বিদ্যুতের গুরুত্ব রচনা
রচনা
বিদ্যুতের গুরুত্ব
ভূমিকা : বিদ্যুৎ সভ্যতাকে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছে। একালে বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জীবন একেবারেই অচল।
বিদ্যুতের উৎস ঃ কয়লা, ডিজেল প্রভৃতি পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। জলের স্রোতকে কাজে লাগিয়ে পাওয়া যায় জল বিদ্যুৎ। আবার ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম প্রভৃতি পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাওয়া যায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ। বর্তমানে আবার সূর্যরশ্মি, বায়ু, জৈব গ্যাস প্রভৃতিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
বিদ্যুতেব গুরুত্ব : দৈনন্দিন জীবনের বহু যন্ত্রপাতিই বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। যেমন—রেডিও, টেলিভিশন, পাখা, বৈদ্যুতিক বাতি, ইস্ত্রি, ফ্রিজ, কম্পিউটার প্রভৃতি। কলকারখানায় বিদ্যুতের সাহায্যে যন্ত্রপাতি চলে। আধুনিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন। ট্রেন ও ট্রামগাড়ি চলে বিদ্যুতের সাহায্যে। কৃষিক্ষেত্রে জল তোলায়, ফসল ঝাড়ানোতে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয়, সেগুলিও বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিদ্যুতের গুরুত্ব অপরিসীম। বই, সংবাদপত্র প্রভৃতি ছাপতে, পড়াশোনা করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। যোগাযোগের মাধ্যমগুলি যেমন ফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট প্রভৃতি বিদ্যুৎ ছাড়া অচল। এক কথায় বলা যায়, বিদ্যুৎ ছাড়া আজকের জীবন একেবারেই অচল।
উপসংহার : যে বিদ্যুতের ব্যবহার এত ব্যাপক, সেই বিদ্যুতের অভাব অর্থাৎ লোডশেডিং জনজীবনকে প্রায়ই অচল করে দেয়। আমাদের দেশের বহু গ্ৰামে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছায় নি। সুতরাং বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়ানো প্রয়োজন।