আঁকা-লেখা সপ্তম শ্রেণীর বাংলা অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
সপ্তম শ্রেণীর বাংলা
আঁকা-লেখা
মৃদুল দাশগুপ্ত
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১." পিটপিটে চোখ" শব্দটির মানে যে চোখ করে ভাষায়। এইরকম আরও পাঁচটি শব্দ তৈরি করো।
উত্তর:-খিটখিটে স্বভাব, খিলখিল হাঁসি, মিরমিরে রোদ, টলটকে লাল, গমগমে ভীর।
২.ঠিক উত্তর টি বেছে নাও।
২.১. মৎস্য/ মৎস /মৎশ্য
উঃ:- মৎস্য
২.২ দুধের স্বর / দুধের সর / দুধের শর।
উঃ:- দুধের সর
২-৩ কাপন/কাঁপন/কাঁপণ।
উঃ:- কাঁপন
২.৪ ঈশৎ /ইসৎ/ঈযৎ।
উঃ:- ঈযৎ
৩. সমার্থক শঙ্গ কবিতা থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো সামান্য, আনন্দ, মীন, নক্ষত্র, মূষিক।
উত্তর-
সামান্য > ঈষৎ
আনন্দ > পুলক
মীন > মাছ
নক্ষত্র > তারা
মূষিক .> ইঁদুর
৪.'ক'ম্পন' শব্দ থেকে এসেছে কাঁপন শব্দটি, অর্থাৎ 'যুক্তাক্ষরটি ভেঙে যাচ্ছে। হারিয়ে যাওয়া 'ম'আগের ধ্বনিটিকে অনুনাসিক করে তুলেছে এবং একটি নতুন 'আ' ধ্বনি চলে আসছে। এই নিয়মটি মনে রেখে নীচের ছকটি সম্পূর্ণ করো।
উত্তর:;-চন্দ্র > চাঁদ
চম্পা > চাঁপা
ঝম্প > ঝাঁপ
ষণ্ড > ষাঁড়
অঙ্ক > আঁক
৫. একসঙ্গে অনেক প্রজাপতি থাকলে আমরা বলি 'প্রজাপতির ঝাক'। এইভাবে আর কী কী শব্দ তৈরি করা যায় শব্দঝুড়ি থেকে শব্দ নিয়ে নীচের শূন্যস্থানগুলি পূরণ করে দেখো দেখি। সারি, যূথ, ঝাক, দা, বহুর, পাল।
উ। ৫.১ ভেড়ার পালা
৫.২ হস্তী যুদ্ধ।
৫.৩ সুপুরি গাছের সারি।
৫.৪ কইমাছের নাক।
৫.৫ নৌকার বছর।
৫.৬ ছাত্রদের দল।
৬. নীচের বিশেষ্যগুলির বিশেষণের রূপ লেখো :-
রং, চিত্র, নীল, লেখা, পুলক।
উত্তর। রং রঙিন।
চিত্র-চিত্রিত।
নীল নীলাভ।
লেখা-লিখিত।
পূলক - পুলকিত
৭.নীচের বিশেষণগুলির পরে উপযুক্ত বিশেষ্য বসিয়ে বাক্যরচনা করো ।
উত্তর-
৭.১ কম্পন - কম্পনথেকে শব্দ সৃষ্টি হয়।
৭.২ বেজায় - বেজায় গরমে লোক হাঁসফাঁস করে।
৭.৩ পিটপিটে –বিড়াল পিটপিটে চোখে দেখে।।
৭.৪ পরম ধর্ম-ক্ষমা মানুষের পরম ধর্ম।
৭.৫ নীল আকাশ-নীল আকাশে সূর্য ওঠে।
৭.৬ গোপন -গোপন কথা অন্য কে বলা যায় না।।
৮. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো। গোপন, ঈষৎ, খুশি, পুরু, ঝগড়া।
উত্তর-
গোপন -প্রকাশ।
ঈষৎ -অধিক।
খুশি - অখুশি।
পুরু -পাতলা।
ঝগড়া-ভাব।
৯. নির্মরেখ অংশগুলির কারক বিভুত্তি নির্ণয় করো।
৯.১ তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়।
উঃ। ঝগড়া -কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
৯.২ গর্ত থেকে উদ্ভূত, সেটাও পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে।
উঃ। গর্ত থেকে – অধিকরণ কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
৯.৩ প্রজাপতি কে চাইছে তাদের রাখি আমার আঁকায়।
উঃ। আঁকায় - অধিকরণ কারকে শূন্য' বিভক্তি।
৯.৪ এবার দেন তারার মালা খুব গোপনে নামছে কাছে।
উঃ। তারার মালা – কর্মকারকে শূন্য' বিভক্তি।
৯.৫ সেই তো আমার পদক পাওয়া।
পদক-কর্মকারকে 'শূন্য' বিভক্তি।
১০. বাকা বাড়াও
১০১ আমি যখন আঁকি। (কী? কীভাবে )
উঃ। আমি যখন খেয়াল খুশি মতো ছবি আঁকি।
১০.২ চাষের মুখের সব যায়। (কোথায়? কেমন?)
উঃ মাঠে পুরু চাঁদের দুধের সব জমে যায়।।
১০.৩ পিউপিটে চোখ দেখছে চেছে। (কে? কোথা থেকে?)
উঃ। ইঁদুরটা গত থেকে পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে।
১০.৪ ছড়া লেখার শুরু। (কার? কখন?)
উঃ। বাতাসে ঈষৎ কাপন দিতেই আমার সন্ধেবেলা ছড়া লেখার শুরু।
১০.৫ 'অ' লিখছে 'আ' লিখছে। (কারা? কোথায় ?) উঃ। দশ জোনাকি অ লিখছে আ লিখছে বল গাছে।
১১. একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১১.১ কবি কখন ছবি আঁকেন।
উঃ। কবি দুপুরবেলায় ছবি আঁকেন।
১১.২ কখন তার ছড়া লেখার শুরু।
উঃ। বাতাসে ঈষৎ কাঁপন দিলে তাঁর ছড়া লেখার শুরু।
১১.৩ তিনটি শালিক কী করে?
উত্তর-তিনটে শালিক ঝগড়া থামায়।
১১.৬ প্রজাপতির ইচ্ছা
উঃ। অবাক হয়ে তাকায় চড়ুই পাখি।
উঃ মাহ বাড়া নীল রংটি ধার দিতে চায়।
উঃ। প্রজাপতির কবির আঁকায় থাকার ইচ্ছা।
১১.৭ গর্ভে কে থাকে?
উঃ। গর্তে ইঁদুর থাকে।
১১.৮ টাসের গুরু দুধের সর কোথায় জমে?
উত্ত। চাঁদের পুরু দুধের সর মাঠে জমে।
১১.৯ কারা, কোথায় অজ্ঞা লিখছে?
উঃ জোনাকি বকুল গাছে অ আ লিখছে।
১১.১০ কবি কোন্ বিষয়কে ‘পদক পাওয়া' মনে করেছেন?
উঃ। ছড়া লেখার মধ্য দিয়েই পাঠকের কাছে পৌঁছে যাওয়াকে কবি পদক পাওয়া মনে করেছেন।।
১২. দু-তিনটি বাক্যে উত্তর দাও
১২.১ কবি কখন ছড়া লিখতে শুরু করেন।
উঃ। কবি রাতে ছড়া লিখতে শুরু করেন। তখন মাঠে চাঁদের আলোর জ্যোৎস্নাকে দুধের সরের মধ্যে পুরু ও হয়ে উঠতে দেখা যায়। বাতাস তখন ঈষৎ কেঁপে ওঠে। আকাশের তারারা যেন থালার মতো কবির কাছে নেমে আসে।
১২.২ কবি যখন ছবি আঁকেন তখন কী কী ঘটনা ঘটে।
উঃ। কবি যখন ছবি আঁকেন তখন তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়, চড়ুই পাখি অবাক হয়ে তাকায়, মাছধরা ভুলে গিয়ে মাছরাঙা পাখিটি তার নীল রংটি কবিকে ধার দিতে চায়। প্রজাপতির ঝাঁক রং-এর খাতায় তাদের রেখে দিতে চায়, আর ইঁদুর গর্ত থেকে বেরিয়ে পিটপিট করে কবিকে চেয়ে দেখে।
১২.৩ 'তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়'—কোন কবির কোন কবিতায় এমন তিন শালিকের প্রসঙ্গ অন্যভাবে আছে?
