বর্ষণ মুখর বাংলা রচনা /Barshan mukhar bangla rachana
রচনা
বর্ষণমুখর বাংলা
ভূমিকা;-বাংলায় আষাঢ়হ- শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে হয় বর্ষাকাল। কিন্তু বর্ষার আগমন গ্রীষ্মের শেষ অর্থাৎ জ্যৈষ্ঠের শেষ থেকে শুরু হয়।
সময়কাল :-দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ুর আগমন ঘটার সাথে সাথে বাংলায় বর্ষার আগমন ঘটে ।
বর্ণনা:; আকাশে কালো মেঘের ঘনাঘটা বুঝিয়ে দেয় বর্ষা এসে গেছে। মেঘের গুরু গুরু ধনী এবং বিদ্যুতের ঝলক বর্ষাকে মুখরিত করে । সূর্যের মুখ কখনো কখনো পাঁচ সাত দিন ধরে দেখা যায় না। সেই সঙ্গে কখনো টিপটাপ বৃষ্টি বা মুষলধারে বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দেয় সকলকে । কখনো কখনো সকাল সন্ধ্যা সময়টাকে বোঝাই যায় না। মনে হয় এই বুঝি সকাল হলো কিন্তু সকাল অনেকক্ষণ আগেই হয়ে গেছে। অথবা মনে হয় সন্ধ্যা হয়ে এলো কিন্তু সন্ধ্যা হতে তখনও অনেক দেরী।রাত্রে বৃষ্টি যেন মনকে ভিজিয়ে দেয়। শীতল করে। বৃষ্টির টিপটাপ শব্দে যেন ঘুম খুব তাড়াতাড়ি এসে যায় । ময়ূরেরা আনন্দে পেখম তুলে নাচে । গাছে গাছে কদম ফুল বর্ষা কে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়। জাম গাছের জাম গাছের তলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে সুন্দর সভায় সজ্জিত করে। পথঘাট হয়ে যায় পিচ্ছিল ।বৃষ্টি ভেজা শরীর নিয়ে কেউ আনন্দে নৃত্য করে। কেউ আবার ছাতা মাথায় দিয়ে কর্মে যায় এই দৃশ্য শুধু বর্ষাতেই দেখা যায়। নদী -নালাগুলি নতুন সাজে সেজে ওঠে। প্রখর তাপে শুকিয়ে যাওয়া নদী নালা গুলি নিজেদের রূপ ধারণ করে ফুলেঁপে ওঠে ।
ক্ষয়ক্ষতি:; টিভি পর্দায় চোখ রাখলে বা কোন নদীর ধারে বেড়াতে গেলেই শোনা যায় আজ বন্যা হয়েছে ।বড়ো বন্যা। বহু ঘর বাড়ি ভেসে গেছে।কোথাও বা নদী বাঁধ ভেঙে যায়। বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ যেন বর্ষার এক রূপ।
উৎসব:-বর্ষার প্রধান উৎসব রথযাত্রা ছেলেরা রথযাত্রা বার করে হৈ হৈ করতে করতে রাস্তা দিয়ে চলে যায়। তাদের শব্দ যেন আকাশ বাতাস মুখরিত হতে থাকে। এছাড়াও মনসা পূজায় গ্রামে গ্রামে মাইকের শব্দ যেন আকাশ বাতাস মুখরিত হতে থাকে।
কর্ম:;কৃষকেরা আনন্দে মাঠে যায় চাষ করতে। মাঠে তাদের কোলাহলে আকাশ বাতাস মুখরতে হতে থাকে । বর্ষায় সারাদিন ধরে টিপটাপ টিপটাপ বৃষ্টি বিভিন্ন কবির কবিতা মনে ভেসে ওঠে । সেই সঙ্গে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা মারা, ভাই-বোনদের সঙ্গে গল্প করা, নতুন নতুন গরম গরম খাবার খাওয়া এ যেন এক অদ্ভুত স্বাদ ।
অপকারিতা:;বর্ষার জল পেয়ে চারিদিকে নতুন নতুন আগাছা জন্ম নেয় ছত্রাক রোগের আবির্ভাব ঘটে, এই সময় কলেরা, ডায়রিয়া প্রভৃতি রোগের প্রার্দুভাব দেখা যায়। প্রচন্ড বৃষ্টিতে কর্মে ব্যাঘাত ঘটে । বাস চলাচল, রেল চলাচল প্রকৃতি ব্যাহত হয়। সাপের উপদ্রব ঘটে কীটপতঙ্গের উপদ্রব ঘটে।
উপসংহার:- বর্ষার আগমন মানুষের মনকে যেমন আনন্দে ভরিয়ে দেয় তেমনি বর্ষার শেষে শরতের প্রকৃতির রূপের অপেক্ষায় মানুষ অপেক্ষা করে। মাঠে মাঠে সবুজ ধান দেখা যায়। গাছেরা সবুজ হয় কৃষকের মন আনন্দে ভরে যায়। মানুষ অপেক্ষা করে এই বর্ষণমুখর দিনগুলির জন্য।
রচনা লিষ্ট নীচে রচনা গুলি দেখুন
৩. সময়ের মূল্য
৪. আমাদের গ্ৰাম
৫. দুয়ারে সরকার
৭. পরিবেশ দিবস
১১. শীতের সকাল
১২. সরস্বতী পূজা
১৩. দূর্গা পূজা
১৪. নবান্ন উৎসব
১৫. ছায়াতরু বটবৃক্ষ
১৬. বর্ষাকাল
১৭. বইমেলা (১)
১৮. তোমার ইস্কুল
২০. উৎসব মুখর বাংলা
২১. একটি নদীর শোভা
২৩. একটি শীতের দিন
২৪. শীতকাল (১)
২৬. পরিবেশ দিবস
২৭. কাজের গৌরব
২৮. মাতার স্নেহ
২৯. দূরদর্শন
৩১. সংবাদ পত্র
৩২. জগদীশ চন্দ্র বসু
৩৮. বসন্ত কাল
৩৯. চিড়িয়াখানা
৪০. কালবৈশাখী
৪১. জীবনের লক্ষ্য
৪৩. গ্ৰন্থাগার
৪৪. গৃহপালিত পশু
৪৫. তোমার প্রিয় খেলা
৪৯. গ্ৰামের হাট
৫০.. ছোটো অন্য রচনা
৫২. মাতৃভাষা
৫৯. বাংলার ফুল ফল
৬০.বনোমহোৎসব
৬১. তোমার প্রিয় উৎসব
৬২. কুকুর
৬৬. চন্দ্রযান -৩
৬৮. গ্ৰামের পরিবেশ
৬৯. শহরের পরিবেশ
৭১. শরীর চর্চা
৭২. খেলাধুলার জগৎ
৭৪. মাটি দূষণ
৭৯. বাংলার কৃষক
৯৮. নদীর গুরুত্ব
১০০. স্বাস্থই সম্পদ
১০১. বিদ্যুতের গুরুত্ব
১০২. ম্যালেরিয়া
১০৩. বিশ্ব উষ্ণায়ন
১০৪. বর্যণ মুখর বাংলা
১০৫. শীতের দিন
১০৬. গ্ৰাম বাংলার উৎসব
পত্ররচনা বাবা কে