তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা "কে ছিলেন ঈশপ,'হাতে - কলমে অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
কে ছিলেন ঈশপ
লেখক অজানা
হাতে - কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্নের উত্তর
একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ শেয়াল কিছুতেই কীসের নাগাল পায়নি ?
উঃ । শেয়াল কিছুতেই আঙুরগুচ্ছের নাগাল পায়নি ।
১.২ শেয়াল শেষে কী বলে চলে গিয়েছিল ?
উঃ । শেয়াল শেষে ‘ আঙুর ফল টক ’ বলে চলে গিয়েছিল
১.৩ খরগোশ কেমন ছিল ?
উঃ । খরগোশ খুব অহংকারী ছিল ।
১.৪ খরগোশ কার কাছে দৌড় প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছিল ?
উঃ । খরগোশ কচ্ছপের কাছে দৌড় প্রতিযোগিতায় হেরে গিয়েছিল ।
১.৫ খরগোশ কেন হেরে গিয়েছিল ?
উঃ । খরগোশ ছিল অহংকারী আর কচ্ছপ ছিল জেদী আর নিষ্ঠাবান । তাই খরগোশ হেরে গিয়েছিল ।
১.৬ রাখাল ছেলে কী করত ?
উঃ । রাখাল ছেলে মিছিমিছি বাঘ বাঘ বলে চেঁচিয়ে লোক জড়ো করত ।
১.৭ ইশপ কোন্ দেশের মানুষ ছিলেন ?
উঃ । ইশপ গ্রিস দেশের মানুষ ছিলেন ।
১.৮ ইশপ কাদের নিয়ে গল্প বানাতেন ?
.
উঃ । ইশপ পশুপাখিদের নিয়ে গল্প বানাতেন ।
১.৯ ইশপের প্রভু কে ছিলেন ?
উঃ । ইশপের প্রভু ছিলেন রাজা ক্রোসাস ।
১.১০ তিনি ইশপকে কোথায় পাঠিয়েছিলেন ?
উঃ । তিনি ইশপকে ডেলফিতে পাঠিয়েছিলেন ।
২.১২সেই জায়গা টি কেন বিখ্যাত ছিল?
উঃ। সেই জায়গাটি পুরোহিতরা ছিল ভবিষ্যৎবাণীর জন্য বিখ্যাত।
১.১৩ সেখানকার মানুষ কেমন ছিল?
উঃ। সেখানকার মানুষ খুব লোডী ছিল।
১.১৩ তাদের আচরণ দেখে ইশণ কোন গল্প বাঁধলেন।
উত্তর-তাদের আচরণ দেখে ইশণ সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্প বাঁধলেন
১.১৪-নীতিগল্প কাকে বলে?
উ। যে গল্প থেকে নীতিশিক্ষা পাওয়া যায় তাকে নীতিগল্প বলে।
১.১৫আমাদের জীবনে কোন গুণগুলি জরুরি?
উত্তর- আমাদের জীবনে দয়া, মায়া, ভালোবাসা, সততা, কৃতজ্ঞতা, পরোপকার, শ্রদ্ধা, ভক্তি প্রভৃতি গুণগুলি জরুরি।
প্রশ্ন'-তরজমা কাকে বলে।
উত্তর-ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কোনোকিছু পালটানোকে অনুবাদ বা তরজমা বলে।
১১৭ দশের বিভিন্ন দেশে কেন জনপ্রিয়।
উঃ। কারণ, গল্পগুলি মজার ছলে আমাদের নীতিশিক্ষা দেয়।
১.১৮ ঈশপকে কেন 'মানবজাতির সবচেয়ে বড়ো শিক্ষকদের একজন' বলা হয়েছে?
উত্তর-কারণ, তিনি গল্পের মধ্যে দিয়ে মানবজাতিকে শিক্ষা দিয়েছেন।
''ক'স্তম্ভর সঙ্গে 'খস্তম্ভ' মেলাও :
শেয়াল - আঙুরগুচ্ছ
রাখাল ছেলে--বাঘ
ডেলফি---ভবিষ্যৎবাণী
খরগোশ---দৌড় প্রতিযোগিতা
হাঁস---সোনার ডিম
৩ এ ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে নীচের শূন্যস্থান পূরণ করো :
৩.১ ইশন ছিলেন একজন—(রাজা/পুরোহিত/ক্রীতদাস)
উঃ। ক্রীতদাস।
৩.২ ইশপের প্রভু ছিলেন রাজা—(ক্রোসাস/অলিম্পাস/জুলিয়াস)।
উঃ। ক্রোসাস।
৩.৩ ইশন ছিলেন—(চিন/গ্রিস/মিশর) দেশের লোক।
উঃ। গ্রিস।
৩.৪ ইশপের প্রভু ইশপকে—–(এখেল/স্পার্টা/ডেলফি) নগরে পাঠিয়েছিলেন।
উঃ। ডেলফি।
৩.৫ ডেলফি শহরটি বিখ্যাত ছিল—(মসলিনকাপড়/ভবিষ্যৎবাণী/যুদ্ধ বিগ্রহে) এর জন্য।
উঃ। ভবিষ্যৎবাণী।
৪. নীচের শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে ঠিক জায়গায় বসাও :
অনুবাদ, উপহাস, নিষ্ঠা,
নীতিগল্প, সোনার ডিম |
পাড়ত। ৪.৩ চেহারা নিয়ে ইশপকে
হয়েছে পৃথিবীর নানা দেশে নানা ভাষায়।
১.১ কচ্ছপের ছিল জেদ আর
হত। S.s ইশপের রচনাগুলি
উঃ। ৪.১ কচ্ছপের ছিল জেদ আর নিষ্ঠা।
৪.২ একটা হাঁস সোনার ডিম পাড়ত।
৪.৪ ইশপের রচনাগুলি নীতিগল্প।
৪.৩ চেহারা নিয়ে ইশপকে উপহাস শুনতে হতো।
৪.৫ ইশপের গল্পের অনুবাদ হয়েছে পৃথিবীর নানা দেশে নানা ভাষায়।
৫. এই গদ্যে বলা নেই, তোমার জানা ইশপের এমন কোনো গল্প নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। এক বুড়ি একা থাকত। তার ভারী কষ্ট। সে একদিন জঙ্গল থেকে কাঠ মাথায় করে নিয়ে আসছে। গরমকাল,
চারিদিকে সবকিছু তেতে আছে। বুড়ির খুব কষ্ট হচ্ছিল। সে একটা গাছের ছায়ায় তার মাথা থেকে কাঠের বোঝা নামিয়ে
বসল। সেখানে বসে সে এই সংসারের প্রতি সব ক্ষোভ উগরে দিতে থাকে। এমনকি সে যমের উদ্দেশ্যেও বলতে থাকে
-আর পারি না। বেঁচে থাকতে আর ইচ্ছা হয় না, মরণও আসে না। হতচ্ছাড়া মুখপোড়া যম, এত লোককে নিস আমায়
নিতে পারিস না—বুড়ির এইসব কথা শুনে যম সেখানে এসে হাজির। যমের চেহারা দেখেই তো বুড়ি গ্রান হারানোর
জোগাড়। বুড়ি বলে—কে বাবা তুমি? যম বলে—ঠাকুমা আমি যম। তুমি একটু আগে আমায় ডাকছিলে। তাই এসেছি।
বলো আমি তোমায় কীভাবে সাহায্য করতে পারি। এই কথা শুনেই তো বুড়ি থ হয়ে গেল। সে কোনোক্রমে বলল–বাবা
তুমি এসে ভালোই করেছ। এখন এই কাঠের বোঝাটা যদি আমার মাথায় তুলে দাও, তো আমি বাড়ি যেতে পারি। যম
তাই করল। বুড়িও তার বাড়ি ফিরে গেল।
(এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে কেউ যেতে চায় না।)