আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবির প্রকৃতিচেতনার যে পরিচয় ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো। - Online story

Saturday 27 April 2024

আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবির প্রকৃতিচেতনার যে পরিচয় ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।

 






আকাশে সাতটি তারা কবিতায় কবির প্রকৃতিচেতনার যে পরিচয় ফুটে উঠেছে তা নিজের ভাষায় লেখো।


মরীচি

বশিষ্ঠ

উত্তর/ জীবনানন্দ দাশের গভীর প্রকৃতিপ্রীতির পরিচয় পাওয়া যায় ‘আকাশে সাতটি তারা' কবিতায়।

বঙ্গপ্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ কবিচিত্ত, তারই প্রকাশ ঘটেছে আলোচ্য কবিতায়।

কবিতার শুরুতেই কবি জানিয়েছেন, আকাশে যখন সাতটি তারা ফুটে ওঠে কবি তখন ঘাসের ওপর বসে থাকেন। অস্তায়মান সূর্যের আলোয় মেঘের বর্ণ হয় কামরাঙা-লাল, কবির বর্ণনায় তা হয়ে উঠেছে মৃত মনিয়ার মতো। সেই মেঘ ডুবে যায় গঙ্গাসাগরের জলে। ধীরে ধীরে বঙ্গপ্রকৃতিতে নেমে আসে শান্ত অনুগত নীল সন্ধ্যা। কবির অনুভূতিতে এই সন্ধ্যা যেন কেশবতী রূপসী কন্যা। মায়াময় সন্ধ্যার মেদুরতায় বিভোর হয়ে পড়েন কবি। প্রকৃতিতে নেমে আসা তরল আঁধার যেন কন্যার ঘন কেশপাশ, তা ছড়িয়ে পড়েছে চরাচরে। সেই চুল যেন হিজলে, কাঁঠালে, জামে অবিরত চুম্বন এঁকে দিচ্ছে আর চুলের বিন্যাসে ঝরে পড়ছে অপরূপ স্নিগ্ধ ঘ্রাণ। তাতে মুগ্ধ হয় কবিচেতনা।

বাংলার সান্ধ্য প্রকৃতির নানা উপাদানে প্রাণের স্পন্দন অনুভব করেন কবি। নরম ধানে, কলমির ঘ্রাণে, হাঁসের পালক, শর বা পুকুরের জলে, চাঁদা-সরপুঁটিদের মৃদু ঘ্রাণে কবি পেয়েছেন বঙ্গপ্রাণের স্পন্দন। কিশোরীর চালধোয়া ভিজে শীতল হাতে, কিশোরের পায়ে-দলা মুথাঘাসে, এমনকি লাল লাল বটফলের ক্লান্ত নীরবতার মধ্যেও কবি বাংলা প্রাণের অস্তিত্ব অনুভব করেছেন।

> এভাবেই বঙ্গপ্রকৃতির সান্ধ্যকালীন স্নিগ্ধ-সৌন্দর্যের বর্ণনা প্রসঙ্গে কবির গভীর প্রকৃতিপ্রীতির পরিচয় পাওয়া যায় আলোচ্য কবিতায়।