তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সত্যি সোনা গল্পের হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
সত্যি সোনা (প্রচলিত গল্প)
লেখক -(অঞ্জাত) অজানা
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১. একটি বাক্যে উত্তর দাও :
১.১ বুড়ো চাষির সংসারে কে কে ছিল?
উঃ। বুড়ো চাষির সংসারে তার ছেলে আর ছেলের বউ ছিল।
১.২ চাষির ছেলেটি কেমন প্রকৃতির ছিল।
উঃ। চাষির ছেলেটি ছিল অলস প্রকৃতির । টাকার প্রতি অনেক লোভ ছিল।
১.৩ বাপের কথা শুনে ছেলের মনের অবস্থা কেমন হলো?
উঃ। বাপের কথা শুনে ছেলের ভীষণ আনন্দ হলো।লোভে চোখ দুটো চকচক করে উঠল।
১.৪ বুড়ো চাষি কোন কথাটা তাঁর ছেলেকে বলে যাননি ?
উঃ। জমিতে সোনা ঠিক কোন জায়গায় পোঁতা আছে তা বুড়ো চাষি তাঁর ছেলেকে বলে যাননি।
২. সংক্ষেপে উত্তর দাও :
২.১ চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কতটা জমি খুঁড়েছিল?
উঃ। চাষির ছেলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পাঁচ বিঘে জমি খুঁড়েছিল।
২.২ চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে কে খুশি হয়েছিল?
উঃ। চাষির ছেলের প্রথম রোজগারে তার বউ খুব খুশি হয়েছিল।
২.৩ গল্পে কোদাল দিয়ে মাটি খোঁড়ার কথা বলা আছে, আর কী কী জিনিস দিয়ে মাটি খোঁড়া যায় বলে তোমার জানা আছে?
উঃ। কোদাল ছাড়াও টাকনা ,লাঙ্গল, শাবল, গাঁইতি প্রভৃতি দিয়ে মাটি খোঁড়া যায়।
২.৪ ‘সত্যি সোনা' গল্পটির মতো আর কোন্ গল্প তোমার জানা আছে? জানা গল্পটি বন্ধুদের শোনাও।
উঃ। হ্যাঁ, 'একতাই বল' গল্পটি জানা আছে।
এক চাষির ছিল তিন ছেলে। তারা তিনজন খুব ঝগড়া করে। চাষি একদিন তাদের তিনজনকে ডেকে একগোছা লাঠি দিয়ে ভাঙতে বলল। তারা কেউ পারল না। তখন চাষি তাদের একটি করে লাঠি দিয়ে ভাঙতে বলল। তারা সহজে ভেঙে ফেলল। তখন চাষি তাদের বোঝালো যে, লাঠিগুলি একসাথে ছিল বলে তারা ভাঙতে পারেনি। ঠিক সেইভাবে তারা তিনভাই যদি নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ঝাঁটি না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকে, তাহলে তাদের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। ছেলেরা বাবার কথা বুঝল এবং তারপর থেকে নিজেদের মধ্যে মিলেমিশে থাকতে লাগল।
৩ ৰন্ধনীর মধ্যে থেকে ঠিক উত্তরটা বেছে নিয়ে পুরো কথাটা আবার নিজে লেখো :
৩.১ ছেলের চোখ দুটো লোভে (ঝকঝক/চকচক/ঝমমক/ঝিকমিকি) করে ওঠে।
উঃ। ছেলের চোখ দুটো লোভে চকচক করে ওঠে।
৩.২ চাষির ছেলের বউ ছিল খুব (চালাক/সরল/বোকা/বুদ্ধিমতী)।
উঃ। চাষির ছেলের বউ ছিল খুব বুদ্ধিমতী।
৩.৩ বউ বলেছিল, ‘সোনা যদি পাও তবে (আমাদের/তোমার /মজুরদের/আমার) কপালে ফিরে যাবে।
উঃ। বউ বলেছিল 'সোনা যদি পাও তবে আমাদের কপাল ঘিরে যাবে।'
৩.৪ চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা (কম পয়সায়/দোকানে/হাটে/বাজরে) বিক্রি করে।
উঃ। চাষির ছেলে ফসল কাটার পর তা হাটে বিক্রি করে।
৪. সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখো :
৪.১ চাষির ছেলে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না কেন ?
উঃ। চাষির ছেলে ছিল খুব অলস প্রকৃতির। সে কোনো কাজ করত না। (সারা জীবন সে শুয়ে বসে কাটিয়েছে। তাই সে নিজে চাষ-আবাদ করার কথা ভাবতে পারত না।
৪.২ শেষ পর্যন্ত চাষির ছেলের মাঠে কাজ করতে যাওয়ার কারণ কী ছিল ?
উঃ। জমিতে সোনা পাওয়ার লোভে এবং বউয়ের কথায় চাষির ছেলে পাঁচ বিঘা জমি খুঁড়ে ফেলে। চাষির ছেলের মাঠে কাজ করতে যাওয়ার আসল কারণ।
৪.৩ চাষির ছেলের বউ কোন্ সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে?
উঃ। চাষির ছেলের বউ বর্ষা নামবার আগের সময়কে বীজ বোনার উপযুক্ত সময় বলেছে।
৪.৪ সে কোথা থেকে বীজ কিনে এসেছিল?
উঃ। চাষির ছেলের বউ হাট থেকে বীজ কিনে এনেছিল।
৪.৫ সে কীসের বীজ কিনেছিল?
উঃ। সে সবচেয়ে সেরা ধানের বীজ কিনেছিল।
৪.৬ গল্পের কোন্ মানুষটাকে তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো?
উঃ। গল্পের চাষিকে আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হলো। কারণ, গল্পটিতে তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়।
৫. নিজের ভাষায় উত্তর দাও :
৫.১ — সেটা বলব বলেই তো ডেকেছি তোমায়'— কে এই কথা বলেছে? সে কাকে এই কথা বলেছে? সে তাকে কী বলার জন্য ডেকেছিল ?
উঃ। গল্পে বুড়ো, চাষি এই কথা বলেছে। সে তার ছেলেকে এই কথা বলেছে। সে তাকে তার লুকোনো সোনার সন্ধান দেওয়ার জন্য ডেকেছিল।
৫.২ গল্পে চানির ছোলের বউ চাষির ছেলেকে কীভাবে সাহায্য করেছে তা লেখো।
উঃ-চাষির ডোলের বউ ছিল অত্যন্ত বুদ্ধিমতী। সে চাষির কথার সঠিক অর্থ বুঝতে পেরেছিল এবং তার
সে কিছু না বলে সে সোনার লোভ দেখিয়ে তাকে বুদ্ধি দিয়ে, তার পাশে থেকে তাকে সাহায্য করে।
৫.৩ সত্যি সত্যি সোনা ফলেছে মাঠে-কে এই কথা বলেছে। সোনা বলতে এখানে আসল কোন জিনিস কে বোঝানো হয়েছে?
উঃ:-সোনা বলতে আসলে সোনালী বর্ণের পাকা ধানকেবোঝানো হয়েছে। কথাটি চাষির ছেলের বউ বলেছে। জিনিসটির সাথে সোনার রং-এর মিল আছে। পাকা ধান বিক্রি করেও অর্থ রোজগার করা সম্ভব। আবার সোনা বিক্রি করেও অর্থ রোজগার করা সম্ভব।
৫.৪ চাষির ছেলে ফসল বিক্রি করে বাড়ি ফিরলে তার বউ কী কারণে খুব খুশি হলো।
উত্তর:-। সেই ফসল বিক্রির টাকাটাই ছিল চাষির ছেলের প্রথম রোজগার। বউটি তার স্বামীকে জীবনে প্রথমবার পরিশ্রম করে রোজগার করতে দেখে খুব খুশি হল।
৫.৫ চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে কী পুরস্কার পেয়েছে?
উচু। চাষির ছেলে আর তার বউ বুদ্ধি খাটিয়ে আর পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়ে তা থেকে পয়সা রোজগার করে। তার সাথে সাথে চাষির অলস ছেলে এও বুঝতে পারে যে, বুদ্ধি খাটালে ও পরিশ্রম করলে তার পুরস্কার অবশ্যই পাওয়া যায়।
৫.৬ 'ছেলের বউ খুব বুদ্ধিমতী- —তার বুদ্ধির প্রকাশ গল্পে কীভাবে লক্ষ করা গেল ?
উঃ। বুড়ো চাষির কথার আসল অর্থ একমাত্র চাষির ছেলের বউ বুঝেছিল। সে প্রথমে অসল স্বামীকে সোনার লোভ দেখিয়ে পাঁচ বিঘা জমি খোঁড়ায় ।
তারপর ধীরে ধীরে, ভালো ভালো কথা বলে তার পাশে থেকে তাকে দিয়ে জমিতে চাষ করায়। ক্রমে তার অলস স্বামী পরিশ্রমী হয়ে ওঠে। চাষির ছেলের বউয়ের এই ধরনের কাজের মধ্যে দিয়ে তার বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়।