কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো। - Online story

Friday 22 December 2023

কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

 


 

 কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কবিতাটির নামকরণের
 সার্থকতা আলোচনা করো।



নামকরণের সার্থকতা
সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল নামকরণ। নামকরণের মাধ্যমেই রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আগাম ধারণা করা যায়।

কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি' কাব্যাংশে দেখা যায় – ঘন কালো মেঘে আকাশ সমাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে নিজের অঙ্গও দেখা যায় না। কলিঙ্গের আকাশে শুরু হয় মেঘের গর্জন, সেইসঙ্গে শুরু হয়ে যায় প্রবল
ঝড়-বৃষ্টি। এমন অবস্থায় প্রজাগণ আতঙ্কিত হয়। তারা আত্মরক্ষার জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে দৌড়ে পালাতে থাকে। ভাদ্র মাসে যেমন পাকা তাল পড়ে, তেমনই ঘরের চাল ভেদ করে শিল পড়তে থাকে মেঝেতে। নিরন্তর সাত দিন ঝড়-বৃষ্টির
তাণ্ডবে সমগ্র কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে, খেতের ফসলে পচনধরে‌। দেবী চণ্ডীর আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গে মঠ-অট্টালিকা ভেঙে তছনছ করেন, আবার দেবীর আদেশেই নদনদীরা কলিঙ্গদেশের  ওপর দিয়েই প্রবাহিত হতে থাকে। জলের ঢেউয়ে ঘরবাড়িগুলি টলমল করতে থাকে। মহাপ্রলয়ের সম্মুখীন হয় কলিঙ্গবাসী।
পাঠ্য কাব্যাংশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কাব্যাংশটির সম্পূর্ণটাই ঘিরে রয়েছে কলিঙ্গদেশে সংঘটিত ঝড়-বৃষ্টির বর্ণনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কলিঙ্গের মানুষ কীভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে তারই পরিচয় পাই আলোচ্য কাব্যাংশে। তাই
আমার মতে পাঠ্য কাব্যাংশটির বিষয়মুখী নামকরণ ‘কলিচ্চাদেশে ঝড়-বৃষ্টি' সম্পূর্ণ সার্থক হয়েছে।