"বনের খবর" চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা (হাতে-কলমে)অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
বনের খবর
প্রমাদারঞ্জন রায়
হাতে কলমে প্রশ্নের উত্তর
১। প্রমদারঞ্জন রায় চাকরি সূত্রে কোন্ কোন্ দেশে ঘুরেছেন ?
উঃ চাকরিসূত্রে তিনি ভারত, বর্মা, শ্যামদেশের ঘন জঙ্গলে ঘুরেছেন।
২। লীলা মজুমদার তাঁর কে ছিলেন?
উঃ লীলা মজুমদার ছিলেন তাঁর মেয়ে।
৩। বর্ণবিশ্লেষণ করো :
উঃ ক্রমাগত—ক্ + র্ + অ + ম্ + আ + গ্ + অ + ত্ + অ।
পাঞ্জা—প্ + আ + ঞ + জ্ + আ।
পশ্চিম—প্ + অ + শ্ + চ্ + ই + ম।
কিলিবিলি—ক্ + ই + ল্ + ই + ব্ + ই + ল্ +ই।
প্রাণপণ–প্+র্ + আ + ণ্ + অ + প্ + অ + ণ।
৪। 'বনের খবর' গল্পটিতে এমন অনেক শব্দ আছে যা হাইফেন (-) দিয়ে যুক্ত। যেমন 'সাড়ে ছশো সাতশো' "দশ-বারোজন' ইত্যাদি। গল্পটিতে এরকম কতগুলো শব্দ আছে খুঁজে বার করে নীচের বাক্সটি ভরতি করো ?
উঃ- আট-দশটা, তিন-চারটে, ভাঙতে ভাঙতে, সত্তর-আশি, পাঁচ-সাতটা, চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশটা, দাগে দাগে, জলে-জলে, কাপড়-চোপড়, জুতো-মোজা, বসে-বসে, চার-পাঁচ, হাত-পা, ন-টা-দশটার, এক-এক, পনেরো-কুড়ি, চলতে-চলতে, এ-গাছ, ভাবতে-ভাবতে, বলতে-না-বলতে, নালায়-নালায়, দেখতে-না- দেখতে, জল-কাদা, বিশাল-দেহ, ফোঁসফোঁস, ধীরে-ধীরে, আশে-পাশে ‘হু-উ-উ’, পঞ্চাশ-ষাট, তিন-চারটে, সাড়ে-চারটেয়, বড়ো-বড়ো, এ-দুটোকে, পাঁচ-সাতটা, এক-একবার, আসতে না আসতেই, করতে করতে।
৫। ধ্বন্যাত্মক শব্দগুলি ব্যবহার করে মৌলিক বাক্যরচনা করো :
উঃ কিলিবিলি— জলে মাছ কিলিবিলি করে।
হুড়মুড় – বৃষ্টির জলে মাটির বাড়িটা হুড়মুড় করে
ভেঙে পড়ল।
মিটমিট—বিড়াল টা আমাকে মিটমিট করে দেখছিল। পটপট— পাটকাঠি পটপট করেই ভেঙে গেল।
মড়মড়— একটা গাছ Silver করেই ভেঙে গেল। । থরথর—শীতকালে বুড়ো মানুষ থরথর
করে কাঁপে।
গুড়গুড়—বর্ষায় মেঘের গুড়গুড় শব্দ শোনা যায়।।
ফোসফোস—সাপেরা মুখ দিয়ে ফোঁসফোঁস গর্জন করে।
৬। একই শব্দ পর পর দু-বার ব্যবহৃত হয়েছে এমন কয়টি শব্দ তোমরা গল্পে খুঁজে পেয়েছো তা লেখো। যেমন— জলে-জলে।
উঃ এক-এক, আগে আগে, চলতে-চলতে, ভাবতে-ভাবতে, বলতে-না-বলতে, নালায়-নালায়, ফোঁস ফোঁস, মিটমিট, ধীরে-ধীরে, পটপট, মড়মড়, থরথর, ভাঙতে ভাঙতে, দাগে দাগে, জলে-জলে, বসে-বসে, গুড়গুড়, বড়ো-বড়োকরতে-করতে।
৭। নীচের অনুচ্ছেদে কয়টি বাক্য আছে লেখো : (প্রশ্নটি পাঠ্যপুস্তকে দেখো)।
উঃ মোট ৯টি বাক্য আছে। যথাক্রমে-
(১) বেলা নটা-দশটার আগে আর সূর্য দেখা যায় না। (২) এক-এক জায়গায় এমনি ঘন বন যে আকাশ দেখবার জো
নেই।
(৩) ঠিক মনে হয় যেন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।
(৪) আমি সকলের আগে আগে চলি।
(৫) সঙ্গে একজন বুড়ো লুশাই থাকে।
(৬) সে বড়ো শিকারি।
(৭) তার পিছনে দুজন খালাসি।
(৮) তাদের মধ্যে শ্যামলালের হাতে আবার খাবার আর জল।
(৯) তিনজনের হাতেই এক-একখানি দা ।
৮। গল্পটিতে কোন্ কোন্ পশুপাখির উল্লেখ আছে তার একটি তালিকা তৈরি করো। প্রতিটি পশু এবং পাখি সম্পর্কে দুটি করে বাক্য লেখো :
এগুলো পরীক্ষায় আসে না।তাই উত্তর দিলেন না।
৯। নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৯.১ লুশাই পাহাড়ের বিস্তার কতখানি জায়গা নিয়ে ?
উঃ সাড়ে ছশো-সাতশো বর্গকিলোমিটার জায়গা নিয়ে।
৯.২ লুশাই পাহাড়কে ভয়ংকর জায়গা কেন বলা হয়েছে?
উঃ লুশাই পাহাড়ে বন ছাড়া মানুষের নামগন্ধ নেই। আছে শুধু জানোয়ার, কিলিবিলি করছে। তাই ওই পাহাড়কে ভয়ংকর জায়গা বলা হয়েছে।
৯.৩ হাতির রাস্তা পাওয়া গেলে লোকজনের কেন খুব মজা হল?
উঃ বন কেটে লোকজনদের রোজ রাস্তা তৈরি করতে হয়েছিল। তাই সেদিন হাতির রাস্তা পাওয়া গেলে, বন কাটতে হচ্ছে না বলে লোকজনদের খুব মজা হল।
৯.৪ গন্ডার দেখে শ্যামলাল কী কী করেছিল?
উঃ গন্ডার দেখে শ্যামলাল তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যাচ্ছিল।
৯.৫ দ্বিতীয় দিন বন্দুক এবং বনের পশুপাখি থাকা সত্ত্বেও শিকার করতে পারা যায়নি কেন?
উঃ দ্বিতীয় দিনে বন্দুক থাকা সত্ত্বেও লেখক ভীষণ ঘন বন এবং কুয়াশার জন্য শিকার করতে পারেননি।
৯.৬ পাকোয়া নদীর বর্ণনা দাও।
উঃ পাকোয়া নদীটা সত্তর-আশি হাত চওড়া হবে, তাতে এক কোমর জল।
৯.৭ লেখকের হুঁ-উ-উ চিৎকার শুনে হাতিরা কী করেছিল ?
উঃ লেখকের ‘হু-উ-উ’ চিৎকার শোনামাত্র তাঁর মাথার ওপরের পাহাড় থেকে একটা হাতি ‘হুঁ-উ-উ’ বলে ডেকে উঠল; আর লেখকের কাছ থেকে পঞ্চাশ-ষাট হাত দূরে আরও অনেক হাতি গুড়গুড় শব্দ করে তার জবাব দিতে লাগল।
৯.৮ রাতে কোথায় তাঁবু খাটানো হল ?
উঃ রাতে পাকোয়া নদীর ওপারে বন কেটে তাঁবু খাটানো হল।
৯.৯ মাহুতরা রাতে কোথায় হাতিদের বেঁধে রাখল ?
উঃ রাতে মাহুতরা তাঁবুর কাছে হাতিদের বেঁধে রাখল।
১০। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১০.১ কীভাবে রাতে বুনো হাতি তাড়ানো হল?
উঃ লুশাইরা শুকনো বাঁশের মশাল তৈরি করে, লম্বা লম্বা কাঁচা বাঁশের আগায় বেঁধে দিল। তারপর মশালগুলো ঘুরিয়ে বিকট চিৎকার করতে করতে লুশাইরা এগিয়ে আসা হাতিগুলোর দিকে তেড়ে গেল। এভাবে সারারাত হাতিগুলো একবার তাঁবুর দিকে এগিয়ে গেল আবার জ্বলন্ত মশাল হাতে বিকট চিৎকারে তাদের তাড়া করতে লাগল। ভোর হলে একদল হাতি পুবদিকের পাহাড়ে, আর একদল হাতি পশ্চিম দিকের পাহাড়ে উঠে গেল।
১০.২ লেখকের শুকনো নালায় নামার অভিজ্ঞতা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ শুকনো নালায় লেখক নামলেন। তাঁর আগে বুড়ো লুশাই। আর তাঁর পিছনে শ্যামলাল। এমত দশায়, তাঁদের সামনেই ভারী একটা জলকাদা তোলপাড়ের শব্দ হল। তাঁরা ব্যস্ত পায়ে দুই লাফে পিছন দিকের পাড়ে আবার ফিরে এলো। দেখলেন জলকাদায় বিশাল দেহ এক গন্ডার মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। দেখলে মনে হবে যমদুতের দাদামশাই। রেগেমেগে
দাঁড়িয়ে ফোঁস ফোঁস করছে। চোখদুটো লাল। মিটমিট করছে। কান দুটো হেলানো পিছন দিকে। লেখক খুব সাবধানে তাকে গুলি চালানোর কথা ভাবছিলেন। কিন্তু তা করতে হল না। গন্ডারটা মিনিট খানেক দাঁড়িয়ে থেকে অকস্মাৎ একটা কার দিয়ে দৌড়ে পাহাড়ে উঠে গেল।
অন্য গুলির উত্তর দেখুন
(১) সবার আমি ছাত্র
(২) নরহরি দাস
(৩) বনভোজন
(৬) বনের খবর
(৭) মালগাড়ি
(৮) বিচিত্র সাধ
আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো
(১০) আলো
(১১) আমাজনের জঙ্গলে
(১২) দক্ষিণ মেরু অভিযান
(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়
(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি
(১৫) দূরের পাল্লা
(১৬) নইলে
(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া
(১৮) আদর্শ ছেলে
(১৯) যতীনের জুতো
(২০) ঘুম ভাঙ্গানি
(২১) মায়াদ্বীপ
(২২) বাঘা যতীন
আর ও বাঘা যতীন