তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা গাছেরা চলাফেরা করে না গল্পের অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা
গাছেরা চলাফেরা করে না
লেখক: অজানা
হাতে কলমে অনুশীলন প্রশ্নের উত্তর
১ একটি বাক্যে উত্তর দাও।
১.১ কোন সময়ের কথা গল্পটিতে বলা হয়েছে?
উঃ অনেক চলাফেরা করত তখনকার সময়ের কথা গল্গে বলা হয়েছে।
১.২ একসময়ে গাছেরা কীভাবে চলাফেরা করত?
উঃ গাছেরা তাদের শেকড়বাকড় মাটির নীচ দিয়ে চালাচালি করে চলাফেরা করত।
১.৩ তখন পৃথিবী কেমন ছিল?
উঃ। তখন পৃথিবী ছিল খুব সবুজ এবং সুন্দর।
১.৪ মানুষ আর গাছের সম্পর্ক তখন কেমন ছিল?
ঊঃ- মানুষ এবং গাছ তখন একে অপরকে উপকারী সাথি বলে মনে করত। তারা ভালো বন্ধ ছিল।
১.৫ মানুষ কীভাবে তখন যাতায়াত করত?
উঃ মানুষ তখন পায়ে হেঁটে যাতায়াত করত। বড়ো লোকেদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিরাপদে গাছেরাই পৌঁছে দিত।
১.৬ গাছেরা তখন কোন্ দায়িত্ব পালত করত।
উঃ। গাছেরা তখন মানুষের ভারী ভারী মালপত্র বাসো-প্যাঁটরা নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিত।
১.৭ মানুষ গাছের শাখাপ্রশাখায় কী কী ঝুলিয়ে রাখত?
উঃ। মানুষ গাছের শাখাপ্রশাখায় পোশাক-আশাক, বাকসো-প্যাটরা, মালপত্র ঝুলিয়ে রাখত।
১.৮ গাছেরা কীভাবে বুড়ো লোকেদের উপকারে আসত?
উঃ। গাছের ডালে বুড়ো লোকেরা চড়ে বসলে, গাছেরা তাদের নির্দিষ্ট জায়গায় নিরাপদে পৌঁছে দিত।
১.৯ জঙ্গল থেকে ফেরার পথে একদল লোক কী করল ?
উঃ। জঙ্গল থেকে ফেরার পথে একদল লোক তাদের ভারী মালপত্র গাছের ডালে ঝুলিয়ে দিয়েছিল।
১.১০ ডালগুলো কাত হয়ে নীচে ঝুঁকে পড়ল কেন?
উঃ। ডালগুলো ভারী মালপত্রের ভার সহ্য করতে না পেরে ঝুঁকে পড়েছিল।
১.১১ ডালগুলো ঝুঁকে পড়তে দেখে মানুষেরা কী করল ?
উঃ। ডালগুলো ঝুঁকে পড়তে দেখে মানুষেরা সমবেদনার বদলে কুৎসিত হাসাহাসি করতে থাকে। এমনকি তারা সকলে মিলে হাততালি দিতে থাকে। এভাবে তারা গাছেদের উপহাস করেছিল।.।
১.১২ গাছেরা অপমানিত বোধ করল কেন?
উঃ। মালের ভারে গাছেদের করুণ অবস্থা দেখে মানুষেরা সহানুভূতির বদলে কুৎসিত ভাবে হাততালি দিয়ে আনন্দ করেছিল। গাছেরা সেই উপহাস সহ্য করতে পারেনি। গাছেরা অপমানিত বোধ করেছিল।
১.১৩ তখন তারা কী ঠিক করল?
উঃ। মানুষের এই ব্যবহার দেখে গাছেরা ঠিক করল তারা আর চলাফেরা করবে না।
১.১৪ তারপর থেকে কী হয়?
উঃ। তারপর থেকে মানুষদের নিজেদের মালপত্র নিজেদেরই বইতে হয়।
১.১৫ গাছেরা আজও মানুষের কী কী উপকার করে?
