রশ্ন :;- কত খ্রিস্টাব্দে কার নেতৃত্বে কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ অর্জনের কথা ঘোষণা করেন?

উঃ। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেস পুর্ণ স্বরাজ অর্জনের কথা ঘোষণা করেন।


প্রশ্ন :;- কত খ্রিস্টাব্দে কাদের মধ্যে দিল্লি চুক্তি হয়েছিল?

উঃ। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে গান্ধি ও লর্ড আরউইনের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তাকে দিল্লি চুক্তি বলা হয়।



প্রশ্ন :;-ইসলাম জগতের খলিফা কে ছিলেন?

উঃ। তুরস্কের সুলতান ইসলাম জগতের খলিফা ছিলেন।




প্রশ্ন :;-কার নেতৃত্বে সিলেট, মৈমনসিংহ প্রভৃতি অঞ্চলে কৃষক আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল?

উঃ। মৌলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানির নেতৃত্বে।



প্রশ্ন :;-কারা কবে রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ করেন?

উঃ। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণ করেন।



প্রশ্ন :;- চন্দ্রশেখর আজাদ কোথায় কোন্ পার্টি গড়ে তোলেন?

উঃ। চন্দ্রশেখর আজাদ পাঞ্জাবে 'হিন্দুস্থান রিপাবলিকান পার্টি’ গড়ে তোলেন।



প্রশ্ন :;-ভগৎ সিং নিজে কোন্ সংগঠন গড়ে তোলেন? উঃ। নওজোয়ান ভারত সভা সংগঠন।



প্রশ্ন :;-কোন্ কথাটিকে ভগৎ সিং ও তাঁর অনুগামীর জনপ্রিয় করেন?

উঃ। ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বা ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক’ এই কথাটিকে ভগৎ সিং ও তাঁর অনুগামীরা জনপ্রিয় করেন।


প্রশ্ন :;-কার নেতৃত্বে ও কোথায় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়?

উঃ। সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে মেদিনীপুরের তমলুক মহকুমায় তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠিত হয়।



প্রশ্ন :;-কে ভারতকে ‘যুদ্ধরত দেশ’ বলে ঘোষণা করেন?

উঃ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভাইসরয় লর্ড লিনলিথগো ভারতকে ‘যুদ্ধরত দেশ’ বলে ঘোষণা করেন।


প্রশ্ন :;-ফরওয়ার্ড ব্লক’ কে তৈরি করেছিলেন?

উঃ। সুভাষচন্দ্র বসু ত্রিপুরি কংগ্রেসের সভাপতির পদ পদত্যাগ করে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ নামে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করেন।



প্রশ্ন :;- ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজি কোথা থেকে ভারতে ফেরেন?

 উঃ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফেরেন।



প্রশ্ন :;-কত সালে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ঘটে? উঃ। ১৯২১ সালে অহিংস অসহযোগ আন্দোলন ঘটে।



প্রশ্ন :;-কে কবে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন?

উঃ। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে রাসবিহারী বসু জাপানে যুদ্ধবন্দি ভারতীয় সৈনিকদের নিয়ে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন।



প্রশ্ন :;-বেনিতো মুসোলিনি কে ছিলেন? তাঁর কোন্ প্রকল্পগুলি সুভাষকে উৎসাহিত করে?

উঃ। বেনিতো মুসোলিনি ছিলেন ইতালির রাষ্ট্রপ্রধান। তাঁর দুর্নীতি দুরীকরণ ও সামাজিক প্রকল্পগুলি সুভাষকে উৎসাহিত করে।


প্রশ্ন :;-সাইমন কমিশনকে ফিরে যাওয়ার জন্য জনগণ কী করেছিল?


উঃ। দেশজোড়া বিভিন্ন হরতালে কমিশনকে কালো পতাকা দেখিয়ে আওয়াজ তোলা হয়েছিল ‘সাইমন ফিরে যাও’।



প্রশ্ন :;-কত খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়? 

উঃ। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়।


 প্রশ্ন :;-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে কোন্ মামলা শুরু হয়? 

উঃ। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা।



প্রশ্ন :;-ভগৎ সিং কেন স্যান্ডার্সকে হত্যা করেন?

উঃ। লালা লাজপত রায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভগৎ সিং স্যান্ডার্সকে হত্যা করেন।



প্রশ্ন :;-চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন কত খ্রিস্টাব্দে কার নেতৃত্বে হয়?

