একটি রাজপথের আত্মকথাRachana Akti Raj pather anakatha - Online story

Wednesday 22 November 2023

একটি রাজপথের আত্মকথাRachana Akti Raj pather anakatha




 রচনা

একটি রাজপথের আত্মকাহিনি

ভূমিকা : আমি একটি রাজপথ। এই শহর তৈরির প্রথম থেকেই আমার অস্তিত্ব ছিল। তবে আমি রাজপথের গুরুত্ব পেয়েছি খুব বেশি হলে তিরিশ বছর। তার আগে আমার বিশেষ কোনো গুরুত্ব ছিল না। অতীত স্মৃতি আজকের আমি এক সময় ছিলাম মাটির তৈরি। দুপাশে ছিল হোগলা বন। প্রথম দিকে দু’-একজন মানুষ পায়ে হেঁটে এ-পথে যাতায়াত করত। কোনো রকমের গাড়ি এ-পথে চলত না। প্রায় বিশ বছর এভাবে কাটল। শহরে লোকসংখ্যা বাড়তে থাকল। ইট-সুড়কি ফেলে আমাকে চওড়া ও উঁচু করা হল। এভাবেও কাটল বেশ কয়েক বছর। একদিন দেখলাম মিউনিসিপ্যালিটির।  ইঞ্জিনিয়াররা এসে মাপজোক করলেন। তাদের কথাবার্তা থেকে বুঝলাম যে, শহরের অন্যান্য সব রাস্তা আমার থেকে সরু, তাই আমাকে এখন রাজপথের মর্যাদা দেওয়া হবে।



বর্তমান অবস্থা : এরপর রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, বালি ফেলা, ইট পাতা, পাথর ফেলা ইত্যাদি চলতে থাকল। শেষ হতে প্রায় দুবছর কাটল। তারপর এগিয়ে এলো উদ্বোধনের দিন। ফুল, মালা প্রভৃতি দিয়ে আমাকে সাজানো হল। মুখ্যমন্ত্রী ফিতে কাটলেন। আমার আনন্দের সীমা রইল না। এতদিন অবহেলায় কাটলেও এখনআমার মর্যাদা বাড়ল। আমার ওপরে প্রায় দু-ইঞ্জি পিচের প্রলেপ। দুপাশে পথচারীদের যাওয়ার জন্য আলাদা পথ। দিনরাত্রি অসংখ্য ছোটো-বড়ো গাড়ি ছুটে চলেছে আমার বুকের ওপর দিয়ে। আমি নাকি এখন এই শহরের গর্ব।



দায়িত্ব পালন : রাজপথের মর্যাদা পাওয়ার আগে থেকেই আমি আমার দায়িত্ব পালন করে চলেছি। সাইকেল, রিক্সা, ট্যাক্সি, বাস, লারি সবরকম যানবাহনই আমার ওপর দিলে ছুটে চলে। শহরের মানুষ শহরের বাইরে গেলে কিংবা বাইরের মানুষ শহরে এলে আমাকে ব্যবহার করে। আমার মাধ্যমে রাজ্যের বাকি অংশের সঙ্গে এই শহরের যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে। আমার কোনো বিশ্রাম নেই। মাঝরাতে মালবোঝাই বড়ো বড়ো লরি আমার বুক কাঁপিয়ে ছুটে চলে। মানুষের সেবায়, সমাজের দেশের সেবায় লাগতে পারায় আমার জীবন সার্থক।


উপসংহার ঃআমার বয়স বেড়েছে। আমার মর্যাদা বেড়েছে। আমার ওপর দিয়ে ছুটে চলা গাড়িগুলির গতিও বেড়েছে। তার ফলে আমার বুকে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু এর জন্য তো আমার কোনো দোষ নেই। আমার কী-ই বা করার আছে।আমি তো একটা রাজপথ মাত্র।





রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে