বনভোজন কবিতার হাতেকলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
বনভোজন
গোলাম মোস্তফা
হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর
১. গোলাম মোস্তাফা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উঃ বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত ঝিনাইদহ জেলার মনোহরপুর গ্রামে।
২. তাঁর দুটি কবিতার বইয়ের নাম লেখো।
উঃ ভাঙাবুক, বুলবুলিস্তান হল গোলাম মোস্তাকার লেখা দুটি কবিতার বই।
৩. একটি বাক্যে উত্তর দাও।
৩.১. কবিতাটিতে কারা খেলতে এসেছিল?
উঃ নূরু, পুষি, আয়ষা, সফি—এই চারজন মেয়ে এসেছিল।
৩.২. ‘বাগিচা’ শব্দের অর্থ কী?
উঃ বাগান।
৩.৩. বান্নার জন্য তারা কী কী সঙ্গে এনেছিল?
উঃ আমের গুটি, নারকেল মালার হাঁড়ি, রঙিন খুরি, বঁটি আর ছুরি।
৩.৪. কবিতায় কে মিছিমিছি গিন্নি সেজেছিল?
উঃ নূরু গিন্নি সেজেছিল।
৩.৫. মিছিমিছি কী কী খাবার রাঁধা হয়েছিল?
উঃ ধুলোবালির কোর্মা-পোলাও, কালার পিঠে রাঁধা হয়েছিল।
৩.৬. কবিতায় ওদের খেলার মাঝে কে এসে পড়েছিল?
উঃ কবি এসে পড়েছিলেন।
৪. যেটি ঠিক সেটি বেছে নিয়ে লেখো :
,
উঃ ৪টি।
৪.২. বিনা (আগুন/জল/কাদা) দিয়েই তাদের হচ্ছে সবার রাঁধা।
উঃ আগুন।
৪.৩. (আম/জান/চা) বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে।
উঃ আম
৫. শব্দঝুড়ি থেকে উপযুক্ত শব্দ নিয়ে শূন্যস্থানে বসাও :
শব্দঝুড়ি : হাঁড়ি, বোশেখ, চুরি, আমি, বিপুল
৫.১. – মাসের এই দুপুরে নাইকো কারো ঘুম।
৫.২. নারিকেলের মালার --কেউ এনেছে দুটি।
৫.৩. কেউ এনেছে ছোট্ট বাঁট, কেউ এনেছে –
৫.৪. বসে গেছে সবাই --আয়োজনে।
৫.৫. এমন সময় হঠাৎ-- পড়েছি যেই এসে।
উঃ ৫.১. বোশেখ। ৫.২. হাঁড়ি। ৫.৩. ছুরি। ৫.৪. বিপুল। ৫.৫. আমি।
৬. ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তস্ত মিলিয়ে লেখে।
আগুন > ধোঁয়া
বাগিচা
বাগান > বাগিচা
বড়ো
৭. নীচের বর্ণগুলি যোগ করে শব্দ তৈরি করো :
উঃ সবাই> স্ + অ + ব্ + আ + ই
রাধুনি > র্ + আ + ধ + উ + ন্ + ই =
বাগিচা > ব্ + আ + গ্ + ই + চ্ + আ
ব্যস্ত > ব্ + য্ + অ + স্ + ত্ + অ
দুষ্টু > দ্ + ষ্ + ট্ + উ
৮. এলোমেলো বর্ণগুলি সাজিয়ে শব্দ তৈরি করোঃ
লেরিনাকে, নভোনবজ, রকাঅণে, নয়োজআ, ণমনিন্ত্র
উঃ লেরিনাকে> নারিকেল,
নভোনবজ > বনভোজন,
রকাঅণে >অকারণে,
নয়োজআ > আয়োজন,
ণমনিন্ত্র > নিমন্ত্রণ।
উঃ রাধুনি।
উঃ বাগিচা।
উঃ ব্যস্ত।
উঃ দুষ্টু।
৯. বর্ণবিশ্লেষণ করো ঃ গিন্নি, আঁচল, নিমন্ত্রণ, কোর্মা, রঙিন।
উঃ গিন্নি—গ্ + ই + ন্ + ন + ই। আঁচল—আঁ + চ্ + অ + ল।
নিমন্ত্রণ—ন্ + ই + ম্ + অ + ন্ + ত্ + র +অ+ন।
কোর্মা—ক্ + ও + র্ + ম্ + আ। রঙিন— র্ + অ + ঙ্ + ই + ন।
১০. কবিতাটিতে অন্তমিল আছে, এমন পাঁচজোড়া শব্দ লেখো : যেমন—ধুম/ঘুম।
উঃ গুটি-সুটি।
খুরি-ছুরি।
ভাত-হাত।
রাঁধা-কাঁদা।
নুন-খুন।
১১. কবিতায় ধুলোবালি দিয়ে কোর্মা-পোলাও ও কাদা দিয়ে পিঠে তৈরির কথা বলা হয়েছে। মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলায় আর কী কী রান্না ধুলো-বালি, কাদা দিয়ে তৈরি করতে পারো লিখে জানাও।
উঃ ধুলোবালি দিয়ে ভাত রাঁধা যায়, পায়স রাঁধা যায়, খিচুড়ি রাঁধা যায়। কাদা দিয়ে রুটি, লুচি, পরটা ইত্যাদি বানানো যায়।
১২. বাক্যরচনা করো ঃ বনভোজন, মিছিমিছি, বাগিচা, আঁচল, ছুরি, নিমন্ত্রণ।
উঃ বনভোজন—কাঁসাই নদীর তিরে আমরা বনভোজন করতে গিয়েছিলাম।
মিছিমিছি—তোমার পাল্লায় পড়ে আমাকে মিছিমিছি এত হাঁটতে হল।
বাগিচা—দার্জিলিং জেলায় প্রচুর চা বাগিচা আছে।
আঁচল—মায়ের আঁচল ধরে ছেলেটি মেলা দেখতে গিয়েছিল। ছুরি—পাকা পেপে ভোঁতা ছুরি দিয়েও কাটা যায়।
নিমন্ত্রণ—এবার প্রায় পাঁচশো নিমন্ত্রণ পত্র ছাপা হয়েছে।
১৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১. নূরু, শফিরা দুপুরবেলা ঘুমোয়নি কেন?
উঃ দুপুরবেলা মা-বাবা ঘুমিয়ে পড়েছে দেখে নুরু, শফিরা আম-বাগিচার তলায় আয়ষা ও সফির সঙ্গে বনভোজন করছিল।
১৩.২. কবি এসে পড়ায় সবাই পালিয়ে গিয়েছিল কেন?
উঃ এখানে ‘সবাই’ বলতে খুদে চারটি মেয়ের কথা বোঝানো হয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মে একটু লাজুক প্রকৃতির হয়। তারা
চার বন্ধু মিলে যা রান্না করছিল তা যে হাস্যকর এটা সেই মেয়েগুলি নিজেরাও জানে। তাই কবি এসে পড়ায় তারা লজ্জায় খিলখিলিয়ে হেসে পালিয়েছিল।
১৩.৩. বন্ধুদের সঙ্গে কখনও বনভোজনে গিয়ে থাকলে সেই অভিজ্ঞতার কথা কয়েকটি বাক্যে লেখো।
উঃ গত বছর ২৫ ডিসেম্বর আমাদের স্কুল থেকে একটি ছাত্রছাত্রীর দল ইছামতী নদীর তীরে বনভোজনে গিয়েছিলাম।
আমরা ছিলাম ১৮ জন। আমাদের সঙ্গে ছিলেন একজন শিক্ষক মহাশয় এবং একজন শিক্ষিকা। কনকনে ঠান্ডার দিনে সকাল ৬টায় একটা মিনিবাস ভাড়া করে আমরা সবাই খুব হইচই করে প্রায় বেলা ৯টার মধ্যে ইছামতী নদীর তীরে পৌঁছোলাম। ওই নদীতে চর ছিল অনেকখানি। সেখানে আমাদের সঙ্গে দুজন রাঁধুনি ছিল। তারা বেলা একটার মধ্যে
রান্নাবান্না করে ফেলল। আমরা এর মধ্যে নদীর বিশাল চরে মনের আনন্দে ছুটোছুটি করে কাটালাম। আকাশের রোদ্দুর তখন আমাদের ভীষণ আরামদায়ক মনে হচ্ছে। বেলা ১টা থেকে ২টোর মধ্যে সকলের খাওয়া-দাওয়া শেষ হয়ে গেল।
নানপুরি, চিকেনকষা, ফিসফ্রাই, পনির পোস্ত, চাটনি, পাঁপড় আর সন্দেশ ছিল আমাদের খাদ্যতালিকায়। বড়োদিনের ছুটি
আমাদের বনভোজনের আনন্দ সারাজীবন মনে থাকবে। সন্ধে সাড়ে ৬টার মধ্যে আমরা বাড়ি ফিরে এলাম।
১৩.৪. বৈশাখ মাসের দুপুরে নূরু, পুষি, আয়ষা, শফিরা মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলা খেলছিল। তুমি গরমের ছুটিতে দুপুরবেলাগুলো কেমন করে কাটাও সে বিষয়ে লেখো।
উঃ বৈশাখ মাসের দুপুর মানে আমাদের কাছে খুব আনন্দের। কারণ সেইসময় মা-বাবা, দাদা-দিদি, কাকা-কাকি প্রায় সকলেই গরমে ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম করে। আমাদের বকাঝকা করার কেউ থাকে না। আমরা সুযোগ পেয়ে আমবাগানে চলে যাই। আমি আমার ছোড়দি খানিকটা বিটনুন সঙ্গে নিয়ে যাই। আমবাগানে আমাদের আরও তিনচারজন ছেলেমেয়ে সঙ্গী থাকে। আমরা কেউ গাছে উঠে অথবা গাছে ঢিল মেরে কাঁচামিঠে আম পেড়ে ছুরি দিয়ে কাটি আর চাকুম-চুকুম শব্দ করে খাই। গালগপো করে সময় আমাদের কেটে যায়।
১৪. গদ্যরূপ লেখো : বোশেখ, চৈত, হলদি, মিঠে।
উঃ বোশেখ—বৈশাখ।
চৈত—চৈত্র।
হলদি—হলুদ।
মিঠে—মিষ্টি।
১৫. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো : ইচ্ছা, বাগান, চড়ুইভাতি, নিদ্রা।
উঃ ইচ্ছা—সখ (শখ)। বাগান—বাগিচা। চড়ুইভাতি—বনভোজন। নিদ্রা—ঘুম।
১৬. বিপরীতার্থক শব্দ লেখো: আজি, ছোটো, হেসে, শুরু, তলায়।
উঃ আজি—কাল।
ছোটো—বড়ো।
হেসে—কেঁদে।
শুরু – শেষ।
তলায়—আগায়।
১৭. নীচের সূত্রগুলি কাজে লাগিয়ে শব্দ ছকটি পূরণ করো :
সমাধান :
পাশাপাশি : ১. আমের গুটি। ৪. ফুরি। ৬. গিন্নি। ৭. নূরু। ১০. হাত। ১১. পিঠে।
উপর-নীচ : ১. আমবাগিচা। ২. রঙিন। ৩. নারিকেলের মালা। ৫. শুরু। ৮. ভাত। ৯ মিঠে।
অন্য গুলি দেখন
(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)
(২) কার দৌড় কদ্দুর
(৩) বঙ্গভূমির প্রতি
(৪) পাগলা গণেশ
(৫) আত্মকথা
(৬) চিরদিনের কবিতা
(৮) নোট বই
(৯) স্মৃতি চিহ্ন
(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়
(১১) আঁকা- লেখা
(১২) খোকনের প্রথম ছবি
(১৩) ভারত তীর্থ
(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা
(১৬) দিন ফুরালো
(১৭) গাধার কান
(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার
(১৯) মেঘ-চোর
(২০) কুতুব মিনারের কথা
(২১) চিন্তা শীল
(২২) একুশের কবিতা
মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর