চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা বাঘা যতীন পৃথ্বীন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
বাঘা যতীন
পৃথ্বীন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১. পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কার দৌহিত্র?
উঃ বাঘাযতীনের দৌহিত্র পৃথ্বীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
২. তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ তাঁর লেখা একটি বই হল ‘আলোর চকোর'।
৩. শিলাইদা শব্দটি এসেছে ‘শিলাইদহ’ থেকে। অর্থাৎ ‘দহ’ পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে ‘দা’। নীচের নামগুলি পরিবর্তিত হয়ে কী হবে লেখো :
উঃ শিয়ালদহ—শিয়ালদা।
বেলদহ-বেলদা।
খড়দহ—খড়দা।
এরকম কয়েকটি শব্দ তুমি জানো লেখো।
খেজুরদহ—খেজুরদা।
ডুমুরদহ – ডুমুরদা।
৪. জ্যোতিকে মা যে যে গল্প শোনান-
উঃ রামায়ণ,মহাভারত, পুরাণের গল্প, প্রতাপাদিত্যের কাহিনি।
৫. নীচের দুটি স্তম্ভের শব্দগুলিকে বিপরীত শব্দ অনুযায়ী মেলাও :
শেষ- শুরু
দিবস-রাত্রি
অপেক্ষা-অনপেক্ষা
জোয়ার- ভাটা
শান্ত -দুরন্ত , অশান্ত
দুঃখ -সুখ
স্বাধীনতা-পরাধীনতা
৬. জ্যোতি যে যে চরিত্রে অভিনয় করতে ভালোবাসে সেগুলির নাম লেখো।
উঃ জ্যোতি যে চরিত্রে অভিনয় করতে ভালোবাসে সেগুলির নাম হল ভক্ত হনুমান, লক্ষ্মণ, রাজা হরিশচন্দ্র, বীর প্রতাপাদিত্য। বহুবার তাকে দেখা গিয়েছে বড়োমামার পাগড়ি চুরি হনুমানের লেজ বানাতে।
১০. একটি বাক্যে উত্তর দাও
১০.১, জ্যোতির মায়ের নাম কী?
উঃ জ্যোতির মায়ের নাম শরাণী।
১০.২. মা জ্যোতিকে কোন নদীতে স্নান করাতে নিয়ে যেতেন?
উতর-মা জ্যোতিকে গড়ুই নদীতে পান করতে নিয়ে যেতেন।
১০.৩ রবি ঠাকুরের ভাইপো কে?
উঃ রবি ঠাকুরের ভাইপো সুরেন।
১০.৪, জ্যোতির ন-মামার নাম কি?
উঃ জ্যোতির ন-মামার নাম অনাথ।
১.৫. ফেরাজ-এর বাড়ি কোথায় ছিল?
উঃ উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে ফেরাজ-এর বাড়ি ছিল।
১০.৬ জ্যোতির বড়োমামার পেশা কী ছিল।
উত্তর-জ্যোতির বড়োমামার পেশা ছিল ওকালতি করা।
১০.৭. জ্যোতি কোন স্কুলে ভরতি হয়েছিল।
উত্তর-জ্যোতি কৃয়নগরের অ্যাংলো ভার্নাকুলার হাইস্কুলে ভরতি হয়েছিল।
১০.৮, ১৮৯৩ সালে জ্যোতির বয়স ছিল ১৪। কত সালে জ্যোতির ৭ বছর বয়স ছিল?
উত্তর-১৮৮৬ সালে জ্যোতির বয়স ছিল ৭ বছর।
১১. নীচের শব্দগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো
১১.১, জ্যোতি কীভাবে সাঁতার শিখেছিল।
জ্যোতির মা জ্যোতিকে নিয়ে গড়ুই নদীতে স্নান করতে যেতেন। কী বর্ষা, কী শীত। শাড়ির একমুড়ো জ্যোতির কোমড়ে ঘেঁষে অন্য মুড়োটা বজ্রমুষ্টিতে ধরে তিনি একমাত্র ছেলেকে তিনি খুঁড়ে ফেলে দিতেন আেয়ারের জ্বলে। ঢেউ-এর সঙ্গে আপ্রাণ লড়তে লড়তে জ্যোতি সাঁতার শেখে।
১১.২. নগর স্কুলে জ্যোতির কাঠাল পাড়ার কাহিনিটি বর্ননা করো।
স্কুলের গাছে বড়ো কাঁঠাল পেকেছে। গন্ধে মন মেতে উঠেছে। ইচ্ছে থাকলেও কার ও সাহস হচ্ছে নি যে কাঁঠালটি পেড়ে আনবে। জ্যোতি একটা মতলব বের করল। স্কুল ছুটির শেষে সবাইে ছুটির শেষে বন্ধুদের কয়েকজনকে নিয়ে সে কাঠালটা পাড়ল। তারপর মহানন্দে সহপাঠীদের সঙ্গে ভোজ বসিয়ে ছিল।
১১.৩ কূয়নগরে জ্যোতি কীভাবে একটি শিশুকে বাঁচিয়েছিল সেই কাহিনিটি লেখো।
উঃ জ্যোতি একদিন কৃষ্ণনগরের বাজারে নদিয়া ট্রেডিং কোম্পানির দোকানে গিয়েছে কাগজ-পেনসিল কিনতে। এমন সময়তার কানে এলো এক হই-হল্লার আওয়াজ। সে দেখল পথচারীরা সবাই ছুটে পালাচ্ছে। একটা পাগলা ঘোড়া বেরিয়েছে রাস্তায়। সে আরও দেখল যে, রাস্তার মাঝখানে একটি শিশু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে আর ওই পথেই পাগলা ঘোড়া তীব্রগতিতে ছুটে আসছে। জ্যোতি কোনো দিগ্বিদিক চিন্তা না করেই শিশুটিকে বাঁচাতে উদ্যত হল। ঠিক সেই মুহূর্তে ঘোড়াটা শিশুটির সামনে চলে এসেছে। জ্যোতি তিরবেগে ঝাপিয়ে পড়ে চেপে ধরল ঘোড়ার কেশর। আচমকা বাধা পেয়ে শিষ-পা হয়ে ঘোড়াটা জ্যোতিকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করল কয়েকটা ঝটকা দিয়ে। জ্যোতি ততক্ষণে উঠে বসে শাস্ত ভঙ্গিতে ঘোড়ার পিঠে গলায় দাবনাতে ছোটো ছোটো চাপড় মেরে হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। ঘোড়া শান্ত হয়ে গেল। শিশুটিও বাঁচতে পারল। চারদিকে জ্যোতির ধন্য ধন্য রব পড়ে গেল।
১১.৪. জ্যোতির জীবনে তাঁর মা ও দিদির ভূমিকার কথা লেখো।
উঃ জ্যোতির মা ছিলেন শরৎশশী। তিনি যেমন সাহসী ছিলেন তেমনি তার ছেলেকে সাহসী ও বিপদকে তুচ্ছ করতে শিখিয়েছিলেন। তা না হলে ওই একরত্তি ছেলেকে কেউ গঙ্গার জোয়ারের জলে ছুঁড়ে ফেলে দিতে সাহস পেত না। তাঁর মা-ও ছিলেন সুপটু সাঁতারু।
জ্যোতির দিদির নাম ছিল বিনোদবালা। সেও ছিল শান্ত, ধীর, স্বীর। রাতেরবেলায় মায়ের কোলে শুয়ে জ্যোতি, দিদি বিনোদবালার সঙ্গে মায়ের কাছে নানান গল্প শুনতো। ভাইকে যে বড়োই ভালোবাসত সে।
১১.৫ পাঠ্যাংশে জ্যোতির জীবনে তাঁর মামাদের প্রভাব কেমন ছিল?
উঃ জ্যোতি খুব দস্যি ছেলে হলেও সে মামার বাড়িতেই মানুষ। মামারা জ্যোতিকে খুব ভালোবাসত। জ্যোতি সব কিছুতেই ছিল গরিব-দুঃখীদের দেখা সবকিছুতেই তাঁরা ছিলেন সিদ্ধহস্ত। জ্যোতিও হয়েছিল মামাদের মতো।পড়াশুনাতেও জ্যোতি ছিল তুখর। মানুষের দুঃখে দুঃখ পেত সে, জাতপাত বিচার করতো না, মানুষের বিপদে এগিয়ে যেত। মামাদের সবরকম প্রভাব তাঁর ওপর পড়েছিল বলেই সে আমাদের কাছে একজন স্মরণীয় ব্যক্তি।
১১.৬ জ্যোতির মামাবাড়ির সঙ্গে রবিঠাকুরের সম্পর্ক কী ছিল?
