তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সারাদিন হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
কবিতা
সারাদিন
কবি সুনির্মল চক্রবর্তী
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১. এক বাক্যে উত্তর দাও
১.১ খাতা ছাড়া আর কোথায় কোথায় মানুষকে লিখতে দেখেছ তুমি?
উঃ। খাতা ছাড়া শ্লেটে, বইতে, দেয়ালে মানুষকে লিখতে দেখেছি।
১.২ লেখালেখি ছাড়া খাতায় তুমি আর কী কী করেছ?
উঃ। লেখালেখি ছাড়া খাতায় আমি অঙ্ক করেছি, ছবি এঁকেছি।
১.৩ খাতার পৃষ্ঠা দিয়ে কী কী খেলা ছোটোরা খেলতে পারে?
উঃ। খাতার পৃষ্ঠা দিয়ে কাটাকুটি, চোর-পুলিশ, রাস্তা খোঁজা ইত্যাদি খেলা খেলা যায়।
১.৪ ছবি আঁকার খাতা আর লেখার খাতার তফাত কোথায়?
উঃ। ছবি আঁকার খাতা সাদা এবং সাইজে বড়ো ।লেখার খাতা কাগজ মোটাও ছোট হয়।
লেখার খাতা রুলটানা হয়ে থাকে।
১.৫ ছবি আঁকতে সাধারণত কোন্ কোন্ জিনিস কাজে লাগে ?
উঃ। ছবি আঁকতে খাতা, পেনসিল, রবার, রং পেনসিল কাজে লাগে।
১.৬ তুমি যেসব ছবি আঁকো, সেগুলো মূলত কী নিয়ে আঁকা ?
উঃ। আমার আঁকা ছবি মূলত গাছপালা, বাড়িঘর, আকাশ নিয়ে আঁকা।
১.৭ এলোমেলো হিজিবিজি ভাবনাকে আঁকা ছাড়া আর কীভাবে প্রকাশ করা যায়?
উঃ। এলোমেলো হিজিবিজি ভাবনাকে আঁকা ছাড়া লিখে, নাচ-গানের মধ্য দিয়েও প্রকাশ করা যায়।
১.৮ তুমি যখন আরও ছোটো ছিলে, তখনকার একটি খাতা যদি তুমি হঠাৎ খুঁজে পাও, তবে তোমার কেমন লাগবে, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। আমার ছোটোবেলার কথা খুব মনে পড়ে। ছোটোবেলার আঁকা, লেখাগুলো আমি দেখে খুব আনন্দ পাব। কোন সময় এগুলো এঁকেছিলম বা লিখেছিলাম সেই সব সময় ও সঙ্গীদের কথা আমার মনে পড়বে।
২. ঠিক উত্তরের পাশে (√) ও ভুলটির পাশে (x) দাও :
উঃ। ২.১। শিশুটি কবি এই কবিতায় একজন শিল্পী। (√)
২.২। সারাদিন কবি প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকেন। (√)
২.৩ তার আঁকার বিষয় হাতি, ঘোড়া, গাছ পাখি ইত্যাদি। (√)
২.৪ শিশুটি স্পষ্ট জানে কেন সে ছবিটা আঁকে। (x)
২.৫ অনেক ছবি এঁকেও তাঁর মনে স্বস্তি নেই। (√)
৩. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো ?
৩.১ সারাদিন ছবি আঁকতে শিশুটির (ভালো লাগে ভালো লাগে না/বিরক্ত লাগে)।
উঃ- ভালো লাগে
৩.২ শিশুটির আঁকার বিষয় (নানা রকম/একরকম/কয়েক রকম)।
উঃ- নানারকম,
৩.৩ শিশুটির সব ভাবনাই (হিসেবি/বেহিসেবি / নজর-কাড়া)।
উঃ- বেহিসেবি
৩.৪ শিশুটির চিন্তা-ভাবনা বুঝতে গেলে তার (কথা শুনতে হবে/কবিতা পড়তে হবে। খাতা দেখতে হবে)।
উঃ- কবিতা পড়তে হবে
৩.৫ শিশুটি তার খাতাটিকে ছেড়ে থাকতে
চায়/থাকতে চায় না / দূরে কোথাও চলে যেতে চায়)।
উঃ- থাকতে চান না।
.
৪. শূন্যস্থান পূরণ করো :
৪.১ ----- ভালো লাগে নানা.------ আঁকতে।
উঃ। সারাদিন, ছবি।
৪.২ ---ভাবনার মানে------ যখনই।
উঃ। হিজিবিজি, আসে।
৪.৩------গাছ পাখি আঁকি---কত কী।
উঃ। হাতি ঘোড়া, আমি
৪.৪ এতসব আঁকি তবু মন ------যায় না।
উঃ। ভরে
৪.৫ আসলে-------ছেড়ে মন যেতে চায় না।
উঃ। খাতা
৫. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে নতুন শব্দ তৈরি করো ঃ
জি জি বিহি > হিজিবিজি
দি রান সা > সারাদিন
খান না ন > মনখানা
এ ব ই স > এইসব
স আ ল > আসল
৬. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :
উঃ। খাতা-খ + আ + ত + আ।
আঁকি—আ +ঁ + ক +ই।
আঁকতে—আ + ঁ+ ক্ + ত্ + এ।
ভাবনার—ভ + আ +ব +ন +আ + র+ আ
৭. 'ক' 'খ' স্তম্ভ
ঘোড়া > জুড়িগাড়ি
খাতা > কলন
ছবি > তুলি
পাখি > আকাশ
গাছ > বন
৮. নীচের শব্দগুলির যা অর্থ, কবিতাটি থেকে সেই শব্দগুলি বেছে নিয়ে লেখো :
বিচিত্র – হিজিবিজি।
দিবারাত্র—সারাদিন।
পৃষ্ঠা খাতা। চিত্ত—মন।
চিত্র—ছবি।
গজ—হাতি।
অশ্ব— ঘোড়া।
পক্ষী — পাখি।
বৃদ্ধ— গাছ।
৯. কী বলে লেখো :
প্রঃ। হাতির ডাক......উঃ। বৃংহন।
ঘোড়ার ডাক......উঃ। হ্রেষা।
পাখির ডাক.উঃ । কুজন।
১০. আমি আঁকি। (তুমি, সে, আর তিনি আঁকলে, কী লিখবে?)
