তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সোনা গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর - Online story

Tuesday 23 July 2024

তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা সোনা গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর

 




তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা

গল্প :-সোনা

লেখক-গৌরী 

অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর


১. একটি বাক্যে উত্তর দাও

১.১ সোনা কে? তার বাবা-মা কেন বাড়িতে বেড়া দিয়েছিল?

 উঃ। সোনা হলো চাষির মেয়ে। সোনা হামাগুড়ি দিয়ে যাতে বাইরে বেরিয়ে না যায়, তাই তার বাবা-মা বেড়া দিয়েছিল।

১.২ নদীমা কীভাবে সোনার সারা গায়ে গয়না পরিয়ে দিয়েছিলেন? 

উঃ। নদীতে স্নান করে উঠে আসার পর সোনার সারা গায়ে সোনার রেণু লাগানো দেখেছিল তার বাব-মা।


১.৩ চোরটি সোনাকে কখন চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল? 

উঃ। যখন সোনার বাবা খেতে গিয়েছিল এবং সোনার মা দুধ জ্বাল দিচ্ছিল, এমন সময় সোনা উঠোনে একা ছিল, তখন চোর তাকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।

১.৪ কেন গ্রামটির নাম হলো 'সোনার গাঁ ?

উঃ। সরকারের লোকেরা গ্রামে সোনা খুঁজতে আসার পর থেকে গ্রামের নাম হল “সোনার গাঁ’।


১.৫ সরকারের লোকেরা কী কাজ করবে বলে সোনাদের গ্রামে এসেছিল ?

উন্ন। সরকারের লোকেরা নদী থেকে সোনা তোলার জন্য সোনাদের গ্রামে এসেছিল।


১.৬ কে সোনার নাম রেখেছিল নদীমাতৃকা? এই নামের অর্থ কী?

উঃ পাঠশালার সংস্কৃত দিদিমণি সোনার নাম রেখেছিলেন নদীমাতৃকা। নদীমাতৃকার অর্থ নদী যার মায়ের মতন।


১.৭ কেউ নদীর জল নোংরা করলে সোনা কী করত?

উঃ। কেউ নদীর জল নোংরা করলে সোনা রাখিনির মতো ছুটে আসতো।


২. নদী আমাদের কী কী উপকার করে? 

উঃ। নদী আমাদের নানাভাবে উপকার করে যেমন—নদীর জল আমরা খাবার জল পাই। নদীর জল চাযের কাজে লাগে, নদীতে মাছ চাষ করা হয়, নদীর জল শিল্পক্ষেত্রে কাজে লাগে, মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে নদীর জল লাগে। এছাড়া পূজা-অর্চনার কাজেও নদীর পবিত্র জল ব্যবহার করা হয়। 


৩. এই গল্পটি থেকে এমন তিনটি বাক্য খুঁজে দেখো যেখানে 'সোনা' শব্দটি নানা অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

উঃ। ক. চাষির মেয়ে সোনা। [সোনা ব্যক্তির নাম অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।)

খ. গায়ের সোনায় রোদ লেগে ঠিকরোয়। [সোনা রং অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

গ. নদীতে সোনা খুঁজতে এসেছে। [সোনা ধাতু অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।]



৪. ভারতবর্ষ ‘নদীমাতৃক দেশ। এখানে অনেক নদী আছে। নদীকে নায়ের মতন কেন বলা হয় ?

উঃ। নদী মাতৃরূপে সভ্যতা গড়ে তোলে। মায়ের কোলে যেমন শিশুরা বেড়ে ওঠে, তেমনি নদীর তীরেই সভ্যতা

গড়ে ওঠে। নদী নানাভাবে মানুষকে সাহায্য করে। একটি সমাজের বা সভ্যতার সমৃদ্ধি ঘটাতে নদীর ভূমিকা অপরিসীম। তাই নদীকে নায়ের মতো বলা হয়।

৫. তোমার জানা তিনটি নদীর নাম লেখো।

 উঃ। আমার জানা তিনটি নদীর নাম হল – গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা।


৬. শব্দগুলো সাজিয়ে বাক্য গঠন করো :

৬.১ বড়ো হয়েছে একটু সোনা। 

উঃ। সোনা একটু বড়ো হয়েছে।

৬.২ ছাড়লেন নদীমাও হাঁপ।

 উঃ। নদীমাও হাঁপ ছাড়লেন।

৬.৩ ক্লাসে পাঠশালের উঁচু পড়ে। 

উঃ। পাঠশালের উঁচু ক্লাসে পড়ে।

৬.৪ সোনার গাঁ হলো সেই নাম থেকে গাঁয়ের। 

উঃ। সেই থেকে গাঁয়ের নাম হলো সোনার গাঁ।

৬.৫ চিকচিক বালি মেয়ের করে গায়ে। 

উঃ। মেয়ের গায়ে বালি চিকচিক করে।



৭. এলোমেলো বর্ণ সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো :

উঃ-

কুকুলল> কুলকুল

 লসফ > ফসল

 কেঢুঢেকে  > ঢেকেঢুকে

মদিণির্দি > দিদিমণি

 মাড়িগুহা > হামাগুড়ি

তাড়িতপা > পাততাড়ি

ততক্ষণে > ততক্ষণে

কারসর  > সরকার





. শূন্যস্থান পূরণ করো

 ৮.১ চাষির ঘর আলো করে উঠোনে- দেয়।

 উঃ। হামাগুড়ি

৮.২ গায়ের রোদ লেগে --ঠিকরোয়।

উঃ। সোনায়


 ৮.৩ তুই মেয়ের হাতে ---. দিতে চাইছিল

উঃ। কাকু

৮.৪ সংস্কৃতের দিদিমণি নাম রেখেছে ---

উঃ। নদীমাতৃকা

 ৮.৫. আপনার মেয়ের কথা শুনে---নিয়ে এসেছি। উঃ। যন্ত্রপাতি।



৯. ‘সোনা শব্দটি নীচের বাক্যগুলিতে কোথায় ব্যক্তি আর কোথায় বস্তু বোঝাচ্ছে লেখো :

৯.১ চাষির মেয়ে সোনা। 

উঃ- ব্যক্তি বোঝাচ্ছে

৯.২ মা ভাবে, সেনার হাতে দু-খানি কাঁকন দিলে বড্ড মানাত। 

উঃ- ব্যক্তি বোঝাচ্ছে,

৯.৩ সোনার যা দাম!

উঃ- বস্তু বোঝাচ্ছে,

৯.৪ গায়ের সোনায় রোদ লেগে ঠিকরোয়। 

উঃ- বস্তু বোঝাচ্ছে

৯.৫ এ যে দেখছি সোনা।

উঃ- বস্তু বোঝাচ্ছে

 ৯.৬ সোনার হাতে-গলায় সোনা চিকচিক করছে।

উঃ। প্রথম ক্ষেত্রে ব্যক্তি এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বস্তু বোঝাচ্ছে।



১০. একই অর্থের শব্দ পাঠ থেকে খুঁজে নিয়ে লেখো :

উঃ। অন্যগ্রাম—ভিনগাঁ,

 কনক – সোনা

তটিনী—নদী,

 কঙ্কন— কাঁকন,

 নীর—জল, 

নির্মল পরিষ্কার।

১১. গল্পের ঘটনাক্রম সাজিয়ে লেখো ।

১১.১ এক চোর এসে সোনাকে তুলে নিয়ে চম্পট।

১১.২ সরকারের লোক যন্ত্রপাতি বসিয়ে সোনা খুঁজতে লেগে গেল।

১১.৩ সোনার গাঁ-র লোকেরা কেউ নদীকে নোংরা করে না। -

১১.৪ নদীমা তোর মেয়ের গায়ে গয়না পরিয়ে দিয়েছেন।

১১.৫ সোনা বাবার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ল।

উঃ। ১১.৪ নদীমা তোর মেয়ের গায়ে গয়না পরিয়ে দিয়েছেন। 

১১.১ এক চোর এসে সোনাকে তলে নিয়ে চম্পট।

১১.৫ সোনা বাবার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ল।

 ১১.২ সরকারের লোক যন্ত্রপাতি বসিয়ে সোনা খুঁজতে লেগে গেল।

১১.৩ সোনার গাঁ-র লোকেরা কেউ নদীকে নোংরা করে না।

১২. বিপরীতার্থক শব্দ : 

গাঁ—শহর, 

উঁচু-নীচু, 

এক–দুই, 

সামনে-পিছনে,

 মিথ্যে- সত্য।



১৩. বর্ণ বিশ্লেষণ করো :

কাঁকন =ক +ঁ + আ + ক + ন।

চম্পট = চ + ম + প + টা

পরিষ্কার=প + র + ই + ষ + ক + আ + র।

যন্ত্রপাতি=য + ন + ত + র + প + আ + ত + ই।

নদীমাতৃক=ন + দ + ঈ + ম + আ + ত + + ক + আ। হিরণ্যবক্ষ =হ+ ই + র + ণ + য + ব + ক + ষ + আ ।

১৪. কার্য-কারণ সম্পর্ক নির্ণয় করে পাশাপাশি বাক্য লেখো :

১৪.১ মেয়েকে আঁচল দিয়ে ঢেকেঢুকে চাষি-বউ বাড়ি নিয়ে এলো।

উঃ। মেয়েকে আঁচল দিয়ে ঢেকেঢুকে চাষি-বউ বাড়ি নিয়ে এলো কারণ, নদী-মা মেয়ের সারা গায়ে সোনা পরিয়ে দিয়েছিল।

১৪.৪ মা পাগলের মতো বাজাতে লাগল-ঢং ঢং ঢং....।

উঃ। মা পাগলের মতো বাজাতে লাগল-ঢং ঢং ঢং... কারণ, একটা চোর মেয়েকে নিয়ে চম্পট দিয়েছিল।

১৪.৩ আপনার মেয়ের কথা শুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি।

উঃ। আপনার মেয়ের কথা শুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি কারণ, নদীতে সোনা আছে, তাই খুঁজতে।

১৪.৪ তুই যেন জলের মাছ। 

উঃ। তুই যেন জলের মাছে কারণ সোনা জলে মাছের মতো সাঁতার কাটে।


১৫. বাক্য রচনা করো :

হামাগুড়ি—শিশুরা সকলেই হামাগুড়ি দেয়। হনহনিয়ে—ভোলাবাবু পথে হনহনিয়ে হেঁটে চলেছে।

ইঞ্জিন—মাঝরাস্তায় গাড়ির ইঞ্জিনটা হঠাৎ বিগড়ে গেলো। অদ্ভুত — সার্কাসের জোকারটাকে অদ্ভুত দেখতে লাগছিল।

পিশাচ—শ্মশানের ধারে নাকি রাত্রে পিশাচ দেখা যায়।



১৬. বাক্য বাড়াও :

১৬.১ একটুখানি জায়গা মায়ে বাপে বেড়া দিয়েছে। (কেন ?)

উঃ। মেয়ে যাতে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে না যায়, তাই একটুখানি জায়গা মায়ে-বাপে বেড়া দিয়েছে।

১৬.২ প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড দু-তিনটে গাড়ি আসছে। (কোথা দিয়ে ?) উঃ। বড়ো রাস্তা দিয়ে প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড দু-তিনটে গাড়ি আসছে।

১৬.৩ যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি। (কেন ?) উঃ। নদী থেকে সোনা খুঁজতে যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছি।

১৬.৪ সোনা ঠিক টের পায় যেখানেই থাকুক। (কী টের পায়?)

উঃ। নদীকে কেউ নোংরা করলে সোনা ঠিক টের পায় যেখানেই থাকুক।

১৬.৫ ভিনগাঁয়ের লোকেরা এসে বলে। (কী বলে ? উঃ। ভিনগাঁয়ের লোকেরা এসে বলে, বাঃ তোমাদের এখানে নদী কী পরিষ্কার।


১৭. নদীতে কোন্ কোন্ প্রাণী বাস করে? সাঁতার কাটতে পারে কোন্ পাখি? 

উঃ। নদীতে মাছ, বিভিন্ন প্রকার

জলজ, পোকা, শামুক, চিংড়ি, কাঁকড়া, শুশুক, কুমির, ব্যাং, সাপ বাস করে। হাঁস ও পানকৌড়ি সাঁতার কাটতে পারে।

১৮. 'সোনা' গল্পটি থেকে তোমরা কী শিখলে তা লেখো। গল্পটির আর-একটি নাম দাও।

উঃ। ‘সোনা’ গল্পটি থেকে আমরা শিখলাম নদী আমাদের মায়ের মতন। নদীকে নোংরা, দূষিত করতে নেই। নদী সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত। গল্পের আর-একটি নাম হল—‘নদী ও তার সোনার মেয়ে’, ‘হিরণ্যবক্ষা'।


১৯. নীচের সূত্রগুলি কাজে লাগিয়ে শব্দছকটি পূরণ করো ঃ উত্তরসহ শব্দছকটি দেওয়া হল ঃ



উপর-নীচ ঃ ১. এখানে মাথা রেখে ঘুমোতে আরাম। ২. জলের জীব।

৩. এর উপরেই লিখতে হয়।

 ৪. হাতির আরেক নাম। 

৫.... মোর মেঘের সঙ্গী।

 ৭. কোকিলের ডাক। ৮....... জঙ্গল। 

১০. বৃষ্টি হলে প্রয়োজন।

পাশাপাশি ঃ ১. নদী যার মায়ের মতন। 

৪. ধান ও ......খাদ্য। 

৬. “মামাবাড়ি ভারি....., কিল চড় নাই।” 

৭. মন্দ লোক।

আমাদের প্রধান

৮. অনেক। 

৯. শ্ৰুত ... 

। ১১......না জানলে জলে নামা উচিত নয়।


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর :

১. সোনার মা কী ভাবে? 

উঃ। সোনার মা ভাবে সোনার হাতে দু-খানি কাকন দিলে বড্ড মানাত।

২. সোনার বাবা-মা কী দিয়ে বেড়া ঢেকে দিয়েছিল ? 

উঃ সোনার বাবা-মা নরম লতা দিয়ে বেড়া ঢেকে দিয়েছিল।

৩. গল্পে কোন্ দামি ধাতুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

উঃ। গল্পে দামি ধাতু সোনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।