ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা, – 'একগুঁয়েটা কে? তার ‘দুরন্ত পিপাসা ফুরায় না' বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? - Online story

Monday 13 May 2024

ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা, – 'একগুঁয়েটা কে? তার ‘দুরন্ত পিপাসা ফুরায় না' বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?



আবহমান কবিতায় 

'ফুরয় না সেই একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা, – 'একগুঁয়েটা কে? তার ‘দুরন্ত পিপাসা ফুরায় না' বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?


উত্তর :- আবহমান' কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী হার না- মানা, নাছোড় মনোভাবাপন্ন বঙ্গমাতাকেই ‘একগুঁয়েটা’ বলে অভিহিত করেছেন।

>দুরন্ত পিপাসা :- বঙ্গসন্তান আপন স্বার্থে অথবা প্রয়োজনের তাগিদে প্রবাসী হয় কিন্তু বঙ্গজননী সন্তানের ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষাতেই পথপানে চেয়ে থাকেন। সন্তানের দূরে চলে যাওয়াকে মা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। বুকের রক্ত ঝরিয়ে অসীম স্নেহ-মায়া-যত্ন দিয়ে তিনি লালন পালন করেন সন্তানকে। তাই সন্তান দূরে গেলেও তিনি মনে করেন তাঁর সন্তান জন্মভূমিতে ফিরবেই। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার এমন দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষাকেই ‘দুরন্ত পিপাসা' বলে উল্লেখ করেছেন কবি।

ফুরোয় না:-কর্মসূত্রে বঙ্গসন্তানেরা জন্মভূমি ত্যাগ করলেও নাড়ির টানকে উপেক্ষা করতে পারে না। তাই তাদের মনের মধ্যে বাংলার জল-বাতাসের স্পর্শ থেকেই যায়। বঙ্গ  প্রকৃতির স্নিগ্ধতা, অনাবিল সৌন্দর্যে একদা তারা যেমন আপ্লুত হয়েছিল, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তেমনই আকর্ষণ অনুভব করে। আর বঙ্গজননীর অন্তরের শুভ কামনার কোনো অন্ত নেই। তিনি কখনও ভাবতেই পারেন না যে সন্তান ফিরবে না। হাজার দুঃখ-দারিদ্র্যে দীর্ণ হলেও সন্তানের জন্য তাঁর হৃদয়ে মায়া-মমতাময় রসধারার অভাব ঘটে না কখনও। সন্তানের জন্য তাঁর হৃদয়ের ভালোবাসা আর মুখের কুন্দশুভ্র হাসির অন্ত নেই।

তারায় তারায় তিনি সন্তানের ফিরে আসার স্বপ্ন এঁকে রাখেন। তাই কবি বলেছেন তাঁর দুরন্ত পিপাসা ফুরোয় না।