'পরবাসী' অষ্টম শ্রেণীর বাংলা হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
অষ্টম শ্রেণীর বাংলা
পরবাসী
বিষ্ণু দে
হাতে - কলমে
অনুশীলনীর প্রশ্ন ও উত্তর
১.১ কবি বিষ্ণু দের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
উঃ। কবি বিষ্ণু দের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম আর্টেমিস',এবং উর্বশী।
১.২ তাঁর লেখা দুটি প্রবন্ধের বইয়ের নাম লেখো।
উঃ। তাঁর লেখা দুটি প্রবন্ধের বইয়ের নাম 'সাহিত্যের ভবিষ্যৎ' 'রুচি ও প্রগতি’।
২. নিম্নরেখ শব্দগুলির বদলে অন্য শব্দ বসিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করো। প্রথমটি করে দেওয়া হলোঃ
২.১ দুই দিকে বন, মাঝে ঝিকিমিকি পথ।
উঃ। দুইদিকে বন, মাঝে আলোছায়া পথ।
২.২ এঁকেবেঁকে চলে প্রকৃতির তালে তালে।
উঃ। এঁকেবেঁকে চলে প্রকৃতির সুরে তানে।
২.৩ তাঁবুর ছায়ায় নদীর সোনালি সেতারে।
উঃ। তাঁবুর ছায়ায় নদীর রূপালি গিটারে।
২.৪ হঠাৎ পুলকে বনময়ূরের কথক।
উঃ। হঠাৎ পুলকে বনময়ূরের কথাকলি।
২.৫ বন্য প্রাণের কথাকলি বেগ জাগিয়ে।
উঃ। বন্য প্রাণের নৃত্যছন্দের বেগ জাগিয়ে।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৩.১ পথ কীসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে?
উঃ। পথ প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে।
৩.২ চিতার চলে যাওয়ার ছন্দটি কেমন?
উঃ। চিতার চলে যাওয়ার ছন্দটি লুব্ধ এবং হিংস্র।
৩.৩ ময়ূর কীভাবে মারা গেছে?
উঃ। বিক্রয় বস্তু বা পণ্য হওয়ার জন্য নগরায়নের সাথে ময়ূর মারা গেছে।
৩.৪ প্রান্তরে কার হাহাকার শোনা যাচ্ছে?
উঃ। প্রান্তরে বাতাসের হাহাকার শোনা যাচ্ছে।
৩.৫ পলাশের ঝোপে কবি কী দেখেছেন?
উঃ। পলাশের ঝোপে কবি বনময়ূরের কথক নাচ দেখেছেন।
৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর কয়েকটি বাক্যে লেখো :
৪.১ জঙ্গলের কোন কোন প্রাণীর কথা কবি এই কবিতায় বলেছেন?
উঃ। কবি বিষ্ণু দে পরবাসী' কবিতাটিতে জঙ্গলের নানা প্রাণীর কথা উল্লেখ করেছেন। জঙ্গলের কচি কচি খরগোশের কথা বলেছেন। এছাড়া কবি বনময়ূর, চিতা, হরিণ প্রভৃতি প্রাণীদের কথা কবিতায় বলেছেন।
৪.২ সেতারের বিশেষণ হিসেবে কবি "সোনালি” শব্দের ব্যবহার করেছেন কেন?
উঃ।. নদীর জলকল্লোলের ধ্বনির কথা বলতে গিয়ে কবি 'সোনালি সেভার' কথাটি ব্যবহার করেছেন। নদীর জলে সূর্যের আলো পড়ে বিচ্ছুরিত হয়। তখন নদীর রং সোনালি মনে হয়। এটি বিশেষত ভোরবেলা এবং সন্ধেবেলা হয়। নদীর যারে চলার শব্দকে অবি সেতারের বাজনার সাথে তুলনা করেছেন এবং রংটিকে বলেছেন সোনালি। তাই সেতারের বিশেষণ হিসেবে “সেনলি শাব্দের ব্যবহার করেছেন।
৪.৩ কথক ও কথাকলির কথা কবিতার মধ্যে কোন প্রসঙ্গে এসেছে?
উঃ। কথক ও কথাকলি দুইই একটি বিশেষ ধরণের নৃত্যশৈলী। কবিতাটিতে কবি কোনো নৃত্যের বর্ণনা প্রসঙ্গে শব্দদুটি ব্যবহার করেননি বরং বিশেষ কোনো ভহিলনা বা ধ্রুন বোঝাতে কবি শব্দদুটি ব্যবহার করেছেন। আনন্দে মেতে ওঠা কমবারের নৃত্য উপলতাকে কবি কথক নৃত্যের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং লোলুপ ও হিংস্র ছন্দে চিতার চলে যাওয়ার
গতিকে বোঝাতে কবি বন্য প্রাদের কথাকলি নাচের কথা বলেছেন।
৪.৪ “সিল্কমুনির হরিদ আহবান – কবি কীভাবে শুনেছেন?
উঃ। হরিণেরা জল খাওয়ার সময় একপ্রকার শব্দ হয়। রামায়ণ মহাকাব্যের কাহিনি অনুসারে অন্ধমুনির ছেলে সিন্ধুমুনি নদীতে জল আনতে গিয়ে যখন কলসিতে জল ভরছিলেন, তখন সেই শব্দ অনেকটা হরিণের জল খাওয়ার শব্দের মতো হয়েছিল। রাজা দশরায় সেই শব্দকে হারিখের জল খাওয়ার শব্দ ভেবে তির ছোঁড়ায় সিন্ধুমুনি নিহত হন। কবি হরিণের
ভুল সাওয়ার শব্দের মধ্য দিয়ে সেই শব্দ শুনেছেন।
৪.৫ মিরুর মরেছে পণ্যে"- এই কথার অন্তর্নিহিত অর্থ কী?
উঃ। ময়ূর একটি অতি সুন্দর পাখি। তার রংবেরং এর পেখম আছে। ময়ূরের সবকিছুকেই আমরা কাজে লাগাই।
অর্থাৎ মানুষের কাছে ময়ূরের প্রয়োজন রয়েছে। নগরায়নের সাথে সাথে বনভূমি ধ্বংস হওয়ায় ময়ূরের সংখ্যা কমেছে।
অন্যদিকে, সমস্ত কিছুকেই পণ্য হিসেবে দেখার প্রবণতা আমাদের জীবন থেকে সব রং মুছে দিচ্ছে। তাই কবি বলেছেন,ভোগবাদী সুন্নিয়া ময়ূর অর্থাৎ সৌন্দর্যের মৃত্যু ঘটিয়ে তাকেও পণ্যে পরিণত করেছে।
৫- নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৫.১ বিরামচিহ্ন ব্যবহারের দিক থেকে কবিতারটির শেষ স্তবকের বিশিষ্টতা কোথায়? এর থেকে কবি-মানসিকতারপরিচয় পাওয়া যায়?
উত্তর। সম্পূর্ণ কবিতাটিতে কবি নানা বিরামচিহ্ন ব্যবহার করলেও শেষ স্তবকে শুধুমাত্র প্রশ্নবোধক চিহ্ন ব্যবহার করেছেন।
পর পর চারটি প্রশ্ন চিহ্নের (1) মধ্যে নিয়ে তিনি কবিতাটি শেষ করেছেন। পর পর চারটি লাইনে এই ভাবে চারটি প্রশ্ন চিহ্নের ব্যবহার শেষ স্তবকটিকে এক বিশিষ্টতা প্রদান করেছে।
এর থেকে বোঝা যায় যে হতাশ কবি এখানে অতি দুঃখে ও ক্ষোভে, সমস্ত মানবজাতির প্রতি কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন।
এই প্রশ্নগুলির উত্তরও কবি জানেন কিন্তু এর উত্তর অর্থাৎ সিদ্ধান্তগুলিকে সমভাবাপন্ন মানুষদের সমর্থন পাওয়ার জন্য তিনি কবিতার প্রশ্নগুলি করেছেন। সেই প্রশ্ন কেবল কবির একার নয়, সেই প্রশ্ন কবির মতো অনেক মানুষের যারা একই রকম প্রতিদিতির মধ্যে নিয়ে চলেছেন। তাছাড়া কবির ব্যবহৃত কিছু শব্দ যেমন মৌন, অসহায় এইসব কথার মধ্যে দিয়ে মানবজাতির প্রতি বিরূপ এবং শ্লোষের আভাস পাওয়া যায় । কবি এক হিসেবে সমগ্র মানব সভ্যতাকে এক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
৫.২ কবি নিজেকে পরবাদী বলেছেন কেন?
