কোনি গল্পে ক্ষিদ্দা কীভাবে কোনির জীবনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল, সে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। - Online story

Friday 10 May 2024

কোনি গল্পে ক্ষিদ্দা কীভাবে কোনির জীবনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল, সে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।





 কোনি গল্পে ক্ষিদ্দা কীভাবে কোনির জীবনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল, সে সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো। 


উত্তর:-প্রখ্যাত ক্রীড়াসাংবাদিক মতি নন্দীর ‘কোনি' উপন্যাসের প্রধান দুই চরিত্র হল সাঁতারের প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ ও জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জয়ী

হওয়া কোনি। সব হারানোর দেশের মেয়ে কোনিকে বিখ্যাত সাঁতারু পরিণত করেছিল প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহ।


 কোনির স্বপ্নের জন্মদাতা : শ্যামপুকুর বস্তির এক হতদরিদ্র পরিবারের। পিতৃহীনা কন্যা কোনি। বারুণী তিথিতে দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা আম কুড়োতে সাঁতার দেওয়ার সময় ক্ষিতিশের চোখে পড়ে।

 তার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার উপাদান রয়েছে, একবার দেখেই ক্ষিতীশ বুঝে গিয়েছিল । এর সঙ্গে ক্ষিতীশের মনে ধারণা হয়েছিল, লোহাতুল্য কোনিকে তিনি ইস্পাতে পরিণত করতে পারবেন।

অভিভাবকের আসনে ক্ষিতীশ ক্ষিতীশ সিংহের সঙ্গে কোনির সম্পর্ক গুরু-শিষ্যের হলেও ক্ষিতীশ একাধারে কোনির দাদা আবার পিতাও বটে। স্বপ্নে মৃত দাদার কাছে আবদার করা কোনিকে ক্ষিতীশ যেমন চিড়িয়াখানা দেখাতে গিয়ে দাদার ভূমিকা পালন করেছেন, তেমনই তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে, সাঁতারে উন্নতির জন্য দৈহিক সুস্থতার দিকে নজর রেখে উপযুক্ত পিতার ভূমিকা পালন করেছেন ক্ষিতীশ।

 প্রতিজ্ঞা পূরণ : নাড়ির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জুপিটার সুইমিং ক্লাবের অপমান পেয়ে ক্ষিতীশ শত্ৰু ক্লাব অ্যাপোলোতে এসেছিলেন শুধু কোনির জন্য। নিজের

সংসার, পরিবারের কথা ভুলে কোনিকে নিয়েই চলল তাঁর প্রতিজ্ঞা পূরণের কাজ, যা কোনির সাফল্যে সাহায্য করেছিল।

> চারিত্রিক গুণাবলির জাগরণ : ক্ষিতীশ কোনিকে কেবল স্নেহ-মমতা দেননি, প্রয়োজনে শাসনও করেছেন। ঘণ্টার পর ঘন্টা সাঁতারে ক্লান্ত কোনি জল ছেড়ে উঠতে চাইলে ক্ষিতীশ কখনও বাঁশ, কখনও ইট নিয়ে তাড়া করেছেন। আবার চারিত্রিক দৃঢ়তা, দুর্দমনীয় জেদ, জেতার আকাঙ্ক্ষা – এসব বাড়িয়ে তুলতেও ক্ষিতীশ কোনিকে প্রেরণা যুগিয়েছেন।

>> বন্ধু, দার্শনিক ও পথপ্রদর্শক : কথায় আছে, যিনি প্রশিক্ষক হবেন তিনি হবেন ‘Friend, Philosopher and Guide'। সম্পূর্ণ উপন্যাস কাহিনিতে আমরা দেখতে পাব, ক্ষিতীশ সিংহ কখনও কোনির সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে গেছেন, কখনও দার্শনিক হয়ে 'জীবন' বিষয়টিকে বোঝাতে চেয়েছেন, আবার

কখনও পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।

মোটকথা ক্ষিতীশের তিল তিল করে গড়ে তোলা ভালোবাসা, স্নেহ, শাসন আর পরিশ্রমেই কোনি হয়ে উঠেছে তিলোত্তমা।