উঃ জ্যোতির মামার বাড়ি হল রবিঠাকুরের বন্ধুর বাড়ি। ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে কয়ার চাটুজ্যে বাড়ির তিন-চার পুরুষের সম্পর্ক।জ্যোতির বড়োমামা বসত্তকুমারের মক্কেল ও বন্ধু ছিলেন রবিঠাকুর।
১১.৭. ‘ফেরাজের কাছে জ্যোতি খবর পেল,'— কে এই ফেরাজ? তাঁর কাছ থেকে জ্যোতি কী খবর পেল?
উঃ ফেরাজ খাঁ চাটুজ্যে-বাড়ির পাহারাদার। তাঁর বাড়ি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে (বর্তমান আফগানিস্তানে)। লাঠি, ছোরা, তরোয়াল, বন্দুক চালাতে অতি দক্ষ সে।
১১.৮. পাঠ্যাংশ থেকে খুঁজে নিয়ে জ্যোতির শিশুসুলভ/কিশোরসুলভ চাপল্যের উদাহরণ দাও।
উঃ কিশোর বয়সে জ্যোতি মায়ের সঙ্গে গঙ্গায় সাঁতার শিখল। সে মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতো। সে গল্প শুনতো আর বলত বড়ো হয়ে সে সবার দুঃখ ঘুচিয়ে দেবে। একবার সে স্কুলের বাগান থেকে পাকা কাঁঠাল পেড়ে এনে বন্ধুদের নিয়ে ভোজ বসিয়েছিল। এমনকি পাগলা ঘোড়ার হাত থেকে রাস্তায় থাকা এক শিশুকে বাঁচিয়েছিল সে।
১১.৯. ‘কিছুই হয়নি এমনভাবে জ্যোতি চলে গেল তার নিজের পথে'— কোন্ ঘটনার পর জ্যোতি এমনভাবে চলে গিয়েছিল?
উঃ পাগলা ঘোড়ার হাত থেকে যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা শিশুটিকে বাঁচালো তখন সকল পথচারীরা ধন্য ধন্য করে উঠল। এমনকি ঘোড়াটাকেও শান্ত করে দিয়েছিল। পথচারীরা তো অবাক। সেই সময় কিছুই হয়নি এমনভাবে জ্যোতি চলে গেল তার নিজের পথে।
১১.১০. জাতপাতের ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা ছোটোবয়েসেই কীভাবে জ্যোতি অতিক্রম করতে পেরেছিল?
উঃ জ্যোতি জাতপাত মানতো না। এসব বিশ্বাসও করত না। জ্যোতির মামার বাড়িতে দুর্গাপুজো হত। সেই সময় চারদিন তার মামার বাড়িতে নিত্য প্রায় ৪০০ কেজি চালের ভাত রান্না করা হত। বহুলোকের সমাগম হত। তারা মায়ের প্রসাদ খেতো। কিন্তু ভদ্রলোকেদের জন্য রান্না হত সাদা ভাত আর সকলের জন্য ঘরের লাল চালের ভাত পরিবেশিত হত।
অন্য গুলির উত্তর দেখুন
(১) সবার আমি ছাত্র
(২) নরহরি দাস
(৩) বনভোজন
(৬) বনের খবর
(৭) মালগাড়ি
(৮) বিচিত্র সাধ
আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো
(১০) আলো
(১১) আমাজনের জঙ্গলে
(১২) দক্ষিণ মেরু অভিযান
(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়
(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি
(১৫) দূরের পাল্লা
(১৬) নইলে
(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া
(১৮) আদর্শ ছেলে
(১৯) যতীনের জুতো
(২০) ঘুম ভাঙ্গানি
(২১) মায়াদ্বীপ
(২২) বাঘা যতীন
আর ও বাঘা যতীন