রচনা একটি প্রজাপতি আত্মকথা - Online story

Wednesday, 29 November 2023

রচনা একটি প্রজাপতি আত্মকথা






 রচনা

একটি প্রজাপতি আত্মকথা


ভূমিকা : আমি একটি প্রজাপতি অর্থাৎ একটি পতঙ্গ। আমার দুজোড়া ডানায় নানা রং-এর কারুকাজ। ঈশ্বর আমার এই সুন্দর রূপ দিয়েছেন। আমি মনের আনন্দে এক ফুল থেকে আর এক ফুলে উড়ে বেড়াই। ফুলের রস সংগ্রহ করি।



জীবনচক্র : আমার জীবনচক্র একটু জটিল। কয়েকটি দশা অতিক্রম করে আমি এই রূপ পেয়েছি। প্রথমে ডিম। কয়েক দিন পরে সেই ডিম ফুটে শুককীটে পরিণত হয়েছি। সেই অবস্থায় আমার দেহ অনেকগুলি খণ্ড দিয়ে তৈরি হয়েছিল। আমার সারা শরীর সরু সরু রোঁয়া দিয়ে ঢাকা ছিল। যাকে তোমরা শুঁয়ো পোকা বলো, তখন আমি তাই ছিলাম। এরপর খোলস ছেড়ে লালাগ্রন্থির লালা দিয়ে আমার সারা শরীর ঢেকে দিই। অর্থাৎ আমার দেহের উপর একটি শক্ত গুটি তৈরি করি। গুটির ভিতর লারভা থেকে মূককীটে পরিণত হই। এর প্রায় একমাস পরে আমি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়ে প্রজাপতিতে পরিণত হই।


আমার অবদান : আমি মানুষকে আনন্দ দিই। আমার রূপে তোমরা মুগ্ধ হও। আমি এক ফুল থেকে আর এক ফুলে বসে আমার খাদ্য সংগ্রহ করি অর্থাৎ ফুলের রস খাই। আমার একটা অবদান প্রায় সবাই ভুলে যায়। আমি গাছের তথা মানুষের একটা বড়ো উপকার করি। আমি যখন কোনো ফুলে বসি তখন ওই ফুলের পরাগরেণু আমার পায়ে ও গায়ে লেগে যায়। আমি যখন আর এক ফলে বসি তখন সেই পরাগরেণু আমার শরীর থেকে ফুলের গর্ভমুণ্ডে পড়ে। আর তার ফলেই গাছে ফল উৎপন্ন হয়। আর সেই ফল মানুষের নানা প্রয়োজনে লাগে।


উপসংহার : এক সময় আমরা দলে দলে মনের আনন্দে উড়ে বেড়াতাম।।কিন্তু আগের সেই দিন কোথায় হারিয়ে গেছে। তোমরা হয়তো লক্ষ করেছো আমাদের সংখ্যা ক্রমশ কমে আসছে। তার কারণ কিন্তু তোমরা অর্থাৎ মানুষ। তোমরা ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছ। তার ফলে আমাদের মৃত্যু ঘটছে। আমরা যদি একসময় এই পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাই তাতে কি তোমাদের একটুও দুঃখ হবে না? 




রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে