ছেলেবেলার দিনগুলি অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
ছেলেবেলার দিনগুলি
পূণ্যলতা চক্রবর্তী
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১. পুণ্যলতা চক্রবর্তীর কয়েকজন ভাই-বোনের নাম লেখো।
উঃ গুণ্যলতা চক্রবর্তীর ভাই-বোনেরা হলেন সুকুমার রায়, সুবিনয় রায়চৌধুরী, সুখলতা যাও।
২. তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ তাঁর লেখা দুটি বইয়ের নাম-ছোট ছোট গম, রাজবাড়ি।
৩. ক স্তম্ভের সঙ্গে খ স্তম্ভের মিলিয়ে লেখো।
উনুন > আগুন
পটগুলটিশ > খেলা
সিঁড়ি > বাড়ি
ঘুঁটে > গোবর
লেখাপড়া > বই
৪. নীচের এলোমেলো শব্দগুলি সাজিয়ে লেখো :
খাড়ালেপ > লেখাপড়া
টিলগুশটপ > পটগুলটিশ
ঘলপুত্তুর > পুতুলঘর
রাকমনা > নামকরা
গরগুরুম্ভী > গুরুগম্ভীর
৫. বন্ধনীর মধ্য থেকে ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে আবার লেখো
৫.১. মা সুন্দর করে (এক/দুই/তিন/চার) তলা পুতুলঘর সাজিয়ে দিয়েছিলেন।
উত্তর;- দুইতলা
৫.২. তোমাকে দেখছি এবার (সোনার/তামার/লোহার/টিনের) বালা গড়িয়ে দিতে হবে।
উঃ লোহার।
৫.৩. হাতকড়ি পরায় (চোর/উকিল/শিক্ষক/পুলিশ)
উঃ পুলিশ।
৫.৪. হ য ব র ল হল একটি (খেলনা/ট্রেন/গাছ/বই)
উঃ বই।
৫.৫. (যোধপুরে/বিজাপুরে/ভাগলপুরে/মধুপুরে) সেই রেলগাড়ির কবিতা লিখেছিলেন।
উঃ যোধপুরে।
৬. কোন্টি বেমানান চিহ্নিত করো ঃ
৬.১. ঘুঁটে/উনুন/কামান/রান্নাঘর।
উঃ কামান।
৬.২. সিঁড়ি/চিলেকোঠা/বারান্দা/বাজার।
উঃ বাজার।
৬.৩. আলমারি/হাতকড়ি/চোর/পুলিশ। উঃ আলমারি।
৬.৪. জ্যাঠা/বাবা/দাদা/কাকা।
উঃ দাদা।
৭. ঘটনাক্রম অনুযায়ী সাজাও :
৭.১. খাওয়া সেরে এসে দেখি, পুতুলঘরে সে এক অগ্নিকাণ্ড।
৭.২. দেখতে দেখতে ছাদটা কাদার ঘুঁটেতে ভরতি হয়ে গেল।
৭.৩. মনের দুঃখে খাতাটা ছিঁড়েই ফেললাম।
৭.৪. আর একটা মজার খেলা ছিল কবিতায় গল্প বলা।
৭.৫. অল্পের জন্য পুতুলগুলো বেঁচে গেল।
উঃ ৭.২. দেখতে দেখতে ছাদটা কাদার ঘুঁটেতে ভরতি হয়ে গেল।
৭.১. খাওয়া সেরে এসে দেখি, পুতুলঘরে সে এক অগ্নিকাণ্ড।
৭.৫. অল্পের জন্য পুতুলগুলো বেঁচে গেল।
৭.৪. আর একটা মজার খেলা ছিল কবিতায় গল্প বলা।
৭.৩. মনের দুঃখে খাতাটা ছিঁড়েই ফেললাম।
৮. শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করো :
শব্দঝুড়ি : থ্যাপ, অস্থি, ভয়, চুঞ, হরিদ্রা।
৮.১. জ্যেঠামশাইকে ও বাড়ির ছেলেরা ভীষণ —করত।
উঃ ভয়।
৮.২. হঠাৎ — করে কী একটা তাঁর পায়ের কাছে পড়ল।
উঃ থ্যাপ।
৮.৩. একদা এক বাঘের গলায় ফুটে ছিল --।
উঃ অস্থি।
৮.৪. — মানে ওস্তাদ, এক্সপার্ট।
উঃ চুঞ্চু।
৮.৫. সেঁক দেয় তেল মাখে, লাগায় —।
উঃ হরিদ্রা।
৯. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৯.১. পাঠে উল্লিখিত নতুন বাড়িটি কোথায় ছিল?
উঃ লেখিকার জ্যেঠামশাই ও পিসিমার বাড়ির কাছেই ছিল।
৯.২. সেই নতুন বাড়িতে কীসের অভাব ছিল না?
উঃ লেখিকার খেলার সাথির অভাব ছিল না।
৯.৩. লেখিকা ও তার সঙ্গীরা কোথা থেকে গঙ্গামাটি জোগাড় করেছিলেন?
উঃ ছাতের এক কোণে জমা করে রাখা জলের ট্যাংকের গঙ্গামাটি থেকে।
৯.৪. গঙ্গামাটি দিয়ে কী করা শুরু হল?
উঃ গঙ্গামাটি দিয়ে গোলাগুলি বানিয়ে লেখিকা ও তাঁর সাথিদের মধ্যে ভীষণ যুদ্ধ শুরু হল।
৯.৫. রান্নাঘরে উনুনের মধ্যে কী গুঁজে রাখা হত?
উঃ চুপি চুপি রান্নাঘরের উনুনের মধ্যে কাঁচা মাটির গোলাগুলিগুলো গুঁজে পুড়িয়ে নেওয়া হত।
৯.৬. লেখিকার জ্যেঠামশাইয়ের গলার আওয়াজ কেমন ছিল?
উঃ গম্ভীর আওয়াজ ছিল।
৯.৭. লেখিকার জ্যেঠামশাই সম্পর্কে কী শোনা যেত?
উঃ শোনা যেত তিনি মস্ত বড়ো খেলোয়াড়, গায়ে খুব জোর, আর রাগও খুব।
৯.৮. বাড়ির চাকর সিঁড়ির আলোটা উসকিয়ে দেওয়ার পর কী দেখা গিয়েছিল?
উঃ একতাল থলথলে কালোমতো নরম গঙ্গামাটির গুলি দেখা গিয়েছিল।
৯.৯. ছোটোদের পুতুলের বিয়েতে কেমন খাওয়া-দাওয়া হত?
উঃ ছোটো ছোটো পাতায় করে ছোটো ছোটো লুচি-মিষ্টি ইত্যাদি খাওয়াদাওয়া হত।
৯.১০. দোতলা পুতুলঘর কে সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছিলেন?
উঃ লেখিকার মা সাজিয়ে দিয়েছিলেন।
৯.১১. কোন্ খেলার সময় লেখিকা ও তাঁর ভাই-বোনদের মন হালকা ঘুশিতে ভরে উঠত?
উঃ ‘রাগ বানানো’ খেলার শেষে তাঁদের হাসির স্রোতে মন হালকা খুশিতে ভরে উঠত।
৯.১২. কীভাবে লেখিকার বালা ভেঙে গিয়েছিল?
উঃ লেখিকার হাতে একটা বালা অন্য বালার মধ্যে ঢুকিয়ে তাঁর দাদা পুলিশ সেজে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় লেখিকা এক ঝটকায় ছাড়াতে গিয়েই বালাটা ভেঙে গিয়েছিল।
৯.১৩. পুতুলঘরে কীভাবে আগুন লেগেছিল?
উঃ পুতুলের বিয়েতে সাজানো ছোট্ট রঙিন মোমবাতি শেষ অবধি জ্বলে শেষ হওয়াতে ছাতের কাঠে আগুন লেগেছিল।
৯.১৪. সুন্দরকাকা লেখিকার দাদার পিঠ চাপড়ে কী বলেছিলেন?
উঃ সুন্দরকাকা লেখিকার দাদার পিঠ চাপড়ে বললেন, ‘চুণ্ডু মানে ওস্তাদ, এক্সপার্ট।
৯.১৫. লেখিকার দাদার প্রথম কবিতার নাম কী?
উঃ লেখিকার দাদার প্রথম কবিতার নাম 'নদী'।
৯.১৬. তাঁর দ্বিতীয় কবিতাটি দাদা কত বৎসর বয়সে লিখেছিল?
উঃ আট-নয় বৎসর বয়সে।
৯.১৭. লেখিকার বাবা বিদেশ থেকে কী পাঠাতেন?
উঃ মজার মজার ছবি আর গদ্যে লেখিদের চিঠি লিখতেন।
১০. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১০.১. কীভাবে পটগুলটিশ খেলা চলত?
উঃ লেখিকাদের বাড়ির ছাতের এক কোণে ঘোলা জলের ট্যাংক থেকে গঙ্গামাটি তুলে জমা করা ছিল, তাই দিয়ে লেখিকা ও তাঁর খেলার সাথিরা গোলাগুলি বানিয়ে পটগুলটিশ খেলা করতেন।
১০.২. লেখিকার জ্যেঠামশাই কেমন মানুষ ছিলেন?
উঃ লেখিকার জ্যেঠামশাই ছিলেন গুরুগম্ভীর প্রকৃতির। তিনি মস্ত বড়ো খেলোয়াড় ছিলেন, গায়ে ছিল খুব জোর, আর ছিল খুব রাগ। তিনি বই পড়তে ভালোবাসতেন।
১০.৩. ‘রাগ বানানো’ খেলাটা কীভাবে খেলতে হত?
উঃ হয়তো কারও উপর রাগ হয়েছে, তার শোষ দেওয়ার জন্য তার নামে যা তা অদ্ভুত গল্প বানিয়ে বলা হত। অবশ্য সেই গল্পে হিংস্ৰভাব বা সেই ব্যক্তির সম্পর্কে কোনো অনিষ্ট চিন্তা ছিল না। সবই ছিল বোকা বানানো হাস্যকর গল্প। সেগুলি শুনে সবাই হেসে কুটোপাটি করতেন।
১০.৪. কোন্ কোন্ খেলার কথা পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?
উঃ পাঠ্যাংশে পাওয়া গেছে এমন খেলাগুলির নাম হল— নরম মাটির গোলাগুলি বানিয়ে পরস্পরকে আক্রমণ করেয়পটগুলটিশ খেলা, চোর-পুলিশ খেলা, দস্যিপনা খেলা, ক্রিকেট খেলা, হকি খেলা, হুড়োহুড়ি মেলা, পুতুলখেলা, কবিতায় গল্প বলা খেলা ইত্যাদি।
১০.৫. কীভাবে পটগুলটিশের গুলি তৈরি হত?
উঃ লেখিকাদের বাড়ির ছাতের এক কোণে ঘোলা জলের ট্যাংক থেকে তুলে জমা করে রাখা গামাটি গুলি তৈরি হত।
পরবর্তী সময়ে আবার গুলিগুলোকে বেশ লাল করে উনুনে পুড়িয়ে নেওয়া হত।
১০.৬. ‘তোমাকে দেখছি এবার লোহার বালা গড়িয়ে দিতে হবে। —একথা কে বলেছেন? কোন প্রসঙ্গে তাঁর এই উক্তি? বক্তাকে তোমার কেমন মনে হয়েছে?
উঃ একথা বলেছেন লেখিকার মা।
দাদার সঙ্গে চোর-পুলিশ খেলছিলেন লেখিকা। লেখিকা চোর, তাঁর দানা পুলিশ। লেখিকার হাতে সাপমুখো বালা ছিল। তার একটা মুখ টেনে ফাঁক করে অন্য বালাটা তার ভিতর গলিয়ে হাতকড়ি বানিয়ে দাদা তাঁকে নিয়ে যাওয়ার সময় লেখিকার এক ঝটকা টানে বালা ভেঙে তিন টুকরো হয়ে গেল। তা দেখে তাঁর মা হেসে এই কথা বলেছিলেন।
লেখিকা সরল প্রকৃতির ছিলেন। দস্যিপনাও তাঁর ছিল মনে করি।
১০.৭. মেয়েদের খেলাধুলোর কেমন ছবি পাঠ্যাংশে খুঁজে পেলে?
উঃ মেয়েদের খেলাধুলোর মধ্যে পাঠ্যাংশে বিশেষ করে পুতুলখেলা খুঁজে পাওয়া গেল। দিদিদের সঙ্গে লেখিকা চমৎকার পুতুলখেলা খেলতেন। তাঁর মা সুন্দর করে দোতলা পুতুলঘর সাজিয়ে দিয়েছিলেন। ছিল ভলপুতুল, নাচের পুতুল, মাটির পুতুল, গুতুলের ঘাট-বিছানা, চেয়ার-টেবিল, টি-সেট, ডিনার-সেট, পিতল ও মাটির হাঁড়িকুড়ি, হাতাবেড়ি কত ঘরকন্না
রান্নাবান্না ইত্যাদি। পুতুলের সুন্দর সুন্দর জামাকাপড় পুঁতির গয়না, পুতুলের বিয়ে ইত্যাদি।
১০.৮. খ ব র ল'-র স্রষ্টা কে? তাঁকে লেখিকা কীভাবে স্মরণ করেছেন?
উঃ হযবরল-র স্রষ্টা হলেন লেখিকার দাদা সুকুমার রায়।
তাঁদের মধ্যে ‘রাগ বানানো খেলা খেলতে গিয়ে দাদার যুক্তিতে যা-তা অদ্ভুত হাস্যকর গল্প বানানো প্রসঙ্গে দাদাকে লেখিকা স্মরণ করেছেন।
১১. জ্যেঠতুতো, পিসতুতো, মাসতুতো— এইসব সম্পর্ক ছাড়াও আরও অনেক সম্পর্ক আমাদের পরিবারগুলিতে থাকে। তুমি যে-কয়টি সম্পর্কের নাম জানো সেগুলো লেখো।
উঃ মামাতো, খুড়তুতো ইত্যাদি সম্পর্ক।
১২. প্রতিশব্দ লেখো :
সাথি, বিশ্রাম, মজা, সিঁড়ি, রান্নাঘর, নিশান।
উঃ সাথি—সঙ্গী, পোড, বন্ধু, সহযাত্রী, সহচর, অনুগামী।
বিশ্রাম—বিরত, বিরাম, জিরন, আরাম, ঘুম, আয়েশ।
মজা—কৌতুক, ব্যঙ্গ, রসিকতা।
সিঁড়ি—সোপান, পাইঠা, ধাপ, স্তর। রান্নাঘর – রন্ধনশালা, রন্ধনগৃহ, ভোগশালা, পাকগৃহ।
নিশান—চিহ্ন, দাগ, পতাকা, ধ্বজা।
১৩. বর্ণবিশ্লেষণ করো : অভাব, উনুন, আহত, টুকরো, মোমবাতি, চিঠি।
অভাব—অ + ভ্ + আ + ব।
উনুন–উ + ন্ + উ + ন।
আহত-আ + হ্ + অ + ত্ + অ । টুকরো—ট্ + উ +ক্ + অ + র্ + ও। মোমবাতি—ম্ + ও + ম্ + অ + ব্ + আ + ত্ + ই।
চিঠি–চ্ + ই + ্ + ই।
১৪. সন্ধি বিচ্ছেদ করো : স্বস্তি, নগেন্দ্র, আরেক।
উঃ স্বস্তি—সু + অস্তি।
নগেন্দ্র-নগ + ইন্দ্ৰ।
আরেক—আর + এক।
১৫. নীচের গদ্যটিতে যতিচিহ্ন ব্যবহার করো ঃ ধমক দিয়ে বললেন এটা আবার কী কোত্থেকে এল চাকর কাঁচুমাচু হয়ে বলল আজ্ঞে ছেলেরা কী যেন খেলা করছিল।
উঃ ধমক দিয়ে বললেন, 'এটা আবার কী, কোত্থেকে এল?’ চাকর কাঁচুমাচু হয়ে বলল, “আজ্ঞে, ছেলেরা কী যেন খেলা
অন্য গুলির উত্তর দেখুন
(১) সবার আমি ছাত্র
(২) নরহরি দাস
(৩) বনভোজন
(৬) বনের খবর
(৭) মালগাড়ি
(৮) বিচিত্র সাধ
আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো
(১০) আলো
(১১) আমাজনের জঙ্গলে
(১২) দক্ষিণ মেরু অভিযান
(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়
(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি
(১৫) দূরের পাল্লা
(১৬) নইলে
(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া
(১৮) আদর্শ ছেলে
(১৯) যতীনের জুতো
(২০) ঘুম ভাঙ্গানি
(২১) মায়াদ্বীপ
(২২) বাঘা যতীন
আর ও বাঘা যতীন