রচনা শরীর চর্চা /Rachana sharir charcha
রচনা
শরীরচর্চা
ভূমিকা : আমাদের শরীরই আসল সম্পদ। তাই শরীরকে নীরোগ রাখার চেষ্টা সবাই করে। শরীরকে নীরোগ রাখার জন্য, শক্তিশালী করার জন্য
শরীরচার্চার প্রয়োজন। কবি বলেছন, “চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু, সাহস-বিস্তৃত বক্ষপট।”শরীরচার্চার প্রয়োজনীয়তা : সবল ও নীরোগ শরীর সবারই চায়। শরীরচর্চার মাধ্যমে সুস্থ সবল শরীর লাভ সম্ভব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য,
তার প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সংগ্রহের জন্য, শিক্ষালাভের জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়। দুর্বল ও রুগ্ন শরীরে কঠোর পরিশ্রম করা সম্ভব নয়। আবার শরীর
সবল না থাকলে মনও দুর্বল হয়ে পড়ে। অথচ মানুষকে দৈহিক এবং মানসিক উভয় প্রকার পরিশ্রমই করতে হয়। জীবনের পথে আছে বহু বাধা-
বিঘ্ন, বিদ-আপদ। সেগুলিকে জয় করার জন্য সবল দেহ-মন প্রয়োজন। তাই বলা হয় স্বাস্থ্যই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ।
শরীরচর্চার বিভিন্ন দিক : শরীরচর্চার নানা উপায় আছে। বিভিন্ন রকম ব্যায়াম শরীর গঠনের জন্য বিশেষ উপযোগী। ভ্রমণ, দৌড়-ঝাঁপ, লাঠিখেলা,
কুস্তি, ব্রতচারী খেলা, ঘোড়ায় চড়া ইত্যাদি শরীরচর্চার বিভিন্ন দিক। সাঁতার একটি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। এতে শরীরের সমস্ত অঙ্গের ব্যায়াম হয়। ডন, কুস্তি, মুগুর ভাঁজা, ড্রিল, মার্চিং, কুচকাওয়াজ, বাইচ প্রভৃতিতেও শরীরচর্চা হয়। কবাডি, ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ভলি, পোলো প্রভৃতি খেলাধুলায়ও
শরীরচর্চা হয়। আসন, মুদ্রা, প্রাণায়াম প্রভৃতিও শরীরচর্চার মাধ্যম। এসবের দ্বারা শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়।
শরীরচর্চার ফল : শরীরচর্চার ফলে দেহ ও মন উভয়েরই উপকার হয়। শরীরচর্চার ফলে শরীরের স্নায়ু-পেশি সবল হয়। শরীরচর্চার ফলে একদিকে ক্ষিদে বাড়ে, অপরদিকে হজমশক্তিও বাড়ে। শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হয়। শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থি সবল হয় এবং তাদের রস নিঃস্বরণ স্বাভাবিক হয়।
যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস প্রভৃতি সবল হয়। শরীরচর্চার ফলে শরীরে ঘাম হয়,তার ফলে শরীরের দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
উপসংহার : শারীরিক ও মানসিক শক্তির অধিকারী ব্যক্তিরাই জীবনে সাফল্য লাভ করতে পারে। দুর্বল শরীর ও মন নিয়ে শুধু ব্যর্থতার বোঝা। বয়ে বেড়াতে হয়। শুধু তাই নয়, শুস্থ সবল ব্যক্তিবা দেশের সম্পদ।