উঃ। কবির ভালো লাগে পাহাড়, অরণ্য, নদী, অরণ্যের পশুপাখি। তিনি প্রাকৃতিক আরণ্যক পরিবেশে থাকতে চান, তিনি চান সুস্থ এক পরিবেশ, যেখানে সমস্ত কিছু সুন্দর হবে। অরণ্যে যেমন রগোশের লাফ দেখা যায়, বনময়ূরের নাচ দেখা
যায়, শোনা যায় নদীর কলতান, হরিণের আওয়াজ। দেখা যায় শিকারী চিতা কেমন লুব্ধ, দ্রুত ছন্দে চলে যায় একস্থান। থেকে অন্য স্থানে। কবি ঠিক তেমন সুন্দর, অমলিন সমাজে থাকতে চান।
কবির চোখে অন্যদিকে ধরা পড়ছে আর এক দৈন্য রূপ। সেখানে এইসব কিছুই নেই, অরণ্য হারিয়ে গেছে। গ্রাম উঠে গেছে আবার সেই সহানে বসেনি কোনোও শহর। কেবল ফাকা প্রাপ্তর পড়ে আছে। সেখানে কেবল হাওয়া বইছে। অর্থাৎ কবির পছন্দের সেই পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। আর তার বিকল্প কোনো সুস্থ পরিবেশ, যে পরিবেশে কবি মানিয়ে নিতে পারেন তা গড়ে ওঠে নি। তাই কবি তার নিজের জায়গার থেকেও নিজেকে পরবাসী বলেছেন।
৫.৩ জঙ্গল সাব,গ্রাম মরে গেছে, শহরের/পত্তন নেই।”—প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই পঙ্ক্তিটির প্রাসঙ্গিকতা বিচার করো।
উন্ন। দিনের পর দিন জনসংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান ও আনুসাঙ্গিক নানাবিধ চাহিদা। সেই চাহিদার ভার গিয়ে পড়ছে প্রকৃতির উপর। প্রকৃতি ক্রমশ নিঃশেষ হয়ে আসছে। বিপুল চাপ পড়ছে প্রকৃতির ওপর। প্রতিদিন বিপুল পরিমানে অরণা লোপ পাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে বন্যপ্রাণ। প্রকৃতিকে নষ্ট করে গ্রাম সভ্যতাকে ধ্বংস করে গড়ে উঠেছে শহর। বনভূমি ধ্বংস করে মানুষ ও পশুপাখির বাসভূমিটুকু কেড়ে নিচ্ছে মানুষের লোভ। আবার এর সাথে আছে পর্যাপ্ত পরিকল্পনার অভাব। সেই শূন্য স্থানে সঠিক ভাবে কোনো শহর গড়ে উঠছে না।গ্রাম গুলি সংখ্যায় কমে যাচ্ছে। কিন্তু সেই স্থান পূরণ হচ্ছে না, তৈরি হচ্ছে অসাম্য। প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই পঙ্ক্তিটি খুবই প্রাসঙ্গিক। আজও প্রাকৃতিক পরিবেশ কে বিনষ্ট করেই উন্নয়ন চলছে। তাই এই ধ্বংস হওয়া প্রকৃতি কখনোই আর নতুনভাবে ফিরতে পারবে না।
৫.৪ ‘পরবাসী' কবিতার প্রথম তিনটি স্তবক ও শেষ দুটি স্তবকের মধ্যে বক্তব্য বিষয়ের কোনো পার্থক্য থাকলে তা নিজের ভাষায় লেখো।
উঃ। ‘পরবাসী' কবিতার প্রথম তিনটি স্তবকে উঠে এসেছে প্রকৃতির অপার সুন্দর রূপ। যেখানে প্রকৃতি নিজেকে মেলৈ ধরেছেন। সেখানে রয়েছে, শান্তি, সাম্য এবং পূর্ণতা। যেখানে জীবজগৎ খুব সুন্দরভাবে তার শৃঙ্খলা ও সমতা বজায় রেখে চলছে।