উঃ। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন হয়।



প্রশ্ন :;- ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে কে কে কেন্দ্রীয় আইনসভা কক্ষে বোমা ফেলেন?

উঃ। ভগৎ সিং ও বটুকেশ্বর দত্ত কেন্দ্রীয়

আইনসভা কক্ষে বোমা ফেলেন।



প্রশ্ন :;-কে, ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ ডাক দিয়েছিলেন?

 উঃ। ‘করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে’ ডাক দিয়েছিলেন গান্ধিজি।



প্রশ্ন :;-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কোন্ কোন্ দেশ দুটি দলে ছিল?

উঃ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে একদিকে ছিল জার্মানি, ইতালি ও জাপান। আর অন্যদিকে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও সোভিয়েত রাশিয়া।



প্রশ্ন :;-কত খ্রিস্টাব্দে চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু হয়?

 উঃ। ১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জন দাশের মৃত্যু হয়।



প্রশ্ন :;-কবে রাওলাট আইন সংঘটিত হয়? 

উঃ। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে রাওলাট আইন সংঘটিত হয়।



প্রশ্ন :;-দিল্লির লালকেল্লায় কাদের ‘দেশদ্রোহী' বলে অভিযুক্ত করা হয়?

উঃ। পি. কে. সেহগাল, জি. এস. ধিলো, শাহনওয়াজ খানকে দিল্লির লালকেল্লায় ‘দেশদ্রোহী' বলে অভিযুক্ত করা হয়।



প্রশ্ন :;-কত খ্রিস্টাব্দে নৌ-বিদ্রোহ ঘটে? কারা এই বিদ্রোহ শুরু করেন?

উঃ। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে নৌ-বিদ্রোহ ঘটে। 'তলোয়ার জাহাজের সেনারা এই বিদ্রোহ শুরু করেন।



প্রশ্ন :;-কে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য কোন উপাধি ত্যাগ করেন?

উঃ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য ‘স্যার’ উপাধি ত্যাগ করেন।



প্রশ্ন :;-চৌরিচৌরা গ্রাম কোন জেলায় অবস্থিত?

উঃ। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলায় চৌরিচৌরা গ্রাম অবস্থিত।



প্রশ্ন :;- স্বরাজ্য দল কে কে গঠন করেন?


উঃ। স্বরাজ্য দল গঠন করেন চিত্তরঞ্জন দাশ ও মোতিলাল নেহেরু।



প্রশ্ন :;-খান-আবুদল-গফফর খানের বাহিনীর নাম কী ছিল? 

উঃ। খুদাই-খিদমদগার।




● সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :


প্রশ্ন :;-. সাইমন কমিশন কী? কেন ভারতীয়রা এর বিরোধ করে?

উঃ। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে ঔপনিবেশিক সরকার ভারতীয়দের সাংবিধানিক অধিকার খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিশন।তৈরি করে। স্যার জন সাইমনের নেতৃত্বে ওই কমিশন ভারতে আসে। এই কমিশনে কোনো ভারতীয় সদস্য না থাকায় ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক সংগঠনগুলি সাইমন কমিশনের বিরোধিতা করে। পাশাপাশি নানা স্তরে গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে। দেশের বিভিন্ন হরতালে কমিশনকে কালো পতাকা দেখিয়ে ‘সাইমন ফিরে যাও’ আওয়াজ তোলা হয়।


প্রশ্ন :;- ‘ডান্ডি অভিযান’ কী?

উঃ। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজির নেতৃত্বে কংগ্রেস পূর্ণ স্বরাজ অর্জনের কথা ঘোষণা করে এবং আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দেয়। আমেদাবাদের সবরমতী আশ্রম থেকে অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে গান্ধিজি দীর্ঘদিন পদযাত্রা করে গুজরাটের ডান্ডি নামক স্থানে পৌঁছে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৩ এপ্রিল লবণ আইন ভঙ্গ করেন। ইতিহাসে এই ঘটনা ‘ডান্ডি

অভিযান’ নামে পরিচিত। সমুদ্রের তটভূমিতে একমুঠো লবণ তুলে গান্ধি প্রতীকীভাবে ভারতবর্ষে ঔপনিবেশিক শাসনকে অস্বীকার করেন।