উঃ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সহজপাঠ গ্রন্থে একটি কবিতায় তিনটি শালিকের প্রসঙ্গ রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের কবিতাটিতে বলা হয়েছে তিনটি শালিক রান্নাঘরের চালে ঝগড়া করে।
১২.৪ মাছরাঙা পাখি কেমন দেখতে? সে মৎস্য স্কুলে যায় কেন?
উঃ। মাছরাঙা পাখি নীল রঙের দেখতে। সে কবির ছবি আঁকা দেখে মাছ ধরা ভুলে যায় এবং কবিকে তার নীল রংটি ধার দিতে চায়।
১২.৫ 'রং-তুলিরা বেজায় খুশি আজ দুপুরে আমায় পেয়ে'—কবির এমন বক্তব্যের কারণ কী?
উঃ। কবি সবসময় ছবি আঁকেন না। তিনি সেদিন নিজের খুশখেয়ালে দুপুরবেলায় ছবি আঁকছেন এবং কবিকে পেয়ে রং-তুলিরা খেয়াল খুশিমতো রং করতে পারছে, তাই তারা বেজায় খুশি বলে কবির মনে হয়েছে।
১২.৬ 'অ' লিখছে 'আ' লিখছে কারা কীভাবে এমন লিখছে? তাদের দেখে কী মনে হ
উঃ। দশটি জোনাকি বকুল গাছে 'অ' 'আ' লিখছে। জোনাকিগুলি উড়ছে এবং তাদের পাখায় যে আলোর ফুলকি গুলো চারধারে ছড়িয়ে পড়ছে। মনে হচ্ছে তারা যেন আলো দিয়েই লিখছে। তাদের দেখে মনে হচ্ছে খুব গোপনে যেন এক তারার মালা কাছে নেমে আসছে।
১৩. অনধিক দশটি বাক্যে উত্তর দাও
১৩.১ 'এই ছড়াতেই আজ আমাকে তোমার কাছে আনল হাওয়া'—কাকে উদ্দেশ্য করে কবি এ কথা বলেছেন? কবির আঁকা এবং লেখার সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব বিচার করো।
উঃ কবি কথাটি পাঠককে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
কবির আঁকা এবং লেখা সবই পাঠকের জন্য। পাঠকই একজন কবিকে কবি করে তোলে। একজন চিত্রশিল্পীও ঠিক তেমনই তাঁর দর্শকদের প্রশংসাতেই আনন্দ পান। তাই কবি এবং চিত্রশিল্পী দুজনের ক্ষেত্রেই তাদের গুণগ্রাহীর প্রয়োজন।
কবিতা লেখার সময় বা ছবি আঁকার সময় সশরীরে যদি কেউ উপস্থিত নাও থাকে তা হলেও কবি বা চিত্রশিল্পীর কাছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।
১৩.২ এই কবিতায় যে উপমা ও তুলনা ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলি ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
উঃ। একজন চিত্রশিল্পী যখন ছবি আঁকেন তখন তার প্রয়োজন হয় রং এবং আঁকার বিষয়বস্তু। এখানে কবি তাঁর কথার মাধ্যমে ছবি আঁকছেন। তিনি ছবি আঁকার সময় শালিক পাখিরা ঝগড়া থামিয়ে দেখে। মাছরাঙা তার গায়ের নীল রংটি জন্য কবিকে সার দিতে চায়। প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে তিনি যেন তাদের আঁকার মধ্যে রাখেন। কবির চোখে এসবই
শিল্পীর কল্পনা কিন্তু তা বাস্তবতার সাথে অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ। উঠদের আলোর কল্পনা কবির কাছে টাদের দুধ। এইভাবে কবির ব্যবহৃত উপনা ও তুলনা সার্থকতা লাভ করেছে।
অন্য গুলি দেখন
(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)
(২) কার দৌড় কদ্দুর
(৩) বঙ্গভূমির প্রতি
(৪) পাগলা গণেশ
(৫) আত্মকথা
(৬) চিরদিনের কবিতা
(৮) নোট বই
(৯) স্মৃতি চিহ্ন
(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়
(১১) আঁকা- লেখা
(১২) খোকনের প্রথম ছবি
(১৩) ভারত তীর্থ
(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা
(১৬) দিন ফুরালো
(১৭) গাধার কান
(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার
(১৯) মেঘ-চোর
(২০) কুতুব মিনারের কথা
(২১) চিন্তা শীল
(২২) একুশের কবিতা
মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর