চিরদিনের কবিতা সপ্তম শ্রেণীর বাংলা অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর /chirodiner kabira
চিরদিনের কবিতা, সপ্তম শ্রেণির বাংলা অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর কেবলমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরগুলি দেয়া হলো।
৮.৩ ঘোমটা তুলে দেখে নেয় কোনোমতে। (কে? কী? কোথায়?)
উঃ। গ্রামের কৃষক বধূ পথের ধারে সবুজ ফসলে আগত সোনালি দিন দেখে নেয়।
৮.৪ এ গ্রাম সবুজ ঘাগরা পরে। (কেমন? কীসের?) উঃ। গ্রাম নতুন সবুজ ঘাসের ঘাগরা পরে।
৮.৫ দীপ জ্বলে। (কোথায়? কখন?) উঃ। প্রতি সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে দীপ জ্বলে।
৯. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৯.১ ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা কোথায় গিয়ে থেমে গেছে?
উঃ। ব্যস্ত ঘড়ির কাঁটা বৃষ্টিমুখর লাজুক এক গ্রামে এসে থেমে গেছে।
৯.২ তালের সারি কোথায় রয়েছে? উঃ। জোড়া দিঘির পাড়ে তালের সারি রয়েছে।
৯.৩ কিষানপাড়া নীরব কেন?
উঃ। কিষানপাড়া পচা জল আর মশার রোগে মৃত তাই তারা নীরব হয়ে রয়েছে।
৯.৪ বর্ষায় কে বিদ্রোহ করে?
উঃ। বর্ষায় গ্রামের পাশের মজা নদী বিদ্রোহ করে।
৯.৫ কে গোয়ালে ইশারা পাঠায়?
উঃ। সবুজ ঘাস গোয়ালে ইশারা পাঠায়।
৯.৬ রাত্রিকে কীভাবে স্বাগত জানানো হয়?
উঃ। সান্ধ্য শাঁখ বাজিয়ে রাত্রিকে স্বাগত জানানো হয়।
৯.৭ কোথায় জনমত গড়ে ওঠে?
উঃ। বুড়ো বটতলায় পরস্পরের জনমত গড়ে ওঠে।
৯.৮ ঠাকুমা কাকে, কখন গল্প শোনান?
উঃ। ঠাকুমা নাতনিকে রাত্রি হলে গল্প শোনান।
৯.৯ কোন্ গল্প তিনি বলেন?
উঃ। তিনি গতবারের আকালের গল্প বলেন।
৯.১০ সকালের আগমন কীভাবে ঘোষিত হয়?
উঃ। পাখির গানে সকালের আগমন ঘোষিত হয়।
৯.১১ কবিতায় কোন্ কোন্ জীবিকার মানুষের কথা আছে?
উঃ। কবিতায় চাষি, কামার, কুমোর, তাঁতি প্রভৃতি মানুষদের কথা আছে।
১০. নিজের ভাষায় উত্তর লেখো :
১১.১ এই কবিতায় বাংলার পল্লি প্রকৃতির যে বর্ণনা আছে তা নিজের ভাষায় সংক্ষেপে লেখো।
উঃ। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে একটি বৃষ্টিমুখর লাজুর গ্রামের পল্লি প্রকৃতির চিত্র দেখা যায়। সেই গ্রামের পাশে আছে এক মজা নদী। দূরে রয়েছে বাঁশঝাড়। গ্রামের মাঝে জোড়া দিঘি।পাশে তালের সারি। বর্ষায় চারিদিকে নতুন সবুজ ঘাস জন্মায়। সকালে পাখির ডাকে দিন ঘোষিত হয়। বছরে নানা সময় নতুন শস্যে চারিদিক ভরে ওঠে। সন্ধেবেলায় চাষিরা ঘরে ফেরে। রাত্রে
ঠাকুমা নাতনিকে গল্প শোনান। সকাল হলেই সবাই যে যার কাজে যোগ দেয়।
১১.২ কবিতাটিতে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাপনের যে ছবিটি পাও তা নিজের ভাষায় বর্ণনা করো।
উঃ। ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে দেখা যায় গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রা খুবই সাদামাটা। সন্ধেবেলায় চাষিরা আলপথ বেয়ে ঘরে ফেরে। গ্রামের বউরা ঢেঁকিতে ধান ভানে। সন্ধে হলে ঠাকুমা নাতনিকে গত আকালে লোকে কীভাবে নানা দিকে চলে।গিয়েছিল তার গল্প শোনান। গ্রামের বধূরা সন্ধেবেলায় শাঁখ বাজায়, ঘরে ঘরে দীপ জ্বালায়। সকালে চাষিরা আবার চাষ করতে যায়। কুমোর, কামার, তাঁতিরা তাদের কাজে লেগে যায়। সারাটি দিন ধরে তাদের একটানা কাজ চলতে থাকে।
১১.৩ আকাল ও দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে মানুষের সম্মিলিত শ্রম আর জীবনশক্তি কীভাবে বিজয়ী হয়েছে, কবিতাটি অবলম্বনে তা বুঝিয়ে দাও।
উঃ। চিরদিনের কবিতাটিতে কবি যে গ্রামটির বর্ণনা দিয়েছেন সে গ্রামটি একসময় দুর্ভিক্ষের গ্রাসে পড়েছিল। কবি বলেছেন দুর্ভিক্ষ ও আকালের পরেও মানুষ বেঁচে থাকে। এই গ্রামের লোক আজও কাজ করে। বছরের পর বছর অনেক যুদ্ধ।করে হলেও তারা বেঁচে থাকে। এক আকালে কিছু লোক হারিয়ে যায়, তার জায়গায় আবার অন্য লোক আসে। কিন্তু মানুষের জীবনযাত্রা থেমে থাকে না। এক আকালের হারিয়ে যাওয়া মানুষজনের গল্প পরের প্রজন্মের লোকেরা শোনে। এইভাবে যুগ।যুগ ধরে মানুষ লড়াই করে বেঁচে থাকে।
"
১০.৪ “কোনো বিশেষ সময়ের নয়, বরং আবহমানকালের বাংলাদেশ তার প্রকৃতি ও মানুষকে নিয়ে জীবনের যে জয়গান গেয়ে চলেছে, এই কবিতায় তারই প্রকাশ দেখতে পাই।”
—উপরের উদ্ধৃতিটির সাপেক্ষে কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
উঃ। উদ্ধৃতিটি কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের' শীর্ষক কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটিতে আবহমানকালের এক রূপচিত্র ফুটে উঠেছে। আমরা দেখি যুগ যুগ ধরে মানুষ বেঁচে আছে। তাদের জীবনযাত্রা একই ভাবে চলেছে। বহু সাম্রাজ্য গড়েছে, ভেঙেছে, কিন্তু চাষির চাষ করা, কামার, কুমোরের কাজ করা থেমে যায়নি। তারা একইভাবে কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের পল্লিগ্রাম শত আকালের ধাক্কা সামলে আজও অটুট আছে। তাই কবি বলেছেন, দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো থাকলেও এ গ্রামের মানুষ আজও কাজ করে। সেখানে জীবনের স্রোত সদা প্রবহমান। জীবনের জয়গান সদাই মুখর।
১১. ব্যাখ্যা করো :
১১.১. “এখানে বৃষ্টিমুখর... ..ঘড়ির কাঁটা।”
উঃ। কোনো কোনো স্থানে সময় স্থির হয়ে যায়। ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে বর্ণিত গ্রামটি যেন শাস্ত ও নীরব। ব্যস্ত থমকে দাঁড়িয়েছে। এই গ্রামে মানুষের নতুন কিছু করার নেই। আবহমানকাল ধরে এখানে জীবন একই সময় যেন একই ভাবে চলে। এখানে সময় পালটায় না।
১১.২. “এ গ্রামের পাশে.....বিদ্রোহ বুঝি করে।”
উঃ। সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘চিরদিনের কবিতাটিতে বর্ণিত লাজুক এই গ্রামটির পাশে রয়েছে এক মজা নন্দী, সারাবছর সেখানে জল থাকে না। সেই নদীতে বর্ষায় জলস্ফীতি ঘটে। চারিদিক ভাসিয়ে দেয়। এই হঠাৎ জলস্ফীতি ঘটিয়ে নদীর ভাসিয়ে দেওয়াকে কবি বিদ্রোহ করা বা ফুঁসে ওঠা বলেছেন।
১১.৩. “দুর্ভিক্ষের আঁচল.......কাজ করে।”
উঃ। ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে বর্ণিত গ্রামে দুর্ভিক্ষ বহুদিনের সঙ্গী। তাই কবি বলেছেন গ্রামটিতে দুর্ভিক্ষের আঁচল জড়ানো। সেই সময়তেও মানুষ কাজ করে। দুর্ভিক্ষের কারণে মানুষ থেমে থাকে না। দুর্ভিক্ষ আসে যায়, মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে, তারা চলে যায় দিকে দিকে। তার জায়গা নেয় অন্য মানুষজন। কিন্তু গ্রামে মানুষের কর্মজীবন সদা প্রবাহমান থাকে।
১১.৪ “সারাটা দুপুর....... --বিচিত্র ধ্বনি ওঠে।”
উঃ। ‘চিরদিনের’ কবিতাটিতে বর্ণিত বৃষ্টিমুখর লাজুক গ্রামটিতে দুর্ভিক্ষ ও কষ্ট সহ্য করেও মানুষ কাজ করে চলে।আগের মতোই আবার পাখির ডাকে এখানে সকালের শুরু হয়। মাঠে যখন সারাদিন ধরে চাষিরা কাজ করে তখন কাজ করতে করতে তারা নানা ভাষায় নানা সুরে গান গায়। তাদের এই গানের শব্দ একত্রিত হয়ে বিচিত্র ধ্বনির সঞ্চার করে।
তাই কবি বলেছেন ‘বিচিত্র ধ্বনি ওঠে।
১১.৫. “সবুজ ফসলে সুবর্ণ যুগ আসে।”
উঃ। ‘চিরদিনের’ কবিতায় দুর্ভিক্ষের গ্রাস কাটিয়ে গ্রামটি আবার নতুন করে জেগে ওঠে। চাষিরা তাদের কাজে দেখে।পড়ে। নতুন ভাবে ফসল ওঠে, সেই ফসল বিক্রি করে চাষিরা তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ পায়। তাই নতুন ফসল তাদের।কাছে স্বর্ণযুগের সন্ধান দেয়। নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়।
১২. তোমার দেখা একটি গ্রামের কথা ডায়েরিতে লেখো। গ্রামটি কোথায়, সেখানে কোন কোন জীবিকায় কতজন মানুষ থাকেন ইত্যাদি জানিয়ে গ্রামটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষজনের জীবনযাপন পদ্ধতি, বিভিন্ন।সুবিধা-অসুবিধার কথা লেখো। গ্রামটির উন্নতি সাধনে যদি তোমার কোনো পরামর্শ দেওয়ার থাকে অবশ্যই সে-কথা লিখবে।
উঃ। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত একটি গ্রাম নয়নপুর। সেখানে ১২২ জন চাষি, ৯০ জন কুমোর, ১২
জন ছুতোর, ৪২ জন তাঁতি এবং ৩০ জন কামার থাকে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। শীতকালে গ্রামের মাঠ সরবে ফুলে ভরে থাকে। মাঠের পাশে আছে তালগাছের মারি যুক্ত পুকুর। পুকুরে নারকেল
কাঠের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি করা ঘাট। বেশ কিছুটা দূরে দূরে অবস্থিত খড়ের চাল যুক্ত মাটির বাড়ি। কিছু টালি ও টিনের।চালসহ পাকাবাড়িও রয়েছে।
সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা অত্যন্ত সাদামাটা। ভোর হবার আগে গৃহস্থ বাড়ির মেয়ে বউরা উঠে পড়ে। তারা তাদের স্বামীরা মাঠে যাবার আগে যাতে কিছু খেয়ে যেতে পারে তার প্রস্তুতি নেয়। বাড়ির পুরুষেরা ভোরবেলায় উঠে মাঠে অথবা যার যার কাজে বেড়িয়ে যায়। একটু বেলা বাড়লেই কামারশালা থেকে হাতুড়ি পেটার আওয়াজ শোনা যায়। তাঁতির বাড়ি থেকে তাঁতের খটাখট শব্দ ভেসে আসে। তারপর বেলায় বাড়ির বউরা ছেলেমেয়েকে ইস্কুলে পাঠিয়ে দিয়ে তাদের স্বামীদের জন্য ভাত নিয়ে মাঠে যায়। সন্ধ্যেবেলা ঘরে ঘরে শাঁখের আওয়াজ শোনা যায়। নীতী
অন্য গুলি দেখন
(১) ছন্দে শুধু কান রাখো (১)
(২) কার দৌড় কদ্দুর
(৩) বঙ্গভূমির প্রতি
(৪) পাগলা গণেশ
(৫) আত্মকথা
(৬) চিরদিনের কবিতা
(৮) নোট বই
(৯) স্মৃতি চিহ্ন
(১০) দেবাতাত্মা হিমালয়
(১১) আঁকা- লেখা
(১২) খোকনের প্রথম ছবি
(১৩) ভারত তীর্থ
(১৫) রাস্তায় ক্রিকেট খেলা
(১৬) দিন ফুরালো
(১৭) গাধার কান
(১৮) পটল বাবু ফ্লিমস্টার
(১৯) মেঘ-চোর
(২০) কুতুব মিনারের কথা
(২১) চিন্তা শীল
(২২) একুশের কবিতা
মাকু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর
মাকু হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
মাকু গল্পের সকল প্রশ্নের উত্তর