অ্যাডভেঞ্চার:বর্ষার চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা (হাতে কলমে)অনুশীলন প্রশ্নের
চতুর্থ শ্রেণীর বাংলা
অ্যাডভেঞ্চার: বর্ষার
মণীন্দ্র গুপ্ত
হাতেকলমে প্রশ্নের উত্তর
১। মণীন্দ্র গুপ্ত কোন্ পত্রিকা সম্পাদনা করতেন?
উঃ মণীন্দ্র গুপ্ত ‘পরমা' পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
২। তাঁর লেখা একটি বইয়ের নাম লেখো।
উঃ তাঁর লেখা একটি বই হল ‘চাঁদের ওপিঠে'।
৩। অনধিক দুটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৩.১ এই গল্পের কথক কী সূত্রে বাড়ি এসেছিল ?
উঃ এই গল্পের কথক গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে বাড়ি এসেছিল।
৩.২ খবর পেয়ে কারা কারা এলো?
উঃ খবর পেয়ে কথকের ছোটোপিসিমা আর সেজোপিসিমার চার ছেলেমেয়ে এলো।
৩.৩ ‘টমবয়' শব্দের অর্থ কী?
উঃ ‘টমবয়' শব্দের অর্থ ডানপিটে।
৩.৪ কার নাকে নোলক ছিল ?
উঃ সেজোপিসিমার ‘টমবয়' প্রকৃতির মেয়ের নাকে নোলক ছিল।
৩.৫ ভাই-বোনেরা মিলে কী ঠিক করল ?
উঃ ভাই-বোনেরা মিলে ঠিক করল তারা দলবেঁধে ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজোপিসিমার বাড়ি বেড়াতে যাবে।
৩.৬ ‘ফেনসা ভাত’ কী?
উঃ ফেনসমেত ভাতকে ‘ফেনসা ভাত' বলা হয়।
৩.৭ অশ্বিনীকুমার দত্ত কে ছিলেন?
উঃ অশ্বিনীকুমার দত্ত ছিলেন একজন বহুভাষাবিদ সুপণ্ডিত এবং তিনি ‘বরিশালের গান্ধি' নামে খ্যাত ছিলেন। .
৩.৮ কথক এবং তার ভাই-বোনেরা সন্ধ্যার আগেই কোথায় গিয়ে পৌঁছেছিল ?
উঃ কথক এবং তার ভাই-বোনেরা সন্ধ্যার আগেই তাদের ছোটোপিসিমার বাড়ি পৌঁছেছিল।
৩.৯ পাঁচ ভাই-বোনের কাছে ছাতা কটা ছিল ?
উঃ পাঁচ ভাই-বোনের কাছে ছাতা ছিল একটি।
৩.১০ বাড়ি ফিরে কথক কী করেছিল ?
উঃ বাড়ি ফিরে কথক মাথা গা মুছে শুকনো কাপড় পরে, মোটা কাঁথা চাপা দিয়ে শীতের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
৪। সন্ধি বিচ্ছেদ করো :
দেশান্তর— দেশ + অন্তর।
আষাঢ়ান্ত – আষাঢ় + অন্ত।
সূর্যাস্ত – সূর্য + অস্ত।
অপরাহ্ন – অপ + অহ্ন।
ব্যাকুল বি + কুল।
৫। নীচের শব্দগুলি বিভিন্ন স্বাধীন বাক্যে ব্যবহার করো :
হই হই—খেলায় জিতে ছেলের দল হইহই করে বাড়ি ফিরছে। পুটপাট— শান্ত মনে হলেও বাচ্চাটি পুটপাট বেশ কথা বলে।
টুবুটুবু—ঘোষালদের ডোবাটি বৃষ্টির জলে টুটু হয়ে গেছে।
ছিপছিপে-রোগা ছিপছিপে মেয়েটি খুব সুন্দর
নাচতে পারে।
ছটফট— আমার বোনপোটি খুব ছটপটে।
কড়কড়— সকাল থেকে কড়কড় শব্দে বাজ পড়ছে।
৬। লিঙ্গান্তর করো ঃ
সেজোপিসিমা – সেজোপিসেমশাই।
ন্যাড়া—নেড়ী।
ভাই–বোন।
প্রতিবেশী—প্রতিবেশিনী।
৭। নীচের বাক্যগুলির নিম্নরেখাঙ্কিত অংশে কোন্ বচনের ব্যবহার হয়েছে চিহ্নিত করো :
৭.১ সকালবেলা ফেনসা ভাত খেয়ে আমরা চার ভাই এক বোন বেরুলাম। (বহুবচন)
৭.২ ছোটো ছোটো স্রোত এসে পড়ছে খালে। (বহুবচন)
৭.৩ সেজোপিসিমার মেয়ে একটি পাক্কা টমবয়। (একবচন)
৭.৪ পুকুরের আধ হাত লম্বা পুরোনো কই মাছেরা সার বেঁধে মাঠ পেরিয়ে চলেছে দেশান্তরে। (বহুবচন)
৭.৫ আমরা কালক্ষেপ না করে দেড়-দুই কুড়ি কই সেই উলটানো ছাতার মধ্যে ভরে ফেললাম। (বহুবচন)
৮। নীচের বাক্যগুলিতে কোন পুরুষের ব্যবহার হয়েছে লেখো :
৮.১ আমরা সবাই দু-এক বছরের ছোটো বড়ো। (উত্তম পুরুষ)
৮.২ সে গাছকোমর বেঁধে আমাদের আগে আগে গাছে উঠে যায়। (প্রথম পুরুষ)
৮.৩ পুরু কাথার মধ্যে সেঁধিয়ে গেলাম শরীর গরম করতে। (উত্তম পুরুষ)
৮.৪ বড়োমা ছোটোমা আমাকে ওই ঝড়জলের মধ্যে দেখে অবাক। (উত্তম পুরুষ)
৮.৫ চোর, ডাকাত, প্রতিবেশী এবং সন্তানেরা কেউ তাঁর সঙ্গে এঁটে উঠতে পারে না। (প্রথম পুরুষ)
৯। নীচের রেখাঙ্কিত শব্দগুলির অর্থ এক রেখে অন্য শব্দ বসাও ঃ
৯.১ মারামারি বাঁধলে জোটবেঁধে লড়ে।
৯.২ শেষে বিরক্ত হয়ে লাগামছাড়া বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটতে লাগলাম ।
৯.৩ পা আপনাআপনি অতি দ্রুত মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যায়।
৯.৪ এক পিসতুতো ভাই একটা কৌশল বলল।
৯.৫ বৃষ্টিও একটু কমে গেল।
১০। শব্দঝুড়ি থেকে ঠিক শব্দ বেছে শূন্যস্থান পূরণ করো :
১০.১ পা বিনা আয়াসে অতি দ্রুত মাটি ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলে যায়।
১০.২ আমি ঠকঠক করে কাঁপতে কাঁপতে হাঁটতে লাগলাম ।
১০.৩ মাঠে মাঠে জল দাঁড়িয়ে গেছে।
১০.৪ মাইলদুয়েক যেতে না যেতে বৃষ্টি এলো।
১০.৫ সে গাছকোমর বেঁধে আমাদের আগে আগে গাছে উঠে যায় ৷
১১। —পুর—যাদবপুর, মীরপুর, সোনারপুর, শ্রীরামপুর, বারাকপুর, কানাইপুর।
—নগর—বিধাননগর, সুভাষনগর, কোন্নগর, শ্যামনগর।
—গঞ্জ—রানিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ, মেখলিগঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, তুফানগঞ্জ ।
—হাট/হাটা—মঙ্গলার হাট, হাজিরহাট, মাদারিহাট।
—গাছি/গাছিয়া—ফুলগাছিয়া, বরগাছিয়া ।
—গ্রাম/গাঁ—নবগ্রাম, নওগাঁ, বনগ্রাম, সুভাষগ্রাম।
—তলা—শিরিষতলা, ঝাউতলা, কদমতলা, নিমতলা, বাদামতলা
—গুড়ি—শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বিন্নাগুড়ি, কামাখ্যাগুড়ি।
—ডাঙা—তিলডাঙা, তালডাঙা, পটলডাঙা।
—ডোবা/ডুবি—গজলডোবা, ব্যাংডুবি।
—দহ/দা—শিলাইদহ, চাকদহ, মালদা।
—পাড়া—ঘোষপাড়া, কুমোরপাড়া, নপাড়া ।
-খালি — বকখালি, পটুয়াখালি, ঝড়খালি।
—ঘরিয়া—বেলঘরিয়া, তেঘরিয়া।
- পল্লি—শ্ৰীপল্লি, উদয়নপল্লি।
—বাজার—চকবাজার, রানিবাজার, দীনবাজার, রাজাবাজার
১২। নীচের বাক্য গুলি কর্তা খুঁজে বের করো।
১২.১ আমাদের দলটা এবার ছোটোপিসিমার বাড়ি হয়ে সেজোপিসিমার বাড়ি যাবে।
১২.২ পড়ন্তবেলায় আমরা অশ্বিনীকুমার দত্তের গ্রাম বাটাজোড় ছাড়ালাম।
১২.৩ সেটাও হাওয়ার দমকে উলটে গেল।
১২.৪ আমি হনহন করে পা চালালাম।
১২.৫ (আমি) বেশ হই হই করে পথ চলছিলাম। (কর্তা উহা আছে)
১৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
১৩.১ ছোটোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথের বর্ণনা করো।
উঃ কক্ষকরা পাঁচ ভাই-বোন মিলে ছোটোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে মাটির উঁচু পথের দু-পাশে ছোটো-বড়ো নানা উচ্চতায় পাটখেত দেখেছিলেন, সময়টা গ্রীষ্মকাল হলেও পাটখেতের হাওয়া পরিবেশকে আরামদায়ক করে তুলেছিল।
১৩.২ বড়োপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে ঝড়-বৃষ্টি এবং কই মাছ ধরার বিবরণ দাও ।
উত্তর- ছোটোপিসিমার বাড়ি থেকে সেজোপিসিমার বাড়ি যাওয়ার পথে হঠাৎ দুপুরবেলা আকাশ মেঘে ঢেকে গেল এবং বিদ্যুৎ চমকাতে লাগল। তারপর শুরু হল প্রবল বৃষ্টি। কথকদের একটিমাত্র ছাতা ছিল। প্রবল হাওয়ায় তাও উলটে গেল। শেষ পর্যন্ত তারা বিরক্ত হয়ে বৃষ্টির মধ্যেই হাঁটতে লাগল। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট জলে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। পুকুর-ডোবা-রাস্তা কিছুই আলাদা করা যাচ্ছিল না। এই সুযোগে পুকরের আধহাত লম্বা পুরোনো কই মাছের দল সার বেঁধে পালিয়ে যাচ্ছিল। কথকরা তাদের হাতের ভাঙা ছাতা দিয়ে প্রায় দেড়-দুই কুড়ি কই ধরেছিল।
১৩.৩ .বড়োপিসিমার বাড়ি থেকে ফেরার সময় ঝড়-বৃষ্টিতে ফাঁকা মাঠে কথকের যে অভিজ্ঞতা হয়েছিল, তা লেখো।
উত্তরI কথকের বড়োপিসিমার বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার সময় পথঘাট ছিল জলে ভেজা, চারদিক বৃষ্টিভেজা। পথ জনহীন, চারদিকে কেবল পাটখেত। ফাঁকামাঠে বৃষ্টির ফোঁটা যেন পেরেকগাথা থ্যাবড়া হাতের চড়। কিন্তু কথকের আনন্দের বিষয়—ঝড়ের থাকা তাকে তিনগুণ বেগে সামনের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। বাতাসের গর্জন, বাজ পড়ার কড়কড় শব্দে, শীতে ভয়ে কথক কাঁপতে লাগল। প্রকৃতির এই ভয়ঙ্কর রূপ দেখে কথকের মনে হয়েছিল প্রকৃতির কাছে ধরিত্রি মা অসহায়, একাকী।
১৩.৪ পাঠ্যাংশের নামকরণে ‘অ্যাডডোর' শব্দটির ব্যবহার কতটা যথাযথ হয়েছে, মতামত দাও।
১৩.৫ কোনো একটি বৃষ্টিমুখর দিনের কথা লেখো।
উঃ গত শুক্রবার, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি চারদিক অন্ধকার করে প্রচণ্ড বৃষ্টি এসেছে। মেঘের কড়াৎ কড়াৎ আওয়াজ, বিদ্যুতের চোখ ঝলসানো — ভয়ে আমি মায়ের কোলের মধ্যে ঢুকে মুখ গুঁজে শুয়ে রইলাম। মা বলল আজ আর স্কুলে যাওয়া যাবে না। আমার খুব আনন্দ হল। তারপর চোখ-মুখ ধুয়ে, খেয়ে, অল্প পড়াশুনা করে সোজা জানলার পাশে
বসে পড়লাম। আমাদের বাড়ির পাশেই মস্ত একটা মাঠ, তার গা দিয়েই চওড়া রাস্তা। মাঠে সোনাব্যাঙের দল মুখ তুলে গ্যাং গ্যাং করে ডাকছিল, রাস্তা দিয়ে সাইকেল, রিকশা, গাড়ি, মানুষ যেই যাচ্ছে অমনি জলের আওয়াজ হতে লাগল। মাঠে জলের মধ্যে বৃষ্টি ফোঁটাগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগছিল। কাকগুলো ভিজে কাঁপছিল। আমার লালু-মানে
কুকুর ছানাটাও ভিজে গেছিল। দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম কে জানে। যখন উঠলাম দেখলাম মা ডাকছে স্নান করে খিচুড়ি খাওয়ার জন্য।
১৪ নীচের দুটি ছবির মধ্যে ছয়টি অমিল খুঁজে বের করো :
১৪.১ মেঘ—নীচের ছবিতে একখণ্ড মেঘ নেই।
১৪.২ ঘুড়ি—ওপরের ছবির ঘুড়িটি রঙহীন।
১৪.৩ জামা—নীচের ছবির বসে থাকা মেয়েটির জামা নকশাহীন।
১৪.৪ ফুল—নীচের ছবিতে একটি ফুল নেই।
১৪.৫ পাখি—নীচের ছবিতে গাছের ওপরে পাখি নেই।
১৪.৬ বল – নীচের ছবিতে বলটি হালকা রঙের।
১৫। নীচের সূত্রগুলি কাজে লাগিয়ে শব্দছকটি পূরণ করো :
অন্য গুলির উত্তর দেখুন
(১) সবার আমি ছাত্র
(২) নরহরি দাস
(৩) বনভোজন
(৬) বনের খবর
(৭) মালগাড়ি
(৮) বিচিত্র সাধ
আর ও আমি সাগর পাড়ি দেবো
(১০) আলো
(১১) আমাজনের জঙ্গলে
(১২) দক্ষিণ মেরু অভিযান
(১৩) অ্যাডভেঞ্চার বর্ষায়
(১৪) আমার মা-র বাপের বাড়ি
(১৫) দূরের পাল্লা
(১৬) নইলে
(১৭) ঘুম পাড়ানি ছড়া
(১৮) আদর্শ ছেলে
(১৯) যতীনের জুতো
(২০) ঘুম ভাঙ্গানি
(২১) মায়াদ্বীপ
(২২) বাঘা যতীন
আর ও বাঘা যতীন