কবিতার শেষ দুটি স্তবকে উঠে এসেছে প্রকৃতির রিক্ত রূপ, যেখানে মানুষের হাতে প্রকৃতির বিনাশ ঘটছে, হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাকৃতিক সম্পদ। যেখানে প্রকৃতির সেই সুন্দর, সহজ, সাম্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য বিঘ্নিত হয়ে গিয়েছে। তার জায়গায় গড়ে উঠেছে এক চরম অসাম্য। তাই কবি তৃতীয় স্তবকে বলেছেন ময়ূর মরেছে পণ্যে। অর্থাৎ ভোগবাদী দুনিয়া আজ সৌন্দর্যকে বিনষ্ট করে তাকে পণ্যে পরিণত করছে। শুধু ময়ূর নয় বন, গ্রাম, প্রকৃতি সবই আজ পণ্য। আর তারই সাথে সাথে আমাদের সামনে উঠে এসেছে কবির করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আমাদের দায়, আমাদের দায়িত্ব এক্ষেত্রে কতটা। মানুষ কি কখনোই আর নিজ বাসভূমি গড়ে তুলতে পারবেনা?
৫.৫ 'পরবাসী' কবিতাতে কবির ভাবনা কেমন করে এগিয়েছে তা কবিতার গঠন আলোচনা করে বোঝাও।
উঃ। “পরবাসী" কবিতাতে কবির ভাবনা এক সংগঠিত জায়গা থেকে ধূসর বর্তমানে এসে পৌঁছেছে। তিনি এক সুন্দর জগতে বসবাস করতেন। সেই সুন্দর, স্বাভাবিক জগতে তাঁর কল্পনা ডানা মেলত। কল্পনার মাধ্যমে তিনি বনময়ূরের নামে সাথে, নদীর তরঙ্গের সাথে সেভারের বাজনার তাল মেলাতেন। সেই সময় কবি অত্যন্ত সুন্দর এক প্রাকৃতিক জগতে জীবনযাপন করতেন। কিন্তু যখন তাঁর সেই জ্যৎ আর আগের মতো রইল না তখন তিনি সেই অস্বস্তিকর জগতে এক প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সবকিছুর ক্ষেত্রে মানুষের অপরিসীম লোভকে দায়ী করেছেন।
৫.৬ কবিতাটির নাম 'পরবাসী' দেওয়ার ক্ষেত্রে কবির কী কী চিন্তা কাজ করেছে বলে তোমার মনে হয়? তুমি কবিতাটির বিকল্প নাম দাও এবং সে নামকরণের ক্ষেত্রে তোমার মুক্তি সাজাও।
কথাকলি ঃ দক্ষিণ ভারতের কেরলের এক ধ্রুপদী নৃত্যশৈলী। আনুমানিক সপ্তদশ শতকে কথাকলি নৃত্যের উদ্ভব হয়। মুখে মুখোশ পড়ে এই নৃত্য পরিবেশন করা হয়। পা ও হাতের মুদ্রার দ্বারা নৃত্যের মাধ্যমে নানা কাহিনি এই নৃত্যে রূপায়িত করা হয়।
সিন্ধুমুনি : রামায়ণ মহাকাব্যে বর্ণিত এক অন্ধমুনির পুত্র হলেন সিন্ধুমুনি। ইনি জলাশয়ে জল আনতে গিয়ে অযোধ্যার থেকে রাজা দশরথ কর্তৃক ভুলবশত নিহত হন। সিন্থমুনির কলসিতে জল ভরার শব্দ শুনে রাজা দশরথ ভেবেছিলেন হরিণ জল খাচ্ছে। তাই অনুমান করে দূর তিনি শব্দভেদী বাণ ছোঁড়েন। এতে সিন্ধুমুনি নিহত হন।
