ব্যোমযাত্রীর ডায়রি' অনুসরণে মঙ্গলগ্রহ থেকে টাফাগ্রহ অভিযানের যাত্রাপথের বিবরণ লেখো।
ব্যোমযাত্রীর ডায়রি' অনুসরণে মঙ্গলগ্রহ থেকে টাফাগ্রহ অভিযানের যাত্রাপথের বিবরণ লেখো।
উওর -প্রোফেসর শঙ্কু মঙ্গলীয় সৈন্যের কবল থেকে
বিধুশেখরকে উদ্ধার করে, কোনোক্রমে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে রকেটে উঠেই জ্ঞান হারান। পরে জ্ঞান ফিরে আসার পর তিনি দ্যাখেন রকেট স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মহাকাশের অচেনা পথে উড়ে চলেছে। প্রহ্লাদ কিছুটা সামলে নিলেও তার অসংলগ্নতা কাটেনি আর মঙ্গলীয়দের আঁশটে মেছো শরীরে দাঁত বসানোয় বিড়াল নিউটনের মুখে অরুচি। যদিও তখন তা খানিকটা কম। সকলেরই শরীর-মন ক্লান্ত ও অবসন্ন। একমাত্র ব্যতিক্রম বিধুশেখর। তাকে সচল করা মাত্রই সে ধন্যবাদ জানায় এবং প্রহ্লাদের মুখে রামায়ণ-মহাভারত শুনে শুনে শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার করে কথা বলতে শুরু করে। এই বিধুশেখরের কথায় মহাকাশযানের জানলা খুলে তারা অবাক হয়ে যায়। এক বিচিত্র জগতের মধ্যে ওরা এসে পড়েছে। আকাশময় আলোর বুদবুদ ফুটছে আর ফাটছে, যেন সোনার বল ফোয়ারা হয়ে ছড়িয়ে মিলিয়ে যাচ্ছে চারদিকে। বারবার এই দৃশ্য বদলাতে থাকে, এমন দৃশ্য প্রহ্লাদকেও মুগ্ধ করেছে আর নিউটন জানলার কাচ খামচে ধরে বোঝায়, সে বাইরে যেতে চায়। এইভাবে আশ্চর্য তৎপরতায় অগ্ন্যুগার, পাথরের চাঁইয়ের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে শঙ্কুর তৈরি
মহাকাশযান তাদের নিয়ে নিরাপদে নতুন গ্রহে পৌঁছায়। আনন্দিত ও নিশ্চিন্ত বিধুশেখরের মুখ থেকে জানা যায় অসংখ্য জোনাকি আলো সজ্জিত এই নতুন গ্রহটির নামটা টাফা।