ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশে রাজার শালকের চরিত্রের পরিচয় দাও।
ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশ অবলম্বনে রাজার শ্যালকের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিচয় দাও।
উত্তর/ মহাকবি কালিদাসের ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম্' নাটকটির একটি অংশ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’-এর একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হল ‘রাজশ্যালক’। তাঁর কার্যকলাপের মাধ্যমে তাঁর চরিত্রের কয়েকটি
বৈশিষ্ট্য আমরা চিহ্নিত করতে পারি। চোর সন্দেহে দুজন রক্ষী যখন ধীবরকে তার বক্তব্যদানে বাধা দিচ্ছিল, তখন উলটোপথে হেঁটে রাজশ্যালক রক্ষীদের বলেন-“একে পূর্বাপরসব বলতে দাও।
-------
বিচক্ষণতা :- মধ্যে বাধা দিও না।”
-------
অভিজ্ঞ রাজশ্যালক ধীবরের সব
কথা বলার অধিকার আছে— এ কথা অনুভব করেন এবং কাউকে চোর বলার আগে তার সত্যাসত্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এ থেকে তাঁর বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া যায়।
নগর রক্ষার কাজে শ্যালকও দায়বদ্ধ, তাই ধীবর সত্যি বলছে কিনা জানার জন্য রাজনামাঙ্কিত আংটিটি রাজাকে দেখানো এবং তাঁর নির্দেশ নেওয়া
----------
দায়বদ্ধতা:- উচিত বলে
---------
তিনি মনে করেছেন। তাই ধৃতের কথা যেমন তিনি মন দিয়ে শুনেছেন, তেমনই আংটিটিও রাজাকে দেখিয়ে তাঁর নির্দেশ নিয়েছেন। এখানে তাঁর কাজের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় পাওযয়া যায়।
-
নিজের পদমর্যাদা সম্পর্কে রাজশ্যালকের অহংবোধ ছিল, তাই প্রথমাবস্থায় ধীবরের বৃত্তিকে তিনি বিদ্রুপ
--------
অহংবোধ : - কে বলেছেন—
--------
“তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।” তাঁর এমন উক্তি থেকে তাঁর অহংবোধের পরিচয় যেমন প্রকাশিত হয়েছে, তেমনই নিম্নবৃত্তীয়দের হীন প্রতিপন্ন করার
মনোভাবও প্রকাশিত হয়েছে।
নাট্যাংশের প্রথম দিকে রাজশ্যালকের আচরণে অহংবোধ, স্থূল রসিকতার ভাব দেখা গেলেও শেষাংশে আমরা তাঁর উদারতার পরিচয়ও পাই।
--------
উদারতা :- তাই পুরস্কারপ্রাপ্ত
--------
ধীবর যখন পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ দুই রক্ষীকে ভাগ করে
দেয়, তখন রাজশ্যালক ধীবরের আচরণে মুগ্ধ হয়ে তাকে প্রকৃত বন্ধু বলে গ্রহণ করে মানবিক ঔদার্যের পরিচয় দেন।
এভাবেই আলোচ্য নাট্যাংশে রাজশ্যালক চরিত্রের উক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি লক্ষ করা গেছে।