সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশে সিরাজের মধ্যে যে দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়, তা লেখো। - Online story

Wednesday 31 January 2024

সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশে সিরাজের মধ্যে যে দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়, তা লেখো।

 


 

সিরাজদ্দৌলা' নাট্যাংশে সিরাজের মধ্যে যে দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়, তা লেখো।

উত্তর -‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশের শুরুর দিকে সিরাজকে আমরা একজন কঠোর শাসকের ভূমিকায় পাই। কিন্তু নবাবের চরিত্রটি
যত প্রস্ফুটিত হতে থাকে, পাঠকের চোখে তাঁর আপাতকাঠিন্যের আড়ালে এক স্বদেশপ্রেমিক সত্তা ধরা পড়ে।
ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল ‘ওয়াটসনের ওয়াটস’কে লেখা পত্রে বাংলায় আগুন জ্বালানোর হুমকি নবাবকে রাগান্বিত করেছে।
ওয়াটসকে নিজের রাজদরবার থেকে বিতাড়িত করতে তিনি দ্বিতীয় বার ভাবেননি। রাজবল্লভ, দুর্লভ রায়, মীরজাফর প্রমুখ স্বদেশীয়
দেশপ্রেমিক সিরাজ সভাসদদের চক্রান্ত ও বিশ্বাসঘাতকতা সম্বন্ধে অবহিত হয়ে এবং তাঁদের কাছে চূড়ান্ত অপমানিত হয়েও সিরাজ কেবল মাতৃভূমির সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই এঁদের সঙ্গে পুনরায় সৌহার্দ্য স্থাপনের চেষ্টা করেন।
সিরাজের মুখে “বাংলার ভাগ্যাকাশে আজ দুর্যোগের ঘনঘটা”জাতীয় সংলাপ তাঁর স্বদেশপ্রেমের স্বরূপ উদ্ঘাটন করে। ঘসেটি
বেগমের অনর্গল অভিসম্পাতের জবাবেও যে নবাব তাঁকে একটিও কটুকথা বলেননি, অথচ পলাশির যুদ্ধে ব্রিটিশের কাছে আসন্ন পরাজয়ের আশঙ্কা তাঁকে হতাশ করেছে। স্বদেশপ্রেম সমস্ত মানুষের মনের গভীরে কোথাও প্রচ্ছন্ন,
কোথাও উজ্জ্বল হয়ে অবস্থান করে। সিরাজের দেশপ্রেম তার চরিত্রকে বিশিষ্টতা প্রদান করেছে। মসনদে বসে দেশ ও জাতির স্বরূপ সিরাজ অনুধাবন করেছিল। বাংলার ভাগ্যাকাশে দুর্যোগ তাই তাকে আহত করেছে।এ থেকে সিরাজের মধ্যে  দেশপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়।