Rachana kheladhularj gat/ রচনা খেলাধুলার জগৎ
রচনা
খেলাধুলার জগৎ
ভূমিকা : খেলাধুলার প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরকালের। তাই যুগে যুগে দেশে দেশে কত বিচিত্র রকমের খেলা আবিষ্কৃত হয়েছে। কিছু কিছু খেলা নির্দিষ্ট কিছু কিছু দেশে সীমাবদ্ধ, আবার বহু খেলাই নির্দিষ্ট কোনো দেশের সীমায় সীমাবদ্ধ নয়। খেলাধুলায় শরীরচর্চা হয়, পাওয়া যায় সীমাহীন আনন্দ। শক্তি, সাহস ও বৃদ্ধি : সারা বিশ্বে কত বিচিত্ররকম খেলাধুলা প্রচলিত আছে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটিতে শারিরীক শক্তির প্রয়োগ বেশি হয়, কোনো খেলায় বুদ্ধির প্রয়োজন হয় বেশি। কোনো কোনো খেলায় শক্তি, সাহস ও বুদ্ধির প্রয়োজন হয়। কুস্তি, জিমন্যাস্টিকস, করাডি, সাঁতার
প্রভৃতিতে শক্তি ও সাহসের প্রয়োজন হয়। আবার দাবা, তাস প্রভৃতিতে বুদ্ধির প্রয়োজন হয় বেশি। সমস্ত খেলার দক্ষতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সরঞ্জাম ? কোনো খেলায় নানারকম সরঞ্জনের প্রয়োজন হয়। যেমন— ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ক্যারাম, টেনিস, টেবিল টেনিস, হকি, বাস্কেটবল,
হ্যান্ডবল, নেটবল, ভলিবল, ফুটবল প্রভৃতি; আবার কোনো কোনো খেলা সরঞ্জাম ছাড়াই খেলা যায়; যেমন—দৌড়, হাড়ত্ব, কুস্তি, ড্রিল ও মার্টিং,
সাঁতার, বিভিন্ন প্রকার দৌড়, লং জাম্প, জিমন্যাস্টিকস প্রভৃতি।
প্রকারভেদ : সবরকম খেলাধুলাকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন—বাড়ির ভিতরের খেলা; আর বাড়ির বাইরের খেলা। তাস, পাশা,
দাবা, লুড়ো, ক্যারাম প্রভৃতি বাড়ির ভিতরের খেলা। অপর দিকে ফুটবল,ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টন, বর্ণা ছোঁড়া, দৌড়, হাডুডু, পোলো, খো-খো, সাঁতার, টেনিস, নেটবল, ভলিবল প্রভৃতি খেলা হল বাড়ির বাইরের খেলা।
উপসংহার : খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই একালে স্কুলকলেজে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে ছাত্রসমাজ উপকৃত হবে।