ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ গল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্র প্রোফেসর শঙ্কু। গল্পে তাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে যা জান লেখো। - Online story

Wednesday 27 December 2023

ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ গল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্র প্রোফেসর শঙ্কু। গল্পে তাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে যা জান লেখো।

 


  ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’ গল্পের উল্লেখযোগ্য চরিত্র
প্রোফেসর শঙ্কু। গল্পে তাঁর কার্যকলাপ সম্পর্কে যা জান লেখো।

উত্তর ‘ব্যোমযাত্রীর ডায়রি’-তে সুন্দরবনের মাথারিয়া অঞ্চল থেকে তারক চাটুজ্যের আবিষ্কৃত ডায়রি থেকে প্রোফেসর শঙ্কুর কথা জানতে পারা যায়। এই ডায়রিতে শঙ্কুর মঙ্গলগ্রহে যাত্রার
সমস্ত তথ্য লেখা ছিল। আর এরই ভিত্তিতে শঙ্কুর নানান গতিবিধি আমরা জানতে পারি। তাঁকে নিয়ে নানান গল্পও চালু ছিল। প্রায় পনেরো বছর তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কেউ বলেন, তিনি গবেষণায়
ব্যস্ত ছিলেন, আবার কেউ-বা বলেন, তিনি এক্সপেরিমেন্ট করতে গিয়ে মারা গেছেন। তিনি একজন বৈজ্ঞানিক। তিনি এতটাই আত্মভোলা এবং নানান পরীক্ষানিরীক্ষা নিয়ে মগ্ন থাকতেন যে,
দীর্ঘদিন নিজের চেহারাটাই ভালোভাবে দেখা
হত না তাঁর। আর এজন্যই আয়নার সামনে
দাঁড়িয়ে নিজের চেহারার বিদঘুটে পরিবর্তনে
তিনি নিজেই চমকে ওঠেন। মঙ্গল অভিযান তাঁর বহুদিনের শখ। আগে একবার মঙ্গল অভিযানের আয়োজন করেও স্রেফ প্রহ্লাদের দলে কিছুটা উঠেই রকেট অবিনাশবাবুর মুলোর খেতে ভেঙে পড়ে।

প্রোফেসর শঙ্কু মঙ্গল অভিযানে কী কী নিতে হবে জানতেন, তাই দৈনন্দিন প্রয়োজনের জিনিসে অযথা রকেট ভারী করেননি। এক্ষেত্রে অবশ্য তাঁর অত্যাশ্চর্য আবিষ্কারগুলি কাজে লেগেছিল— যেমন পোষা বিড়ালের খাদ্য হিসেবে ফিস পিল, যন্ত্রমানব বিধুশেখর প্রভৃতি। শঙ্কুর কর্মকাণ্ড পাঠককে হতচকিত করলেও তাঁর নিয়মিত  ডায়রি লেখার অভ্যাস আমাদের মঙ্গলের পরিবেশ-পরিস্থিতি ইত্যাদি সম্পর্কে উৎসাহিত করে। কাল্পনিক হলেও শঙ্কুর কার্যকলাপআমাদের এক ভিন্ন রসবোধে উত্তীর্ণ করে; যা একমাত্র কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি পাঠ করলেই পাওয়া সম্ভব।