টেনিস কোর্টের শপথ নবম শ্রেণীর ইতিহাস
‘টেনিস কোর্টের শপথ' সম্পর্কে কী জান?
উত্তর-টেনিস কোর্টের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে
দেখা যায় যে—
১ তৃতীয় সম্প্রদায়ের দাবি : স্টেটস্ জেনারেলের
অধিবেশন শুরু (৫ মে, ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দ) হলে তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা সকল সদস্যের একই কক্ষে বসা ও মাথাপিছু ভোটের দাবিতে সরব হন।
জাতীয় সভা ঘোষণা : রাজা তৃতীয় শ্রেণির দাবি
মানতে অস্বীকৃত হলে ১৭ জুন তৃতীয় সম্প্রদায়ের প্রতি নিজেদের সভাকেই জাতীয় সভা বলে ঘোষণা করে। এরপর বিরক্ত হয়ে রাজা হঠাৎ অধিবেশন কক্ষ বন্ধ করে দেন (২০ জুন)।
টেনিস কোর্টের শপথ : সভাগৃহ বন্ধ দেখে তৃতীয়
সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আন্দোলনমুখী হয়ে ওঠে। ২০ জুন মিরাব্যু ও অ্যাবে সিয়েসের নেতৃত্বে নিকটবর্তী অব্যবহৃত ঘরের টেনিস কোর্টে সমবেত হয়ে বেইলির সভাপতিত্বে শপথ নেন যে, যতদিন না ফ্রান্সের জন্য একটি কার্যকরী সংবিধান তৈরি হচ্ছে, ততদিন তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। এই ঘটনাই 'টেনিস কোর্টের শপথ' নামে খ্যাত।
টেনিস কোর্টের শপথের গুরুত্ব : টেনিস কোর্টের শপথ ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা,
কারণ-
[১] রাজার বিরোধিতা : এই ঘটনাটি ছিল প্রথম প্রত্যক্ষ রাজবিরোধিতার উদাহরণ।
[২] সম্প্রদায়গত ঐক্য : এই সময় যাজকদের ১০৯ জন এবং অভিজাত সম্প্রদায়ের ৪৭ জন প্রতিনিধি তৃতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দিলে গোটা পরিস্থিতি রাজার বিরুদ্ধে চলে যায়।
[৩] বুর্জোয়া বিপ্লব : শেষ পর্যন্ত রাজা ষোড়শ লুই
নতিস্বীকার করেন এবং ২৭ জুন এক ঘোষণা দ্বারা তিন সম্প্রদায়ের একত্রে অধিবেশন ও মাথাপিছু ভোটের দাবি মেনে নেন (এই ঘটনা 'বুর্জোয়া বিপ্লব' নামে পরিচিত)।
[৪] বিপ্লবের নিয়ন্ত্রণ: এই সময় থেকেই বিপ্লবের নিয়ন্ত্রণ কার্যত তৃতীয় শ্রেণির অন্তর্গত বুর্জোয়াদের হাতে চলে যায।