অভিষেক কবিতা অবলম্বনে ইন্দ্রজিৎ এর চরিত্র লেখো - Online story

Saturday 20 April 2024

অভিষেক কবিতা অবলম্বনে ইন্দ্রজিৎ এর চরিত্র লেখো





 অভিষেক' কবিতা অবলম্বনে 'ইন্দ্রজিৎ' চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।


উত্তর-আমাদের পাঠ্য কাব্যাংশ ‘অভিষেক’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র মেঘনাদ বা ইন্দ্রজিৎ। তিনিই কবিতায় 'কুমার' সম্বোধনে সম্বোধিত হয়েছেন।

 পাঠ্যাংশের স্বল্প পরিসরে তাঁর চরিত্রের বেশ কিছু দিক ফুটে ওঠে—

 বীরত্ব : বীর ইন্দ্রজিৎ নিজের বাহুবলের ওপর যথেষ্ট আস্থাশীল। বীরবাহুর মৃত্যু ও পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শুনে তাঁর বীরসত্তা জেগে ওঠে। বীরোচিত সাজসজ্জা করে তিনি লঙ্কার উদ্দেশে যাত্রা করেন।


 আত্মপ্রত্যয় : ইন্দ্ৰজিৎ আগে দু-বার রামচন্দ্রকে পরাজিত করেছেন, এমনকি তাঁকে নিহতও করেছেন। তবু কোনো এক মায়াবলে আবার জীবন ফিরে

পেয়েছেন রাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি যখন রামচন্দ্রকে বন্দি করে রাবণের পদতলে নিয়ে আসার কথা বলেন, তখন তাঁর মধ্যে আত্মপ্রত্যয় ও দৃঢ়তা লক্ষ করা যায়।


কর্তব্যবোধ : প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত থাকাকালীন প্রভাষারূপী লক্ষ্মীর কাছে লঙ্কার দুর্দিন এবং পিতার যুদ্ধযাত্রার কথা শোনামাত্রই ইন্দ্ৰজিৎ লঙ্কায়

* উপস্থিত হন। যোগ্য সন্তান থাকা সত্ত্বেও পিতার যুদ্ধযাত্রাকে তিনি নিজের কলঙ্ক বলেই মনে করেন।

দেশপ্রেম ও আত্মসমালোচনা : স্বর্ণলঙ্কা শত্রুসেনা দ্বারা আক্রান্ত অথচ তিনি প্রমোদকাননে বিলাসে মত্ত এ কথা জেনে ইন্দ্রজিৎ নিজেকে ধিক্কার দেন।

এর থেকে তাঁর দেশপ্রেমের যেমন পরিচয় পাওয়া যায়, তেমনই বোঝা যায় প্রয়োজনে নিজের সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা নন।

 পত্নীপ্রেম: স্ত্রী প্রমীলার কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তাঁকে আশ্বস্ত করে ইন্দ্রজিৎ বলেন ভালোবাসার যে-দৃঢ় বন্ধনে তাঁরা আবদ্ধ তা ছিন্ন হওয়ার নয়। এ তাঁর পত্নীপ্রেমেরই পরিচয়।