প্রঃ। তুমি........। উঃ। তুমি আঁকো। সে.......। সে আঁকে। তিনি
। তিনি আঁকেন।
১১. একের বেশি বোঝানো হয়েছে, এমন তিনটি শব্দ কবিতা থেকে খুঁজে লেখো।
উঃ। নানা, কত, ভাবনারা।
১২. শব্দ যুগলের অর্থ পার্থক্য দেখাও :
মন—চিত্ত/হৃদয়
মণ- পরিমাপের একক (ওজন)
আসা— আগমন
আশা–কামনা, ভরসা
১৩. ‘রয়ে’ ও ‘ভরে' শব্দ দুটির অন্য রূপ লেখো : উঃ। রয়ে—থেকে এবং ভরে পূর্ণ হয়ে বা ভর্তি হয়ে।
১৪. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :
১৪.১ ‘চায়' শব্দটিকে ‘তাকানো’ ও ‘চাওয়া’ এই দুটি অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্য লেখো।
উঃ। চায় (তাকানো)—সে শুধু মিটমিট করে আমার দিকে চায়। চায় (চাওয়া)—রাম থেকে থেকেই এটা ওটা খেতে চায়।
১৪.২ ‘পাতা' শব্দটিকে দুটি অর্থে ব্যবহার করে দুটি বাক্যে লেখো :
উঃ। পাতা (গাছের পাতা)— গাছটায় নতুন কচিকচি পাতা গজিয়েছে।
পাতা (বিছিয়ে রাখা) মেঝেতে সুন্দর কার্পেট পাতা আছে।
১৫. বাক্যরচনা করো :
সারাদিন—আজ সারাদিন ধরে বৃষ্টি পড়ছে। খাতা—খাতার পাতায় আমি একটা ছবি এঁকেছি।
হিজিবিজি—বাচ্চারা খাতায় হিজিবিজি কাটছে। ছবি—এই সুন্দর ছবিটি রবিবারু এঁকেছেন।
মন—সবসময় মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।
১৬. বাক্য বাড়াও :
১৬.১ আমি আঁকি। (কী আঁকো ?) উঃ। আমি হাতি, ঘোড়া, গাছ, পাখি আঁখি।
১৬.২ খাতায় রয়ে যায়। (কী, কীভাবে?) উঃ। হিজিবিজি ভাবনাগুলো খাতায় ছবি হয়ে হয়ে যায়।
১৬.৩ ভালো লাগে নানা ছবি আঁকতে। (কখন?) উঃ। সারাদিন ভালো লাগে নানা ছবি আঁকতে।
১৬.৪ আমি জানি অত কী? (কী জানো না?) উঃ। কী এতসব আঁকিতা আমি জানি না।
১৬.৫ মন যেতে চায় না। (কী ছেড়ে?) উঃ। ছবির খাতা ছেড়ে মন যেতে চায় না।
১৭. ‘সারাদিন’ কবিতার অনুসরণে লেখো কবির সারা দিন কীভাবে কাটে।
উঃ। কবির একটা ছবির খাতা আছে। কবি সারাদিন ওই খাতায় ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। তাঁর মন ওই খাতাতেই আটকে থাকে। সারাদিন ধরে কবির মনে যে হিজিবিজি ভাবনা আসে কবি সেগুলোই ছবি করে খাতায় এঁকে রাখেন। হাতি, ঘোড়া, গাছ, পাখি সবকিছুর ছবিই কবি তাঁর ওই খাতায় এঁকে রাখেন। এত এঁকে তাও কবির কিছুতেই সাধ মেটে না। আসলে ওই খাতাটাই কবির সারাদিনের সঙ্গী।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :
১.কবি কোথায় মনখানা রাখতে চান?
উঃ। কবি খাতার পাতায় মনখানা রাখতে চান।
২. ‘সারাদিন’ কবিতাটি কার লেখা?
উঃ। ‘সারাদিন' কবিতাটি সুনির্মল চক্রবর্তীর লেখো।
৩. কবির সারাদিন কী ভালো লাগে?
উঃ। কবির সারাদিন ধরে নানা ছবি আঁকতে ভালো লাগে।
৪. কবির মন সবসময় কীসে আটকে থাকে?
উঃ। কবির মন সবসময় ওই ছবির খাতায় আটকে থাকে।
৫. কবির মনের ভাবনা কীরকমের?
উঃ। কবির মনের ভাবনাগুলো হিজিবিজি।
৬. কী ছেড়ে কবির মন যেতে চায় না?
উঃ । আঁকার খাতাটিকে ছেড়ে কবির মন যেতে চায় না।
৭. কবি কী কী আঁকেন ?
উঃ। কবি হাতি, ঘোড়া, গাছ, পাখি আরও কত কী আঁকেন।
৮. কবির মনের ভাবনাগুলি কোথায় কীভাবে রয়ে যায়?
উঃ। কবির মনের ভাবনাগুলি ছবি হয়ে খাতাটায় রয়ে যায়।
৯. ‘সারাদিন’—কবিতার কবির লেখা আরও দুটি বই-এর নাম লেখো।
উঃ। মৌরিফুল, কুসুমপুরের শালিক।