দেশভাগ পরবর্তী সময়ে ভারতের উদ্বাস্তু সমস্যার ক্ষেত্রে দু-ধরনের নীতি ছিল কেন? - Online story

Monday 18 December 2023

দেশভাগ পরবর্তী সময়ে ভারতের উদ্বাস্তু সমস্যার ক্ষেত্রে দু-ধরনের নীতি ছিল কেন?

 


 

 

দেশভাগ— পরবর্তী সময়ে ভারতের উদ্বাস্তু সমস্যার ক্ষেত্রে দু-ধরনের নীতি ছিল কেন?

উত্তর
ভূমিকা : দেশভাগের ফলে বাংলা ও পা্যাব বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের হিন্দু-শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা উদ্বাস্তু হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। ফলে উদ্বাস্তু সমস্যা প্রবল আকার
ধারণ করে। উদ্বাস্তু সমস্যার ক্ষেত্রে দু-ধরনের নীতি গ্রহণের কারণ-
পাঞ্জাব-
পুনর্বাসন : পশ্চিম ভারতের মুসলমানরা প্রচুর জমি-বাড়ি ফেলে পশ্চিম পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল। ফলে সেখানকার হিন্দু-শিখ উদ্বাস্তুদের মধ্যে তা বণ্টন করা সম্ভব হয়। পূর্ব পাঞ্জাব, হরিয়ানা,
হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমেও বহু মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়।

[ত্রাণ] : দোকানপাট, আবাসন, ব্যাবসাবাণিজ্য গড়ে তোলার জন্য সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়।
নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি : উদ্বাস্তু স্রোত নিয়ন্ত্রণের জন্য যে নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে তা ফলপ্রসূ হয়।
বাংলা :
[পুনর্বাসন] : পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু উদ্বাস্তুরা ভাষাগত মিল ও অন্যান্য কারণে আসাম, ত্রিপুরার চেয়ে পশ্চিমবাংলায় বেশি সংখ্যায় আশ্রয় নেয়। উদ্বাস্তুর চাপ বেশি থাকায় আন্দামান ও দণ্ডকারণ্যে বহু মানুষকে পাঠানো হয়। ফলে তাদের মধ্যে জমি
বণ্টন করা হয়নি।

[2] ত্রাণ : পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় আবাসন প্রকল্প,কলোনি (অশোকনগর, কল্যাণী, দুর্গাপুর) গড়ে তোলেন। শিল্পে, সরকারি কাজে কর্মীনিয়োগের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কেন্দ্রীয়
সাহায্যের পরিমাণ ছিল প্রয়োজনের তুলনায় কম।
[3] উদ্বাস্তু স্রোত : নেহরু-লিয়াকৎ চুক্তি বাংলায় ফলপ্রসূ না হওয়ায় উদ্বাস্তু স্রোত অব্যাহত থাকে।
মন্তব্য : এই সমস্ত কারণে দেশভাগের পর উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে দুই অঞ্চলে (পাঞ্জাব ও বাংলা) দুই ধরনের নীতি দেখা যায়।