রচনা ছাত্রজীবনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা - Online story

Monday 25 September 2023

রচনা ছাত্রজীবনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা

 




         
রচনা
ছাত্রজীবনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা


ছাত্র জীবন বিদ্যালয়ের মধ্যেই অতিবাহিত হয়। বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে ছাত্র জীবন কেটে যায়। প্রথম জীবনে ছাত্রদের লেখাপড়া শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মা বাবার হাত ধরে প্রথম স্কুলে হাজির হয়ে শিক্ষকের সহায়তায় গড়ে উঠতে থাকে প্রত্যেক ছাত্রের ভবিষ্যৎ। প্রথমে শিশু ওয়ান ,তারপর ওয়ান এভাবে ধাপে ধাপে  কলেজ পর্যন্ত শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়াশোনার মধ্যে বেঁধে রাখেন।প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ বিদ্যালয় গুলি ছাত্রদের শিক্ষার পাশাপাশি চরিত্র গঠনের অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করে।  বিদ্যালয় হইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম অঙ্গ। সেখানে শিক্ষক হলেন গুরু আর ছাত্র হলেন শিষ্য । গুরু যা শিক্ষা দেয় ছাত্র সেগুলি মাথা নত করে গ্রহণ করে । যে কোনো বিদ্যালয় ছাত্রদের কাছে একটা গর্বের বিষয়।  গঠন করে মানসিক চরিত্র ।একজন বড় রাজনীতিবিদ তিনিও শিক্ষাঙ্গন থেকে গড়ে ওঠেন‌। একজন বড় ডাক্তার ,একজন বড় ইঞ্জিনিয়ার, এমনকি একজন বড় পাইলট তিনি ও  বিদ্যালয় থেকে জীবন শুরু করেন । একটু ভাবলে দেখা যায় বিশ্বের যত মানুষ বড় উঁচু পদে রয়েছেন  তাদের জীবন  বিদ্যালয় থেকে শুরু হয়েছিল । যারা বিদ্যালয়ে যায় না তারা প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। সমাজের অন্ধকারে থেকে যায়। বিদ্যালয় শিক্ষক ছাত্রদের কাছে গুরুর মতো অন্যথায় পিতা মাতার মতো। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সর্বদা  ছাত্রদের সৎ শিক্ষা দিতে উৎসাহী হন ।কখনো কু- কথা বলেন না । কু- কথা শোনা মহাপাপ এটাই ছাত্রদের শেখান। সেই সঙ্গে ছাত্রদের পড়াশোনার সঙ্গে বেঁধে রাখেন। যাতে ছাত্ররা খারাপ পথে না যেতে পারে। আবার কখনো কখনো খেলার মাঠে নিয়ে গিয়ে খেলা শেখানো। কারন খেলাধুলা করলে শরীর ভালো থাকে মন ভালো থাকে। একদিন বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলে শিক্ষক মহাশয়ের কারণ জানতে চান। ঠিক যেমন তার মাতা পিতার মতো ।খারাপ কাজ করলে শাসন করেন‌ কোন দুঃসাহসিক কাজ করে ফেললে ভয় দেখান যাতে সে কাজটা যেন না করে । বিদ্যালয়ের প্রথম জীবনে শিক্ষক মহাশয়ারা হাতে ধরে ক খ ,ABCD লেখা শেখান। একদিন সেই ছাত্র বড়ো হয়ে তিনি একজন বড় লেখক  হয়ে যান।নয়তো বড় শিক্ষক ।এক কথায় , ছাত্র জীবনে বিদ্যালয় ভূমিকা বললে বা একটি ক্ষুদ্র রচনা লিখলে তার কাহিনী শেষ করা যাবে না। বিদ্যালয় প্রথম জীবনে ভূমিকাটা হয়তো ছোট করে বলা গেলেও শেষ জীবনের কাহিনীটা অনেক বেশি হয়ে যাবে। যা লিখে শেষ হবে না। তাইতো দেখতে পাই অনেক বড় অফিসার কিংবা অনেক বড় মন্ত্রী একজন বয়স্ক মানুষকে প্রণাম করছে ।কারণ একদিন তিনি ছিলেন ছাত্র আর বয়স্ক মানুষটা ছিল শিক্ষক। সকল কিছু জীবনে একটা ভালো দিক থাকে । তেমন খারাপ এদিকও থাকে ।ছাত্র জীবনে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ‌যেমন তার প্রাকৃতিক পরিবেশ , শিক্ষকদের গুণগতমান, পঠন পঠন পরিবেশ ইত্যাদি ।এগুলি যদি ঠিকমত না থাকে তাহলে ছাত্র জীবন গঠনে বিদ্যালয়ে ভূমিকাও দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই বিদ্যালয়ের ছাত্ররা অন্ধকার জগতে মিশে যায়। সমাজ থেকে তারা তারা বঞ্চিত হয়ে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠাতা করেছিলেন । তিনি ছাত্রদের নিয়ে গাছ তলায় প্রথম লেখাপড়া সূচনা করেছিলেন আজ ও সেই নিয়ম প্রচলিত আছে। ক্রমে ক্রমে ছাত্রজীবনে বিদ্যালয়ের ভূমিকা গুরুত্ব কমে যাচ্ছে। তার অনেকগুলির কারণ আমরা দেখতে পাই । প্রথমত শিক্ষকেরা শাসন করার ক্ষমতা হারিয়েছেন। তাই তারা হয়তো প্রকৃত শিক্ষা দিতে গিয়েও পারছেন না। অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পর্কে অবনতি ও ঘটে যাচ্ছে। যদি একটা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে একদিন ছাত্র জীবনে বিদ্যালয় ভূমিকা হয়তো শূন্য হয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে




রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে