প্রফেসর শঙ্কুর মঙ্গল যাত্রার বিবরণ লিপিবদ্ধ করো। - Online story

Tuesday 2 January 2024

প্রফেসর শঙ্কুর মঙ্গল যাত্রার বিবরণ লিপিবদ্ধ করো।

 

 

 বোমযাত্রীর ডায়েরি’ গল্প অবলম্বনে প্রফেসর শঙ্কুর মঙ্গল যাত্রার বিবরণ লিপিবদ্ধ করো।
উত্তর-
‘বোমযাত্রীর ডায়েরি’ অনুসারে ১৩ জানুয়ারি ভোর পাঁচটায় প্রোফেসর শঙ্কু স্বনির্মিত রকেটে প্রহ্লাদ, বিধুশেখর আর বিড়াল নিউটনকে নিয়ে মঙ্গল অভিযানে যাত্রা করেন। রকেটে প্রত্যেকের জন্য মহাকাশযাত্রার পোশাক হেলমেট ছাড়াও দরকারি সমস্ত জিনিসপত্র-সাজসরঞ্জাম মজুত ছিল। প্রায় পাঁচ বছরের রসদ তিনি সঙ্গে নিয়েছিলেন। এ ছাড়া মঙ্গল অভিযানের জন্য শঙ্কু তৈরি করেছিলেন ফিস পিল, যার একটি খেলে নিউটনের সাত দিনের খিদে দূর হয়। আর নিজেদের জন্য ছিল ‘বটিকা-ইন্ডিকা’, যার একটি বড়ি চব্বিশ ঘণ্টার খিদে-তেষ্টা দূর করে। মঙ্গলের উদ্দেশে লম্বা পথ পাড়ি দেওয়ার সময় নিউটন প্রথমে অস্থিরতা দেখালেও ক্রমে টেবিলের উপর বসে ঘণ্টার-পর-ঘণ্টা মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করতে থাকে। যন্ত্রমানব বিধুশেখর ভাবলেশহীন, তার  অনুভূতি থাকলেও বোঝা যায় না। বাইরের দৃশ্য সম্পর্কে অনাগ্রহী প্রহ্লাদ কেবল রামায়ণ পড়ে। শঙ্কুর মুখে শুনে বিধুশেখর দ্বিজু রায়ের গান শিখে নেয়। ২৫ জানুয়ারি নাগাদ জানলা দিয়ে শুধু মঙ্গলগ্রহের ছবিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শঙ্কু মঙ্গলে পদার্পণ করার জন্য ক্যামেরা, দূরবিন ইত্যাদি জিনিস গুছিয়ে নেন। কারণ তিনি নিশ্চিত মঙ্গলগ্রহে প্রাণী আছে। মঙ্গলে নামার কিছুক্ষণ আগে
আচমকা বিধুশেখর একটা কাণ্ড ঘটায়। সে রকেটটা উলটো দিকে যাওয়ার হ্যান্ডেল ধরে এক প্রচণ্ড টান দেয়। ফলে ঝাকুনির চোটে সকলেই মেঝেতে পড়ে যায়। প্রোফেসর কোনোক্রমে বিধুশেখরের। কাঁধের বোতাম টিপে তাকে বিকল করেন। তিনি অবাক হয়ে ভাবেন ,এ কি বিধুশেখরের নিছক পাগলামি, না বিপদের পূর্বাভাস। এই ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পরে শঙ্কুর রকেট মঙ্গলে অবতরণ করে।