চিত্রসহ মাছের গমন পদ্ধতি বর্ণনা করো
প্রশ্ন:- চিত্রসহ মাছের গমন পদ্ধতি বর্ণনা করো।
অথবা, চিত্রসহ মাছের সন্তরণ পদ্ধতি সংক্ষেপে লেখো।
অথবা, রুইমাছের গমনে পাখনা ও মায়োটম পেশির ভূমিকা লেখো।
উত্তর ১> মাছের গমন পদ্ধতি : (১)মাছের প্রধান গমনাঙ্গ হল পাখনা। এ ছাড়া মায়োটম পেশি ও পটকা বা সুইম ব্লাডারও গমনে সাহায্য করে।
(২) পাখনার সাহায্যে মাছ জলে সাঁতার কাটতে পারে। মাছের দেহে সাধারণত সাত প্রকার পাখনা থাকে। এর মধ্যে দুটি জোড় ও তিনটি বিজোড় পাখনা।
ও বক্ষপাখনা ও শ্রোণিপাখনা নামক জোড় পাখনার সাহায্যে মাছ জলের মধ্যে ওপরে-নীচে ওঠা-নামা করতে পারে। (৩) পুচ্ছপাখনা মায়োটম পেশির
সংকোচন-প্রসারণকে কাজে লাগিয়ে ক্রমিক আন্দোলন গতি সৃষ্টি করে। যার ফলে প্রবল ঘাত সৃষ্টির মাধ্যমে মাছ জলের মধ্যে অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় বল সৃষ্টি করে। এর পাশাপাশি পুচ্ছ পাখনা নৌকার হালের মতো মাছকে দিক
পরিবর্তনে সহায়তা করে। (৫)পৃষ্ঠপাখনা ও পায়ুপাখনা মাছকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে এবং জলের মধ্যে মাছের স্থিতাবস্থা বজায় রাখে।
(৬) বেশিরভাগ অস্থিবিশিষ্ট মাছের দেহের পটকা বা বায়ুথলি মাছকে জলের মধ্যে প্লবতা নিয়ন্ত্রণ করে ওপর-নীচে ওঠা-নামা করতে সাহায্য করে।
(৭) পটকায় গ্যাসের পরিমাণ হ্রাস পেলে, মাছের দেহের আপেক্ষিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পায় ফলে মাছ জলের গভীরে নেমে আসে। ও আবার বিপরীতভাবে পটকায়
গ্যাসের পরিমাণ বাড়লে মাছের দেহের আপেক্ষিক গুরুত্ব কমে। ফলে মাছ জলের উপরিতলে উঠে আসে। (৭)মাছের মেরুদণ্ডের দুই পাশে অবস্থিত। "v"আকৃতির মায়োটম পেশিগুলিও মাছের গমনে সাহায্য করে। এই পেশির সংকোচন প্রসারণের ফলে মাছের দেহে তরঙ্গের মতো আন্দোলন সৃষ্টি যার ফলে মাছ সামনে এগোতে পারে।