. class 8 history 6th chapter anushilan question answer/অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ছয় অধ্যায় অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ছয় অধ্যায়
অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
ভেবে দেখো
১. ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভা বসেছিল—(বোম্বাইতে/গোয়ায়/মাদ্রাজ)।
উঃ। বোম্বাইতে।
(খ) নরমপন্থীদের দাবি ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বয়স করতে হবে – (২১/২৩/২০) বছর।
উঃ। ২৩।
(গ) বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা করেছিলেন – (ডাফরিন/কার্জন/মিন্টো)।
উঃ। কার্জন।
-
(ঘ) বাংলায় বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল – (যুগান্তর/হিন্দু প্যাট্রিয়ট/ সোমপ্রকাশ) পত্রিকা।
উঃ। যুগান্তর।
২. নীচের বিবৃতিগুলির কোনটি ঠিক কোনটি ভুল বেছে নাও !
(ক) কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি ছিলেন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
উঃ। ঠিক।
(খ) নরমপন্থীরা চরমপন্থীদের কার্যকলাপকে তিনদিনের তামাশা' বলতেন।
উঃ। ভুল।
(গ) অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ।
উঃ। ভুল।
(ঘ) ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি কিংসফোর্ডকে মারতে গিয়েছিলেন।
উঃ ঠিক।
৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (৩০-৪০টি শব্দ):
(ক) সভা সমিতির যুগ কাকে বলে?
উঃ। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার আগে পর্যন্ত সময়কালকে অনেকে সভাসমিতির যুগ বলে অভিহিত করেছেন। রাজনৈতিক দাবিদাওয়া তুলে ধরার প্রশ্নে প্রথমে রাজনৈতিক সংগঠন হিসাবে গড়ে ওঠে ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে জমিদার সভা মূলত কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি তিনটিতে আঞ্চলিক গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে আরো অনেক সভাসমিতি গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল নবগোপাল মিত্রের জাতীয় মেলা বা হিন্দুমেলা, শিশির কুমার ঘোষের ইন্ডিয়ান লিগ, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বসুর ভারত সভা ইত্যাদি।
(খ) কংগ্রেসের নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের মধ্যেকার দুটি মূল পার্থক্য আলোচনা করো।
উঃ। নরমপন্থীরা আবেদন নিবেদন নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। তারা মনে করতেন ব্রিটিশ সরকারের কাছে সমস্যাগুলি ঠিকমতো তুলে ধরতে পারলে তার সমাধান হবে। অন্যদিক চরমপন্থীরা সংগ্রামের মাধ্যমে দাবি দাওয়া আদায়ের পক্ষপাতি ছিলেন। তারা কংগ্রেসের তিনদিনের অধিবেশনকে 'তিন দিনের তামাশা' বলে উল্লেখ করতেন।। কারণ নরমপন্থীদের দাবি দাওয়াকে ইংরাজ সরকার কোনো গুরুত্ব দিত না।
(গ) ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে সুরাট অধিবেশনের গুরুত্ব উল্লেখ করো।
উঃ। সুরাট অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচন নিয়ে চরমপন্থী ও নরমপন্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত রূপ নেয়। হই হট্টগোলের মধ্যে কোন রকমে সুরাট অধিবেশন শেষ হয়। কংগ্রেসের কার্যাবলী ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে চরমপন্থীদের বাদ দেওয়া হয়। চরমপন্থীরা কংগ্রেস থেকে সরে যায়। নরমপন্থী ও চরমপন্থীদের বিভাজন সম্পূর্ণ হয়। এর ফলস্বরুপ সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন কার্যত ধাক্কা খায়।
(ঘ) বিংশ শতকের প্রথম দিকে বাংলায় বিভিন্ন গুপ্ত সমিতি গড়ে উঠেছিল কেন?
উঃ। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ স্বদেশি আন্দোলন সামাজিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে, চরমপন্থীরা তাদের নীতি ও আদর্শ কার্যাবলী ঠিক মতো তুলে ধরতে না পারায়, বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের ধারাটি প্রবল হয়ে ওঠে। গঠনমূলক আন্দোলনের বদলে ব্রিটিশ প্রশাসন ও তাদের সহযোগী দেশীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনেকে ব্যক্তিগত সন্ত্রাসের পথ বেছে নেন। জনগণের জন্য প্রকৃত আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে না পারায় গুপ্ত সমিতি গড়ে তুলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (১২০-১৬০টি) শব্দে ঃ
(ক) জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হিউমের ভূমিকার সমালোচনা মূলক বিশ্লেষণ করো। তোমার কী মনে হয় হিউম না থাকলেও জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হতো? তোমার বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দাও।
উঃ। জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পিছনে হিউমের ভূমিকা কে ঘিরে এক ধরনের অতিকথন তৈরি হয়েছিল। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্ট ওয়েডার বার্নের লেখা হিউমের জীবনী এরজন্য দায়ী। তিনি লেখেন যে হিউম ও বড়োলাট লর্ড ডাফরিনের যৌথ উদ্যোগেই নাকি জাতীয় কংগ্রেস তৈরি হয়েছে। এই তত্ত্বটি হিউম—ডাফরিনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে বিবেচিত।তবে কংগ্রেস স্থাপনে হিউমের কোন ভূমিকা ছিল না তা নয়। নানা ঘটনায় ভারতীদের মধ্যে ব্রিটিশ বিরোধী অসন্তোষ গড়ে ওঠে। ফলে রাজনৈতিকভাবে উদারমনা হিউম চেয়েছিলেন এমন একটি ব্রিটিশ বিরোধী সংগঠন তৈরি হোক যা ভারতীয়দের স্বার্থরক্ষা করবে।" তবে হিউম না থাকলেও কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা হতো। কারণ কংগ্রেস স্থাপনের পটভূমি অনেক আগেই তৈরি হয়েছিল। কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে শিক্ষিত ভারতীয়রা নানা রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। দেশজুড়ে বিভিন্ন সভা সমিতি গড়ে উঠেছিল। শিক্ষিত মানুষ সচেতন হয়ে একটি ভারতীয় সংস্থা স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন।
(খ) অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের মূল বক্তব্য কী ছিল? ওই বক্তব্যের সঙ্গে বয়কট ও স্বদেশি আন্দোলনের কোন যোগ তুমি খুঁজে পাও যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করো।
উঃ। একটি বিষয়কে ঘিরে নরমপন্থী জাতীয়তাবাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। তা হলো ভারতের আর্থিক দুরবস্থায় ব্রিটিশ শাসনের ভূমিকা নিয়ে নরমপন্থী নেতৃত্ব প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন। এই প্রক্রিয়াকে অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ বলা হয়। অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদের মূল বক্তব্য ছিল ভারতের দারিদ্র্য ও ব্রিটিশ শাসনের সম্পর্ক নির্ণয় করা, নরমপন্থীদের বক্তব্য ছিল ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনের চরিত্র ক্রমে বদলে গিয়েছে। ভারত ধীরে ধীরে ব্রিটেনের কৃষিজ, কাঁচামালের আহরণের ভূমিতে পরিণত হয়েছে। অতিরিক্ত মাশুল বসিয়ে ভারতের নিজস্ব শিল্প ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। সম্পদ নির্গমনের ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে। শিল্পের বদলে কৃষিতে চাপ বাড়ছে। লোক কৃষিনির্ভর হয়ে পড়ার ফলে ও কৃষির উপযুক্ত কাঠামো না থাকায় দেশের দারিদ্র্য আরও বেড়েছিল। প্রায় একশো বছর ধরে কোম্পানি ও ব্রিটিশ সরকারের অর্থনৈতিক শোষণ ভারতবাসীর মনে একটি স্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি করে। তাই বঙ্গভঙ্গের ঘটনাকে সামনে রেখে ভারতীয়রা তাদের প্রতি আর্থিক বঞ্চনার জবাব দিতে চেয়েছিলেন। তাই বয়কট, ও স্বদেশি আন্দোলন ছিল অর্থনৈতিক জাতীয়তবাদের ফলস্বরূপ আন্দোলন। এর দ্বারা ভারতীয়রা ভেবেছিলেন এই আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশ অর্থনীতিকে কিছুটা চাপে ফেলা যাবে। অন্য দিকে দেশের কিছুটা স্বয়ং সম্পূর্ণতা দেখা যাবে। বয়কট ও স্বদেশি আন্দোলনের ফলে দেশীয় শিল্পের বিকাশ ঘটে। জাতীয়তাবাদী অর্থনীতি কিছুটা সচল হয়। অনেক নতুন নতুন কারখানা ও শিল্প উদ্যোগ এই সময় স্থাপন করা হয়েছিল।.
(গ) চরমপন্থী আন্দোলনের মূল বক্তব্য কী ছিল? তাদের আন্দোলনে ধর্মীয় প্রতীকের ব্যবহারকে কী তুমি সমর্থন করো?
উঃ। আদর্শগতভাবে চরমপন্থীদের মূল লক্ষ্য ছিল যেকোনো মূল্যে স্বরাজ অর্জন করা। স্বরাজ ধারণাটিকে তাঁরা নানাভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। স্বরাজ মানে চূড়ান্ত স্বাধীনতা। তাই ব্রিটিশদের অধীনে থেকে কোনোভাবেই স্বরাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। অরবিন্দ ঘোষ প্রমুখ এই ধারণাই পোষণ করতেন। তবে তিলকের স্বরাজ বিষয়ে ধারণা অন্যরকম ছিল। স্বরাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে প্রশাসনে ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ আসার মধ্যে দিয়ে। বাস্তবে বেশিরভাগ নেতাই স্বরাজ বলতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যেই স্বশাসন বুঝতেন। চরমপন্থী আন্দোলন আবেদন-নিবেদন নীতির বদলে ঔপনিবেশিকদের চাপিয়ে দেওয়া অন্যায্য আইনগুলির অমান্য করার মাধ্যমে ব্রিটিশ বিরোধিতার ডাক দেয়। ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান ও তাদের জিনিসপত্র বয়কটের ডাক দেয়। বিকল্প হিসাবে দেশীয় শিক্ষা, দেশীয় শিল্প গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় চরমপন্থী নেতৃবৃন্দ। চরমপন্থী আন্দোলনের সাথে একটা তীব্র আক্রোশ কাজ করছিল। চরমপন্থীরা দেশকে মা বলে কল্পনা করে মায়ের মূর্তি এঁকেছিল। যেহেতু আন্দোলন পরিচালকরা বেশিরভাগই ছিলেন হিন্দু। তাই, তাদের কাজকর্মেও হিন্দুত্বের ছাপ পড়েছিল। তবে বৃহত্তর গণ আন্দোলন সংঘটিত করতে বিশেষ ভাবাবেগ জরুরি যা আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক উদ্দীপনার সৃষ্টি করে আর তা জাগিয়ে তোলার সহজ উপায় হলো ধর্মীয় ভাবাবেগ। তবে কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করা কোনো গণ আন্দোলনেই উচিত নয়। কারণ তাতে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ সেই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হতে পারেন না।
(ঘ) বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পটভূমি কিভাবে তৈরি হয়েছিল? কেন বৈপ্লবিক সন্ত্রাসবাদীদের অনেক উদ্যোগই ব্যর্থ হয়েছিল বলে তোমার মনে হয়?
উঃ। স্বদেশি আন্দোলনের শেষ দিকে বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী ধারাটি বেশি করে দেখতে পাওয়া যায়। এই ধারার একটি প্রধান ভিত্তি ছিল বিভিন্ন সমিতিগুলি। সমিতিগুলিতে প্রাথমিকভাবে শরীরচর্চার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক উদ্যোগ দেখা যেত। এর মাধ্যমে মূলত ছাত্র ও যুবসমাজের মধ্যে স্বদেশির ভাবধারা প্রচার করা হতো। এই সময়ে মূলত বিভিন্ন সমিতিকে কেন্দ্র করে বিপ্লবী পন্থায় ব্রিটিশ প্রশাসনের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা বা ধারাটি গড়ে উঠতে দেখা যায়।
পাশাপাশি জাতীয় কংগ্রেসের ‘আবেদন-নিবেদন' নীতির অসারতা স্পষ্ট হচ্ছিল। অন্যদিকে স্বদেশি আন্দোলনের ফলে ঔপনিবেশিক দমন পীড়ন বেড়ে চলেছিল। পাশাপাশি ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ স্বদেশি আন্দোলন সামাজিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ার ফলে বিপ্লবীদের অনেকেই ঔপনিবেশিক প্রশাসনকে সন্ত্রস্ত করে ধাক্কা দিতে চেয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিই বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদের কার্যকলাপের পটভূমি তৈরি করে। এই সময়ে বিপ্লবীরা অত্যাচারী ব্রিটিশ প্রশাসক ও তাদের সহযোগী দেশীয় ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে শুরু করেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সন্ত্রাসের পথ বেছে নেওয়া হয়। বস্তুত যে সময় জনগণের সামনে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি ছিল না। ফলে সমস্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ শাসককুলে ত্রাস সৃষ্টি করাকেই অনেকে অপরিহার্য বলে মনে করেন। উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনও চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের নিরিখে প্রথম পর্বের বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ খুব একটা সফল হয়নি। বিপ্লবীদের মধ্যে দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা ও অস্ত্রশস্ত্রে অভাব ছিল। তার উপর সরকারের কঠোর দমন-পীড়ন নীতির ফলে সন্ত্রাসবাদীদের উদ্যোগ অনেকটাই ধাক্কা খায়। বিভিন্ন বিপ্লবী নেতৃত্বকে গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ড অথবা কারাদণ্ড দেওয়া হয়। প্রয়োজনের কারণে অধিকাংশ কর্মসূচি তারা গুপ্ত রাখতে বাধ্য হয়। ফলে বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের কর্মসূচি হাজির করতে পারেনি বিপ্লবী সন্ত্রাসবাদ। তাদের কাজকর্ম জানাজানি হওয়ায় সমাজে তার প্রভাব পড়ত। ব্যক্তিগত স্তরে বিপ্লবীদের আদর্শ ও সাহস অনুপ্রেরণার বিষয় হলেও সবাই সেই পথকে সমানভাবে সমর্থন করেননি।
প্রশ্ন:-নরমপন্থীদের দাবি কী ছিল?
উঃ। নরমপন্থীদের দাবি ছিল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার বয়স ১৯-এর বদলে ২৩ বছর করতে হবে। পাশাপাশি, ভারতে ও লন্ডনে একইসঙ্গে পরীক্ষাটি নিতে হবে।
প্রশ্ন:-ভারতীয় বিচারকের কাদের বিচার করার অধিকার ছিল না?
উঃ। ভারতীয় বিচারকের ইউরোপীয়দের বিচার করার অধিকার ছিল না।
প্রশ্ন:- ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠন কোনটি?
উঃ। জমিদার সভা।
প্রশ্ন:-ইন্ডিয়ান লিগ’ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উঃ। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে।
প্রশ্ন:-কত খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হয় এবং এর প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
উঃ। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সম্মেলন আয়োজিত হয়। এর প্রথম সভাপতি ছিলেন রামতনু লাহিড়ি।
প্রশ্ন:-হিউমের জীবনীকার কে ছিলেন?
উঃ। হিউমের জীবনীকার ছিলেন ওয়েডারবার্ন।
প্রশ্ন:-কে কবে ‘দেশীয় ভাষা সংবাদপত্র আইন’ চালু করেন?
উঃ। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড লিটন চালু করেন। তার
প্রশ্ন:-কবে কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশন হয়েছিল?
উঃ। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে।
প্রশ্ন:-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে কাদের নেতৃত্বে ইন্ডিয়ান আসোসিয়েশন বা ভারত সভা তৈরি হয়?
উঃ। ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বসুর নেতৃত্বে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন বা ভারতসভা তৈরি হয়।
প্রশ্ন:-প্রথম দু-দশকের কার্যকলাপের নিরিখে বিচার করলে কংগ্রেসের আদিপর্বের নেতৃত্বকে কী বলে চিহ্নিত করা যায়
উঃ। ‘নরমপন্থী’ বলে চিহ্নিত করা হয়।
প্রশ্ন:-লাল-বাল-পাল' কাদের বলে অভিহিত করা হতো?
উঃ। বিপিনচন্দ্র পাল, বালগঙ্গাধর তিলক এবং লালা লাজপত রাই এদের তিনজনকে ‘লাল-বাল-পাল’ বলে অভিহিত করা হতো।
প্রশ্ন:-নরমপন্থীদের আবেদন নিবেদন' পদ্ধতিকে কী বলে ব্যঙ্গ করা হতে থাকে?
উঃ। রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তি বলে ব্যঙ্গ করা হতে থাকে।
প্রশ্ন:-নরমপন্থার প্রতিক্রিয়া হিসাবে কীসের উদ্ভব ঘটে?
উঃ। চরমপন্থার উদ্ভব ঘটে।
প্রশ্ন:- কোন্ কোন্ অঞ্চলকে কেন্দ্র করে চরমপন্থার বিকাশ হয়?
উঃ। প্রধানত বাংলা, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাব অঞ্চলকে কেন্দ্র করে চরমপন্থার বিকাশ ঘটে।
প্রশ্ন:-কোন্ পত্রিকার সম্পাদনাকে কেন্দ্র করে কাদের মধ্যে বিবাদ ছিল?
উঃ। ‘বন্দেমাতরম’ পত্রিকার সম্পাদনাকে কেন্দ্র করে অরবিন্দ ঘোষ, বিপিনচন্দ্র পাল ও ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের মধ্যে।বিবাদ ছিল।
প্রশ্ন:-মহারাষ্ট্রের পুনা সার্বজনিক সভার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাদের মধ্যে দ্বন্দু বেধেছিল?
উঃ। নরমপন্থী নেতা গোখলের সঙ্গে চরমপন্থী নেতা বালগঙ্গাধর তিলকের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেধেছিল।
প্রশ্ন:-বিংশ শতকের প্রথম দশকে বাংলার কোন আন্দোলন চরমপন্থার সব থেকে জোরালো নজির ছিল?
উঃ। বঙ্গ-ভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশি আন্দোলন।
প্রশ্ন:-কোন্ সালের কত তারিখে সরকারিভাবে বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়?
উঃ। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ১৯ জুলাই সরকারিভাবে বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।
প্রশ্ন:-কবে ও কার নেতৃত্বে ঢাকা অনুশীলন সমিতি তৈরি হয়?
উঃ। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে পুলিনবিহারী দাসের নেতৃত্বে ঢাকা অনুশীলন সমিতি তৈরি হয়।
প্রশ্ন:- কোন্ পত্রিকা বাংলার বিপ্লবী আন্দোলনের মুখপত্র হয়ে ওঠে?
উঃ। যুগান্তর’ পত্রিকা।
প্রশ্ন:-কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়?
উঃ। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয়। পুলিন বিহারী দাস
প্রশ্ন:-মহারাষ্ট্রে কার নেতৃত্বে কোন্ উৎসব চালু হয়?
উঃ। মহারাষ্ট্রে বালগঙ্গাধর তিলকের নেতৃত্বে ‘শিবাজি উৎসব’ চালু হয়।
প্রশ্ন:- উনিশ শতকের শেষভাগ থেকে ভারতীয়রা কীসের দাবী জানাতে শুরু করে?
উঃ। প্রতিনিধিমূলক স্বায়ত্বশাসনের দাবী জানাতে শুরু করে।
প্রশ্ন:-ভারতের বড়োলাট মিন্টো এবং ভারতসচিব মর্লে কত খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট পাস করেন?
উঃ। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে।
প্রশ্ন:-বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।
প্রশ্ন:-অনুশীলন সমিতি কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে সতীশচন্দ্র বসু।
প্রশ্ন:-কারা কিংসফোর্ডকে মারার উদ্যোগ নেন?
উঃ। ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি কিংসফোর্ডকে মারার উদ্যোগ নেন।
প্রশ্ন:- বাঘা যতীন কীভাবে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ছিলেন?
উঃ। বাঘা যতীন জার্মানি থেকে অস্ত্র আনিয়ে ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন।
প্রশ্ন:-বঙ্গভঙ্গের সময় বাংলার ভাইসরয় কে ছিলেন?
উঃ। লর্ড কার্জন।
প্রশ্ন:- বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে।
প্রশ্ন:-কোন্ পত্রিকায় প্রথম বয়কট আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়?
উঃ। সঞ্জীবনী পত্রিকায়।
প্রশ্ন:-কার উদ্যোগে এবং কবে ‘রাখীবন্ধন উৎসব’ পালিত হয়?
উঃ। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে।
প্রশ্ন:-উত্তর ভারতে কোন বিপ্লবী দলের উদ্যোগে বিপ্লবী কার্যকলাপ চলত?
উঃ। গদর দলের উদ্যোগে।
প্রশ্ন:-বঙ্গভঙ্গের পর ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে কোথায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?
উঃ। দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন:- কে কবে নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইনপাশ করেন?
উঃ। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে লর্ড নর্থব্রুক নাট্যভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন পাশ করেন।