আমরা কবিতায় বাঙালির শৌর্য ও বীরত্বের প্রকাশ ঘটেছে কীভাবে আলোচনা করো।
আমরা কবিতায় বাঙালির শৌর্য ও বীরত্বের প্রকাশ ঘটেছে কীভাবে আলোচনা করো।
উত্তর
ঊত্তর/বাঙালি জাতি চিরকালই সংগ্রামশীল। কোনো অবস্থাতেই সংকটাবস্থা থেকে তারা ভয়ে পিছিয়ে
আসেনা। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাঙালির সেই
শৌর্য ও বীরত্বের পরিচয় তুলে ধরেছেন ‘আমরা' কবিতায়।
যুদ্ধক্ষেত্রে বাঙালির বীরত্বের পরিচয় পাই্ বারবার ।কবি বলেছেন—
"আমাদের সেনা যুদ্ধ করেছে সজ্জিত চতুরঙ্গে'
শ্রীরামচন্দ্রের প্রপিতামহ রঘুর সঙ্গে বাঙালি জাতি কৃতিত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছে এবং জয়ী হয়েছে বাঙালি বীর।
কথিত আছে বাঙালি বীর বিজয় সিংহ সৈন্যসংগ্রহ করে লঙ্কার রাজাকে পরাজিত করেন এবং তাঁর নামেই লঙ্কাভূমির নাম অঙ্কিত সিংহল। কবি তাই বলেছেন—
' আমাদের ছেলে বিজয়সিংহ লঙ্কা করিয়া জয় সিংহল নামে রেখে গেছে নিজ শৌর্যের পরিচয়।"
দিল্লির মোগল সম্রাট আকবরের সমকালে বারোভূঁইয়াগণ পূর্ববঙ্গের শাসন পরিচালনা করতেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন চাঁদ রায়। প্রতাপ রায়। সাময়িকভাবে হলেও তাদের সংগ্রামের কাছে আকবরের সেনাবাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছিল। কবির কথায়— "চাঁদ-প্রতাপের হুকুমের হঠিতে হয়েছে দিল্লি নামে।"
সপ্তদশ শতকে ‘মগ' জলদস্যুরা বাংলার লুট-পাট, হত্যালীলা চালাত। শক্ত হাতে এই মগদের দমন করে,
বাংলা থেকে তাদের তাড়িয়েছিল বাঙালি বীরগণই। তাই কবি বলেছেন-
-
“একহাতে মোরা মগেরে রুখেছি, মোগলেরে আর-হাতে।"
এভাবে বাংলার বীর সন্তানেরা যুদ্ধক্ষেত্রে বারবার নিজেদের শৌর্য ও বীরত্বের পরিচয় রেখেছেন—'আমরা' কবিতায় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত সে কথাই শিল্পসম্মতভাবে তুলে ধরেছেন।