স্বাস্থ্যই সম্পদ রচনা
রচনা
স্বাস্থ্যই সম্পদ
ভূমিকা : বলা হয়, স্বাস্থ্যই সম্পদ। সত্যিই, মানুষের জীবনে স্বাস্থ্য একটি মূল্যবান সম্পদ। কিন্তু আমবা তা ভুলে যাই। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যাপারে আমরা কোনো যত্ন নিই না। যার স্বাস্থ্য ভাল, গৃথিবীতে সে-ই সবচেয়ে সুখী।
স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা : স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে জীবনে সুখ, শান্তি ও সাফল্য আসে না। দুর্বল শরীর নিয়ে কোনো কাজই করা যায় না। এমনকি পড়াশোনাও নয়। শরীর দুর্বল থাকলে মনও ভালো থাকে না। তখন কোনো কাজে উৎসাহ পাওয়া যায় না। অপর দিকে যে স্বাস্থ্যবান সে খেলাধুলা, পড়াশোনা এবং সবরকম কাজে উৎসাহ পায়, তার মনে সবসময় আনন্দ বজায় থাকে।
স্বাস্থ্যরক্ষার উপায় : ভালো স্বাস্থ্য লাভ করতে হলে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হয়। শরীরচর্চার বিভিন্ন উপায় আছে। যেমন— যোগব্যায়াম, দৌড়ঝাঁপ, কুস্তি, ব্রতচারী খেলা, ড্রিল, মার্চিং, কুচকাওয়াজ, ফুটবল, ক্রিকেট, কবাডি, ব্যাডমিন্টন, ভলি, পোলো প্রভৃতি খেলা। সাঁতারে সমস্ত শরীরের ব্যায়াম হয়। খাওয়ার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, খুব বেশি খাওয়ার যেমন শরীরের ক্ষতি করে তেমনি অনাহার শরীরকে দুর্বল করে দেয়। শরীরের পক্ষে উপযুক্ত বিশ্রামও প্রয়োজন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম, পড়াশোনা, শীররচর্চা খেলাধুলা সবকিছু নিয়ম মেনে করতে হবে। তবেই সুস্বাস্থ্য লাভ করা যাবে।
উপসংহার : ছোটোবেলা থেকেই স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে এবং স্বাস্থ্য রক্ষার নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হলে তবেই জীবনে সব কাজে সাফল্য লাভ করা সম্ভব হবে। নতুবা দুর্বল শরীর নিয়ে সব কাজেই ব্যর্থ হতে হবে।