উঃ। গাছেরা মানুষদের ফল-ফুল দিয়ে খাদ্যের, শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান দেয়। রোদ, বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচায়। নদীর পাড়ের ভাঙন রোধ করে। গাছগাছালি থেকে ওষুধ তৈরি হয়। নানারকম কীটপতঙ্গ গাছে বাসা বাঁধে।
২. বন্ধনীর মধ্যে ঠিক উত্তরটি বেছে লেখো :
২.১ (শেকড়বাকড়/শাখাপ্রশাখা) মাটির নিচে চালাচালি করে দিব্যি তারা ঘুরে বেড়াত।
উঃ। শেকড়বাকড়।
২.২ মানুষকে (ট্রেনে-বাসে/ হেঁটে হেঁটেই) দূর-দূরান্তরে যেতে হত।
উঃ। হেঁটে হেঁটেই।
২.৩ একবার একদল লোক (জঙ্গলে/বন্দরে) গিয়েছিল।
উঃ। জঙ্গলে।
২.৪ সকলে মিলে (দুঃখে/আনন্দে) হাততালি দিল।
উঃ। আনন্দে।
৩. বাক্য বাড়াও :
৩.১ মানুষকে হেঁটে হেঁটেই যেতে হতো। (কোথায়?
উঃ। মানুষকে হেঁটে হেঁটে দূর-দূরান্তরে যেতে হতো।
৩.২ মানুষ গাছের শাখাপ্রশাখায় ঝুলিয়ে রাখত। (কী?)
উঃ। মানুষেরা গাছের শাখাপ্রশাখায় পোশাক-আশাক, বাসো, মালপত্র ঝুলিয়ে রাখত।
৩.৩ ফিরে আসার পর সকলেই ক্লান্ত। (কেমন?
উঃ। ফিরে আসার পর সকলেই ভীষণ ক্লান্ত ছিল।
৩.৪ ডালগুলি সব কাত হয়ে ঝুঁকে পড়ল নীচে। (কেন ?)
উঃ। ডালগুলি ভারী জিনিসপত্রের ওজন সহ্য করতে না-পেরে কাত হয়ে ঝুঁকে পড়ল নীচে।
৪ বাক্য রচনা করো-
গাছগাছালি - গাছগাছালি দিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ওষুদ তৈরি করে।।
সহযোগিতা – অপরকে সহযোগিতা করতে হয়।
অক্সিজেন - অক্সিজেন ছাড়া প্রাণী বাঁচতে পারে না।
বাসো-প্যাঁটরা - নন্দখুড়ো বাকসো-প্যাঁটরা নিয়ে পথে বেরিয়েছেন।
৫.১ একসময়ো পৃথিবীতে গাছেরাও চলাফেরা (করাতাম/করতে/করত।
উঃ- করত
৫.২। কোনো যানবাহন (ছিল না/ছিলে
না/ছিলাম না)।
উঃ-ছিল না।
৫.৩ তোমরাও (দেখিনি/ দেখেনি/ দেখোনি)।
উঃ-দেখোনি
৫.৪ তারা অপমানিত বোধ করলে/করল/করলাম)।
উঃ-করল
৫.৫ শত পাখি গাছে বাসা (বাঁশে/নাদো/বাণি) ।
উঃ-বাঁধে।
৬. এলোমেলো বর্ণগুলিকে সাজিয়ে শব্দ তৈরি করো ?
লিডালগু > ডালগুলি।
লারাফেচ .> চলাফেরা।
সঞ্জিপনিত্র > জিনিসপত্র।
রীপউকা > উপকারী।
সাপ্রশাশাখা > পাকাপ্রশাখা।
৭. বর্ণ বিশ্লেষণ করো
নির্দেশ > ন্ + ই + র্ + দ্ + এ + শ্
ভাঙন > ভ্ + আ + ঙ + ন্
ভীষণ > ভ্ + ঈ + ষ + ণ।
দেখেনি > দ + এ + খ্ + এ + খ+ ই
আনন্দ > আ+ ন্ + অ + ন্ + দ্ + অ
ভীষণ—ভ্ + ঈ + ষ + ণ।
৮. নীচের ছবি অনুযায়ী পরে লেখা কথাগুলি মিলিয়ে লেখো :
৮.১ এক সম্যা পৃথিবীতে গাছেরাও চলাফেরা
করতে পারত।
৮.২. মানুষকে হেঁটে হেঁটেই দূর-দূরান্তরে যেতে
হতো। কোনো যানবাহন ছিল না।
৮.৩ মানুষ তাদের পোশাক-আশাক, বামো-প্যাঁটরা, গাছের শাখা-প্রশাখায় ঝোলাত'।
৮.৪ এত ওজন গাছের ডাল সহ্য করতে পারল না,
ডালগুলি কাত হয়ে ঝুলে পড়ল নীচে।