পণ্যঃ -পণ্য শব্দের অর্থ কোনো দ্রব্য। যা দিয়ে বাণিজ্য করা হয়। অর্থাৎ যা দিলে তার বিনিময়ে কিছু পাওয়া যায়। পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে মানুষ লাভবান হয়।
৭. নীচের শব্দগুলির ধ্বনিতাত্ত্বিক বিচার করো :
জ্বলে : জ্বলিয়া > জ্বইল্যা > জ্বলে (অভিশ্রুতি)।
চলে:-: চলিয়া > চইল্যা > চলে (অভিশ্রুতি)।
পরবাসী :প্রবাসী > পরবাসী (স্বরসংগতি)।
তাবু : তাম্বু> তাবু (নাসিক্যভবন)।
৮. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো :
নিটোল> নেই টোল যার।
( না-তৎপুরুষ সমাস)
বনময়ূর > বনে বাস করে যে ময়ূর।
: মযপদলোপী কর্মধারয় তৎপুরুষ)
সিন্ধু মুনি > সিন্ধু নামক মুনি।
( মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)
নিজ বাসভূমি :> নিজের বাসভূমি।
সেতার
( সম্বন্ধ তৎপুরুষ)
সে (তিন) তারের সমাহার।
(দ্বিগু সমাস)
৯. নীচের শব্দগুলি কীভাবে গঠিত হয়েছে দেখাও
উঃ সোনালি – সোনা+আলি
বসতি – বস্ + তি
পরবাসী – পরবাস +ঈ
বন্য" . বনा – बन
আহ্বান > আ + হেব + অন
১০. নির্দেশ অনুসারে বাক্য পরিবর্তন করো :
১০.১ চুপি চুপি আসে নদীর কিনারে, জল খায়। (সরল বাক্যে)
উঃ। চুপি চুপি নদীর কিনারে এসে জল খায়।
১০.২ নিটোল টিলার পলাশের ঝোপে দেখেছি। (জটিল বাকো)
উঃ। নিটোল টিলার পাশে পলাশের যে ঝোপ সেখানে দেখেছি।
১০.৩ চিতা চলে গেল লুজ হিজে ছন্দে বন্যপ্রাণের কথাকলি বেগ জাগিয়ে। (যৌগিক বাক্যে)
উঃ। চিতা চলে গেল এবং লুব্ধ হিলে ছন্দে বন্য প্রাণের কথাকলি বেগ জাগিয়ে গেল।
১০.৪ কেন এই দেশে মানুষ মৌন অসহায় ? (না-সূচক বাক্যে)
উঃ। কেন এই দেশে মানুষ মুখর সহায় নয়?
১১. যে-কোনো দুটি স্তবকের মধ্যে বিশেষ্য ও বিশেষণ এর ব্যবহার কবি কীভাবে করেছেন দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো। ঝিকিমিকি পথ, কচি কচি খরগোশ, নিটোল টিলা, সোনালি সেতার।
উঃ। ঝিকিমিকি পথ ঃ পথ—বিশেষ্য। ঝিকিমিকি—বিশেষণ। দুদিকে বনের মাঝে যে পথ তা গাছের ফাঁক দিয়ে আসা সূর্যের আলোয় ঝিকমিক করছে। তা বোঝাতে কবি এটির ব্যবহার করেছেন।
কচিকচি খরগোশ : খরগোশ—বিশেষ্য। কচিকচি—বিশেষণ। '
কচিকচি' এই জোড় শব্দ দিয়ে কবি ছোটো নিরীহ খরগোশদের কথা বলেছেন।
নিটোল টিলা : টিলা—বিশেষ্য। নিটোল—বিশেষণ। এখানে টিলা মাটির বা পাথরের হলোও তা ভাঁজহীন বা সুডৌল ধ্বনিত হয়েছে।বোঝানো হয়েছে।
সোনালি সেতার ৪ সেতার-বিশেষ্য। সোনালি—বিশেষা। এখানে নদীর তরঙ্গের সুর সোনালি সেতারের অনুপ্রাসে
অন্য গুলি দেখুন
আলাপ
অন্য টা দেখুন দাঁড়াও
অন্যটা দেখুন আদাব
পথের পাঁচালী বইয়ের অনুশীলন প্রশ্ন উত্তর
ভাষাচর্চা (১)