রচনা নদীর গুরুত্ব /Rachana Nadir gurata
রচনা
নদীর গুরুত্ব
ভূমিকা ঃনদী প্রকৃতির দান। নদী কোনো পর্বত বা মালভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে বহু পথ অতিক্রম করে শেষে কোনো সাগর বা হ্রদে পড়ে। কোনো বড়ো নদী থেকে ছেটো ছোটো নদী উৎপন্ন হয়ে পৃথকভাবে প্রবাহিত হয়। আবার অনেক সময় ছোটো নদী বড়ো নদীর প্রবাহপথে মিলিত হয়।
নদীর গুরুত্ব : সিন্ধু সভ্যতা, মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা, চিনের সভ্যতা প্রভৃতি পৃথিবীর প্রাচীন সভ্যতাগুলি বিভিন্ন নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল। নদীর জলকে কৃষিকার্যে লাগানোর ফলে কৃষিজমি শস্যশ্যামল হয়ে ওঠে। নদীর জল কলকারখানায় ব্যবহৃত হয়। নদীর বুকে বাঁধ দিয়ে, জলাধার তৈরি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, কৃষিতে জল সরবারহ করা হয়, মৎস্য চাষ করা হয়। নদী উপত্যকায় জনবসতি ও শহরাঞ্চল গড়ে ওঠে। পরিবহন ব্যবস্থায় নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। নদীর বুকে নৌকা, স্টীমার, লঞ্চ, জাহাজ প্রভৃতি জলযান চলাচল করে। ফলে মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন সম্ভব হয়, যা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে সহায়তা করে। অনেক ক্ষেত্রে নদীর জল শোধন করে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মানুষের জীবন ও জীবিকাকে নদী নানাভাবে প্রভাবিত করে।
উপসংহার : নদীর এত উপকারিতা সত্ত্বেও নদী অনেক সময় অভিশাপ হয়ে দেখা দেয়। নদীর জল অনেক সময় দুকুল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে। তখন মানুষের দুঃখকষ্টের শেষ থাকে না। তবে নদীর জলের পলি জমে জমির উর্বরতা বাড়ে।