রচনা একটি টাকার আত্মকথা - Online story

Friday, 8 December 2023

রচনা একটি টাকার আত্মকথা

 



রচনা

একটি টাকার আত্মকথা

ভূমিকা : আমি এক টাকা—একটি কয়েন অর্থাৎ মুদ্রা। আমাকে ছাড়া মানুষের জীবন চলে না। প্রয়োজনীয় জিনিসটি কিনতে গেলে আমাকে ছাড়া গতি নেই। আমাকে পাওয়ার জন্য মানুষ কত পরিশ্রম করে। সবতি আমাকে পেতে চায়, ধরে রাখতে চায়। কিন্তু সবাই তা পারে না। আমি খুব  ছুটে বেড়াই।


জন্ম ইতিহাস:- আমার জন্ম  সরকারী টাঁকশালে। বিভিন্ন ধাতু নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে ছাঁচে ঢেলে আমাদের তৈরি করা হয়। আমি তাদেরই একজন। আমার গায়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এর ছাপ আছে। তৈরির সালও উল্লেখ আছে। আমি এক টাকার মুদ্রা।


আমার বৈশিষ্ট্য : আমার নির্দিষ্ট কোনো মালিক নেই। আমি যখন যার কাছে থাকি সেই আমার মালিক। আমার জন্মের পর কত হাত যে ঘুরেছি তার কোনো হিসেব নেই। কত পকেট, কত মানিব্যাগ, পয়সা জমানোর ভাঁড়ে জীবন কাটিয়েছি। কোথাও আমি স্থায়ীভাবে আশ্রয় পাই নি। আমি কত বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে এসেছি। তাদের মধ্যে চোর, ডাকাত, ভিখারি, সাধারণ মানুষ, শিক্ষক, উকিল, ডাক্তার, লেখক, ব্যবসায়ী ইত্যাদি আছে। আমার কাছে সবাই

সমান। কারুর দোষ-গুণ দেখার কোনো অধিকার আমার নেই।


আমার গুরুত্ব : আমাকে ছাড়া মানুষের কোনো অভাব মেটে না। আমি পকেটে থাকলে মানুষের কত আনন্দ। না থাকলে দুঃখের শেষ নেই। আমি মানুষের সব প্রয়োজন, আশা-আকাঙ্ক্ষা মেটাতে পারি বলে আমার এত কদর। আমি মানেই লক্ষ্মী। তাই আমি হাত থেকে পড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে কুড়িয়ে নিয়ে কপালে ঠেকানো হয়। আমাকে কেন্দ্র করে মানব সমাজে, সংসারে কত অশান্তি। অপর দিকে আমিই কত সুখ-শান্তি বয়ে আনি। সেদিক দিয়ে আমার গুরুত্ব অপরিসীম। আমি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা পাই।

উপসংহার : জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, আবার টাকার মূল্য কমছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের আকার ক্রমশ ছোটো করা হচ্ছে। ওজনও কমানো হচ্ছে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি তো অনেক আগেই জন্মেছি। তাই আমার আকার বেশ বড়ো, ওজনও বেশি। সেজন্য আমার একটু গর্ব হয় বৈকি ! তবে একটা কথা কি জানো,আমাদের মধ্যে যারা সবচেয়ে ছোটো তারা দেব-দেবীর বাক্সে স্থান পায়।বড়ো রা পায় না।




রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন





পত্ররচনা বাবা কে