ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে সংলাপ নাট্যকারের দক্ষতার পরিচয় দাও। - Online story

Thursday 21 December 2023

ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে সংলাপ নাট্যকারের দক্ষতার পরিচয় দাও।

 


 

 

 ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে সংলাপ নাট্যকারের দক্ষতার পরিচয় দাও।

উত্তর:- নাটকের প্রাণ হলো সংলাপ । নাটকের চরিত্রগুলির কীর্তিকলাপের পরিচয়, তাদের মনোভাব, নাট্যদ্বন্দ্বের সৃষ্টি সর্বোপরি নাটকের
গতিবেগ নির্ভর করে সংলাপের ওপরেই।

রাজশ্যালকের সংলাপ-রাজশ্যালক একজন উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী। তাঁর সংলাপে স্বভাবতই অহংবোধের প্রকাশ ঘটেছে। ধীবরের বৃত্তিকে হীন মনে করে তিনি ধীবরকে বলেছেন- “তা তোর জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।” আবার তিনি যখন ধীবরকে সব কথা বলার সুযোগ দেন বা আংটিটির প্রতি রাজার মনোভাব সম্পর্কে বলেন— “ আংটিটা রাজার কাছে মূল্যবান মনে হয়েছে- এমনটা আমার মনে হয় না,”— তখন তাঁর বিচক্ষণতারই প্রমাণ পাওয়া যায়।

নাট্যকারের দক্ষতা:-
রক্ষীদ্বয় ধীবরকে চোর সন্দেহ করে ‘বাটপাড়’, ‘ব্যাটা চোর', ‘গাঁটকাটা’ ইত্যাদি বলে কটূক্তি করেছে। এমনকি রাজা ধীবরকে উপহার দিলে ধীবরের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে নিরক্ষীদ্বয়ের সংলাপ প্রথম রক্ষী বলে— “এ যে শূল থেকে নামিয় একেবারে হাতির পিঠে চড়িয়ে দেওয়া হলো।” দ্বিতীয় রক্ষী ধীবরের মুক্তি প্রসঙ্গে বলে— “এই জেলে যমের বাড়ি গিয়ে আবার ফিরেএল।” রক্ষী-চরিত্রের পক্ষে এমন সংলাপই স্বাভাবিক।


 ধীবরের সংলাপ :-রক্ষীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েও ধীবর ধীরস্থির থেকেছে এবং আংটিপ্রাপ্তির ঘটনা বর্ণনা করে সে বলেছে– “এখন মারতে হয়  মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন।” আবার নাট্যাংশের শেষে রক্ষীদের উদ্দেশে সে বলে-
“এই পরিতোষিকের অর্ধেক আপনাদের ফুলের দাম হিসাবে দিচ্ছি।”তাই এমন সংলাপে তার চরিত্রের সততা ও উদারতার প্রকাশ ঘটেছে।এভাবেই চরিত্রগুলিকে স্বাভাবিকতা দান করতে, নাটকটিকে গতিশীল করতে সংলাপ সার্থক ভূমিকা পরিচয় গ্রহণ করেছে।